স্ত্রী রাগ করে বাপের বাড়ি চলে গেলে স্বামীর জন্য কি তার ভরনপোষণ দেওয়া বাধ্যতামূলক

প্রশ্ন: স্ত্রী রাগ করে বাপের বাড়ি চলে গেছে, এখন স্বামীর জন্য কি স্ত্রীর ভরনপোষণ দেওয়া বাধ্যতামূলক?
▬▬▬▬▬▬▬▬✿▬▬▬▬▬▬▬▬
উত্তর: মূলনীতি হচ্ছে কয়েকটি জরুরি অবস্থা যেমন: নিজের কিংবা সন্তানের জন্য অপরিহার্য কিছু কিনতে বের হওয়া, বাড়ি ধসে পড়ার আশঙ্কা, অপরিহার্য কাজে বিচারকের কাছে বা মুফতির কাছে যাওয়া, কিংবা অন্য কোন গ্রহণযোগ্য এবং অপরিহার্য শারঈ ওযর ইত্যাদি ছাড়া কোন নারী তার স্বামীর অনুমতি ছাড়া বাড়ির থেকে বের হতে পারবে না। সে স্ত্রী তার স্বামীর বাড়িতে থাকুক কিংবা তার বাপের বাড়িতে থাকুক এতে কোন পার্থক্য নেই। সুতরাং কোন স্ত্রী যদি তার স্বামীর অনুমতি ছাড়া বাড়ি থেকে বের হয়,তাহলে সে পাপী এবং অবাধ্য বলে গণ্য হবে এবং এ অবস্থায়, (যদি তিনি গর্ভবতী না হন) তবে তার ভরণপোষণের অধিকার নষ্ট হয়ে যাবে এবং এ কারণে পাপের অংশীদার হবেন। কারণ ইসলামী শরীয়তের নির্দেশনা অনুযায়ী বিবাহের পর প্রত্যেক স্ত্রী গুনাহর ক্ষেত্র ছাড়া অন্য সকল ক্ষেত্রে তার স্বামীর আনুগত্য করতে আদিষ্ট। কারণ আল্লাহ তাআলা তাকে স্বামীর প্রতি আনুগত্যের নির্দেশ দিয়েছেন (অবশ্যই তা যে কোনো পাপ বা অবাধ্যতার ক্ষেত্রে নয়)। যেহেতু স্বামী পরিবারের কর্তা ও দায়িত্বশীল। পারিবারিক জীবন যাপন সম্ভবপর হবে না যদি পরিবারের কেউ একজনকে কর্তা মেনে তার নির্দেশ মতো না চলা হয়। তবে হ্যা এর অর্থ এ নয় যে, স্বামী চৌকিদার সেজে, এ কর্তৃত্বকে ব্যবহার করে স্ত্রী বা সন্তানদের উপর অত্যাচার করবে কিংবা তাদেরকে কষ্ট দিবে। বরং তিনি তাদের জন্য কল্যাণের চেষ্টা করবেন, উপদেশ দিবেন, তাদের সাথে পরামর্শ করবেন। (এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে দেখুন: আসনাল মাতালিব, খন্ড: ৩; পৃষ্ঠা: ২৩৯; মাতালিব উলিন-নুহা খন্ড: ৫; পৃষ্ঠা:২৭১; ইসলাম সওয়াল-জবাব ফাতাওয়া নং-১০৬১৫০) ।
.
