প্রশ্ন: উপযুক্ত পাত্রের প্রস্তাব পাওয়া সত্ত্বেও বাবা যদি মেয়ের বিয়েতে বাধা দেন, তবে কি মেয়ে বিচারকের কাছে অভিযোগ করতে পারবে? একটি দলিল ভিত্তিক পর্যালোচনা।
▬▬▬▬▬▬▬✿◈✿▬▬▬▬▬▬▬
ভূমিকা: পরম করুণাময় অসীম দয়ালু মহান আল্লাহ’র নামে শুরু করছি। যাবতীয় প্রশংসা জগৎসমূহের প্রতিপালক মহান আল্লাহ’র জন্য। শতসহস্র দয়া ও শান্তি বর্ষিত হোক প্রাণাধিক প্রিয় নাবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ’র সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি। অতঃপর বর্তমানেও অনেক অভিভাবক (পিতা) কেবল নিজের গোত্রের বা সমমর্যাদার কাউকেই মেয়ের জন্য যোগ্য মনে করেন যার ফলে উপযুক্ত প্রস্তাব এলেও তারা তা ফিরিয়ে দেন, এমনকি বিয়েতে দেরি হয়ে গেলেও। এটি নিঃসন্দেহে একটি গুরুতর অন্যায় এবং আল্লাহ্ তাঁদের উপর যে আমানত অর্পণ করেছেন, তার প্রতি স্পষ্ট বিশ্বাসঘাতকতা। একজন নারীকে উপযুক্ত পাত্রের প্রস্তাব আসার পরেও বিবাহ থেকে বঞ্চিত করা বা অযথা বিলম্ব করানোর কারণে যে বিপদ ও ফিতনার দরজা উন্মুক্ত হয়ে যায়,তার প্রকৃত পরিমাণ একমাত্র আল্লাহই ভালোভাবে জানেন। সমাজের বাস্তবতা পর্যবেক্ষণ করলে এসব পরিণতি স্পষ্টভাবে চোখে পড়ে। হাদিসেও রাসূলুল্লাহ ﷺ এ ধরনের ক্ষতিকর পরিণতির প্রতি সতর্ক করেছেন। প্রখ্যাত সাহাবী আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “তোমরা যে ব্যক্তির দীনদারী ও নৈতিক চরিত্রে সন্তুষ্ট আছ তোমাদের নিকট সে ব্যক্তি বিয়ের প্রস্তাব করলে তবে তার সাথে বিয়ে দাও। তা যদি না কর তাহলে পৃথিবীতে ফিতনা-ফ্যাসাদ ও চরম বিপর্যয় সৃষ্টি হবে।”(সুনানে তিরমিজি হা/১০৮৪; সনদ হাসান) সুতরাং যদি কোনো অভিভাবক (ওলি) এমন কোনো উপযুক্ত পাত্রের সঙ্গে (যার দ্বীনদারি ও চরিত্র উত্তম) মেয়েকে বিয়ে দিতে অস্বীকৃতি জানান, তাহলে তাকে ‘আযল’ (বাধা প্রদানকারী অভিভাবক) বলা হয়, এবং তখন তার কাছ থেকে অভিভাবকত্ব চলে যায় এবং তা পরবর্তী অভিভাবকের (নিকটবর্তী পুরুষ আত্মীয়) কাছে চলে যায়।
.
