পাত্র-পাত্রী দেখাশোনার মধ্যে পাত্রীদের কেই বেশি বিড়ম্বনার সম্মুখীন হতে হয়

পাত্রপাত্রী দেখাশোনার মধ্যে পাত্রীদের কেই বেশি বিড়ম্বনার সম্মুখীন হতে হয়। বিড়ম্বনা বলা কি ঠিক? অশালীন ও অশোভোন পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয়। সবসময় যে জেনে বুঝে পাত্র রা এমন আচরণ করেন তা কিন্ত নয়। কিছু তাদের পারিবারিক চাপ ও কিছু ব্যাক্তিগত জ্ঞানের অভাব। আর সবাই যে এমন তা ও বলছি না। তবে বাস্তব সমাজের চিত্র তো অন্ধ ও দেখতে পায়।

সামাজিক রীতি গুলোকে যেকোন মেয়েপক্ষই অনিছাসতবেও অনেক সময় মেনে নেয়। যেমন হেঁটে দেখা ও, এটা পার, ওটা পার, নাক ফুটো করনাই কেন? ব্লা ব্লা ব্লা। কিন্ত কোন পাত্র যদি সরাসরি পাত্রীর সাথে অশোভোন কিছু করে কি মেনে নেয়া যায় নাকি মেনে নেয়া উচিত?

যেকোন ছেলেদের ই এই লেখাটা পক্ষপাতমূলক মনে হবে। কিন্ত এটা অপ্রিয় সত্য।
একটা মেয়ে হিজাব পরে আপনার সামনে আসবে আর আপনি তাকে জায়েজ আছে বলে আপনার সামনে হিজাব খুলিয়ে তার চুল ঘাড়, গলা দেখতে চাইবেন এটা কে কি বলা যায়? আপনার চেহারা পছন্দ হলে আপনি বিনীত ভাবে বলতেই পারেন বাসায় ইনফরমাল ঘরোয়া ভাবে দেখা করার। কিন্ত প্রথম মিটিং এ এমন আচরণ কি করে শোভোন হয়?

ইদানিং কিছু রিপ্লাই পাচ্ছি যে, প্রথম মিটিং পাত্র পাত্রীর কাছে জানতে চান যে “বিয়ের পর সে তার স্বামী কে কিভাবে খুশি করবে? আরে ভাই দাম্পত্য জীবন নিয়ে সবার মনের মধ্যেই অনেক ইচ্ছা, বাসনা থাকে। তাই এই ফালতু প্রশ্ন কেন? এটা শুনে কোন মেয়ে আর যাই হোক আপনাকে সভ্য আচরনের মানুষ মনে করবেন না। আপনি প্রথম দিনেই নির্লজ্জ আচরণ করে ফেলেছেন।

আর ও আছে, যদি আপনি দ্বীন দেখে বিয়ে করেন তাহলে জাহির সি বাত আপনার সন্তান রা একজন দ্বীনদার মা পাচ্ছেন। তাহলে আপনি যদি একজন দ্বীনদার পাত্রী দেখতে গিয়ে এক পৃথিবীর এত বিষয় থাকতে সে তার সন্তান কে কোন স্কুলে পড়াবে এমন প্রশ্ন করেন তাহলে কেমনে কি হয় !!!! আরে ভাই তারে আগে স্ত্রী হওয়ার সুযোগ দেন। তারপর মা এর রোল।

জানি, বলবেন আপনি আপনার জন্য শুধু স্ত্রী না, আপনার সন্তানের মা কে খুঁজছেন। তাহলে একটা ছোট্ট কথা একজন চোর ও তার সন্তান রে চোর বানাতে চায় না, সাধু বানাতে চায়।

তাই প্রশ্ন যদি করতে হয় আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা, নবীর প্রতি ভালোবাসা, দ্বীন এর প্রতি অনুরাগ, জান্নাতের প্রস্তুতি, এসব নিয়ে কথা বলুন। দ্বীন এর কোন কোন বিষয়ে আপনারা একমত গল্পচ্ছলে জেনে নিন। ভাই বোন আত্মীয় পরিজন এর সাথে তার সম্পর্ক কেমন তা গল্পে গল্পে বুঝুন। দৈনন্দিন জীবনের অনেক বিষয় আছে কথা বলার । সেগুলো নিয়ে কথা বলুন। প্রাথমিক ভাবে পাত্রী পছন্দ হলে তখন পাত্রীর অনুমতি সাপেক্ষে মানে যদি সে সহজভাবে নেয় তখন তার সাথে উক্ত বিষয়ে কথা বলতে পারেন।

ভাইদের কে বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি, সংবেদনশীল বিষয় গুলো নিয়ে কথা বলবে না। নির্লজ্জতা, লজ্জাহীনতা দ্বীন এর বৈশিষ্ট না। যাকে প্রথমদিন সম্মান দিয়ে কথা বলতে পারলেন না তাকে সারা জীবন সম্মান ও মর্যাদার সাথে রাখার প্রতিশ্রুতি কিভাবে দিবেন।

আবারো বলছি, এটা আমার Learning. কোন পক্ষপাতমূলক পোস্ট নয়।।