স্ত্রী তার স্বামীর অনুগত্য করতে বাধ্য, এ বিষয়ে কুরআনে মহান আল্লাহ বলেন:﴿ٱلرِّجَالُ قَوَّٰمُونَ عَلَى ٱلنِّسَآءِ“পুরুষরা নারীদের তত্ত্বাবধায়ক”। [সূরা আন-নিসা, আয়াত: ৩৪] হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:»إذا صلت المرأة خمسها، وصامت شهرها، وحصنت فرجها، وأطاعت بعلها دخلت من أي أبواب الجنة شاءت«“নারী যদি তার পাঁচ ওয়াক্ত সালাত পড়ে, রমযান মাসের সিয়াম রাখে, স্বীয় লজ্জাস্থান হিফাযত করে এবং নিজ স্বামীর আনুগত্য করে, তাহলে জান্নাতের যে দরজা দিয়ে ইচ্ছা প্রবেশ করবে।(সহীহ ইবনে হিববান, মিশকাতুল মাসাবীহ ৩২৫৪) এমনকি স্ত্রী তার বাপের বাড়িতে যেতে চাইলেও স্বামীর অনুমতি নেওয়া আবশ্যক।যেমন এ সম্পর্কে একটি হাদিস এসেছে, যেখানে আয়েশা (রাঃ) নবী ﷺ-কে বলেছিলেন:(أتأذن لي أن آتي أبوي) “আপনি কি আমাকে আমার পিতামাতার কাছে যাওয়ার অনুমতি দেবেন?” (সহীহ বুখারি হা/ ৪১৪১, মুসলিম হা/২৭৭০)। এই হাদীসটির ব্যাখায় ইমাম ইরাকী (রাহিমাহুল্লাহ)
তার তাহরীবুত তাহরীব গন্থে বলেছেন:(وقولها : (أتأذن لي أن آتي أبوي : أن الزوجة لا تذهب إلى بيت أبويها إلا بإذن زوجها “এবং তার বক্তব্য: (আপনি কি আমাকে আমার পিতামাতার কাছে যাওয়ার অনুমতি দেবেন?)” এটি প্রমাণ করে যে, স্ত্রী স্বামীর অনুমতি ছাড়া তার পিতামাতার বাড়ি যেতে পারবে না।”(তাহরীবুত তাহরীব: খন্ড: ৮; পৃষ্ঠা: ৫৮) শাইখুল ইসলাম ইবন তাইমিয়্যাহ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন: “আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন:﴿فَٱلصَّٰلِحَٰتُ قَٰنِتَٰتٌ حَٰفِظَٰتٞ لِّلۡغَيۡبِ بِمَا حَفِظَ ٱللَّهُۚ﴾“সুতরাং পুণ্যবতী নারীরা অনুগত, তারা লোকচক্ষুর অন্তরালে হিফাযতকারিনী ঐ বিষয়ের যা আল্লাহ হিফাযত করেছেন”। [সূরা আন-নিসা, আয়াত: ৩৪] এ আয়াতের দাবি অনুযায়ী স্ত্রীর ওপর স্বামীর আনুগত্য করা ওয়াজিব, সেটি তার সাথে সফর হোক, তার সাথে আনন্দ করার সুযোগ দেওয়ার বিষয় হোক বা অন্য যে কোনো চাহিদা হোক। এ কথা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাতও প্রমাণ করে।”(ইবনু তাইমিয়্যাহ মাজমুউ ফাতাওয়া, খণ্ড: ৩২; পৃষ্ঠা: ২৬০ ও ২৬১)।
.
ইমাম ইবনে হাজার আল-হাইতামি (রাহিমাহুল্লাহ) তুহফাতুল মুহতাজ গ্রন্থে বলেন:

