কবর পাকা করা বা কবরের উপর নাম বা অন্য কিছু লেখার শারঈ বিধান কি

ভূমিকা: পরম করুণাময় অসীম দয়ালু মহান আল্লাহ’র নামে শুরু করছি। যাবতীয় প্রশংসা জগৎসমূহের প্রতিপালক মহান আল্লাহ’র জন্য। শতসহস্র দয়া ও শান্তি বর্ষিত হোক প্রাণাধিক প্রিয় নাবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর প্রতি। অতঃপর মূলনীতি হলো মৃত ব্যক্তির কবর পাকা করা এবং কবরের উপর কুরআনের আয়াত, হাদীসের বাণী কিংবা অন্য কোনো লেখা লিখা জায়েয নয়। সেটা লোহার ফলকেই হোক, পাথরের শিলালিপিতেই হোক কিংবা অন্য কোনো বস্তু দিয়েই হোক না কেন সবই নিষিদ্ধ।কারণ, জাবির (রা.)-এর হাদীসে এসেছে যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ কবরকে চুনকাম করতে, পাকা করতে এবং তার উপর কিছু লিখতে নিষেধ করেছেন। তবে অতিপ্রয়োজনীয় পরিস্থিতিতে, আলেমগণ মৃত ব্যক্তির কবর চিহ্নিত করার জন্য কেবল মাথার কাছে একটি সাধারণ চিহ্ন রাখা বা সেখানে শুধু নাম লেখার অনুমতি দিয়েছেন। দলিল হিসেবে তাঁরা সুনান আবু দাউদে বর্ণিত হাদীস উল্লেখ করেছেন।যেখানে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মহান সাহাবী উসমান ইবনে মাযউনের কবরে পাশে একটি পাথর দিয়েছিলেন।(আবু দাউদ হা/৩২০৬) এই হাদীসের ভিত্তিতে ইমাম নববী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন:السنة أن يجعل عند رأسه علامة شاخصة ، من حجر أو خشبة أو غيرهما ، هكذا قاله الشافعي والمصنِّف [ يعني :الشيرازي ] وسائر الأصحاب
(কবরস্থ) ব্যক্তির মাথার কাছে পাথর অথবা কাঠ অথবা এমন কিছু চিহ্ন হিসেবে প্রদান করা সুন্নত। এমনটি বলেছেন শাফেয়ী, গ্রন্থপ্রণেতা (অর্থাৎ শীরাযী) এবং মাযহাবের সকল আলেম।”(নববী আল-মাজমূ, খণ্ডঃ ৫; পৃষ্ঠা: ২৬৫)
.
আবু দাউদের হাদিসটির ব্যাখ্যা করতে গিয়ে আশ-শাইখ, আল-‘আল্লামাহ, আল-মুহাদ্দিস, আল-মুফাসসির, আল-ফাক্বীহ,আবু আব্দুল্লাহ মুহাম্মাদ বিন আবু বকর ইবনু কাইয়্যিম আল-জাওজিয়্যা, (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ৭৫১ হি.] তাঁর শারহু সুনানে আবি দাউদ” গ্রন্থে বলেছেন:
ومن تدبر نهي النبي صلى الله عليه وسلم عن الجلوس على القبر ، والاتكاء عليه ، والوطء عليه : علم أن النهي [ يعني : النهي عن المشي بين القبور بالنعلين ] : إنما كان احتراما لسكانها أن يُوطأ بالنعال فوق رؤوسهم ، ولهذا يُنهى عن التغوط بين القبور ، وأخبر النبي صلى الله عليه وسلم أن الجلوس على الجمر حتى تحرق الثياب : خير من الجلوس على القبر ، ومعلوم أن هذا أخف من المشي بين القبور بالنعال .وبالجملة : فاحترام الميت في قبره بمنزلة احترامه في دار التي كان يسكنها في الدنيا ، فإن القبر قد صار داره ، وقد تقدم قوله صلى الله عليه وسلم : ( كسر عظم الميت ككسره حيا ) ؛ فدل على أن احترامه في قبره كاحترامه في داره ، والقبور هي ديار الموتى ومنازلهم ، ومحل تزاورهم ، وعليها تنزل الرحمة من ربهم ، والفضل على محسنهم …؛ فكيف يستبعد أن يكون من محاسن الشريعة إكرامُ هذه المنازل عن وطئها بالنعال ، واحترامُها ، بل هذا من تمام محاسنها