হাম্বালী মাযহাবের প্রখ্যাত ফাক্বীহ, শাইখুল ইসলাম, ইমাম ‘আব্দুল্লাহ বিন আহমাদ বিন কুদামাহ আল-মাক্বদিসী আল-হাম্বালী (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ৬২০ হি.] বলেছেন,
( ومعنى العضل منع المرأة من التزويج بكفئها إذا طلبت ذلك ، ورغب كل واحد منهما في صاحبه. قال معقل بن يسار : زوجت أختا لي من رجل ، فطلقها ، حتى إذا انقضت عدتها جاء يخطبها ، فقلت له : زوجتك ، وأفرشتك ، وأكرمتك ، فطلقتها ثم جئت تخطبها ! لا والله لا تعود إليك أبدا. وكان رجلا لابأس به، وكانت المرأة تريد أن ترجع إليه ، فأنزل الله تعالى هذه الآية : ( فلا تعضلوهن ) فقلت : الآن أفعل يا رسول الله . قال : فزوجها إياه . رواه البخاري. وسواء طلبت التزويج بمهر مثلها أو دونه ، وبهذا قال الشافعي .فإن رغبت في كفء بعينه ، وأراد تزويجها لغيره من أكفائها ، وامتنع من تزويجها من الذي أرادته ، كان عاضلا لها .فأما إن طلبت التزويج بغير كفئها فله منعها من ذلك ، ولا يكون عاضلا لها )
“আযল (العضل)-এর অর্থ হলো যখন অভিভাবক কোনো নারীকে তার সমমর্যাদা সম্পন্ন (কুফু) পুরুষের সঙ্গে বিয়ে হতে বাধা দেয়, অথচ সে (নারী) ওই বিয়ে চাইছে এবং উভয় পক্ষই পরস্পরের প্রতি আগ্রহী। যেমন মা‘কিল ইবন ইয়াসার (রাঃ) বলেন: আমি আমার এক বোনকে একজন পুরুষের সঙ্গে বিয়ে দিয়েছিলাম। পরে সে তাকে তালাক দিল। ইদ্দত শেষ হলে সেই ব্যক্তি আবার প্রস্তাব নিয়ে এলো। আমি তাকে বললাম: আমি তো তোমাকে বিয়ে দিয়েছিলাম, তোমাকে গৃহে স্থান দিয়েছিলাম, তোমাকে সম্মান করেছিলাম আর তুমি তাকে তালাক দিয়েছো! তারপর আবার এসে তার হাতে প্রস্তাব দিচ্ছো! না, আল্লাহর কসম, সে আর কখনো তোমার কাছে ফিরবে না। অথচ লোকটি মোটেও খারাপ ছিল না এবং নারীটি চাচ্ছিল তার কাছে ফিরে যেতে। তখন আল্লাহ তাআলা এই আয়াত অবতীর্ণ করলেন—﴿فَلَا تَعْضُلُوهُنَّ﴾“তোমরা তাদেরকে (বিয়েতে) বাধা দিও না”। আমি বললাম: হে আল্লাহর রাসূল, এখন আমি তাকে (আমার বোনকে) তার সঙ্গে বিয়ে দিব। অতঃপর তিনি তাকে তার সঙ্গে বিয়ে দিলেন।”(সূরা বাকারা: ২৩২; সহীহ বুখারী হা/৪৫২৯) এ ব্যাপারে নারী যদি তার সমমর্যাদার পুরুষকে পছন্দ করে এবং সে মোহর তার সমপর্যায়ের নারীদের মতোই হোক বা কম হোক উভয় অবস্থাতেই এ কথাই ইমাম শাফেয়ী (রাহিমাহুল্লাহ)-ও বলেছেন। আবার যদি নারী কোনো নির্দিষ্ট সমমর্যাদা সম্পন্ন পুরুষকে বিয়ে করতে চায়, অথচ অভিভাবক তাকে তার বদলে অন্য কোনো সমমর্যাদার পুরুষের সঙ্গে বিয়ে দিতে চান এবং ওই পছন্দের পুরুষের সঙ্গে বিয়ে দিতে অস্বীকৃতি জানান, তবে সেটিও তার প্রতি ‘আযল গণ্য হবে।তবে, যদি নারী এমন কারো সঙ্গে বিয়ে করতে চায় যে সমমর্যাদাসম্পন্ন নয় (শরীয়তের মানদণ্ডে অযোগ্য), তবে অভিভাবকের পক্ষে তাকে বাধা দেওয়া বৈধ হবে এবং এ ক্ষেত্রে তাকে ‘আযল’ বলা হবে না।”(ইবনু কুদামাহ আল মুগনী; খণ্ড: ৯; পৃষ্ঠা: ৩৮৩)
.
সৌদি আরবের প্রথম গ্র্যান্ড মুফতি, ইমাম মুহাম্মাদ বিন ইবরাহীম আলুশ শাইখ (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৩৮৯ হি.] বলেছেন:
( متى بلغت المرأة سن البلوغ وتقدم لها من ترضاه دينا وخلقا وكفاءة ، ولم يقدح فيه الولي بما يبعده عن أمثالها ويثبت ما يدعيه ، كان على ولي المرأة إجابة طلبه من تزويجه إياها ، فإن امتنع عن ذلك نبه إلى وجوب مراعاة جانب موليته ، فإن أصر على الامتناع بعد ذلك سقطت ولايته وانتقلت إلى من يليه في القربى من العصبة )
“যখন কোনো নারী বালেগ (শরিয়ত অনুযায়ী প্রাপ্তবয়স্ক) হয়ে যায় এবং তার কাছে এমন একজন পুরুষের পক্ষ থেকে বিয়ের প্রস্তাব আসে যার দ্বীনদারিতা, চরিত্র ও (সামাজিক) কুফুওতে সে সন্তুষ্ট এবং অভিভাবক এমন কোনো আপত্তি উত্থাপন করতে পারে না যা সাধারণত তার মতো নারীর জন্য ওই প্রস্তাবকে অগ্রহণযোগ্য করে তোলে এবং যা সে (অভিভাবক) দাবি করে তার প্রমাণও উপস্থাপন করতে পারে না তাহলে অভিভাবকের উপর আবশ্যক (ওয়াজিব) হবে তার এই প্রস্তাব মেনে নিয়ে তাকে বিয়ে দেওয়া। অতঃপর যদি অভিভাবক এতে অস্বীকৃতি জানায়, তাহলে তাকে সতর্ক করা হবে যে, তাকে অবশ্যই তার দায়িত্বাধীন নারীর স্বার্থের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। এরপরও যদি সে (ওলি) জেদ ধরে অস্বীকৃতিই জানাতে থাকে, তবে তার অভিভাবকত্ব (ওলিয়্যাহ) বাতিল হয়ে যাবে এবং তা তার পরবর্তী নিকটতম রক্ত সম্পর্কিত পুরুষ আত্মীয়ের (আসাবাহ) কাছে স্থানান্তরিত হবে।”(ফাতাওয়া ইমাম মুহাম্মদ বিন ইব্রাহিম; খণ্ড: ১০; পৃষ্ঠা: ৯৭)
.
