যাদুকর থেকে সাবধান

সমাজে তদবিরের নামে জাদু প্রচলন আজ ঘরে ঘরে। ফকির আর কবিরাজের ছলে আপনাকে দিয়েও করিয়ে ফেলতে পারে এই জাদুকরগুলো। কিভাবে চিনবেন, যার কাছে সহায়তার জন্য গেলেন সে জাদুকর নাকি ফকির/কবিরাজ। তার উপায় উপকরণ বৈধ ঝাড়ঁ-ফুক নাকি জাদু বা জ্বিন! চিনে নিন,
জাদুকর চেনার উপায় ও আলামত,
কোন চিকিৎসক বা কবিরাজের মধ্যে নিম্মোক্ত লক্ষন বা আলামতের কোন একটিও পাওয়া গেলে নিঃসন্দেহে বুঝা যাবে যে সে যাদুকর।
১. রোগীর নাম ও মায়ের নাম জিজ্ঞাসা করা।
২. রোগীর কোন চিহ্ন গ্রহণ করা। যেমন কাপড়, টুপি, রুমাল, চুল, নখ, চিড়নী ইত্যাদি।
৩. যবাই করার জন্য কোন নির্দিষ্ট জীব/জন্তু চাওয়া, তা আল্লাহর নামে যবাই না করা। কখনও তার রক্ত ব্যথার স্থানে মাখান বা বিরান ঘর বা জায়গায় নিক্ষেপ করা।
৪. রহস্যময় মায়াজাল বা অস্পষ্ট মন্ত্র লিখা।
৫. অস্পষ্ট তন্ত্র-মন্ত্র ও মায়াজাল পাঠ করা।
৬. রোগীকে চর্তুভূজ নক্সা বানিয়ে দেয়া, যাতে থাকে অক্ষর বা নম্বর। তাবিজ বানিয়ে দেয়া।
৭. রোগীকে এক নির্ধারিত সময় এক কক্ষে (যাতে আলো প্রবেশ করে না) লোকের অন্তরালে থাকার নির্দেশ দেয়া।
৮. রোগীকে এক নির্ধারিত সময় পর্যন্ত (যা সাধারণত ৪০দিন হয়ে থাকে) পানি স্পর্শ করতে নিষেধ করা।
৯. রোগীকে কোন জিনিস পুঁতে রাখতে দেয়া।
১০. রোগীকে কিছু পাতা দিয়ে তা জ্বালিয়ে তা থেকে ধোয়া গ্রহণ করতে বলা।
১১. রোগীকে কোন কিছু পড়ে দিয়ে তা আগুনে ঝুলিয়ে রাখতে বলা।
১২. অস্পষ্ট কথা বা কালাম বা নম্বর দিয়ে তাবিজ বানিয়ে দেয়া।
১৩. রোগীর কিছু বলার আগেই রোগীর নাম, ঠিকানা বা সমস্যা বলে দেয়া।
১৪. ছিন্ন-ছিন্ন অক্ষর লিখে রোগীকে নকশা বা তাবিজ বানিয়ে দেয়া অথবা কোন সাদা পাথরে কিছু লিখে দেয়া ও তা ধুয়ে পানি পান করতে বলা।
১৫. চিকিৎসায় জ্বিনের ব্যবহার করা।
১৬. রোগীর রাশি নির্ণয় ও জ্যোতিষ শাস্ত্রের ব্যবহার করা।
১৭. চিকিৎসায় কিছু গোপনীয় ও সুক্ষ্ম বিষয় থাকা যা সাধারণ কেউ বোঝেন না।
১৮. কোন বস্তু খাদ্যদ্রব্যের সাথে মিশিয়ে খেতে বলা বা কোন কিছুকে তন্ত্র-মন্ত্র দিয়ে পড়ে তা রোগীকে বা অপরকে খাওয়াতে বলা।
১৯. কোন নাপাক কিছু তদবিরে ব্যবহার করা।
২০. কোন বিশেষ বা পড়া পানি রাস্তায় ফেলে রাখতে বলা। ইত্যাদি
প্রচারে: ইখলাস হিজামা ও রুকিয়া শারিয়াহ ইন্সটিটিউট।