উওম জবাব দাও

{بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ}
(আরম্ভ করছি) পরম করুণাময় অসীম দয়াময় আল্লাহর নামে।
{وَإِذَا حُيِّيتُمْ بِتَحِيَّةٍ فَحَيُّوا بِأَحْسَنَ مِنْهَا أَوْ رُدُّوهَا ۗ إِنَّ اللَّهَ كَانَ عَلَىٰ كُلِّ شَيْءٍ حَسِيبًا}
“ যখন তোমাদেরকে সসম্মানে সালাম প্রদান করা হয়, তখন তোমরা তার চেয়ে উত্তমরূপে জওয়াবী সালাম দাও কিংবা (কমপক্ষে) অনুরূপভাবে দাও, নিশ্চয়ই আল্লাহ (ক্ষুদ্র-বৃহৎ) সকল বিষয়ে হিসাব গ্রহণকারী।
[ সুরা – নিসা ০৪/৮৬ ]
‘ এই আয়াতে যা বলা হয়েছে : সালামের জবাব শিখানো হয়েছে – কেউ সালাম দিলে জবাবে তার চেয়ে উওম ভাবে দিতে হবে। কমপক্ষে অনুরূপভাবে দিতে হবে। হাদীসে আছে আসসালামু আলাইকুম শুনলে জবাবে ওয়া রাহমাতুল্লাহ্ যোগ করে উওম ভাবে দিতে হবে। ’
• মহান আল্লাহ্ (সুবঃ) বলেন
{ادْفَعْ بِالَّتِي هِيَ أَحْسَنُ السَّيِّئَةَ ۚ نَحْنُ أَعْلَمُ بِمَا يَصِفُون}
َ‘ মন্দের জবাবে ভালো বলুন যা উত্তম তাই দিয়ে, তারা যা বলে সে সম্পর্কে আমি সবিশেষ অবগত।
[ সুরা – মুমিনুন ২৩/৯৬ ]
• ইসলাম হলো সর্বোত্তম জীবনবিধান, তাই এর প্রত্যেকটি কাজ উওম পদ্ধতিতেই করতে হয়। দায়ী’র মনোভাব নিয়েই এখানে সকল কাজ করতে হয়।
• মহান আল্লাহ্ (সুবঃ) বলেন
{وَلَا تَسْتَوِي الْحَسَنَةُ وَلَا السَّيِّئَةُ ۚ ادْفَعْ بِالَّتِي هِيَ أَحْسَنُ فَإِذَا الَّذِي بَيْنَكَ وَبَيْنَهُ عَدَاوَةٌ كَأَنَّهُ وَلِيٌّ حَمِيمٌ}
“ ভালো আর মন্দ সমান নয়।(জওয়াবে তাই বলুন যা উওম) দিয়ে মন্দকে দূর কর। তখন দেখবে, তোমার আর যার মধ্যে শত্রুতা আছে সে যেন অন্তরঙ্গ বন্ধু।
[ সুরা – হা – মিম ৪১/৩৪ ]
• ভালো (উওম) চিরদিনই ভালো। মন্দ চিরদিনই মন্দ। মানুষ ভালোর কদর করে মন্দকে ঘৃনা করে। তাই অপরকে অন্তরঙ্গ বন্ধু বানানোর চেষ্টা সবসময়ই করে যাওয়া আবশ্যক।
————————–————————–—–
• পরিবেশনায় : বায়েজীদ বিন উসমান