সালাতের শর্তাবলী ৯টি। সেগুলো হচ্ছে:
১। সালাত আদায়কারীকে প্রকৃত মুসলিম হতে হবে।
২। জ্ঞানসম্পন্ন হতে হবে। (পাগল বা জ্ঞানশূন্য হবে না)।
৩। বিবেকসম্পন্ন হতে হবে। (সাত বছরের নিম্ন বয়সী শিশু হবে না)।
৪। (ওযু-গোসল করে) পবিত্র হতে হবে।
৫। সালাতের সঠিক সময় হতে হবে।
৬। শরীরের সতর (লজ্জাস্থান) আবৃত হতে হবে।
৭। শরীর, পোশাক ও সালাতের স্থান থেকে নাপাকী দূর করতে হবে।
৮। কিবলার দিকে মুখ করতে হবে।
৯। মনে মনে নিয়ত করতে হবে।
Source: https://islamqa.info/en/answers/107701/conditions-of-the-validity-of-prayer
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬✿◈✿▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
সালাতের আরকানসমূহ:
রুকন অর্থ স্তম্ভ। আরকান রুকনের বহুবচন। এগুলি অপরিহার্য বিষয়। যা ইচ্ছাকৃত বা ভুলক্রমে পরিত্যাগ করলে সালাত বাতিল হয়ে যায়। সালাতের রুকন ১৪টি। সেগুলো হচ্ছে:
১। সক্ষম ব্যক্তির জন্য ফরয সালাত দাঁড়িয়ে আদায় করা।
২। তাকবীরে তাহরীমা তথা ‘আল্লাহু আকবার’ বলা।
৩। প্রত্যেক রাকআতে সূরা ফাতিহা পড়া।
৪। রুকু করা। রুকুর ন্যূনতম রূপ হচ্ছে- এতটুকু ঝুঁকা যাতে করে দুই হাতের তালু দিয়ে হাঁটুদ্বয় স্পর্শ করা যায়। আর পরিপূর্ণ রূপ হচ্ছে- পিঠকে সমানভাবে প্রসারিত করে রাখা; যাতে করে মাথা ও পিঠ একই সমান্তরাল রেখায় থাকে।
৫। রুকু থেকে দাঁড়ানো।
৬। পরিপূর্ণভাবে সোজা হয়ে দাঁড়ানো।
৭। সেজদা করা। সেজদার পরিপূর্ণ রূপ হচ্ছে- কপাল, নাক, হাতের তালুদ্বয়, হাঁটুদ্বয় ও আঙ্গুলের ডগা সেজদার স্থানে ভালভাবে লাগিয়ে রাখা। আর ন্যূনতম রূপ হচ্ছে- প্রত্যেক অঙ্গের কিছু অংশ সেজদার স্থানে রাখা।
৮। সেজদা থেকে উঠা।
৯। দুই সেজদার মাঝখানে বসা। যে পদ্ধতিতে বসা হোক যথেষ্ট হবে। তবে সুন্নত পদ্ধতি হচ্ছে- বাম পায়ের ওপর বসে ডান পা খাড়া করে রাখা ও ডান পায়ের আঙ্গুলগুলো কিবলামুখী করে রাখা।
১০। প্রত্যেকটি রুকন ধীরস্থিরভাবে আদায় করা।
১১। শেষ বৈঠকে তাশাহুদ পড়া।
১২। তাশাহুদ ও দুই সালাম ফেরানোর জন্য বসা।
১৩। দুইদিকে সালাম ফেরানো। সালাম ফেরানোর পদ্ধতি হচ্ছে- ‘আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ’ বলা। নফল সালাতের ক্ষেত্রে একদিকে সালাম ফেরানো যথেষ্ট; জানাযার সালাতের ক্ষেত্রেও।
১৪। উল্লেখিত ক্রমধারা রক্ষা করে রুকনগুলো আদায় করা। তাই কেউ যদি ইচ্ছাকৃতভাবে রুকুর আগে সেজদা করে তাহলে তার সালাত বাতিল হয়ে যাবে। আর ভুলক্রমে আগে সেজদা দিয়ে ফেললে ফিরে এসে রুকু করতে হবে; তারপর আবার সেজদা করবে।
Source: https://islamqa.info/en/answers/65847/obligatory-parts-and-sunnah-acts-of-prayer
