অলীগণ কবরে জীবিত এই সংশয়ের উত্তরাদি

যারা মনে করে, অলীগণ মৃত্যুর পরেও কবরে জীবিত আছেন কিংবা কবরে তাদের জীবন পৃথিবীর জীবনের থেকেও উন্নত মানের, তাদের রয়েছে কিছু দলীল। আসলে এসব দলীল নয় বরং সংশয় মাত্র । আমরা এ স্থানে তাদের কিছু প্রসিদ্ধ সংশয় তুলে ধরবো এবং জবাব দেবার চেষ্টা করবো:

প্রথম সংশয়: তারা বলে: অলীগণ মারা যায় না। কারণ উল্লেখ হয়েছে:

( ألا إنَّ أولياءَ اللهِ لا يموتون )

” সাবধান ! অলীগণ মৃত্যু বরণ করেন না”।

উত্তর: প্রিয় পাঠক! আরবী ভাষার এই বাক্যটি প্রথম দৃষ্টিতে মনে হবে, যেন এটি কুরআনের আয়াত কিংবা হাদীস। কিন্তু আসলে এটি না তো কুরআনের আয়াত আর না কোন হাদীস। বরং এটি তাদের তৈরিকৃত একটি আরবী বাক্য। আর যে কথা কুরআন কিংবা সুন্নতের অংশ নয় সেটি শরীয়তের দলীলও নয়। এইরকম বাক্য দ্বারা তারা জনসাধারণকে ধোকা দিয়ে থাকে। নিজের আক্বীদা বা বিশ্বাস প্রমাণার্থে কুরআন বা হাদীসের অনুরূপ বাক্য তৈরি করতে তাদের দ্বিধা হয় না, আল্লাহর ভয়ে তাদের বুকও কাঁপে না! (নাউযু বিল্লাহ)

দ্বিতীয় সংশয়: শহীদগণ মৃত্যুর পরেও জীবিত এটা সত্য ও প্রমাণিত; তাই শহীদগণ জীবিত থাকলে অলীগণ জীবিত থাকবেন না কেন?

উত্তর: তর্কের খাতিরে যদি কেউ এইরকম বিশ্বাসীকে বলে: মৃত্যুর পর সকল মানুষই কবরে জীবিত থাকে। কারণ যদি অলীগণ জীবিত থাকেন তো সাধারণ মানুষেরাও জীবিত থাকবে। তাহলে তারা অবশ্যই এইরকম যুক্তি পেশকারীকে বলবে: তুমি অজ্ঞ , মুর্খ এবং বেআদব কারণ তুমি অলী ও সাধারণ মানুষদের সমান মর্যাদার মনে করছো। কোথায় অলীদের অবস্থা আর কোথায় সাধারণ লোক ! উভয় প্রকার কি সমান হে নিবোর্ধ ! যদি সে এতখানি বুঝে তো বলা উচিৎ হবে ,শহীদগণ মৃত্যুর পরেও জীবিত তাই অলীগণও জীবিত এটা তাহলে কেমন যুক্তি ? কোথায় শহীদগণের মর্যাদা আর কোথায় তোমার অলী !

আসলে এই ধরনের লোকেরা অলী, অলীর কারামত ও কেচ্ছা কাহিনী এত বেশি বলে বেড়ায় যে, সাধারণ লোকেরা মানব জাতির মধ্যে অলী নামক দলকে সর্বাসেরা মনে করে নিয়েছে। আসলে নবী, রাসূল, সিদ্দীকীন এবং শহীদগণের মর্যাদা যে তাদের তুলনায় অনেক বেশি তা তাদের বলা হয় না। কারণ অলীর গুণ গাইলে তাদের স্বার্থ পূর্ণ হয অন্যের গাইলে কি তা হবে ?

প্রিয় পাঠক! শহীদগণ হলেন সেই মহান ব্যক্তিবর্গ যাঁরা আল্লাহর দ্বীনের প্রতিষ্ঠায় নিজের জীবন উৎসর্গ করে দিয়েছেন। এক জন মানুষের কাছে এর চেয়ে বড় কিছু আর দেওয়ার নেই। তাই আল্লাহ তাআলা তাদের এই মর্যাদা দিয়েছেন। আল্লাহ বলেন:

(وَ لا تقولوا لمن يُقْتَلُ في سبيلِ اللهِ أمْواتٌ بَلْ أحْياءٌ و لكن لا يَشْعُرُون )

অর্থ: (আল্লাহর রাস্তায় যারা শহীদ হয়েছেন তাদের মৃত্যু বলো না, বরং তারা জীবিত কিন্তু তোমরা তা অনুভব করতে পারছো না) [বাক্বারাহ: ১৫৮]

তাদের এই জীবনের রূপ-রেখা হাদীসে উল্লেখ হয়েছে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: ‘‘শহীদগণের আত্মাগুলো জান্নাতে সবুজ পাখির পেটে থাকে। তাদের জন্য আরশে ঝুলন্ত লন্ঠন আছে। জান্নাতে যেখানে খুশি তারা বিচরণ করে। তার পর সেই লন্ঠনগুলির নিকট আশ্রয় নেয়। (মুসলিম, অধ্যায়: জিহাদ নং ৪৮৬২)

শহীদগণের সম্পর্কে কুরআন এবং সুন্নতে এসব প্রমাণ এসেছে বলে আমরা তাদের মৃত্যুর পরেও বর্ণিত রূপে জীবিত মনে করি। কিন্তু অলীদের সম্পর্কে এই রকম কিছু বর্ণিত হয়নি বলে আমরা তাদের মৃত মনে করি। এটাই সত্য এটাই প্রমাণিত। শহীদগণের মর্যাদা চুরি করে অলীদের নামে প্রচার করার পিছনে রহস্য সেটাই যে, অলীদের কবরে জীবিত প্রমাণ করার মধ্যেই অলীবাদের ব্যবসা চলে নচেৎ বন্ধ হয়ে যায়।

তৃতীয় সংশয়: সহীহ হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, কবর যিয়ারতের সময় কবরবাসীকে সালাম দিতে হয়। আর সালাম তাদের দেওয়া হয় যারা সালাম শুনে ও উত্তর দেয়। বুঝা গেল, কবরস্থানের মৃত লোকেরা শুনে। তাই কবরস্থ সাধারণ লোকেরাই যদি সালাম শুনতে ও উত্তর দিতে সক্ষম হতে পারে তো অলীগণ অবশ্যই হবেন। বুঝা গেল অলীগণ কবরে জীবিত।

উত্তর: তাদের ব্যাখ্যানুযায়ী যদি মেনে নেওয়া হয়, কবরস্থ লোকেরা সবাই সালাম শুনে ও উত্তর দেয়, তাহলে প্রশ্ন হলো: এ ক্ষেত্রে অলীদের কোন বিশেষ মর্যাদা বা বৈশিষ্ট্য থাকলো কি? কারণ সাধারণ লোকেরাও শুনে এবং অলীরাও শুনে, উভয়ে এ ক্ষেত্রে সমান। তাই অলীদের এই কারণে জীবিত মনে করলে সাধারণ লোকদেরকেও জীবিত মনে করতে হবে, যেহেতু উভয় পক্ষই শুনার ক্ষমতা রাখে। কিন্তু সাধারণ লোক এবং অলীগণ সবাই কবরে জীবিত এ কথা তো তারা বলেন না।

আসলে কবরে সালাম দেওয়ার হাদীসগুলি অধ্যায়ন করলে দেখা যায় যে, সালাম বাক্যটি তো হাদীসে রয়েছে যেমন, মুসলিম শরীফের বর্ণনায় এসেছে: ‘‘আস্ সালামু আলা আহ্লিদ্ দিয়ারি মিনাল মুমিনীনা ওয়াল্ মুসলিমীনা …’’। [মুসলিম, জানাইয, নং ২২৫৩)

তবে এই সালাম ইহকালের এক মুসলিম ভাইর অপর মুসলিম ভাইর প্রতি সালামের ন্যায়? যার উত্তর দেওয়া জরূরী। কিংবা কবরবাসীদের সালাম দিলে তারা পৃথিবীর সালামের উত্তরের মত উত্তর দেয় ? একথা হাদীসে বর্ণিত হয়নি। এই অর্থ মাযারপন্থীরা নিজের স্বার্থেই গ্রহণ করেছে। তাই উলামায়ে কেরামগণ বলেছেন: কবরে সালাম দেওয়াটা তাদের জন্য দুআ স্বরূপ অভিবাদন স্বরূপ নয়। ) রুহ, আযাবি কাবর আউর সিমাই মাওতা/৫০)

অর্থের দিকে লক্ষ্য করলে তা সহজে বুঝা যায়। সেই সালামের অর্থ হচ্ছে, ‘‘হে কবরের অধিবাসী মুমিন ও মুসলিমগণ তোমাদের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক, আমরাও ইনশাআল্লাহ তোমাদের সাথে মিলিত হতে যাচ্ছি”। [মুসলিম, অধ্যায়ঃ জানাযা, ইবনু মাজাহ] বলুন তো এর দ্বারা কি প্রমাণিত হচ্ছে অলীরা কবরে জীবিত ?

বিষয়টি আরোও পরিষ্কার হয় মুহাদ্দেসীনদের জ্ঞানের দিকে লক্ষ্য দিলে, তাঁরা এই হাদীসগুলি কবরবাসীদের জন্য দুআ বা কবর যিয়ারতের দুআ অনুচ্ছেদে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু মাযার ভক্তরা এসব বরেণ্য মুহাদ্দেসীনদের বুঝের বিপরীত বুঝেছে এবং বলেছে, এর দ্বারা বুঝা যায় অলীরা কবরে জীবিত ! আসলে অলীরা কবরে জীবিত প্রমাণ না হলে স্বার্থ অর্জন হয় না যে ।

তাছাড়া এটি বরযখী জীবনের বিষয় আমরা তা দুনিয়াবী সালামের সাথে তুলনা করতে পারি না, যেমন পূর্বে বর্ণিত হয়েছে।

চতুর্থ সংশয়: সহীহ হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, মাইয়্যেতকে দফন করার পর যখন লোকেরা ফেরত আসে, তখন মাইয়্যেত কবরে তাদের জুতার আওয়ায শুনতে পায়। আর সাধারণ লোকেরাই যদি এ আওয়ায শুনতে পায় তো অলীদের ক্ষেত্রে তো এটা আরো বেশী সম্ভব। বুঝা গেল, অলীরা কবরে জীবিত।

উত্তর: আবার সেই উত্তরই প্রযোজ্য যে, যদি সব মাইয়্যেতই জুতার শব্দ শুনতে পায়, তাহলে এখানে অলীদের তো কোন বৈশিষ্ট্য প্রমাণিত হয় না। তাই এই বিষয়টি শুধু অলীদের জীবিত হওয়ার প্রমাণে কেন পেশ করা হবে? উচিৎ হবে তারা বলবে: সাধারণ লোকেরা এবং অলীরা সবাই কবরে জীবিত। কিন্তু তারা কেবল অলীদেরকই জীবিত বলছে, সাধারণ লোকদের না। অথচ দলীলটি সাধারণ এবং অলী সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ।

আসলে মাইয়্যেতের দফনে শরীক হওয়া লোকদের ফিরার সময় তাদের চপ্পলের শব্দ শুনতে পারা বিষয়টি একটি ব্যতিক্রমধর্মী বিষয়, যার দ্বারা আল্লাহ তাআলা মাইয়্যেতকে আফসোস, পরিতাপ এবং দুঃখ ব্যদনার অনুভূতি দেন যে, যাদের তুমি পৃথিবীতে আপন মনে করতে, যাদের সংস্পর্শে তুমি পৃথিবীতে আনন্দে-উল্লাসে মেতে থাকতে, তারা আজ তোমাকে একা ছেড়ে নিষ্ঠুরের মত ফিরে যাচ্ছে, তোমার কাছে কেউই থাকছে না।

এই বিষয়টি ব্যতিক্রম তাই হাদীসে এটা আসেনি যে, কবরের কাছে যে কেউ আসলে মাইয়্যেত তার চপ্পলের শব্দ শুনতে পায়। আর না এ কথা বলা হয়েছে যে, কবরের আশে পাশে লোকদের কথা-বার্তা মাইয়্যেত শুনতে পায়। কিন্তু মাযার ভক্তরা এর দ্বারা অলীরা কবরে জীবিত তা বুঝে নিয়েছে। কারণ সেটিই, অলীদের কবরে জীবিত প্রমাণ না করতে পারলে খানকাহ- দরগাহ আবাদ হবে না। আর আবাদ না হলে কিছু লোকের বিনা পুঁজির মধুর ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে।

পঞ্চম সংশয়: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি দরূদ ও সালাম পেশ করলে তিনি উত্তর দেন। বুঝা গেল নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কবরে জীবিত। তাই তাঁর উত্তরসূরী অলীগণও জীবিত আছেন।

উত্তর: প্রথমত: শেষ নবী এবং শ্রেষ্ঠ নবীর সাথে কথিত অলীদের তুলনা একেবারে অসমীচীন। কেবল অজ্ঞরাই এবং স্বার্থান্বেষীরাই তা করতে পারে। কোথায় মহানবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আর কোথায় কথিত অলী!!

দ্বিতীয়তঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কবরে জীবিত তাই তিনি উত্তর দেন, বিষয়টি কি এই রকম না অন্য কিছু ? নিম্মের হাদীসটি অবলোকন করুন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন:

ما مِن أحدٍ يُسلِّمُ علىَّ إلا ردَّ اللهُ روحِي حتى أرُدَّ عليهِ السلام ( أبو داؤد ، حسن)

অর্থ: ‘‘যে কেউই যখন আমার প্রতি সালাম দেয়, তখন আল্লাহ তাআলা আমার রূহ ফিরিয়ে দেন যেন আমি তার উত্তর দেই। (আবূদাউদ, বাব: যিয়ারাতুল্ কবূর, নং ২০৪)

স্পষ্ট যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কবরে জীবিত নয়। তাই তিনি সালামকারীর সালামের উত্তর ততক্ষণে দিতে পারেন না, যতক্ষণে আল্লাহ তাআলা তাঁর আত্মাকে পুনরায় ফিরিয়ে না দেন। শ্রেষ্ঠ নবীর ক্ষেত্রে এইরকম নিয়ম যে আল্লাহ তাঁর রূহ ফিরিয়ে দেন অতঃপর তিনি উত্তর দেন। কিন্তু কথিত অলীদের রূহ ফিরিয়ে দেওয়া হয় তাদের ভক্তদের সালাম বা আবেদন শুনার জন্য, এই রকম দলীল কোনো নথি-পত্রে আছে কি? তা সত্ত্বেও যদি মনে করা হয় যে, কবরস্থ অলীরা জীবিত তাহলে কবর থেকে বাক্যালাপ করেই দেখাক। নচেৎ এই জঘন্য অন্ধ বিশ্বাসের এখানেই নিষ্পত্তি হওয়া উচিৎ।

ষষ্ঠ সংশয়: কোথাও কিছু খনন করার সময় যদি কোন সতেজ লাশ পাওয়া যায়, তাহলে এই প্রকার লোকেরা বলতে শুরু করে: এই যে অলীর লাশ। অলীরা যে কবরে জীবিত থাকেন এটা তার বড় প্রমাণ। কারণ লাশটি সতেজ আছে, পচে-সড়ে যায়নি। তার পর শুরু হয়ে যায় দরগাহ নির্মাণ এবং সেই লাসের কাল্পনিক কেচ্ছা কাহিনী ও তার বংসের ও সিলসিলার বর্ণনা।

