জাযাকা-আল্লাহু খাইরন এর উত্তরে কি বলবো

আল্লাহর নামে শুরু করছি।

আল্লাহর রসূল ছল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াছাল্লাম বলেছেনঃ “কেউ

যদি কারো উপকার করে এবং এর জন্য সে যদি তাকে “জাযাকা-আল্লাহু খাইরন ( ﺟَﺰَﺍﻙَ ﺍﻟﻠﻪُ ﺧَﻴﺮً )” বলে তাহলে সে যেনো তাঁর প্রতি সর্বোচ্চ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করলো” (বর্ণনায়ঃ আল-তিরমিযী,২০৩৫; শাইখ আলবানী সহীহ আল তিরমিযীতে হাদিসটিকে সহীহ বলেছেন)।

যেটা বলা সুন্নাহঃ ধন্যবাদ দেওয়ার জন্য বলা “জাযাকা-আল্লাহু খাইরন ( ﺟَﺰَﺍﻙَ ﺍﻟﻠﻪُ ﺧَﻴﺮً )

কিন্তু আমরা দেখি অনেকে শুধু বলে “জাযাকা-আল্লাহ” অথবা শুধু “জাযাক” অথবা শুধু “JZK”- এগুলো ব্যবহারের জন্য আমরা মোটেই পরামর্শ দিই না। কাজেই এগুলোর পরিবর্তে সুন্নাহের উপর আমল করা উচিত এবং সংক্ষেপ করাকে পরিহার করা উচিত। যারা “জাযাকা-আল্লাহু খাইরন” বলে তাদের প্রতি সর্বোত্তম জবাব কোনটি?

যখন উছাইদ ইবনে হাদাইর রদিয়াল্লাহু’আনহু রছুলুল্লাহ

ছল্লাল্লাহু’আলাইহিওয়াছাল্লামকে বললেনঃ “হে আল্লাহর রসূল, জাযাকা- আল্লাহু খাইরন!” তখন রসূল ছল্লাল্লাহু’আলাইহিওয়াছাল্লাম বললেনঃ “ওয়া আনতুম ফা-জাযাকুমু-আল্লাহু খাইরন ( ﻭَﺃَﻧْﺘُﻢْ ﻓَﺠَﺰَﺍﻛُﻢُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺧَﻴْﺮًﺍ)” (অর্থঃ তোমাকেও আল্লাহ উত্তম প্রতিদান দিন) (শাইখ

আলবানী আল-সহীহার ৩০৯৬ নং হাদিসে একে সহীহ বলেছেন, আল- তা’লিকাতুল হিসান আল সহীহ ইবনে হিব্বান ৬২৩১)।

হাদিসে এমন কোনো প্রমাণ নেই যেখানে নবী ছল্লাল্লাহু’আলাইহিওয়াছাল্লাম “ওয়া ইয়াকুম (ﻭﺇﻳﺎﻛﻢ )” (অর্থঃ তোমার প্রতিও দয়া হোক) বলে জবাব দিয়েছেন। কাজেই সঠিক সুন্নাহর অনুসরণ করাই উত্তম—যার জবাব

