যে ধরনের কথা বলার কারনে আপনি নিজের অজান্তেই কুফরি করছেন

যে ধরনের কথা বলার কারনে আপনি নিজের অজান্তেই কুফরি করছেন
============
.
(১) কি ব্যাপার,দাড়ি রেখেছিস যে.? দেখতে তো ছাগলের মত দেখায়!
জঙ্গি বাহিনীর দেখায়! ফালা এগুলো।
.
(২) মাদ্রাসায় পড়ে কী করবি? মাদ্রাসায় পড়লে কি তোর ভাত মিলবে? বাদদে এসব পড়া।
.
(৩) কিরে, আবার দেখি টুপি পরেছিস? টুপির নিচে শয়তান থাকে জানিস না…?
.
(৪) মুসলমান জাতটাই খারাপ। এদের চেয়ে বিধর্মী ইহুদী-খৃষ্টান ও হিন্দুরা অনেক ভালো।
.
(৫) কিরে তুই আবার কবে থেকে বোরকাওয়ালী হইলী? বোরকা-টোরকা পরে একে
বারে ভূত হয়ে গেছিস। ঘোমটা তলে পোংটা নাচে। বোরকাওয়ালীরাই আরো বেশি খারাপ।
.
(৬) রাখ তোর পর্দা ! এত পর্দা পর্দা করিস না। পর্দা পর্দা করার কারনের তো আজ মুসলমান জাতি এত পিছিয়ে, আর ইউরোপ-আমেরিকার মেয়ে কত এগিয়ে গেছে। আমরা পর্দা না করলে কী হবে, আমরা কি মুসলমান না? মনের পর্দা-ই বড় পর্দা।
.
(৭) আরে বাদ-দে মোল্লাদের কথা। মোল্লার দৌড় মসজিদ পর্যন্ত। ওরা কি বুঝে? ওরা তো মূর্খ আর গোঁড়া।
.
(৮) কে বলেছে সুদ হারাম? হারাম হলে সারা দুনিয়ার মানুষ এটা খাইতো? সুদ কোন খারাপ জিনিস না। এটা ব্যবসার মত লাভ। সুদ খারাপ জিনিস হইলে কি ইউরোপ-আমেরিকা এত উন্নত হইতে পারতো!!!
.
(৯) কেউ বললো, কিরে রোযা রেখেছিস..? উত্তরে সে বললো বাদ-দে রোযা। রোযা রাখে যাদের ঘরে ভাত নেই তারা।
.
(১০) সব জায়গায় এত ইসলাম ইসলাম করিস না। ইত্যাদি
.
.
এরূপ আরো অনেক কুফরী কথা মুসলিম সমাজে চালু আছে,যা তাদের ঈমানকে তাদের অজান্তেই ধ্বংস করে দিচ্ছে।

মহান আল্লাহ্ বলেনঃ
“(হে নবী) তুমি বল, তোমরা কি আল্লাহর সাথে, তাঁর হুকুম আহকামের সাথে এবং তাঁর রসূলের সাথে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করছিলে? ছলনা কর না, তোমরা যে কাফের হয়ে গেছ ঈমান প্রকাশ করার পর। (সুরা তাওবাঃ ৬৫-৬৬)


অতএব এ ব্যাপার সকলকে সাবধান থাকতে হবে। খবরদার কখনো মুখে বা অন্তরে যেন এ ধরনের কোন কথা না আসে। এভাবে যেন আমরা আমাদের ঈমান নষ্ট না করি।
.
এই ধররনের কথা বলে সে যে কাফের হয়ে গেছে– এটাও সে জানে না। সে পরে আবার নামাজও পরে, ওজুও করে। কিন্তু এখন আর ওজু করে লাভ নেই, নামাজ পড়েও লাভ নেই।
তাকে পুনরায় ইসলামে প্রবেশ করতে হবে এবং পরে বাকী আহকাম গুলো পর্যায়ক্রমে পালন করতে হবে।