والخروج من بيته ، أي: من المحل الذي رضي بإقامتها فيه ، ولو ببيتها ، أو بيت أبيها كما هو ظاهر، ولو لعبادة ، وإن كان غائبا ، بلا إذن منه ، ولا ظن رضاه : عصيان ونشوز ؛ إلا أن يشرف البيت ، أو بعضه الذي يخشى منه ، على انهدام ، أو تخاف على نفسها، أو مالها كما هو ظاهر ، من فاسق ، أو سارق… أو تحتاج للخروج لقاض لطلب حقها، أو الخروج لتعلم، أو استفتاء”

“এবং তার (স্ত্রীর) স্বামীর ঘর থেকে বের হওয়া, অর্থাৎ যে স্থানে স্বামী তার থাকার জন্য সম্মতি দিয়েছেন, যদিও তা স্ত্রীর নিজস্ব বাড়ি বা তার পিতার বাড়ি হয়, যেমনটি স্পষ্ট। যদি স্বামী অনুমতি না দিয়ে থাকেন অথবা তার সন্তুষ্টির কোনো সম্ভাবনা না থাকে তাহলে তা গুনাহ এবং অবাধ্যতার অন্তর্ভুক্ত হবে। এমনকি ইবাদতের উদ্দেশ্যেও তা অনুমোদিত নয়। তবে যদি ঘর বা তার কোনো অংশ ধসে পড়ার আশঙ্কা থাকে, বা সে নিজের নিরাপত্তা, সম্পত্তি, কোনো ফাসিক (পাপী) বা চোরের কারণে ভীত হয়,অথবা ন্যায্য কোনো দাবির জন্য বিচারকের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন হয়, কিংবা কোনো প্রয়োজনীয় শিক্ষা অর্জন বা ফাতওয়া জানার জন্য বের হওয়া প্রয়োজন হয়, তাহলে এর ব্যতিক্রম হতে পারে”(বের হওয়া বৈধ হতে পারে)।(তুহফাতুল মুহতাজ; খন্ড: ৮; পৃষ্ঠা: ৩২৬)।
.
হাম্বালী মাযহাবের প্রখ্যাত ফাক্বীহ, শাইখুল ইসলাম, ইমাম ‘আব্দুল্লাহ বিন আহমাদ বিন কুদামাহ আল-মাক্বদিসী আল-হাম্বালী (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ৬২০ হি.] বলেছেন:ويحرم خروج الزوجة : بلا إذن الزوج ، أو بلا ضرورة ، كإتيانٍ بنحو مأكل ؛ لعدم من يأتيها به”স্বামীর অনুমতি ছাড়া স্ত্রীর বাড়ি থেকে বের হওয়া হারাম, যদি না কোনো প্রয়োজনীয়তা থাকে। উদাহরণস্বরূপ, খাদ্য বা অনুরূপ কোনো জিনিস আনতে বের হওয়া,যদি তা আনার জন্য কেউ না থাকে।”(মাতালিব উলিন-নুহা খন্ড: ৫; পৃষ্ঠা:২৭১)।
.
ইবন মুফলিহ আল-মাকদিসি আল হাম্ভলী (রহিমাহুল্লাহ) [মৃত্যু:৭৬৩ হি:] বলেন: “একজন মহিলার জন্য তার স্বামীর ঘর থেকে তার অনুমতি ছাড়া বাইরে যাওয়া নিষিদ্ধ, প্রয়োজন বা শরয়ী বাধ্যবাধকতা ছাড়া।”(আল-আদাবুশ শারইয়্যা; খন্ড: ৩; পৃষ্ঠা: ৩৭৫) ।
.
শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া (রহিমাহুল্লাহ) বলেছেন:فليس لها أن تخرج من منزله إلا بإذنه ، سواء أمرها أبوها ، أو أمها ، أو غير أبويها ، باتفاق الأئمة “স্ত্রীর জন্য স্বামীর অনুমতি ছাড়া তার ঘর থেকে বের হওয়া বৈধ নয়, তা সে তার বাবা, মা, বা অন্য কেউ আদেশ করুক না কেন এ বিষয়ে ইমামদের মধ্যে ইজমা (ঐক্যমত্য) রয়েছে।”(আল ফাতওয়া আল কুবরা: খন্ড: ৩; পৃষ্ঠা: ১৪৮)
.
সৌদি আরবের ‘ইলমী গবেষণা ও ফাতাওয়া প্রদানের স্থায়ী কমিটির (আল-লাজনাতুদ দাইমাহ লিল বুহূসিল ‘ইলমিয়্যাহ ওয়াল ইফতা) ‘আলিমগণকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল স্বামীকে না জানিয়ে স্ত্রীর ঘর থেকে বের হওয়া এবং তার অনুমতি ছাড়া বাবার ঘরে অবস্থান করা এবং বাবার আনুগত্যকে স্বামীর আনুগত্যের উপরে প্রাধান্য দেওয়ার বিধান কি?