উত্তর: পূর্বে প্রমাণ সহ বর্ণিত হয়েছে, নবীগণের লাশ মাটি খায় না। কিন্তু নবী ও রাসূল ছাড়া অন্যদেরও খায় না এই রকম প্রমাণ পাওয়া যায় না। তবুও যদি কোথাও এই রকম লাশ পাওয়া যায় তাহলে কি তা দ্বারা এটা প্রমাণিত হয় যে, অলীরা কবরে জীবিত? না কখনও না। কারণ লাশের সতেজ থাকা ভিন্ন বিষয় এবং লাশের জীবিত থাকা অন্য বিষয়। লাশের মধ্যে জীবন থাকলে সেটা লাশ হয় না বরং জীবিত মানুষ হয়। তাই কোথাও এইরকম সতেজ লাশ পাওয়া গেলেও লাশটি কথা বলে বা নড়া-চড়া করে এটা কখনও শুনা যায় না।

বিষয়টি এই রকমও বুঝা যেতে পারে যে, বর্তমানে ডাক্তারেরা ঔষধের মাধ্যমে অনেক ক্ষেত্রে অনেক সময় কোন মৃত দেহকে বহু দিন ধরে হেফাজতে রাখে। আর মৃত দেহটি সতেজ তথা তরতাজা থাকে। কিন্তু সেটা কি জীবিত থাকে? আসলে তা মৃত কিন্তু তাকে তরতাজা রাখার চেষ্টা করা হয়েছে মাত্র। অনুরূপ কোন লাস তরতাজা থাকতে পারে কিন্তু তা জীবিত হয় না।

তাছাড়া কোন লাশের তরতাজা থাকাটাই যে অলী হওয়ার প্রমাণ, এই ধারণাও ঠিক নয়। কারণ বিভিন্ন কারণে লাশটি তরতাজা থাকতে পারে, যেমন সেই কবর বা স্থানের আবহাওয়ার কারণে, যেমন প্রাচীন মিসরে বিশেষ উপায়ে মমী করার ঘটনা। বরং সেই মমীগুলি এখনও বর্তমান। কিংবা আল্লাহর রহমতে লাস তরতাজা থাকতে পারে যেমন, নবী ও রাসূলগণের মৃতদেহ। কিংবা আল্লাহর গজবেও তরতাজা থাকতে পারে, যেমন ফেরাউনের লাস। আল্লাহ তাআলা বলেন:

فاليومَ نُنَجِّيْكَ بِبَدَنِكَ لتكونَ لمنْ خلْفَكَ أيةً ، وَ إنَّ كثيراً من الناسِ عَنْ اياتِنا لغافِلون -يونس

অর্থ: (অত:এব আমি আজ তোমার লাশকে উদ্ধার করবো, যেন তুমি তোমার পরবর্তী লোকদের জন্যে উপদেশ গ্রহণের উপকরণ হয়ে থাকো; আর প্রকৃতপক্ষে অনেক লোক আমার উপদেশাবলী হতে উদাসীন রয়েছে)।(সূরা ইউনুস: ৯২)

মোট কথা, এই রকম খোঁড়া যুক্তি তর্কের মাধ্যমে তারা অলীদেরকে কবরে জীবিত প্রমাণ করার অপচেষ্টা করে থাকে। আর এটিই হচ্ছে দরগাহ ও মাযারীদের মূল তবে গুপ্ত দরজা। কবরস্থ অলীগণকে জীবিত প্রমাণ করতে পারলেই আস্তে আস্তে বাকি দরজাগুলি উম্মুক্ত হয়ে যায়। বলা হয়: জীবিত তাই তারা মুরীদদের আহ্বান শুনে, নযর-নিয়ায গ্রহণ করে এবং সুপারিশ করে। আর এই ভাবে আবাদ হতে থাকে শির্কের মন্ডপ, মাযার ও দরগাহগুলি। পেট ভরতে থাকে সার্থান্বেষী এক সম্প্রদায়। আল্লাহ তাদের সঠিক পথ দেখান। আমীন।

সংকলনে: আব্দুর রাকীব (মাদানী)

দাওয়াহ সেন্টার , খাফজী, সৌদী আরব।

সম্পাদনায়: আব্দুল্লাহিল হাদী

দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ সেন্টার, সৌদী আরব।