কুরআন ও সহীহ হাদীসের আলোকে স্ত্রী নির্বাচন

{{{{{সূরাআন নূর আয়াত নং-(26)}}}}}

الْخَبِيثٰتُ لِلْخَبِيثِينَ وَالْخَبِيثُونَ لِلْخَبِيثٰتِ ۖ وَالطَّيِّبٰتُ لِلطَّيِّبِينَ وَالطَّيِّبُونَ لِلطَّيِّبٰتِ ۚ أُولٰٓئِكَ مُبَرَّءُونَ مِمَّا يَقُولُونَ ۖ لَهُم مَّغْفِرَةٌ وَرِزْقٌ كَرِيمٌ

দুশ্চরিত্রা নারীরা দুশ্চরিত্র পুরুষদের জন্য এবং দুশ্চরিত্র পুরুষরা দুশ্চরিত্রা নারীদের জন্য। আর সচ্চরিত্রা নারীরা সচ্চরিত্র পুরুষদের জন্য এবং সচ্চরিত্র পুরুষরা সচ্চরিত্রা নারীদের জন্য; লোকেরা যা বলে, তারা তা থেকে মুক্ত। তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও সম্মানজনক রিয্ক।

দুশ্চরিত্রা নারী দুশ্চরিত্র পুরুষদের জন্য; দুশ্চরিত্র পুরুষ দুশ্চরিত্রা নারীর জন্য; সচ্চরিত্রা নারী সচ্চরিত্র পুরুষের জন্য এবং সচ্চরিত্র পুরুষ সচ্চরিত্রা নারীর জন্য। লোকেরা যা বলে তার সাথে তারা সম্পর্কহীন; তাদের জন্য আছে ক্ষমা এবং সম্মানজনক জীবিকা [১]।

[১] অর্থাৎ দুশ্চরিত্রা নারীকুল দুশ্চরিত্র পুরুষকুলের জন্য এবং দুশ্চরিত্র পুরুষকুল দুশ্চরিত্রা নারীকুলের জন্য উপযুক্ত। সচ্চরিত্রা নারীকুল সচ্চরিত্র পুরুষকুলের জন্য এবং সচ্চরিত্র পুরুষকুল সচ্চরিত্রা নারীকুলের জন্য উপযুক্ত। এদের সম্পর্কে লোকে যা বলে, এরা তা থেকে পবিত্র। এদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও সম্মানজনক জীবিকা। এ আয়াতে একটি নীতিগত কথা বুঝানো হয়েছে। আল্লাহ্‌ তা‘আলা মানবচরিত্রে স্বাভাবিকভাবে যোগসূত্র রেখেছেন। দুশ্চরিত্রা, ব্যভিচারিণী নারী ব্যভিচারী পুরুষের প্রতি এবং দুশ্চরিত্র ও ব্যভিচারী পুরুষ দুশ্চরিত্রা নারীদের প্রতি আকৃষ্ট হয়। এমনিভাবে সচ্চরিত্রা নারীদের আগ্রহ সচ্চরিত্র পুরুষদের প্রতি এবং সচ্চরিত্র পুরুষদের আগ্রহ সচ্চরিত্রা নারীদের প্রতি হয়ে থাকে। প্রত্যেকেই নিজ নিজ আগ্রহ অনুযায়ী জীবনসঙ্গী খোঁজ করে নেয় এবং আল্লাহ্‌র বিধান অনুযায়ী সে সেরূপই পায়।

কোন কোন মুফাসসির এ আয়াতের এ অর্থও করেছেন যে, খারাপ কথা খারাপ লোকদের জন্য (অর্থাৎ তারা এর হকদার) এবং ভালো কথা ভালো লোকদের জন্য, আর ভালো লোকদের সম্পর্কে দুর্মুখেরা যেসব কথা বলে তা তাদের প্রতি প্ৰযুক্ত হওয়া থেকে তারা মুক্ত ও পবিত্র। অন্য কিছু মুফাসসির এর অর্থ করেছেন এভাবে, খারাপ কাজ খারাপ লোকদের পক্ষেই সাজে এবং ভালো কাজ ভালো লোকদের জন্যই শোভনীয়, ভালো লোকেরা খারাপ কাজের অপবাদ বহন থেকে পবিত্র। ভিন্ন কিছু তাফসীরকারক এর অর্থ নিয়েছেন এভাবে, খারাপ কথা খারাপ লোকদেরই বলার মতো এবং ভালো লোকেরা ভালো কথাই বলে থাকে, অপবাদদাতারা যে ধরনের কথা বলছে ভালো লোকেরা তেমনি ধরনের কথা বলা থেকে পবিত্র। [দেখুন-ইবন কাসীর, সা‘দী, কুরতুবী, বাগভী]
===========================