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬✿◈✿▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
সালাতের ওয়াজিবসমূহ:
রুকন এর পরেই ওয়াজিব এর স্থান, যা আবশ্যিক। যা ইচ্ছাকৃতভাবে পরিত্যাগ করলে সালাত বাতিল হয়ে যায় এবং ভুলক্রমে পরিত্যাগ করলে ‘সিজদায়ে সাহু’ দিতে হয়। সালাতের ওয়াজিব ৮টি। সেগুলো হচ্ছে:
১। তাকবীরে তাহরীমা ছাড়া অন্য তাকবীরগুলো বলা।
২। ইমাম ও একাকী সালাত আদায়কারীর ‘সামিআল্লাহু লিমান হামিদা’ (যারা আল্লাহর প্রশংসা করেছেন আল্লাহ তাদের প্রশংসা শুনেছেন) বলা।
৩। সকলের জন্য ‘রাব্বা-না লাকাল হামদ’ (হে আমাদের রব্ব! প্রশংসা আপনারই জন্য) বলা।
৪। রুকুতে গিয়ে কমপক্ষে একবার ‘সুবহানা রাব্বিআল আযিম’ (পবিত্রতা আমার সুমহান রব্বের জন্য) বলা।
৫। সেজদাতে গিয়ে কমপক্ষে একবার ‘সুবহানা রাব্বিআল আ’লা’ (পবিত্রতা আমার সুউচ্চ রব্বের জন্য) বলা।
৬। দুই সেজদার মাঝখানে ‘রাব্বিগ ফির লি’ (হে আমার রব্ব! আমাকে ক্ষমা করুন) বলা।
৭। প্রথম বৈঠকে তাশাহুদ পড়া।
৮। তাশাহহুদের জন্য প্রথম বৈঠকে বসা।
Source: https://islamqa.info/en/answers/65847/obligatory-parts-and-sunnah-acts-of-prayer
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬✿◈✿▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
ওযুর রুকন ও ফরয ৬টি। সেগুলো হচ্ছে:
১। মুখমণ্ডল ধৌত করা। মুখ ও নাক মুখমণ্ডলের অংশ।
২। দুই হাত কনুই পর্যন্ত ধৌত করা।
৩। মাথা মাসেহ করা।
৪। দুই পা টাকনুসহ ধৌত করা।
৫। ওযুর অঙ্গগুলোর মাঝে ধারাবাহিকতা রক্ষা করা।
৬। পরম্পরা রক্ষা করা (অর্থাৎ অঙ্গগুলো ধৌত করার ক্ষেত্রে দীর্ঘ সময়ের বিরতি না দেয়া)।
Source: https://islamqa.info/en/answers/226422/what-are-the-pillars-of-wudu
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬✿◈✿▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
গোসলের ফরয ৪টি। সেগুলো হচ্ছে:
১। ব্যক্তি অপবিত্রতা থেকে পবিত্র হওয়ার নিয়ত করবে; সেটা জুনুবি অবস্থা হোক কিংবা হায়েয হোক কিংবা নিফাস হোক।
১। কুলি করা।
৩। নাকে পানি দেওয়া।
৪। এরপর সারা শরীর ধৌত করবে। শরীরের লোমের নীচে পানি পৌঁছাবে। যেসব স্থানে সাধারণত পানি পৌঁছে না সেসব স্থানে পানি পৌঁছাবে যেমন- দুই বগল, দুই হাঁটুর নীচে। মাথার চুল, চুলের গোড়া ও নখ পরিমাণ কোন অংশও শুকনো থাকলে এবং উপরে বর্ণিত কোন একটা কাজ বাদ পড়লে গোসল শুদ্ধ হবে না।
Source: https://islamqa.info/en/answers/82344/how-to-make-ghusl-for-major-impurity