যারা বিয়ে করতে চাইছেন

যারা এই সমাজের অশ্লীলতা আর অন্যায়ের হাতছানি থেকে নিরাপদ থাকতে বিয়ে করতে চাইছেন, নিঃসন্দেহে আলহামদুলিল্লাহ্‌ তা একটি দারুণ নিয়্যাত। কিন্তু মনে রাখতে হবে, জীবনের লক্ষ্য আত্মাকে আল্লাহর দিকে রুজু রাখা, আল্লাহকে সন্তুষ্ট রাখা, তার ইবাদাত করা।

 

সম্ভাব্য জীবনসঙ্গী খুঁজতে অস্থির হয়ে, অশান্তিতে থেকে, হতাশ হওয়া মু’মিনের কাজ নয়। নিঃসন্দেহে আল্লাহ যাকে নির্ধারিত রেখেছেন, তিনিই আপনার জীবনে আসবেন। কিন্তু তার কাছে পৌঁছতে আল্লাহর কাছেই কান্নাকাটি করা উচিত, তার কাছেই নফল ইবাদাতের মাধ্যমে অনাগত জীবনটাকে আরো কল্যাণময় করার জন্য বিনিয়োগ করা উচিত দু’আ। আল্লাহর আরো কাছে যেতে সাদাকাহ করুন।

 

ফেসবুকের প্রোফাইলে, ইনবক্সে, গুগল টকে, ইয়াহু মেসেঞ্জারে জীবনসঙ্গী না খুঁজে তার কাছেই হাত পাতুন, যিনি সকল ক্ষমতার অধিকারী। যিনি এই বিশ্বজগতের প্রতিপালক, সমস্ত দু’আ যিনি শোনেন। যিনি আপনার প্রতিটি দু’আর প্রতিউত্তর দেন। সেই আল্লাহর আরো কাছে যান, তার কাছেই চরিত্রের হিফাজতের জন্য, দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণের জন্য দু’আ করুন। ইনশা আল্লাহ মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা আমাদেরকে কল্যাণ দান করবেন।

 

* * * * *

 

কখনো দু’আর শক্তিকে অবজ্ঞা করবেন না। দু’আ একটি ইবাদাত। ইউসুফ আলাইহিস সালামকে যখন বাজে চরিত্রের মহিলা কামনা পূরণ করার জন্য ডেকেছিলো, তখন তিনি আল্লাহর কাছে সাহায্য চেয়েছিলেন। আল্লাহ তাকে রক্ষা করেছিলেন, পরবর্তীতে তার মর্যাদাকেও উন্নীত করেছিলেন। যারা চরিত্রকে সৎ রাখতে প্রতিকূল পরিবেশে আল্লাহর কাছে সাহায্য চেয়ে নিজেকে পবিত্র রাখে, আল্লাহ তাদের জন্য রেখেছেন বিশাল পুরষ্কার।

 

দু’আ মু’মিনের সবচাইতে বড় অস্ত্র। তাই, যেকোন কঠিন পরিবেশে, যখন কোথাও আশা নেই, প্রচন্ড যন্ত্রণা — আল্লাহর কাছে চোখ ভিজিয়ে প্রার্থনা করুন। তাঁর ভান্ডারে কোন অভাব নেই, তিনি অভাবমুক্ত। তাই, দু’আ করুন। প্রচুর দু’আ করুন। যেকোন বড় চাওয়া আল্লাহর কাছে বিনীত হয়ে চেয়ে নিন। আল্লাহ আপনাকে অভাবমুক্ত, পুরষ্কৃত করবেন ইনশাআল্লাহ।

 

* * * *

 

হে আমার বোন , জেনে রাখো —

 

তুমি যদি একজন পুরুষকে তার সম্পদের জন্য বিয়ে করো, ধন-সম্পদ কিন্তু শেষ হয়ে যেতে পারে।

 

তুমি যদি কারো বাহ্যিক রূপ দেখে বিয়ে করো, সে চেহারার চমক মিলিয়ে যেতে পারে।

 

তুমি বিয়ে করতে পারো ক্ষমতার দাপট দেখে, কিন্তু সে ক্ষমতাও হারিয়ে যেতে পারে।

 

কিন্তু তুমি যদি একজন দ্বীনদার আল্লাহভীরু ভাইকে বিয়ে করো, তাহলে সে তোমাকে সম্মান করবে, তোমার প্রতি দয়ার্দ্র থাকবে, সে তোমাকে আল্লাহর কাছে যেতে সাহায্য করবে। তোমাদের ‘ভালোবাসার গল্প’ হবে চিরন্তন একটি গল্প। তোমার প্রতি তার ভালোবাসা হবে দুনিয়ার জন্য জান্নাতের মতন, তোমার প্রতি তার সন্তুষ্টি হবে আখিরাতে তোমার জান্নাতের চাবি।

 

[ফেসবুক থেকে সংগৃহীত ও ভাষান্তর : সাফওয়ান]