“কেউ যদি নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কবরের উপর বসা, হেলান দেওয়া, এবং তার উপর দিয়ে হাঁটা নিষেধ করার কারণ নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করে, তবে সে জানতে পারবে যে এই নিষেধাজ্ঞা (অর্থাৎ, জুতো পরে কবরের উপর দিয়ে হাঁটা নিষেধ) তাদের বাসিন্দাদের প্রতি সম্মান দেখানোর জন্যই। যাতে তাদের মাথার উপর দিয়ে জুতো পরে হাঁটা না হয়। এই কারণেই কবরের মাঝে মলত্যাগ করতে নিষেধ করা হয়েছে। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরও জানিয়েছেন যে,”কারো কবরের উপর বসা অপেক্ষা স্বীয় বস্ত্র জ্বালিয়ে দেওয়া পর্যন্ত আগুনের ফুলকির উপর বসে থাকা উত্তম।” আর এটা কবরের উপর জুতো পরে হাঁটার চেয়ে হালকা কাজ।মোটকথা, কবরে শায়িত ব্যক্তির সম্মান ঠিক তার জীবদ্দশায় তার বাড়ির সম্মানের মতোই। কেননা কবর এখন তার নতুন বাড়ি। পূর্বে নবীর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এই উক্তিটি এসেছে: ‘মৃত ব্যক্তির হাড় ভাঙা, জীবিত ব্যক্তির হাড় ভাঙার মতোই।”এই উক্তি আমাদের নির্দেশ করে যে কবরেও মৃত ব্যক্তির সম্মান জীবদ্দশার মতোই অটুট থাকে। কবর হলো মৃতদের বাসস্থান, যেখানে তারা একে অপরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এবং যেখানে তাদের প্রতি আল্লাহর রহমত নেমে আসে এবং তাদের ভালো কাজের প্রতিদান মিলতে থাকে।সুতরাং, শরিয়তের সৌন্দর্য এবং আদেশের অংশ হিসেবে এই স্থানগুলোকে জুতো দিয়ে মাড়ানো থেকে তাদের সম্মান রক্ষা করা এবং যত্নশীল হওয়াটা অদ্ভুত কিছু নয়। বরং, এটি শরিয়তের পূর্ণ সৌন্দর্যেরই একটি অংশ।”(শারহু সুনানে আবু দাউদ, খণ্ড: ৯; পৃষ্ঠা: ৩৭-৩৯)
.
▪️“কবরের উপর নাম লেখা প্রসঙ্গে আলেমদের বক্তব্য নিম্নরূপ:
.
আল-মাওসু’আ আল-ফিকহিয়্যাহ’ গ্রন্থে উল্লেখ আছে:
واختلف الفقهاء أيضاً في الكتابة على القبر , فذهب المالكية والشافعية والحنابلة إلى كراهة الكتابة على القبر مطلقاً ؛ لحديث جابر قال : ( نهى النبي صلى الله عليه وسلم أن يجصص القبر وأن يقعد عليه وأن يبنى عليه وأن يكتب عليه ) … وذهب الحنفية والسبكي من الشافعية إلى أنه لا بأس بالكتابة إن احتيج إليها حتى لا يذهب الأثر ولا يمتهن…
“কবরের উপর লেখা প্রসঙ্গে ফকিহগণের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। মালিকি, শাফেয়ী ও হাম্বলী ফকিহদের মতে—কবরের উপর যেকোনো প্রকার লেখা মাকরূহ। এর প্রমাণ হলো জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদিস,তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কবর পাকা করতে, কবরের উপর বসতে ও কবরের উপর গৃহ নির্মাণ করতে, এবং কিছু লিখতে নিষেধ করেছেন।” অন্যদিকে হানাফি ফকীহগণ এবং শাফেয়ী মাযহাবের ইমাম আস-সুবকী (রহঃ) এর মতে, প্রয়োজনে কবরের উপর লেখা দোষণীয় নয়; যাতে নিদর্শন মুছে না যায় এবং (কবর) অসম্মানিত না হয়।”(আল-মাওসু‘আহ আল-ফিকহিয়্যাহ, খণ্ড ৩২, পৃ. ২৫২)
.
