মানত পূরণ করতে না পারলে করণীয় কি

প্রশ্ন: মানত কী? এক ব্যক্তি আজ থেকে আনুমানিক কয়েক বছর পূর্বে আল্লাহর নামে মানত করেছিলেন যে যদি আল্লাহ তাঁর ইচ্ছা পূরণ করেন তবে তিনি ওমরাহ পালন করবেন।আল্লাহ তাঁর ইচ্ছা পূরণ করেছেন কিন্তু তিনি এখনো উমরাহ পালন করেননি এখন তার করনীয় কি?
▬▬▬▬▬▬▬▬✿▬▬▬▬▬▬▬▬
উত্তর: পরম করুণাময় অসীম দয়ালু মহান আল্লাহ’র নামে শুরু করছি। যাবতীয় প্রশংসা জগৎসমূহের প্রতিপালক মহান আল্লাহ’র জন্য। শতসহস্র দয়া ও শান্তি বর্ষিত হোক প্রাণাধিক প্রিয় নাবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ’র প্রতি। অতঃপর: মানতের আরবি শব্দ হচ্ছে (نذر (নযর) যার বাংলা অর্থ হচ্ছে নিজের দায়িত্বে নেয়া।অর্থাৎ যা নিজের দায়িত্ব নয় তা নিজের জন্য অপরিহার্য করে নেয়া। শরয়ি পরিভাষায় মানত বলা হয় নিজের উপর এমন কিছু ওয়াজিব (আবশ্যিক) করে নেয়া যা আসলে ওয়াজিব ছিল না। সেটা শর্তযুক্তও হতে পারে আবার শর্ত মুক্তও হতে পারে। ইসলামে (নযর) মানত করাকে নিরুৎসাহিত করেছে। আহলে সুন্নত ওয়াল জামাআতের অধিকাংশ ইমাম ও ফিকহবিদের অভিমত অনুসারে (নযর) মানত করা মাকরূহ বা অপছন্দনীয় কাজ।কারন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মানত করতে নিষেধ করেছেন। আর মানত আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত ভাগ্যকে পরিবর্তন করতে পারে না।বরং এটি কৃপণের সম্পদ থেকে কিছু অংশ বের করে আনে মাত্র।যেমন: রাসূল (ﷺ) বলেছেন:لَا تَنْذُرُوا فَإِنَّ النَّذْرَ لَا يُغْنِي مِنَ الْقَدَرِ شَيْئًا وَإِنَّمَا يُسْتَخْرَجُ بِهِ من الْبَخِيل”তোমরা মানৎ করো না। কেননা মানৎ তাকদীরের কোনই পরিবর্তন করতে পারে না। অবশ্য এর দ্বারা কৃপণের ব্যয়-নির্বাহ হয় মাত্র”।(সহীহ বুখারী হা/ ৬৬০৯,সহীহ মুসলিম হা/১৬৪০) অপর বর্ননায় তিনি (ﷺ) আরো বলেছেন:النَّذْرُ لاَ يُقَدِّمُ شَيْئًا وَلاَ يُؤَخِّرُهُ وَإِنَّمَا يُسْتَخْرَجُ بِهِ مِنَ الْبَخِيلِ ‏ “মানত কোনো কিছুকে আগেও করে না, পিছেও করে না। বরং এর দ্বারা কেবল কৃপণ ব্যক্তি থেকে বের করা হয়।”(সহীহ মুসলিম হা/৪৩২৬)
.