হলোঃ “ওয়া আনতুম ফা-জাযাকুমুত-আল্লাহু খাইরন ( ﻭَﺃَﻧْﺘُﻢْ ﻓَﺠَﺰَﺍﻛُﻢُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺧَﻴْﺮًﺍ)”। আল্লাহই সবচেয়ে ভালো জানেন।
===========================
*সূনান আত তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২০৩৫*
باب مَا جَاءَ فِي الْمُتَشَبِّعِ بِمَا لَمْ يُعْطَهُ حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ الْحَسَنِ الْمَرْوَزِيُّ، بِمَكَّةَ وَإِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعِيدٍ الْجَوْهَرِيُّ قَالاَ حَدَّثَنَا الأَحْوَصُ بْنُ جَوَّابٍ، عَنْ سُعَيْرِ بْنِ الْخِمْسِ، عَنْ سُلَيْمَانَ التَّيْمِيِّ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ النَّهْدِيِّ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَنْ صُنِعَ إِلَيْهِ مَعْرُوفٌ فَقَالَ لِفَاعِلِهِ جَزَاكَ اللَّهُ خَيْرًا فَقَدْ أَبْلَغَ فِي الثَّنَاءِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ جَيِّدٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏ وَقَدْ رُوِيَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِهِ وَسَأَلْتُ مُحَمَّدًا فَلَمْ يَعْرِفْهُ ‏.‏ حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحِيمِ بْنُ حَازِمٍ الْبَلْخِيُّ قَالَ سَمِعْتُ الْمَكِّيَّ بْنَ إِبْرَاهِيمَ يَقُولُ كُنَّا عِنْدَ ابْنِ جُرَيْجٍ الْمَكِّيِّ فَجَاءَ سَائِلٌ فَسَأَلَهُ فَقَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ لِخَازِنِهِ أَعْطِهِ دِينَارًا ‏.‏ فَقَالَ مَا عِنْدِي إِلاَّ دِينَارٌ إِنْ أَعْطَيْتُهُ لَجُعْتَ وَعِيَالَكَ ‏.‏ قَالَ فَغَضِبَ وَقَالَ أَعْطِهِ ‏.‏ قَالَ الْمَكِّيُّ فَنَحْنُ عِنْدَ ابْنِ جُرَيْجٍ إِذْ جَاءَهُ رَجُلٌ بِكِتَابٍ وَصُرَّةٍ وَقَدْ بَعَثَ إِلَيْهِ بَعْضُ إِخْوَانِهِ وَفِي الْكِتَابِ إِنِّي قَدْ بَعَثْتُ خَمْسِينَ دِينَارًا ‏.‏ قَالَ فَحَلَّ ابْنُ جُرَيْجٍ الصُّرَّةَ فَعَدَّهَا فَإِذَا هِيَ أَحَدٌ وَخَمْسُونَ دِينَارًا ‏.‏ قَالَ فَقَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ لِخَازِنِهِ قَدْ أَعْطَيْتَ وَاحِدًا فَرَدَّهُ اللَّهُ عَلَيْكَ وَزَادَكَ خَمْسِينَ دِينَارًا ‏.‏

২০৩৫। উসামা ইবনু যাইদ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কাউকে অনুগ্রহ করা হলে সে যদি অনুগ্রহকারীকে বলে, “তোমাকে আল্লাহ তা’আলা কল্যাণকর প্রতিদান দিন” তবে সে উপযুক্ত ও পরিপূর্ণ প্রশংসা করল।

সহীহ, মিশকাত (৩০২৪), তা’লীকুর রাগীব (২/৫৫), রাওযুন নায়ীর (৮)।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান, জায়্যিদ (উত্তম) গারীব। এটিকে শুধুমাত্র উক্ত সনদে উসামা ইবনু যাইদ (রাঃ)-এর হাদীস বলে আমরা জানি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনুরূপ হাদীস আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতেও বর্ণিত হয়েছে। আমি মুহাম্মাদ (বুখারীকে) কে এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে তিনি এটি জানেন না বলেছেন।

আব্দুর রহিম ইবনু হাযিম আল বালখী হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি মাক্কী ইবনু ইবরাহীমকে বলতে শুনেছি, আমরা ইবনু জুরাইজ আল-মাক্কীর নিকট উপস্থিত ছিলাম এমতাবস্থায় এক ব্যক্তি এসে তার নিকট কিছু চাইল। ইবনু জুরাইজ তার অর্থ সচিবকে বললেন তাকে একটি দীনার দিন। সে বলল, আমার নিকট একটি দীনার ব্যতীত আর কিছু নেই। এটি তাকে দান করলে আমার আপনার পরিবারের সবাইকে উপোস করতে হবে।