সর্বোচ্চ ‘উলামা পরিষদের সম্মানিত সদস্য, বিগত শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ফাক্বীহ, মুহাদ্দিস, মুফাসসির ও উসূলবিদ, আশ-শাইখুল ‘আল্লামাহ, ইমাম মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-‘উসাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৪২১ হি./২০০১ খ্রি.] বলেছেন:
“الكتابة التي لا يُراد بها إلا إثبات الاسم للدلالة على القبر ، فهذه لا بأس بها ، وأما الكتابة التي تشبه ما كانوا يفعلونه في الجاهلية يكتب اسم الشخص ويكتب الثناء عليه ، وأنه فعل كذا وكذا وغيره من المديح أو تكتب الأبيات …فهذا حرام .ومن هذا ما يفعله بعض الجهال أنه يكتب على الحجر الموضوع على القبر سورة الفاتحة مثلا ..أو غيرها من الآيات فكل هذا حرام وعلى من رآه في المقبرة أن يزيل هذا الحجر ، لأن هذا من المنكر الذي يجب تغييره . والله الموفق “
“কবরের উপর লেখা যদি কেবলমাত্র মৃত ব্যক্তির নাম সনাক্ত করার উদ্দেশ্যে হয়, যাতে কবর চিহ্নিত করা যায়, তবে এতে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু যদি লেখা হয় এমনভাবে যা জাহিলিয়াতের রীতি নীতির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ — যেখানে ব্যক্তির নামের পাশাপাশি তার প্রশংসা, কৃতিত্ব, কবিতা বা অন্যান্য প্রশংসামূলক বর্ণনা লেখা হয় সেগুলো হারাম।এছাড়া,কিছু অজ্ঞ লোক যা করে থাকে,যেমন কবরের ওপর রাখা পাথরে সূরা ফাতিহা বা অন্যান্য আয়াত লেখা—এই সকল কাজও হারাম।যে ব্যক্তি কবরস্থানে এমনটি দেখবে, তার উচিত সেই পাথরটি অপসারণ করা, কারণ এটি এক ধরনের গর্হিত কাজ, যার পরিবর্তন করা আবশ্যক। আর আল্লাহই তাওফীক দানকারী।”(মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-উসাইমিন, শারহু রিয়াদিস সালিহিন (রিয়াদ: দারুল ওয়াতান, প্রকাশের ক্রমধারাবিহীন, ১৪২৬ হি.)
.
শাইখ হামাদ বিন আব্দুল্লাহ্ আল-হামাদ হাফিযাহুল্লাহ [জন্ম:১৯৬৭ খ্রি:] বলেছেন:
لكن هل يجوز أن يكون ذلك ( وضع الاسم ) علامة إن لم يتمكن أهل الميت أن يضعوا علامة عليه لكثرة القبور وعدم التمييز بغير الكتابة ؟ ذهب طائفة من أهل العلم إلى جواز ذلك ، وأنها إذا وضعت الكتابة مجردة واكتفي بالاسم فحسب ، فإن ذلك لا بأس به ، بشرط ألا يتمكن من وضع علامة غيرها ، وذلك للحاجة إلى معرفة قبر الميت .فقد ثبت في سنن أبي داود أنه صلى الله عليه وسلم : (وضع صخرة عند رأس عثمان بن مظعون وقال : أتعلم بها قبر أخي ، وأدفن إليه من مات من أهلي) .وهذا القول حسن إن شاء الله
“যদি মৃত ব্যক্তির আত্মীয় স্বজনের কবরের সংখ্যা বেশি হওয়ায় কবর চিহ্নিত করার জন্য অন্য কোনো উপায় না থাকে এবং শুধু লেখার মাধ্যমে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়, তাহলে কি কবরের ওপর নাম লেখা জায়েজ? কিছু আলেম এটিকে জায়েয বলেছেন,তাদের মতে, যদি শুধু নাম লিখে রাখা হয় এবং অন্য কোনো উপায় না থাকে, তাহলে এতে কোনো সমস্যা নেই।কেননা এটি মৃত ব্যক্তির কবর চেনার প্রয়োজনে করা হয়।সুনানে আবু দাউদে বর্ণিত আছে যে,নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবী উসমান ইবনে মাযউনের মাথার কাছে একটি পাথর রেখেছিলেন অতঃপর তিনি বললেনঃ এর দ্বারা আমি আমার ভাইয়ের কবর চিনতে পারবো এবং আমার পরিবারের কেউ মারা গেলে তার কাছে দাফন করবো। ইনশাআল্লাহ, এই অভিমতটি উত্তম।”(শারহু আলা জাদিল মুস্তাকনি;গৃহীত ইসলাম সওয়াল-জবাব ফাতাওয়া নং-১৭৪৭৩৭)
.
▪️কবর পাকা করা, কবরের উপর গম্বুজ বা অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণ প্রসঙ্গে আলেমদের বক্তব্য নিম্নরূপ:
.
