তাবীযের সপক্ষে পেশকৃত বর্ণনা

তাবীযের সপক্ষে পেশকৃত বর্ণনা
=================================================================

আমর ইবনে শু‘আইব তাঁর পিতার সূত্রে তাঁর দাদা থেকে বর্ণনা করেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, ‘তোমাদের কেউ যখন ঘুমের ভেতর ভয় পায়, তখন সে যেন বলে,

«أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّاتِ مِنْ غَضَبِهِ وَعِقَابِهِ وَشَرِّ عِبَادِهِ وَمِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِينِ وَأَنْ يَحْضُرُونِ»

তাহলে ঐ ভয়ের বিষয়টি কখনই তার কোনো ক্ষতি করতে পারবে না’। সেজন্য আব্দুল্লাহ ইবনে আমর তার প্রাপ্ত বয়ষ্ক সন্তানদেরকে এই দু‘আটি শিখাতেন। আর অপ্রাপ্ত বয়ষ্ক সন্তানদের গলায় দু‘আটি লিখে ঝুলিয়ে দিতেন।

আবু দাঊদ, হা/৩৮৯৩; তিরমিযী, হা/৩৫২৮; আহমাদ, হা/৬৬৯৬।

বস্তুত হাদীসটি দুর্বল। কারণ হাদীছটির সনদে মুহাম্মাদ ইবনে ইসহাক রয়েছেন, যিনি ‘মুদাল্লিস’ (مدلس) এবং তিনি হাদীছটিকে ‘আন্‌‘আনা’ (عنعنة) বা ‘আন্‌’ (عن) শব্দ ব্যবহারের মাধ্যমে বর্ণনা করেছেন। আর কোনো মুদাল্লিস বর্ণনাকারী ‘আন্‌’ শব্দের মাধ্যমে হাদীছ বর্ণনা করলে তা গ্রহণযোগ্য হয় না।

তিরমিযী বলেন, হাদীছটি ‘হাসান-গরীব’।

শাওকানী বলেন, হাদীছটির সনদে মুহাম্মাদ ইবনে ইসহাক রয়েছেন, যাঁর সম্বন্ধে উলামায়ে কেরামের বক্তব্য প্রসিদ্ধ। ফাতহুল ক্বাদীর, হা/৩৫৮৮।

আলবানী বলেন, হাদীছটি ‘হাসান’, তবে বর্ণনায় আসা ‘আব্দুল্লাহ ইবনে আমর তার প্রাপ্তবয়ষ্ক সন্তানদেরকে এই দু‘আটি শিখাতেন, অপ্রাপ্ত বয়ষ্ক সন্তানদের গলায় দু‘আটি লিখে ঝুলিয়ে দিতেন’ হাদীছের এ বাক্য ছাড়া।

(ছহীহ তিরমিযী হা/৩৫২৮; সিলসিলা ছহীহাহ, ১/৫২৯)।

অতএব, হাদীছের উল্লেখিত বাক্য গ্রহণযোগ্য নয়।