একথা শুনে তিনি রাগান্বিত হলেন এবং বললেনঃ তাকে সেটা দাও। মাক্কী বলেন, আমরা ইবনু জুরাইজের নিকট থাকাবস্থায়ই এক ব্যক্তি একটি চিঠি এবং একটি থলে নিয়ে উপস্থিত হলেন। যাহা তার কোন ভাই তার নিকট পাঠিয়েছে। চিঠিতে লিখাছিল আমি পঞ্চাশটি দীনার পাঠাইলাম। বর্ণনাকারী বলেন, ইবনু জুরাইজ থলেটি খুলে দীনার গননা করলেন। তাতে তিনি (৫১) একান্নটি দীনার পেলেন। এতে ইবনু জুরাইজ তার অর্থ সচীবকে বললেনঃ তুমি এক দীনার দান করেছ, আল্লাহ সেটা তোমাকে ফেরত দিয়েছেন তার সাথে অতিরিক্ত আরো পঞ্চাশটি দিয়েছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
===========================
*সূনান আত তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২০৩৪*
باب مَا جَاءَ فِي الْمُتَشَبِّعِ بِمَا لَمْ يُعْطَهُ حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ غَزِيَّةَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ مَنْ أُعْطِيَ عَطَاءً فَوَجَدَ فَلْيَجْزِ بِهِ وَمَنْ لَمْ يَجِدْ فَلْيُثْنِ فَإِنَّ مَنْ أَثْنَى فَقَدْ شَكَرَ وَمَنْ كَتَمَ فَقَدْ كَفَرَ وَمَنْ تَحَلَّى بِمَا لَمْ يُعْطَهُ كَانَ كَلاَبِسِ ثَوْبَىْ زُورٍ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ وَعَائِشَةَ ‏.‏ وَمَعْنَى قَوْلِهِ ‏”‏ وَمَنْ كَتَمَ فَقَدْ كَفَرَ ‏”‏ ‏.‏ يَقُولُ قَدْ كَفَرَ تِلْكَ النِّعْمَةَ ‏.‏
২০৩৪। জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কাউকে কিছু দান করা হলে পরে তার (দান গ্রহীতার) সংগতি হলে সে যেন এর প্রতিদান দেয়। সংগতি না হলে সে যেন তার প্রশংসা করে। কেননা, যে লোক প্রশংসা করল সে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করল। আর যে তা গোপন রাখল সে অকৃতজ্ঞ হলো। যে লোক এমন কিছু পাওয়ার ভান করল যা তাকে দান করা হয়নি, সে যেন ধোকাবাজি ও প্রতারণার দুটি পোশাক পরল।

হাসান, সহীহাহ (২৬১৭), তা’লীকুর রাগীব (২/৫৫)।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারব। আসমা বিনতু আবী বাকর ও আইশা (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। “মান কাতামা ফাকাদ কাফারা”-এর অর্থ “যে অনুগ্রহ গোপন করল সে অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করল”।

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
===========================
*আল-আদাবুল মুফরাদ হাদিস নম্বরঃ ২১৪*

*যার সাথে ভালো ব্যবহার করা হয় সে যেন তার উত্তম বিনিময় দেয়।*
بَابُ مَنْ صُنِعَ إِلَيْهِ مَعْرُوفٌ فَلْيُكَافِئْهُ حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عُفَيْرٍ قَالَ‏:‏ حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ غَزِيَّةَ، عَنْ شُرَحْبِيلَ مَوْلَى الأَنْصَارِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ الأَنْصَارِيِّ قَالَ‏:‏ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم‏:‏ مَنْ صُنِعَ إِلَيْهِ مَعْرُوفٌ فَلْيُجْزِئْهُ، فَإِنْ لَمْ يَجِدْ مَا يُجْزِئُهُ فَلْيُثْنِ عَلَيْهِ، فَإِنَّهُ إِذَا أَثْنَى فَقَدْ شَكَرَهُ، وَإِنْ كَتَمَهُ فَقَدْ كَفَرَهُ، وَمَنْ تَحَلَّى بِمَا لَمْ يُعْطَ، فَكَأَنَّمَا لَبِسَ ثَوْبَيْ زُورٍ‏.‏

২১৪। জাবের ইবনে আবদুল্লাহ আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যার সাথে ভালো ব্যবহার করা হয় সে যেন তাকে তার অনুরূপ বিনিময় দান করে। যদি বিনিময় দান করার সামথ্য না থাকে তাহলে সে তার প্রশংসা করবে। কেননা সে যখন তার প্রশংসা করলো তখন সে যেন তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলো। যে ব্যক্তি তা (ভালো ব্যবহার) গোপন রাখলে সে যেন তার প্রতি অকৃজ্ঞতা প্রকাশ করলো। যে ব্যক্তি কোন কিছু না পেয়েও বলে, পেয়েছি, সে দ্বিগুণ মিথ্যাবাদী (তিরমিযী, আবু দাউদ, আহমাদ)।

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
===========================
*আল-আদাবুল মুফরাদ হাদিস নম্বরঃ ২১৫*

*যার সাথে ভালো ব্যবহার করা হয় সে যেন তার উত্তম বিনিময় দেয়।*
بَابُ مَنْ صُنِعَ إِلَيْهِ مَعْرُوفٌ فَلْيُكَافِئْهُ حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، قَالَ‏:‏ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ‏:‏ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم‏:‏ مَنِ اسْتَعَاذَ بِاللَّهِ فَأَعِيذُوهُ، وَمَنْ سَأَلَ بِاللَّهِ فَأَعْطُوهُ، وَمَنْ أَتَى إِلَيْكُمْ مَعْرُوفًا فَكَافِئُوهُ، فَإِنْ لَمْ تَجِدُوا فَادْعُوا لَهُ، حَتَّى يَعْلَمَ أَنْ قَدْ كَافَأْتُمُوهُ‏.‏
২১৫। ইবনে উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহর নামে আশ্রয় প্রার্থনা করে তাকে আশ্রয় দাও। যে ব্যক্তি আল্লাহর নামে কিছু প্রার্থনা করে তাকে দান করো। যে ব্যক্তি তোমাদের সাথে ভালো ব্যবহার করে তোমরা তার প্রতিদান দাও। প্রতিদান দেয়ার মত কিছু না থাকলে তার জন্য দোয়া করো, যাতে সে অনুভব করতে পারে যে, তোমরা তার ভালো কাজের প্রতিদান দিয়েছে (আবু দাউদ, নাসাঈ, আহমাদ)।

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
===========================
*আল-আদাবুল মুফরাদ হাদিস নম্বরঃ ২১৬*

*কারো ভালো ব্যবহারের প্রতিদান দেয়া সম্ভব না হলে তার জন্য দোয়া করবে।*
بَابُ مَنْ لَمْ يَجِدِ الْمُكَافَأَةَ فَلْيَدْعُ لَهُ حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالَ‏:‏ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ الْمُهَاجِرِينَ قَالُوا‏:‏ يَا رَسُولَ اللهِ، ذَهَبَ الأَنْصَارُ بِالأَجْرِ كُلِّهِ‏؟‏ قَالَ‏:‏ لاَ، مَا دَعَوْتُمُ اللَّهَ لَهُمْ، وَأَثْنَيْتُمْ عَلَيْهِمْ بِهِ‏.‏
২১৬। আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। মুহাজির সাহাবীগণ বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! সমস্ত সওয়াব তো আনসারগণ নিয়ে গেলো। তিনি বলেনঃ না, যতক্ষণ তোমরা তাদের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করতে থাকবে এবং তাদের ভালো ব্যবহারের বা উপকারের প্রশংসা করতে থাকবে তোমরাও তাদের সাথে সমান সওয়াব পাবে (আবু দাউদ, তিরমিযী, নাসাঈ)।

*হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)*

*আপনিও হোন ইসলামের প্রচারক*
*শেয়ার করতে পারেন, মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন। “কেউ হেদায়েতের* *দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি* *হবেনা” [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪][তিরমিযীঃ২৬৭৪]*