عَنْ أَبِـيْ هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ ﷺ قَالَ: سُئِلَ النَّبِيُّ ﷺ أَيُّ النِّسَاءِ خَيْرٌ؟ قَالَ الَّتِي تَسُرُّهُ إِذَا نَظَرَ إِلَيْهَا وَتُطِيعُهُ إِذَا أَمَرَ وَلَا تُخَالِفُهُ فِيمَا يَكْرَهُ فِي نَفْسِهَا وَلَا فِي مَالِهِ
(২৫৪৬) আবূ হুরাইরা (রাঃ) বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞাসা করা হল, ‘কোন্ স্ত্রী সর্বশ্রেষ্ঠ?’ তিনি বললেন, ‘‘শ্রেষ্ঠ স্ত্রী সেই, যার প্রতি তার স্বামী দৃকপাত করলে সে তাকে খোশ করে দেয়, কোন আদেশ করলে তা পালন করে এবং তার জীবন ও সম্পদে স্বামীর অপছন্দনীয় বিরুদ্ধাচরণ করে না।’’ (আহমাদ ৯৫৮৭, নাসাঈ ৩২৩১, হাকেম ২৬৮২, বাইহাক্বী ১৩২৫৫, সিলসিলাহ সহীহাহ ১৮৩৮)

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
===========================
عَنْ ثَوْبَانَ قَالَ قَالَ النبي ﷺ لِيَتَّخِذْ أَحَدُكُمْ قَلْبًا شَاكِرًا وَلِسَانًا ذَاكِرًا وَزَوْجَةً تُعِينُهُ عَلٰى أَمْرِ الْآخِرَةِ
(২৫৪৭) সাওবান থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘তোমাদের প্রত্যেককে কৃতজ্ঞ হৃদয়, (আল্লাহর) যিকরকারী জিহবা এবং আখেরাতের কাজে সহায়িকা মুমিন স্ত্রী গ্রহণ করা উচিত।’’ (আহমাদ ২২৪৩৭, ইবনে মাজাহ ১৮৫৬, সহীহ সনদে)

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
===========================
عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ قَالَ إِنَّ مِنْ يُمْنِ الْمَرْأَةِ تَيْسِيرَ خِطْبَتِهَا وَتَيْسِيرَ صَدَاقِهَا وَتَيْسِيرَ رَحِمِهَا
(২৫৪৮) আয়েশা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘নারীর অন্যতম বরকত এই যে, তার পয়গাম সহজ হবে, তার মোহর স্বল্প হবে এবং তার গর্ভাশয় সন্তানময় হবে।’’ (আহমাদ ২৪৪৭৮, হাকেম ২৭৩৯, বাইহাক্বী ১৪৭৪৬, সহীহুল জামে’ হা/ ২২৩৫)

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
===========================
عَنْ أَبِى أُذَيْنَةَ الصَّدَفِىِّ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ قَالَ خَيْرُ نِسائِكُمُ الوَلُودُ الوَدُودُ المُواسِيةُ المُواتِيَةُ إذا اتَّقَيْنَ الله
(২৫৪৯) আবূ উযাইনাহ স্বাদাফী থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘তোমাদের সর্বশ্রেষ্ঠ স্ত্রী সে, যে প্রেমময়ী, অধিক সন্তানদাত্রী, যে (স্বামীর) সহমত অবলম্বন করে, (স্বামীকে বিপদেশোকে) সান্ত্বনা দেয় এবং সেই সাথে আল্লাহর ভয় রাখে।’’ (বাইহাক্বী ১৩২৫৬, সহীহ জামে ৩৩৩০)

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
===========================
وَعَن سَعدِ بنِ أَبِـيْ وَقَّاصٍ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَرْبَعٌ مِنَ اَلسعَادَةِ : الْمَرْأَةُ الصَّالِحَةُ وَالْمَسْكَنُ ألوَاسِعُ وَاَلجَارُ الصَّالِحُ وَالْمَرْكَبُ اَلهَنِيءُ وَأَرْبَغ مِنَ اَلشًقَاوَةِ : اَلْجَارُ السُّوءُ وَألْمَرْأَةُ اَلسُّوءُ وَالْمَسْكَنُ اَلضيقُ وَالْمَرْكَبُ السُّوءُ
(২৫৫০) সা’দ বিন আবী অক্কাস (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘পুরুষের জন্য সুখ ও সৌভাগ্যের বিষয় হল চারটি; সাধ্বী স্ত্রী, প্রশস্ত বাড়ি, সৎ প্রতিবেশী এবং সচল সওয়ারী (গাড়ি)। আর দুখ ও দুর্ভাগ্যের বিষয়ও চারটি; অসৎ পতিবেশী, অসতী স্ত্রী, সংকীর্ণ বাড়ি এবং খারাপ সওয়ারী (গাড়ি)।’’ (ইবনে হিব্বান ৪০৩২, বাইহাক্বীর শুআবুল ঈমান ৯৫৫৬, সিলসিলাহ সহীহাহ ২৮২)

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
===========================
عَنْ أَبِى سَعِيدٍ عَنِ النَّبِىِّ ﷺ قَالَ لاَ تُصَاحِبْ إِلاَّ مُؤْمِنًا وَلاَ يَأْكُلْ طَعَامَكَ إِلاَّ تَقِىٌّ
(২৫৫১) আবূ সাঈদ কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘মুমিন ছাড়া কারো সঙ্গী হয়ো না এবং পরহেযগার ব্যক্তি ছাড়া তোমার খাদ্য যেন অন্য কেউ না খেতে পায়।’’ (আহমাদ, আবূ দাঊদ ৪৮৩৪, তিরমিযী ২৩৯৫, হাকেম)

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
===========================
عَنْ أَبِـىْ هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِىِّ ﷺ قَالَ تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ لأَرْبَعٍ لِمَالِهَا وَلِحَسَبِهَا وَلِجَمَالِهَا وَلِدِينِهَا فَاظْفَرْ بِذَاتِ الدِّينِ تَرِبَتْ يَدَاكَ
(২৫৫২) আবূ হুরাইরা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘মহিলার চারটি জিনিস দেখে বিবাহ করা হয়; তার সম্পদ, উচ্চ বংশ, রূপ ও দ্বীন দেখে। তুমি দ্বীনদার মহিলা পেতে সফল হও, তোমার হাত ধূলিধূসরিত হোক।’’ (বুখারী ৫০৯০, মুসলিম ৩৭০৮)

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
===========================
عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ قَالَ الدُّنْيَا مَتَاعٌ وَخَيْرُ مَتَاعِ الدُّنْيَا الْمَرْأَةُ الصَّالِحَةُ
(২৫৫৩) আব্দুল্লাহ বিন আমর (রাঃ) প্রমুখাৎ বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘দুনিয়া (তার সবকিছু) উপভোগ্য বস্তু। আর দুনিয়ার উপভোগ্য বস্তুসমূহের মধ্যে সর্বাপেক্ষা শ্রেষ্ঠ বস্তু হল পুণ্যময়ী স্ত্রী।’’ (মুসলিম ৩৭১৬)

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
===========================
عَنْ أَنَسٍ بْنِ مَالِكٍ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَ سَلَّمَ مَنْ رَزَقَهُ الله امْرَأَةً صَالِحَةً فَقَدْ أَعَانَهُ عَلٰى شَطْرِ دِينِهِ فَلْيَتَّقِ الله فِي الشَّطْرِ الْبَاقِي
(২৫৫৪) আনাস বিন মালিক (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘আল্লাহ যাকে পুণ্যময়ী স্ত্রী দান করেছেন, তাকে তার অর্ধেক দ্বীনে সাহায্য করেছেন। সুতরাং বাকী অর্ধেকের ব্যাপারে তার আল্লাহকে ভয় করা উচিত।’’ (ত্বাবারানীর আওসাত্ব ৯৭২, হাকেম ২৬৮১, বাইহাক্বী, সঃ তারগীব ১৯১৬)

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
===========================
عَنْ أَبِـيْ هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَ سَلَّمَ إِذَا صَلَّتِ المَرْأةُ خَمْسَها وَصَامَتْ شَهْرَها وَحَصَّنَتْ فَرْجَها وأطاعَتْ زَوْجَهَا قِيلَ لَها أدْخُلِي الجَنَّة مِنْ أيِّ أبْوابِ الجَنَّةِ شِئْتِ
(২৫৫৫) আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘মহিলা যখন তার পাঁচ ওয়াক্তের নামায আদায় করে, তার রমযান মাসের রোযা পালন করে, (অবৈধ যৌনাচার থেকে) তার যৌনাঙ্গকে সংযত রাখে এবং তার স্বামীর কথা ও আদেশমত চলে, তখন তাকে বলা হয়, জান্নাতের যে দরজা দিয়ে ইচ্ছা তুমি সেই দরজা দিয়েই জান্নাতে প্রবেশ কর।’’ (ইবনে হিব্বান ৪১৬৩, সহীহুল জামে’ ৬৬০)

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
===========================
عَنْ كَعْبِ بْنِ عُجْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَ سَلَّمَ أَلَا أُخْبِرُكمْ بِنِسائِكمْ مِنْ أهْلِ الجَنَّةِ الوَدُودُ الوَلودُ العؤودُ الّتِي إذا ظُلِمَتْ قالَتْ هذِهِ يَدِي في يَدِكَ لا أذُوقُ غَمْضاً حَتّٰـى تَرْضَى
(২৫৫৬) কা’ব বিন উজরাহ বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘তোমাদের জান্নাতী স্ত্রীদের সম্পর্কে কি তোমাদেরকে জ্ঞাত করব না? যে স্ত্রী অধিক প্রণয়িণী, সন্তানদাত্রী, বার-বার ভুল করে বার-বার স্বামীর নিকট আত্মসমর্পণকারিণী, (যার স্বামী রাগ করলে অথবা) যে অত্যাচারিতা হলে, সে তার নিকট এসে তার হাতে হাত রেখে বলে, আপনি রাজি (ঠাণ্ডা) না হওয়া পর্যন্ত আমি ঘুমাবই না।’’ (ত্বাবারানীর কাবীর ১৫৬৩৭, আওসাত্ব ৫৬৪৮, বাইহাক্বীর শুআবুল ঈমান ৮৭৩২, সিলসিলাহ সহীহাহ ২৮৭)

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
===========================
عَنْ مَعْقِلِ بْنِ يَسَارٍ قال قَالَ النبي ﷺ تَزَوَّجُوا الْوَدُودَ الْوَلُودَ فَإِنِّى مُكَاثِرٌ بِكُمُ الأُمَمَ
(২৫৫৭) মা’ক্বিল বিন য়্যাসার কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘অধিক প্রেমময়ী, অধিক সন্তানদাত্রী রমণী বিবাহ কর। কারণ, আমি তোমাদেরকে নিয়ে কিয়ামতে অন্যান্য উম্মতের সামনে (সংখ্যাধিক্য নিয়ে) গর্ব করব।’’ (আবূ দাঊদ ২০৫২, নাসাঈ ৩২২৭, মিশকাত ৩০৯১, সিলসিলাহ সহীহাহ ২৩ ৮৩)

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
===========================
عَلَيْكُمْ بِالأَبْكَارِ فَإِنَّهُنَّ أَعْذَبُ أَفْوَاهًا وَأَنْتَقُ أَرْحَامًا وَأَرْضَى بِالْيَسِيرِ عَلَيْكُمْ بِالأَبْكَارِ فَإِنَّهُنَّ أَعْذَبُ أَفْوَاهاً وَأَنْتَقُ أَرْحَاماً وَأَسْخَنُ أَقْبَالاً وَأَرْضَى بِالْيَسِيرِ مِنَ العَمَلِ عَلَيْكُمْ بِالأَبْكَارِ فَإِنَّهُنَّ أَنْتَقُ أَرْحَاماً وَأَعْذَبُ أَفْوَاهاً وَأَقَلُّ خِبّاً وَأَرْضَى بِالْيَسِيرِ
(২৫৫৮) একাধিক সাহাবী কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘তোমরা কুমারী বিবাহ কর। কারণ কুমারীদের মুখ অধিক মিষ্টি, তাদের গর্ভাশয় অধিক সন্তানধারী, তাদের যোনীপথ অধিক উষ্ণ, তারা ছলনায় কম হয় এবং স্বল্পে অধিক সমত্মুষ্ট থাকে।’’ (ইবনে মাজাহ ১৮৬১, ইবনুস সুন্নী, ত্বাবারানী, সিঃ সহীহাহ ৬২৩, সহীহুল জামে’ হা/ ৪০৫৩)

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
===========================
عَنْ أَبِـيْ هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا أَتَاكُمْ مَنْ تَرْضَوْنَ خُلُقَهُ وَدِينَهُ فَزَوِّجُوهُ إِلاَّ تَفْعَلُوا تَكُنْ فِتْنَةٌ فِي الأَرْضِ وَفَسَادٌ عَرِيضٌ
(২৫৫৯) আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘তোমাদের নিকট যখন এমন ব্যক্তি (বিবাহের পয়গাম নিয়ে) আসে; যার দ্বীন ও চরিত্রে তোমরা মুগ্ধ তখন তার সাথে (মেয়ের) বিবাহ দাও। যদি তা না কর তাহলে পৃথিবীতে ফিৎনা ও মহাফাসাদ সৃষ্টি হয়ে যাবে।’’ (তিরমিযী ১০৮৪, ইবনে মাজাহ ১৯৬৭, মিশকাত ৩০৯০, সিঃ সহীহাহ ১০২২)

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
===========================
عَنْ مُعَاذٍ الْجُهَنِيِّ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ مَنْ أَعْطَى لِلهِ وَمَنَعَ لِلهِ وَأَحَبَّ لِلهِ وَأَبْغَضَ لِلهِ وَأَنْكَحَ لِلهِ فَقَدْ اسْتَكْمَلَ إِيمَانَهُ
(২৫৬০) মুআয জুহানী থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টিলাভের উদ্দেশ্যে কিছু দান করে, কিছু দেওয়া হতে বিরত থাকে, কাউকে ভালোবাসে অথবা ঘৃণাবাসে এবং তাঁরই সন্তুষ্টিলাভের কথা খেয়াল করে বিবাহ দেয়, তার ঈমান পূর্ণাঙ্গ ঈমান।’’ (আহমাদ ১৫৬১৭, ১৫৬৩৮, তিরমিযী ২৫২১, হাকেম, বাইহাক্বী , সহীহ সনদে)

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
===========================
عَنْ أَبِـيْ أُمَامَةَ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَ سَلَّمَ قَلْبٌ شَاكِرٌ وَلِسَانٌ ذَاكِرٌ وَزَوجَةٌ صَالِحَةٌ تُغْنِيكَ عَلٰى أَمْرِ دُنْيَاكَ وَدِينِكَ خَيْرُ مَا اكْتَنزَ النَّاسُ
(২৫৬১) আবু উমামা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘শুকরকারী হৃদয়, যিকরকারী জিহ্বা এবং পুণ্যময়ী স্ত্রী, যে তোমাকে তোমার দুনিয়া ও দ্বীনের কাজে সহযোগিতা করে, এ সব হল মানুষের সঞ্চিত সর্বশ্রেষ্ঠ সম্পদ।’’ (ত্বাবারানী ৭৮২৮, বাইহাক্বীর শুআবুল ঈমান ৪৪৩০, সহীহুল জামে’ হা/৪৪০৯)

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
===========================
عَنْ أَبِـىْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ نِسَاءُ قُرَيْشٍ خَيْرُ نِسَاءٍ رَكِبْنَ الإِبِلَ أَحْنَاهُ عَلٰى طِفْلٍ وَأَرْعَاهُ عَلٰى زَوْجٍ فِى ذَاتِ يَدِهِ

(২৫৬২) আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘উট চড়েছে এমন (আরবের) মহিলা, ক্বুরাইশের মহিলা, যে নিজ সন্তানের প্রতি তার শৈশবে সবচেয়ে বড় স্নেহময়ী এবং তার স্বামীর ধন-সম্পদে সবচেয়ে বেশি হিফাযতকারিণী।’’ (বুখারী ৫০৮২, মুসলিম ৬৬২৩)

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)