বিবাহে পাত্র-পাত্রীর সম্মতি

বিবাহে পাত্র-পাত্রীর সম্মতি :
*****************************
বিবাহের ক্ষেত্রে পাত্র-পাত্রী বা বর-কনে হ’ল মূল। যারা সারা জীবন একসাথে ঘর-সংসার করবে। সেকারণ বিবাহের পূর্বে তাদের সম্মতি থাকতে হবে। কোন অবস্থাতেই কোন ছেলে-মেয়ের অসম্মতিতে তাদেরকে বিবাহ করতে বাধ্য করা উচিত নয়। আল্লাহ বলেন,يَا أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوْا لاَ يَحِلُّ لَكُمْ أَن تَرِثُوْا النِّسَاءَ كَرْهاً ‘হে ঈমানদারগণ! তোমাদের জন্য বৈধ নয় যে, তোমরা বলপূর্বক নারীদের উত্তরাধিকারী হবে’ (নিসা ৪/১৯)।
নবী করীম (ছাঃ) বলেছেন,لاَ تُنْكَحُ الأَيِّمُ حَتَّى تُسْتَأْمَرَ وَلاَ تُنْكَحُ الْبِكْرُ حَتَّى تُسْتَأْذَنَ قَالُوْا يَا رَسُوْلَ اللهِ وَكَيْفَ إِذْنُهَا؟ قَالَ أَنْ تَسْكُتَ. ‘বিবাহিতা মেয়েকে তার পরামর্শ ছাড়া বিবাহ দেয়া যাবে না এবং কুমারী মেয়েকে তার অনুমতি ছাড়া বিবাহ দেয়া যাবে না। ছাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন, তার অনুমতি কিভাবে হবে? উত্তরে তিনি বললেন, ‘চুপ থাকাই হচ্ছে তার অনুমতি’।[5] অন্য বর্ণনায় রয়েছে,وَالْبِكْرُ تُسْتَأْذَنُ فِىْ نَفْسِهَا وَإِذْنُهَا صُمَاتُهَا ‘যুবতী-কুমারী মেয়ের বিবাহের ব্যাপারে পিতাকে তার অনুমতি নিতে হবে। আর তার অনুমতি হচ্ছে চুপ থাকা’।[1]
বিবাহের প্রস্তাব শুনার পর কুমারী মেয়ে চুপ থাকলে তার সম্মতি আছে বলে ধরে নিতে হবে। কিন্তু অকুমারী মহিলার ক্ষেত্রে সরাসরি সম্মতি নিতে হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘অকুমারী মেয়েরা নিজেদের ব্যাপারে ওলীর থেকে অধিক হকদার’।[2] অন্য হাদীছে এসেছে, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) জনৈকা মহিলার সম্মতিবিহীন বিবাহকে প্রত্যাখ্যান করেন।[3]
এছাড়াও কোন মেয়েকে অভিভাবক তার অনুমতি ছাড়া বিবাহ দিলে সে ইচ্ছা করলে বিবাহ বহাল রাখতে পারে, ইচ্ছা করলে বিবাহ ভঙ্গ করতে পারে।[4]

[1]. মুসলিম, মিশকাত হা/৩১২৭।
[2]. মুসলিম হা/১৪২১, তিরমিযী, নাসাঈ, বুলূগুল মারাম হা/৯৮৫।
[3]. বুখারী হা/৫১৩৮, মিশকাত হা/৩১২৮।
[4]. বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী, নাসঈ, বুলূগুল মারাম হা/৯৮৮।
——————————————–
পোস্টঃ- মোহাম্মাদ আবু হানিফ (দুবাই)
মুসলিম টিভি-ইসলামিক মিডিয়া সেন্টার।।