সর্বোচ্চ ‘উলামা পরিষদের সম্মানিত সদস্য, বিগত শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ফাক্বীহ, মুহাদ্দিস, মুফাসসির ও উসূলবিদ, আশ-শাইখুল ‘আল্লামাহ, ইমাম মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-‘উসাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৪২১ হি./২০০১ খ্রি.] বলেছেন;
إذا منع الولي تزويج امرأة بخاطب كفء في دينه وخلقه فإن الولاية تنتقل إلى من بعده من الأقرباء العصبة الأولى فالأولى ، فإن أبوا أن يزوجوا كما هو الغالب ، فإن الولاية تنتقل إلى الحاكم الشرعي ، ويزوج المرأةَ الحاكمُ الشرعي ، ويجب عليه إن وصلت القضية إليه وعلم أن أولياءها قد امتنعوا عن تزويجها أن يزوجها لأن له ولاية عامة ما دامت لم تحصل الولاية الخاصة. وقد ذكر الفقهاء رحمهم الله أن الولي إذا تكرر رده للخاطب الكفء فإنه بذلك يكون فاسقا وتسقط عدالته وولايته بل إنه على المشهور من مذهب الإمام أحمد تسقط حتى إمامته فلا يصح أن يكون إماما في صلاة الجماعة في المسلمين وهذا أمر خطير .وبعض الناس كما أشرنا إليه آنفا يرد الخطاب الذين يتقدمون إلى من ولاه الله عليهن وهم أكفاء . ولكن قد تستحي البنت من التقدم إلى القاضي لطلب التزويج، وهذا أمر واقع ، لكن عليها أن تقارن بين المصالح والمفاسد ، أيهما أشد مفسدة : أن تبقى بلا زوج وأن يتحكم فيها هذا الولي على مزاجه وهواه فإن كبرت وبرد طلبها للنكاح زوجها ، أو أن تتقدم إلى القاضي بطلب التزويج مع أن ذلك حق شرعي لها. لا شك أن البديل الثاني أولى ، وهو أن تتقدم إلى القاضي بطلب التزويج لأنها يحق لها ذلك ؛ ولأن في تقدمها للقاضي وتزويج القاضي إياها مصلحة لغيرها ، فإن غيرها سوف يقدم كما أقدمت ، ولأن في تقدمها إلى القاضي ردع لهؤلاء الظلمة الذين يظلمون من ولاهم الله عليهن لمنعهن من تزويج الأكفاء ، أي أن في ذلك ثلاث مصالح :
مصلحة للمرأة حتى لا تبقى بلا زواج .
مصلحة لغيرها إذ تفتح الباب لنساء ينتظرن من يتقدم ليتبعنه .
منع هؤلاء الأولياء الظلمة الذين يتحكمون في بناتهم أو فيمن ولاهم الله عليهن من نساء ، على مزاجهم وعلى ما يريدون.
وفيه أيضا مصلحة إقامة أمر الرسول صلى الله عليه وسلم حيث قال : ” إذا أتاكم من ترضون دينه وخلقه فأنكحوه إلا تفعلوا تكن فتنة في الأرض وفساد كبير”.
كما أن فيه مصلحة خاصة وهي قضاء وطر المتقدمين إلى النساء الذين هم أكفاء في الدين والخلق)
“যদি কোনো অভিভাবক এমন একজন উপযুক্ত (দ্বীনদার ও চরিত্রবান) পাত্রের সাথে মেয়েকে বিয়ে দিতে বাধা দেন, তাহলে অভিভাবকত্ব তার কাছ থেকে তুলে নিয়ে পরবর্তী ঘনিষ্ঠ পুরুষ আত্মীয়ের কাছে হস্তান্তর হবে। আর যদি তারাও বিয়ে না দেয়, যা প্রায়ই দেখা যায়, তাহলে শরিয়তের নির্দেশে বিচারক মেয়ের অভিভাবকত্ব গ্রহণ করবেন। যখন বিষয়টি বিচারকের নজরে আসে এবং সে নিশ্চিত হয় যে মেয়ের স্বার্থে অভিভাবকরা দায়িত্ব পালন করছে না, তখন বিচারকের উচিত হবে মেয়েকে বিয়ে দেয়ার পথ সুগম করা। কারণ বিচারকের কাছে একটি সর্বজনীন অভিভাবকত্বের অধিকার রয়েছে, যা তখন প্রযোজ্য হয় যখন স্বাভাবিক অভিভাবকরা দায়িত্বে অবহেলা করে।ফকিহগণ উল্লেখ করেছেন যে, কোনো অভিভাবক (ওলি) যদি ধারাবাহিকভাবে উপযুক্ত পাত্রকে প্রত্যাখ্যান করেন, তাহলে তিনি ফাসেক (অধার্মিক) হয়ে যান এবং তাঁর ন্যায়পরায়ণতা ও অভিভাবকত্বের ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। এমনকি ইমাম আহমদের বিখ্যাত মত অনুযায়ী, এমন অভিভাবকের ইমামতি পর্যন্ত বাতিল হয়ে যায় এবং মুসলিমদের জামাআতের নামাজে তিনি ইমাম হিসেবে দাঁড়াতে পারেন না। এটি একটি অত্যন্ত গুরুতর বিষয়। তবে বাস্তব জীবনে দেখা যায়, মেয়েরা আদালতে গিয়ে বিয়ের জন্য আবেদন করতে লজ্জাবোধ করে। এটি একটি বাস্তব সমস্যা। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তাদের উচিত উপকার ও ক্ষতির মধ্যে তুলনা করা, কোনটি বেশি ক্ষতিকর:স্বামী ছাড়া একাকী থেকে যাওয়া এবং এমন একজন অভিভাবকের নিয়ন্ত্রণে থাকা, যে নিজের খেয়াল ও ইচ্ছামতো সিদ্ধান্ত দেয়, আর যখন সে মেয়ের বিয়ের চাহিদা কমে যাবে তখন বিয়ে দিবে; না কি আদালতের কাছে গিয়ে বৈধ স্বত্ব অনুযায়ী বিয়ের আবেদন করা। এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, দ্বিতীয় বিকল্পটাই উত্তম। অর্থাৎ, মেয়ের উচিত আদালতের কাছে গিয়ে বিবাহের আবেদন করা, কারণ এটি তার শরয়ী অধিকার। আরও গুরুত্বপূর্ণ, যখন সে আদালতে যাবে এবং বিচারক তাকে বিয়ে দিবে, তখন এতে অন্য নারীদের জন্যও উপকার হবে, কারণ তারা তাকে অনুসরণ করে এগিয়ে আসবে। একই সঙ্গে,এই জুলুমকারী অভিভাবকদের জন্য এটি একটি সতর্কবার্তা হবে, যারা তাদের আওতাধীন নারীদের উপযুক্ত পাত্রের সঙ্গে বিয়ে হতে বাধা দেয়। অর্থাৎ এতে তিনটি বড় উপকারিতা আছে:
১. মেয়েটির জন্য উপকার, যাতে সে একা না থাকে।
২. অন্য নারীদের জন্য উপকার, কারণ এতে তারা উৎসাহ পাবে।
৩. এই জালিম অভিভাবকদের প্রতিরোধ করা, যারা নারীদের নিজেদের খেয়ালখুশিমতো নিয়ন্ত্রণ করে।
এছাড়াও এর মাধ্যমে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নির্দেশ বাস্তবায়িত হবে। তিনি বলেছিলেন:“যখন তোমাদের কাছে এমন কেউ আসবে যার দ্বীন ও চরিত্রে তোমরা সন্তুষ্ট, তখন তার সঙ্গে মেয়েকে বিয়ে দাও। যদি না কর, তবে পৃথিবীতে ফিতনা ও বড় বিপর্যয় সৃষ্টি হবে।”এতে ব্যক্তিগত উপকারিতাও রয়েছে, যা হলো যারা দ্বীনদার ও চরিত্রবান এবং নারীদের কাছে বিয়ের প্রস্তাব দেয়, তাদের বৈধ বিবাহের সুযোগ ও প্রাপ্যতা নিশ্চিত হওয়া।”(ফাতওয়া ইসলামিয়া; খণ্ড: ৩; পৃষ্ঠা: ১৪৮)
.
ইবনু উসাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ) আরও বলেছেন:
وليت أنَّا نصل إلى درجة تجرؤ فيها المرأة على أنه إذا منعها أبوها من الكفء خلقاً وديناً تذهب إلى القاضي ويقول لأبيها زَوِّجْها أو أُزوجها أنا أو يُزوجها وليٌ غيرك ؛ لأن هذا حقٌ للبنت إذا منعها أبوها ( أن تشكوه للقاضي ) وهذا حقٌ شرعي . فليتنا نصل إلى هذه الدرجة ، لكن أكثر الفتيات يمنعهن الحياء من ذلك
হায়! যদি আমরা এমন পর্যায়ে পৌঁছাতে পারতাম, যেখানে কোনো মেয়ের পিতা যদি দ্বীন ও চরিত্রবান পাত্রের সঙ্গে তার বিয়েতে বাধা দেয়, তাহলে সে সাহস করে বিচারকের কাছে গিয়ে বলত: “আমার বিয়ে দিন, নয়তো আপনি দিন, অথবা আমার অন্য কোনো অভিভাবক বিয়ে দিন।” কেননা এটি মেয়ের অধিকার। যদি তার পিতা তাকে বিয়ে থেকে বিরত রাখে, তাহলে তার উচিত বিচারকের কাছে অভিযোগ করা। এটি একটি শরয়ী অধিকার। হায়! আমরা যদি এমন পর্যায়ে পৌঁছাতে পারতাম! কিন্তু অধিকাংশ মেয়েরা লজ্জার কারণে তা করতে পারে না।”(ইবনু উসাইমীন আল-লিক্বাউশ শাহরী, ইসলামি সওয়াল-জবাব ফাতাওয়া নং-৩২৫৮০)
.
বিগত শতাব্দীর সৌদি আরবের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ফাক্বীহ শাইখুল ইসলাম ইমাম ‘আব্দুল ‘আযীয বিন ‘আব্দুল্লাহ বিন বায আন-নাজদী (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৪২০ হি./১৯৯৯ খ্রি.]-কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল প্রশ্ন: এক ভাই চায় তার বোনকে এমন একজন পুরুষের সঙ্গে বিয়ে দিতে, যাকে সে (বোন) পছন্দ করে না। এবং মা তার (ভাইয়ের) মন রক্ষা করার জন্য মেয়েকে ঐ পুরুষের সাথে বিয়ে দিয়ে দেন, যদিও মেয়ে রাজি ছিল না। এমতাবস্থায়, এই মায়ের কোনো গুনাহ হয়েছে কি?
উত্তরে শাইখ বলেন:
هذا السؤال فيه تفصيل: إن كانت البنت لم ترض فإنه لا يجوز تزويجها مطلقاً..المقدم: هي تقول: إن البنت لم ترض.
الشيخ: لا يزوجها لا أبوها ولا غيره، ولا أمها ولا أخوها ولا غيرهم، النبي صلى الله عليه وسلم نهى عن تزويج النساء إلا بإذنهن، وقال: لا تزوجوا البكر حتى تستأذن، ولا تزوجوا الأيم حتى تستأمر، قالوا: يا رسول الله! في البكر إنها تستحي، قال: إذنها سكوتها.فالحاصل: أن المرأة لا تزوج إلا بإذنها، فكون أمها أو أخيها يجبرانها على الزواج لا يجوز لهما ذلك، كما أنه لا يجوز لأبيها إجبارها على الصحيح أيضاً، إذا كانت بكراً مكلفة أو بنت تسع على الأقل، إذا كانت بنت تسع فأكثر فإنها لابد أن تستشار، فإن أذنت وإلا لم تزوج، وإذنها يكفي فيه السكوت، لأبيها وغير أبيها، لأبيها ولغير أبيها من باب أولى، فأخوها هذا إن كان لأمها فليس ولياً لها، إن كان أخاً من الأم فليس ولياً لها، وإنما أولياؤها العصبة؛ إخوتها الأشقاء، وإخوتها من الأب، هؤلاء هم أولياؤها، أما إن كان أخاً لها من أبيها أو من أبيها وأمها فهو عصبة، لكن ليس له أن يزوجها إلا بإذنها، تزويجها بغير إذنها يكون فاسداً ليس بصحيح، فلابد من أخذ إذنها في الزواج مطلقاً، لكن إذنها صماتها إذا كانت بكراً، أما الثيب التي قد تزوجت فلابد من تصريحها بالإذن، لابد أن تنطق بالإذن. نعم.
“এই প্রশ্নে কিছু বিশদ আলোচনা প্রয়োজন। যদি মেয়ে রাজি না হয়ে থাকে, তাহলে তাকে বিয়ে দেওয়া কোনো অবস্থাতেই বৈধ নয়। উপস্থাপক বলেন: তিনি (প্রশ্নকারী) বলছেন, মেয়ে রাজি ছিল না। শাইখ বলেন: তাহলে মেয়েকে বিয়ে দেওয়া জায়েয নয় না তার বাবা, না অন্য কেউ, না মা, না ভাই কারোরই এক্ষেত্রে অধিকার নেই। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নারীদের তাদের অনুমতি ছাড়া বিয়ে দিতে নিষেধ করেছেন। তিনি বলেছেন: কোনো কুমারী মেয়েকে তার অনুমতি ছাড়া বিয়ে দিয়ো না, এবং কোনো বিবাহিতা নারীকে (যিনি আগেই একবার বিবাহিত ছিলেন) তার মতামত ছাড়া বিয়ে দিয়ো না। সহাবীগণ বললেন: হে আল্লাহর রাসূল! কুমারী তো লজ্জাবতী, সে কীভাবে অনুমতি দেবে? তিনি বললেন: তার নীরবতাই তার সম্মতি। সারকথা: কোনো নারীকে তার অনুমতি ছাড়া বিয়ে দেওয়া জায়েয নয়। তাই তার মা হোক বা ভাই হোক, জোর করে বিয়ে দেওয়া তাদের জন্য বৈধ নয়। এমনকি সঠিক মত অনুযায়ী, তার বাবার পক্ষেও তাকে জোর করে বিয়ে দেওয়া বৈধ নয় যদি সে প্রাপ্তবয়স্ক (বালেগা) কুমারী হয়, অথবা কমপক্ষে ৯ বছর বয়সী হয়। যদি সে ৯ বছর বা তার বেশি বয়সী হয়, তাহলে তার মতামত অবশ্যই নিতে হবে। যদি সে সম্মতি দেয়, তাহলে বিয়ে দেওয়া যাবে, আর যদি না দেয়, তাহলে বিয়ে দেওয়া যাবে না। তার সম্মতির চিহ্ন হবে যদি সে কুমারী হয় তার নীরবতা। এই অনুমতির বিষয়টি তার পিতার জন্য যেমন প্রযোজ্য, তেমনি অন্য কারো ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। বরং পিতার পর অন্যদের ক্ষেত্রে আরও বেশি খেয়াল রাখতে হবে। এ ভাই যদি শুধুমাত্র মাতৃপক্ষীয় ভাই হয় (একই মা, ভিন্ন বাবা), তাহলে সে মেয়েটির ওলী (অভিভাবক) নয়। মেয়েটির অভিভাবক হতে পারে কেবল তার পিতৃপক্ষীয় আত্মীয়রা যেমন: তার পূর্ণ ভাই (একই বাবা-মা) বা পিতৃভ্রাতা (একই বাবা, ভিন্ন মা)।এরাই তার অভিভাবক। তবে যদি এই ভাই তার পিতৃপক্ষীয় ভাই হয় (বা পূর্ণ ভাই হয়), তাহলে সে আসাবা (পুরুষ অভিভাবকদের শ্রেণি) হিসেবে অভিভাবক হতে পারে। কিন্তু তবুও, মেয়েটির সম্মতি ছাড়া সে তাকে বিয়ে দিতে পারে না। তার অনুমতি ছাড়া বিয়ে দেওয়া হলে সে বিয়ে ফাসিদ (অবৈধ, বাতিলযোগ্য) বলে গণ্য হবে। সুতরাং, বিয়ের জন্য মেয়ের অনুমতি অবশ্যই গ্রহণ করতে হবে।কিন্তু যদি সে কুমারী হয়, তাহলে তার নীরবতাই সম্মতি হিসাবে গণ্য হবে। আর যদি সে সাইব হয় (অর্থাৎ আগে বিয়ে হয়েছে এমন নারী), তাহলে অবশ্যই মুখে স্পষ্টভাবে অনুমতি দিতে হবে সে না বলা পর্যন্ত বিয়ে দেওয়া যাবে না।”(ইমামবিন বায অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ফাতওয়া নং-৪৪৫২)
.
ইমাম মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-‘উসাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৪২১ হি./২০০১ খ্রি.] আরও জিজ্ঞেস করা হয়েছিল:প্রশ্ন: কিছু অভিভাবক (ওলী) তাদের মেয়েদের সেই ব্যক্তির সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে বাধা দেন যারা তাদের জন্য যোগ্য (কুফু) হয়, তাহলে বিধান কী? এবং মেয়েদের অবস্থান কী?
জবাবে শাইখ বলেছেন;
هذه المسألة مسألة عظيمة ومشكلة كبيرة فإن بعض الرجال والعياذ بالله يخونون الله ويخونون أمانتهم ويجنون على بناتهم ، والواجب على الولي أن يتَّبِع ما يُرضي الله ورسوله وقد قال الله تعالى : ( وأنكحوا الأيامى منكم ) أي زوِّجوا الأيامى منكم ( والصالحين من عبادكم وإمائكم ) أي زوجوا الصالحين من العبيد والإماء الرقيقات .وقد قال النبي صلى الله عليه وعلى آله وسلم : ” إذا أتاكم من ترضون خلقه ودينه فزوجوه إلا تفعلوه تكن فتنة في الأرض وفساد كبير ” .وبعض الناس والعياذ بالله يجعل ابنته سلعة يبيعها على من يهوى ويمنعها عمن لا يهوى ، فيزوجها من لا يُرضى خلقه ودينه لأنه يرى ذلك ويمنعها من يُرضى دينه وخلفه لأنه لا يرى ذلك ! ولكن ليت أنا نصل إلى درجة تجرؤ فيها المرأة على أنه إذا منعها أبوها من الكفء خلقاً وديناً تذهب إلى القاضي ويقول لأبيها زَوِّجْها أو أُزوجها أنا أو يُزوجها وليٌ غيرك ؛ لأن هذا حقٌ للبنت إذا منعها أبوها (أن تشكوه للقاضي ) وهذا حقٌ شرعي . فليتنا نصل إلى هذه الدرجة ، لكن أكثر الفتيات يمنعها الحياء من ذلك .
وتبقى النصيحة للوالد أن يتقي الله عز وجل وأن لا يمنعها من الزواج فَتَفْسُدْ وتُفْسِد ، وليزن ذلك بنفسه : لو منع من النكاح ماذا ستكون نفسه ؟ وبنته التي منعها من النكاح ستكون خصماً له يوم القيامة . ( يوم يفر المرء من أخيه وأمه وأبيه وصاحبته وبنيه لكل امرئ منهم يومئذٍ شان يُغنيه ) فعلى الأولياء من آباء أو إخوان أن يتقوا الله عز وجل ، وألا يمنعوا النساء مما هو حقٌ لهن : من تزويجهن من يُرضى دينه وخلقه . نعم لو أن المرأة اختارت من لا يُرضى دينه وخلقه فله أن يمنعها . لكن تختار رجلاً صالحاً في دينه قيماً في أخلاقه ثم يمنعها لهوىً في نفسه : هذا والله حرام ، وإثم وخيانة ، وأي شيء يترتب على منعه من الفساد فإن إثمه عليه .
“এই মাসয়ালাটি অত্যন্ত গুরুতপূর্ণ এবং একটি জটিল সমস্যা। কিছু পুরুষ (নাউযুবিল্লাহ) আল্লাহকে অবজ্ঞা করে, তাদের দায়িত্ব পালনে অবিচার করে এবং তাদের কন্যাদের প্রতি অন্যায় আচরণ করে।” এবং অভিভাবক (ওলীর) জন্য ফরজ হলো যে সে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (ﷺ)-এর সন্তুষ্টি অনুসরণ করবে। আল্লাহ তাআলা বলেছেন:”আর তোমাদের মধ্যে যারা বিবাহহীন তাদের বিয়ে সম্পাদন কর এবং তোমাদের দাস ও দাসীদের মধ্যে যারা সৎ তাদেরও।”(সূরা নূর: ৩২) অর্থাৎ, তোমাদের কন্যা ও দাসীদের মধ্যে সৎ ও যোগ্যদের বিয়ে করাও।” আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:”যখন তোমাদের কাছে এমন কেউ আসবে যার দ্বীন ও চরিত্রে তোমরা সন্তুষ্ট, তখন তার সঙ্গে মেয়েকে বিয়ে দাও। যদি না কর, তবে পৃথিবীতে ফিতনা ও বড় বিপর্যয় সৃষ্টি হবে।”(তিরমিজি হা/১০৮৪) কিছু লোক আল্লাহর সাহায্য চেয়ে বলছি মেয়েকে এমনভাবে ব্যবহার করে যেন সে একটি পণ্য, যা তারা ইচ্ছে মত বিক্রি বা বিকল্পে রাখতে পারে। তারা তাদের মেয়েকে এমন কারো সঙ্গে বিয়ে দেয়, যার চরিত্র বা দ্বীনদারিত্ব ঠিকঠাক নয়, কেবল নিজেদের স্বার্থ বা পছন্দ অনুসারে; অথচ যিনি চরিত্র ও ধর্মে যোগ্য, তাঁকে তারা বিরত রাখে, কারণ তাঁকে তারা যথাযথভাবে মূল্যায়ন করে না। তবে আশা করা যায়, আমরা এমন একটি পর্যায়ে পৌঁছাবো যেখানে একজন নারী সাহসী হয়ে বলতে পারবে: “যদি আমার পিতা আমাকে যোগ্য চরিত্র ও ধর্মসম্পন্ন কাউকে বিবাহ করতে বাধা দেন, তবে আমি কোর্টে আবেদন করব এবং বলব: আমার পিতাকে আমাকে বিবাহ দিতে বলুন, না হলে আমি নিজে বিবাহ করব বা অন্য কোনো অভিভাবক আমার জন্য বিবাহের ব্যবস্থা করবেন।”কারণ এটি মেয়ের বৈধ অধিকার যে, যদি পিতা তাকে বিবাহ করতে বাধা দেন, সে কোর্টের কাছে অভিযোগ জানাতে পারবে। কিন্তু অধিকাংশ মেয়েই লজ্জা বা সামাজিক কারণে এটি করতে পারে না।
অভিভাবকের জন্য উপদেশ হলো আল্লাহকে ভয় করুক এবং মেয়েকে বিয়ে করতে বাধা না দিক, যাতে সে বিপথে না যায় এবং অন্যদেরও বিপথে না ঠেলে। সে যেন নিজের অন্তরে চিন্তা করে যদি তাকে বিয়ে থেকে বাধা দেওয়া হতো, তবে তার অবস্থা কী হতো? সে মেয়ে, যার বিয়ে সে আটকে রেখেছে, কিয়ামতের দিন তার বিরুদ্ধে অভিযোগকারী হবে। যেদিন মানুষ তার ভাই, মা, পিতা, স্ত্রী ও সন্তান থেকে পালাবে সেদিন সে তার বিরুদ্ধে দাঁড়াবে। অতএব, অভিভাবকদের তা পিতা হোক বা ভাই আল্লাহকে ভয় করা উচিত এবং নারীদের তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত না করা উচিত। তাদের উচিত এমন পাত্রের সঙ্গে মেয়েদের বিয়ে দেওয়া, যার দ্বীন ও চরিত্র সন্তোষজনক।তবে, যদি মেয়ে এমন কাউকে পছন্দ করে যার দ্বীন বা চরিত্র ঠিক নয়, তাহলে তাকে বাধা দেওয়া অভিভাবকের অধিকার। কিন্তু, সে যদি দ্বীনদার ও নৈতিক চরিত্রবান কাউকে পছন্দ করে এবং অভিভাবক কেবল নিজের খেয়ালখুশির কারণে তাকে বিয়ে করতে বাধা দেয় তবে তা আল্লাহর কসম! হারাম, গুনাহ ও আমানতের খিয়ানত। আর তার এই নিষেধাজ্ঞা থেকে যদি কোনো ফিতনা বা অন্যায় ঘটে, তবে তার পাপ সম্পূর্ণভাবে তার উপর বর্তাবে। যদি কোনো মেয়েকে এমন কারো সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়, যাকে সে পছন্দ করে না, তাহলে এমন বিয়ে বৈধ নয়। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: কোনো কুমারী মেয়েকে বিয়ে দিও না, যতক্ষণ না তার অনুমতি নেয়া হয়। তিনি আরও বলেন: তার নীরবতাই তার অনুমতি। অতএব, কারো মা, ভাই, এমনকি পিতা কেউই মেয়েকে জোর করে বিয়ে দিতে পারে না। যদি সে প্রাপ্তবয়স্ক (কমপক্ষে ৯ বছরের) হয়, তাহলে তার অনুমতি না নিয়ে বিয়ে দেওয়া বৈধ নয়। যদি কুমারী হয়, তবে তার নীরবতা অনুমতি হিসেবে গণ্য হবে। আর যদি বিবাহিত হয়ে থাকে (বিধবা/তালাকপ্রাপ্ত), তবে অবশ্যই তার স্পষ্ট সম্মতি নিতে হবে।”(ইবনু উসাইমীন আল-লিক্বাউশ শাহরী, ইসলাম সাওয়াল জবাব ফাতওয়া নং-১০০১৯৬)। পরিশেষে দু’আ করছি মহান আল্লাহ সর্বস্তরের অভিভাবকদের তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য সঠিকভাবে উপলব্ধি করার তাওফীক দিন। (আল্লাহই সবচেয়ে জ্ঞানী)।
▬▬▬▬▬▬✿◈✿▬▬▬▬▬▬
উপস্থাপনায়: জুয়েল মাহমুদ সালাফি।
সম্পাদনায়: ইব্রাহিম বিন হাসান হাফিজাহুল্লাহ।
অধ্যয়নরত, কিং খালিদ ইউনিভার্সিটি, সৌদি আরব।