জবাবে তারা বলেন:

لا يجوز للمرأة الخروج من بيت زوجها إلا بإذنه ، لا لوالديها ولا لغيرهم ؛ لأن ذلك من حقوقه عليها ، إلا إذا كان هناك مسوغ شرعي يضطرها للخروج

“স্ত্রীর জন্য স্বামীর অনুমতি ছাড়া তার ঘর থেকে বের হওয়া বৈধ নয়, তা সে তার বাবা-মায়ের জন্য হোক বা অন্য কারো জন্য। কারণ এটি স্ত্রীর প্রতি স্বামীর অধিকারগুলোর মধ্যে একটি। তবে যদি কোনো বৈধ শারঈ কারণ থাকে, যা তাকে ঘর থেকে বের হতে বাধ্য করে, তখন তা ভিন্ন”।(ফাতাওয়া লাজনাহ দায়িমাহ; খন্ড: ১৯; পৃষ্ঠা: ১৬৫)
.
সর্বোচ্চ ‘উলামা পরিষদের সম্মানিত সদস্য, বিগত শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ফাক্বীহ, মুহাদ্দিস, মুফাসসির ও উসূলবিদ, আশ-শাইখুল ‘আল্লামাহ, ইমাম মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-‘উসাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৪২১ হি./২০০১ খ্রি.] বলেছেন:

“تمنع النساء من الخروج من البيوت ؛ لأن النبي صلى الله عليه وعلى آله وسلم إنما نهى عن منعهن من الذهاب إلى المساجد ، وأما إلى الأسواق : فالرجل حرٌّ ، له أن يمنعها ، تُمنع من الخروج من البيت إلا لحاجة لا يمكن أن يقضيها أحد سواها ، وهذا الاستثناء أقوله من باب الاحتراز ، وإلا فلا أظن أن حاجة لا يمكن أن يقضيها إلا النساء ، لأن بإمكان كل امرأة أن تقول لأخيها : “يا أخي اشتر لي الحاجة الفلانية” ، لكننا ذكرنا هذا الاستثناء احتياطاً ، وأن يكون الرجل كما جعله الله عز وجل قوَّاماً على المرأة ، لا أن تكون المرأة هي التي تديره ؛ لأن الله يقول : (الرِّجَالُ قَوَّامُونَ عَلَى النِّسَاءِ بِمَا فَضَّلَ اللَّهُ بَعْضَهُمْ عَلَى بَعْضٍ وَبِمَا أَنْفَقُوا مِنْ أَمْوَالِهِمْ) النساء/34 ، فليكن قائماً حقيقة ، وليمنعها ، ولكن لا بعنف ، بل بهدوء ، وشرح للمفاسد ، وبيان للثواب والأجر إذا لزمن البيوت ؛ لأن الله تعالى قال : (وَقَرْنَ فِي بُيُوتِكُنَّ) الأحزاب/ 33 ، أي : نساء النبي صلى الله عليه وعلى آله وسلم وهنَّ أكمل النساء عفة ، وأقومهن في دين الله ، ومع ذلك : قال الله لهن : (وَقَرْنَ فِي بُيُوتِكُنَّ وَلا تَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ الْجَاهِلِيَّةِ الْأُولَى وَأَقِمْنَ الصَّلاةَ وَآتِينَ الزَّكَاةَ وَأَطِعْنَ اللَّهَ وَرَسُولَهُ) الأحزاب/ 33″