এ বিষয়ে করণীয় হলো—কবর কেবল এক বিঘত পরিমাণ উঁচু করা; এর চেয়ে বেশি নয়। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর কবরও এমনটিই ছিল। ইবনে কুদামা রাহিমাহুল্লাহ বলেন: يرفع القبر عن الأرض قدر شبر ليعلم أنه قبر , فيتوقى ويترحم على صاحبه … ولا يستحب رفع القبر إلا شيئا يسيرا “কবর যমীন থেকে এক বিঘত উঁচু হবে, যাতে বোঝা যায় এটি কবর। তখন মানুষজন সতর্ক থাকবে এবং কবরবাসীর জন্য দোয়া করবে। …সামান্য পরিমাণ ছাড়া কবর উঁচু করা মুস্তাহাব নয়।”(ইবনু কুদামাহ আল-মুগনী;খণ্ড;২;পৃষ্ঠা:১৯০) আল-মাউসুয়াতুল ফিকহিয়্যাহ-এ প্রসঙ্গে ফকীহদের ঐকমত্য উল্লেখ করেছে। সুতরাং কবরের উপর কিছু নির্মাণ করা। সেটি যা কিছুই নির্মাণ করা হোক না কেন। উঁচু হোক কিংবা নিচু। গম্বুজ কিংবা খানকা কিংবা অন্য যে কোনো কিছুর আকৃতিতে।(দেখুন আল-মাউসুয়াতুল ফিকহিয়্যাহ, খণ্ড: ১১; পৃষ্ঠা: ৩৪২)
আল-মাউসুয়াতুল ফিকহিয়্যা গ্রন্থে এসেছে:ذهب المالكية والشافعية والحنابلة إلى كراهة البناء على القبر في الجملة , لحديث جابر : نهى رسول الله صلى الله عليه وسلم أن يجصص القبر وأن يبنى عليه . وسواء في البناء بناء قبة أم بيت أم غيرهما . وقال الحنفية : يحرم لو للزينة , ويكره لو للإحكام بعد الدفن “মালেকী, শাফেয়ী ও হাম্বলীরা মনে করেন যে কবরের উপর কোনো কিছু নির্মাণ করা মৌলিকভাবে মাকরূহ। এর কারণ জাবের (রাঃ) এর হাদীস: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কবরকে চুনকাম করতে এবং কবরের উপর কিছু নির্মাণ করতে নিষেধ করেছেন। সেটি গম্বুজ কিংবা ঘর কিংবা এই দুটি ছাড়া ভিন্ন কিছু হোক না কেন। হানাফীরা বলেন: সৌন্দর্যের জন্য হলে হারাম হবে। আর দাফন করার পর কবরকে মজবুত করার জন্য করা হলে মাকরূহ হবে।”(আল-মাউসুয়াতুল ফিকহিয়্যা, খণ্ড: ৩২; পৃষ্ঠা: ২৫০)
.
তদ্রুপ, কবরকে নানা প্রকার সৌন্দর্যবর্ধক রঙ বা চুনকাম দ্বারা প্রলেপ দেওয়াও নিষিদ্ধ। এ প্রসঙ্গে আল-মাউসু‘আতুল ফিকহিয়্যা গ্রন্থে উল্লেখ আছে:واتفق الفقهاء على كراهة تجصيص القبر , لما روى جابر رضي الله تعالى عنه : نهى رسول الله صلى الله عليه وسلم أن يجصص القبر ، وأن يقعد عليه ، وأن يبنى عليه . قال المَحَلِّي : التجصيص التبييض بالجص ، وهو الجير . قال عميرة : وحكمة النهي التزيين , وزاد إضاعة المال على غير غرض شرعي “কবর চুনকাম মাকরূহ হওয়ার বিষয়টিতে ফকীহরা একমত। কেননা জাবের রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কবর চুনকাম করতে, কবরের উপর বসতে এবং কবরের উপর কিছু নির্মাণ করতে নিষেধ করেছেন। মাহাল্লী বলেন: চুনকাম হলো চুন-সুরকি দিয়ে সাদা করা। উমাইরা বলেন: নিষেধাজ্ঞার হিকমত হলো: কবরের সৌন্দর্যবর্ধন। তিনি আরও বলেন: এটি শরয়ি অনুমোদনহীন খাতে অর্থ নষ্ট করা।”(আল-মাউসুয়াতুল ফিকহিয়্যা, খণ্ড: ৩২: পৃষ্ঠা: ২৫০) আরও বিস্তারিত জানতে দেখুন ইসলামি সওয়াল-জবাব ফাতাওয়া নং-১২৬৪০০, ১৭৪৭৩৭)। (আল্লাহই সবচেয়ে জ্ঞানী)।
▬▬▬▬▬✿◈✿▬▬▬▬▬
উপস্থাপনায়: জুয়েল মাহমুদ সালাফি।
সম্পাদনায়: উস্তায ইব্রাহিম বিন হাসান হাফিজাহুল্লাহ।
অধ্যয়নরত, কিং খালিদ ইউনিভার্সিটি, সৌদি আরব।
Share: