যে দম্পতি একে অপরের তুলনায় আল্লাহ ও তার রাসূল ﷺ কে বেশি ভালোবাসেন, তারা ঈমানের স্বাদ পান এবং তাদের দাম্পত্যেও তার প্রভাব ফুঁটে ওঠে। কেননা তারা একে অপরের প্রতিটি বিষয়ে আল্লাহর ভয় ও ন্যায় বিচারের সাথে বিবেচনা করেন। একে অপরকে আল্লাহর জন্যই ভালোবাসেন ও আল্লাহর অপছন্দনীয় বিষয় থেকে নিজের ও তার সাথীকে বিরত রাখেন… তাদের কর্মে পরকালীন জীবন গুরুত্ব পায়। আল্লাহর সন্তোষ প্রাধান্য পায়।
.
>>> সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, দাম্পত্য সুখি করার জন্য-ই নয় বরং আপনার পরিপূর্ণ মুমিন হওয়ার পূর্ব শর্তও এটাই।
.
“বল, তোমাদের নিকট যদি তোমাদের পিতা, তোমাদের সন্তান, তোমাদের ভা্ই, তোমাদের পত্নী, তোমাদের গোত্র, তোমাদের অর্জিত ধন-সম্পদ, তোমাদের ব্যবসা যা বন্ধ হয়ে যাওয়ার ভয় কর এবং তোমাদের বাসস্থান-যাকে তোমরা পছন্দ কর-আল্লাহ, তাঁর রসূল ও তাঁর পথে জিহাদ করা থেকে অধিক প্রিয় হয়, তবে অপেক্ষা কর, যে পর্যন্ত না আল্লাহ তার নিজ ফয়সালা প্রকাশ করেন। আর আল্লাহ অবাধ্যদের হেদায়েত করেন না”। (সূরা আত তাওবাঃ আয়াত ২৪)
.
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের মধ্যে কেউই ঈমানদার হতে পারবে না, যে পর্যন্ত নিজ পিতা, পুত্র ও অন্যান্য লোক অপেক্ষা আমার সাথে অধিক ভালবাসা না রাখে। (বুখারী ও মুসলিম)