“নারীদের বাড়ির বাইরে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে; কারণ নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কেবল তাদেরকে মসজিদে যাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা দিতে নিষেধ করেছেন। কিন্তু বাজার বা অন্য কোনো স্থানে যাওয়ার ব্যাপারে পুরুষের অধিকার রয়েছে যে, তিনি তাদের নিষেধ করতে পারেন। নারীদের বাড়ি থেকে বের হওয়া কেবল তখনই জায়েয, যখন কোনো প্রয়োজন এমন থাকে যা অন্য কেউ পূরণ করতে সক্ষম নয়। যদিও এমন প্রয়োজনের উদাহরণ খুবই বিরল, কারণ প্রতিটি নারী তার ভাই বা পরিবারের পুরুষ সদস্যকে বলতে পারেন,”ভাই”, আমার জন্য এই জিনিসটি কিনে আনো।”তবে আমরা এই ব্যতিক্রমটি কেবল সাবধানতার জন্য উল্লেখ করেছি। একজন পুরুষ যেন সেই ভূমিকায় থাকে যেটি আল্লাহ তাকে দিয়েছেন, অর্থাৎ নারীর অভিভাবক। নারী যেন পুরুষকে নিয়ন্ত্রণ না করে; কারণ আল্লাহ বলেছেন: “পুরুষেরা নারীদের উপর অভিভাবক, কারণ আল্লাহ তাদের একের উপর অন্যকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন এবং তারা তাদের সম্পদ ব্যয় করে।” (সূরা নিসা: ৩৪)। তাই পুরুষকে তার দায়িত্ব পালনে যথার্থ হতে হবে। তবে এ দায়িত্ব পালনে কোনো ধরনের হিংস্রতা বা জোরাজুরি করা যাবে না, বরং শান্তিপূর্ণভাবে, ক্ষতির দিকগুলো ব্যাখ্যা করে এবং ঘরে থাকা অবস্থায় প্রাপ্ত সওয়াব ও পুরস্কার সম্পর্কে তাদের বোঝানোর মাধ্যমে।
আল্লাহ বলেন: “আর তোমরা (নারীরা) তোমাদের ঘরে অবস্থান করো এবং জাহেলি যুগের মতো প্রকাশ্যে নিজেকে প্রদর্শন কোরো না। সালাত কায়েম করো, যাকাত দাও, এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আনুগত্য করো।” (সূরা আহযাব: ৩৩)। এই নির্দেশনা মূলত নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর স্ত্রীদের জন্য ছিল, যারা সবচেয়ে পবিত্র এবং ধর্মপরায়ণ নারীদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। তবুও আল্লাহ তাদেরকে ঘরে থাকার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন”।(ইবনু উসাইমীন আল-লিক্বাউশ শাহরী, লিক্বা নং-২৪/১০)।
.
পরিশেষে উপরোক্ত আলোচনা থেকে একথা পরিস্কার যে, শরীয়তে নিষিদ্ধ নয় এমন সকল কাজে স্বামীর আনুগত্য করা ফরয এবং অবাধ্য হওয়া হারাম। যে নারী দুনিয়ায় স্বামীর অবাধ্য হবে সে যেমন দুনিয়ায় আল্লাহ, ফেরেশতা এবং হুরে আইনের লা‘নত বা অভিশাপপ্রাপ্ত হবে তেমনি পরকালে জাহান্নামে যাওয়ার হকদার হবে। এমনকি স্ত্রী তার পিতার বাড়ি যেতে হলে অবশ্যই স্বামীর অনুমতি নিতে হবে।যেমনটি আম্মাজান আয়শা থেকে বর্নিত হয়েছে। অতএব প্রত্যেক স্ত্রীর উচিৎ,জরুরি প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে যাওয়ার ক্ষেত্রে স্বামীর নিকট থেকে আম অনুমতি নিয়ে রাখা। অতঃপর শারঈ বিধিনিষেধ অনুসরণ করে নিজের বা ছেলেমেয়ের প্রয়োজনে বাইরে গেলে দোষের কিছু নেই ইনশাআল্লাহ। কিন্তু স্বামীর অনুমতি ছাড়া বাহিরে গেলে সে পাপী ও অবাধ্য বলে গণ্য হবে এবং এ অবস্থায় তার ভরণপোষণের অধিকার হারাবেন।(আল্লাহই সবচেয়ে জ্ঞানী)
___________________________
উপস্থাপনায়: জুয়েল মাহমুদ সালাফি।
সম্পাদনায়: ওস্তাদ ইব্রাহিম বিন হাসান (হাফি:)।
শিক্ষক, চর বাগডাঙ্গা সেরাজুল হুদা লতিফিয়া নুরিয়া ইসলামিয়া ও হাফিজিয়া মাদরাসা‌ চাঁপাইনবাবগঞ্জ।

Share: