মানুষের পেছনে নিঃশব্দে তাদের উপকার করে যান

আপনি একজন মানুষের উপকার করলেন। সে জানলোও না সেই সাহায্যের কথা। শুধু মাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই করলেন। আপনি বিপদে পড়লে সে সাহায্য করবে এ উদ্দেশ্যে না। শুধু আল্লাহ খুশি হবেন এ জন্যই করলেন।
.
এরপর দেখা গেল, মানুষটা আপনাকে ধন্যবাদ দিল না। বরং অকৃতজ্ঞ হলো। খারাপ ব্যবহার করল। হয়ত ক্ষতিও করে ফেলল। আপনি কী চিন্তা করবেন?
.
” আর না। বহু হয়েছে। আর কত ধরা খাব? আর আগ বাড়িয়ে মানুষের উপকার করতে যাব না।”
.
.
যদি এ চিন্তা করেন তাহলে শয়তানের ফাঁদে পা দিলেন।
.
আপনি যদি আল্লাহর জন্য কোনো কিছু করেন এবং আপনার জীবদ্দশাতেই সেটার জন্য ধন্যবাদ বা পুরষ্কার পেয়ে যান তাহলে একটা বড় ভয় থেকে যায় – কাজটা কী আল্লাহ কবুল করলেন নাকি দুনিয়াতেই প্রতিদান দিয়ে দিলেন।
.
দুনিয়াতে প্রতিদান পায় কাফিররা। যেহেতু আল্লাহকে অস্বীকারকারীদের আখিরাতে কোনো অংশ নেই এবং যেহেতু আল্লাহ আল-‘আদল – তিনি কাফিরদের ভালো কাজের প্রতিদান এ পৃথিবীতেই কোনো না কোনোভাবে দিয়ে দেন।
.
কিন্তু আমাদের মুসলিমদের সব ভালো কাজের প্রতিদান, সব দু’আর উত্তর তিনি এ দুনিয়াতে দেন না। কিছু দেন, কিছু তুলে রেখে দেন পরে দেবেন বলে।
.
আমরা যদি মানুষের উপকার করতে গিয়ে ক্ষতির স্বীকার হই, বিশেষত গোপন উপকারের ক্ষেত্রে, তাহলে সম্ভাবনা আছে এই গোপন ভালো কাজটা আল্লাহ কবুল করে নিয়েছেন এবং তাই তিনি এটা দুনিয়াতে গোপন রাখবেন এবং এর প্রতিদান আখিরাতে দেবেন।
.
যেই আপনি ভাবলেন, ” দেখেছ, এই লোকটার জন্য এত কিছু করলাম আর সে কী না… ” অমনি আপনার ভালো কাজটা নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেবে। আপনি তো ওই লোকের কৃতজ্ঞতা চাননি, আল্লাহর সন্তুষ্টি চেয়েছেন। যেটা কাজের শুরুতে চাননি সেটা কাজের শেষে চেয়ে কাজটা বরবাদ করবেন না।
.
মানুষের পেছনে, নিঃশব্দে তাদের উপকার করে যান। কাউকে বলার দরকার নেই। নিজেকেও না। আমরা যেন শয়তানের সূক্ষ ফাঁদগুলো থেকে সাবধান থাকতে পারি।
আমিন!!!