তবে হা! ইসলাম মানত করার ব্যাপারে অনুৎসাহিত করা হলেও বৈধ কাজের মানত করা হলে তা পূরণ করা আবশ্যক। যেমন কেউ যদি কোন ইবাদত বা নেক আমল করার মানত করলে সেটা পূর্ণ করা ওয়াজিব। শর্তযুক্ত মানতের উদাহরণ হল কেউ যদি বলে কেউ একদিন বা দুইদিন রোযা রাখার মানত করল, আবার কোনও অসুস্থ ব্যক্তি মানত করে আমি যদি সুস্থ হই তাহলে একটি উমরাহ পালন করব।কিংবা কেউ যদি বলে ‘আল্লাহ যদি আমার রোগীকে সুস্থ করে দেন তাহলে আমি অমুক ব্যক্তিকে ওমরায় পাঠাবো। এখানে মানতের বিষয়টি শরিয়ত অনুমোদিত একটি ইবাদত ও আল্লাহর আনুগত্যের বিষয়। মানতের শর্ত পূরণ হলে এ মানত পূর্ণ করা ওয়াজিব। কারণ এটি একটি আনুগত্যের মানত। হাদিসে এসেছে: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী: (مَن نذر أن يطيع الله فليطعه )”যে ব্যক্তি আল্লাহ্‌র কোন আনুগত্য করার মানত করল তাকে ঐ আনুগত্য পালন করতে হবে।”(সহিহ বুখারী হা/৬৩১৮) শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া বলেছেন: لو نذر أن يأتي المسجد الحرام لحج أو عمرة؛ فإن هذا يلزمه بلا نزاع.”যদি কেউ মানত করে যে, সে হজ বা উমরার জন্য মসজিদুল হারামে যাবে তবে এটি তার জন্য অবশ্যই পালনীয় এ ব্যাপারে কোনো দ্বিমত নেই।”(মাজমু’ আল-ফাতাওয়া” ২৭তম খণ্ড; পৃষ্ঠায়: ৩৩৪)
.
অনুরূপভাবে আরেকটি বিষয় জেনে রাখা ভালো যে মানতের বিষয়টি যদিও শরিয়ত অনুমোদিত একটি ইবাদত। যদি মানতটি আল্লাহর আনুগত্যের বিষয়ে হয় তালে তা পূর্ণ করা যেমন ওয়াজিব ঠিক তেমনি মানত যদি শরীয়ত বিরোধী কোন কাজের জন্য হয় তাহলে তা পূর্ণ না করা ওয়াজিব। উদাহরণস্বরূপ যদি কেউ মানত করে বলে: আমার বোনের সাথে কথা বললে আমার উপর হজ্জ আদায় করা আবশ্যক। কিংবা বলে যে, তার উপর এটা ওটা আবশ্যক অমুকের সাথে কথা বললে। এগুলো শরীয়ত বিরোধী মানত এসব মানত পূর্ণ করা যাবে না।এসব ক্ষেত্রে তার উপর শপথ ভঙ্গের কাফ্‌ফারা আবশ্যক। কেননা এগুলো ক্রোধ ও রাগের মানত। যার দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে—নিজেকে ঐ জিনিস থেকে বিরত রাখা। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,مَنْ نَذَرَ أَنْ يُطِيْعَ اللهَ فَلْيُطِعْهُ وَمَنْ نَذَرَ أَنْ يَعْصِيَهُ فَلَا يَعْصِهِ “যে ব্যক্তি আল্লাহর আনুগত্যের কাজে মানত করে, সে যেন তার আনুগত্য করে। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর নাফারমানী বা অবাধ্যতার মানত করে, সে যেন তা না করে” (সহীহুল বুখারী, হা/৬৭০০)। এমন মানত করার কারণে তাকে কসমের কাফফারা দিতে হবে। আয়েশা (রাদিয়াল্লাহু আনহা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,”গুনাহের কাজে মানত করা যাবে না এবং এর কাফফারা হলো কসম ভঙ্গের কাফফারার অনুরূপ” (তিরমিযী, হা/১৫২৪)। আর কসমের কাফফারা হলো: (১) দশজন দরিদ্রকে মধ্যম ধরনের খাদ্য দান করা। (২) অথবা তাদেরকে বস্ত্র দান করা। (৩) অথবা একটি দাস মুক্ত করা। (৪) কিন্তু যার এগুলোতে সামর্থ্য নেই তার জন্য তিনদিন সিয়াম পালন কর।(সূরা আল-মায়িদাহ, ৫/৮৯)।
.
এখন প্রশ্নকারী ভাইয়ের উদ্দেশ্যে আপনার মানতের বিষয়টি শরিয়ত অনুমোদিত একটি ইবাদত ও আল্লাহর আনুগত্যের বিষয়।সুতরাং মানতের শর্ত পূরণ হলে এবং শারঈ কোন বাধা না থাকলে অনতিবিলম্বে মানতটি পূর্ণ করা আপনার উপর ওয়াজিব ছিল। কারণ এটি একটি আনুগত্যের মানত। হাদিসে এসেছে: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী: (مَن نذر أن يطيع الله فليطعه )”যে ব্যক্তি আল্লাহ্‌র কোন আনুগত্য করার মানত করল তাকে ঐ আনুগত্য পালন করতে হবে।”(সহিহ বুখারী হা/৬৩১৮) শাইখুল ইসলাম ইবনু তাইমিয়া বলেছেন: لو نذر أن يأتي المسجد الحرام لحج أو عمرة؛ فإن هذا يلزمه بلا نزاع.”যদি কেউ মানত করে যে, সে হজ বা উমরার জন্য মসজিদুল হারামে যাবে, তবে এটি তার জন্য অবশ্যই পালনীয় এ ব্যাপারে কোনো দ্বিমত নেই।”(মাজমু’ আল-ফাতাওয়া” ২৭তম খণ্ড; পৃষ্ঠায়: ৩৩৪)
.
সুতরাং এখন আপনার জন্য করণীয় হল মানত পুরনে বিলম্ব করার জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা এবং কোন প্রকার শারঈ ওজর না থাকলে অনতিবিলম্বে উমরাহ পালন করে মানত পূর্ণ করা। মুনাফিক্বদের একটি মন্দ আচরণ বর্ণনা করে আল্লাহ্‌ তাআলা বলেন: “তাদের মধ্যে কিছু লোক আছে যারা আল্লাহ্‌র সাথে অঙ্গীকার করে বলেছিল, ‘তিনি যদি স্বীয় অনুগ্রহ থেকে আমাদেরকে দান করেন তাহলে অবশ্যই আমরা ছদকা দেব এবং অবশ্যই সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত হব’। অতঃপর যখন তিনি তাদেরকে স্বীয় অনুগ্রহ থেকে দান করলেন তখন তারা তা নিয়ে কার্পণ্য করল এবং (নিজেদের অঙ্গীকার থেকে) মুখ ফিরিয়ে চলে গেল।”(সূরা তাওবা, ৭৫-৭৬)
.
মাওযূ‘আতুল ফিক্বহিয়াহ আল-কুয়েতিয়াহ, কুয়েতি ফিক্বহ বিশ্বকোষ, গ্রন্থে উল্লেখ করা হয়েছে:” اتفق الفقهاء على جواز تعليق النذر بالشرط , ولا يجب الوفاء قبل حصول المعلق عليه ; لعدم وجود سبب الوفاء , فمتى وجد المعلق عليه وجد النذر ولزم الوفاء به “ফকিহগণ একমত যে, শর্তযুক্ত মান্নত করা জায়েজ। তবে, যে শর্তের ওপর মান্নত নির্ভরশীল, তা পূর্ণ হওয়ার আগে মান্নত আদায় করা আবশ্যক নয়; কেননা, তখনো মান্নত আদায়ের কারণ অস্তিত্বে আসেনি। ফলে, যখন শর্ত পূর্ণ হবে, তখনই মান্নত কার্যকর হবে এবং তা পূরণ করা ওয়াজিব হবে।”(আল মাওযূ‘আতুল ফিক্বহিয়াহ; খণ্ড: ১২; পৃষ্ঠা: ৩১৫)

হানাফি মাযহাবের আলেম ইমাম কাসানি’ বলেন:

” وإن كان معلقاً – أي : النذر – بشرط نحو أن يقول : إن شفى الله مريضي ، أو إن قدم فلان الغائب ، فلله عليّ أن أصوم شهراً أو أصلي ركعتين أو أتصدق بدرهم ، ونحو ذلك فوقته وقت الشرط ، فما لم يوجد الشرط ، لا يجب ؛ بالإجماع ”

“যদি নজর কোনো শর্তের সাথে সম্পৃক্ত হয়, যেমন কেউ বলে ‘যদি আল্লাহ আমার রোগীকে সুস্থ করেন’ অথবা ‘আমার অমুক প্রবাসী ফিরে এলে, তাহলে আমার উপর এক মাস রোযা রাখা, দুই রাকাত নামাজ আদায় করা বা এক দিরহাম সদকা করা ওয়াজিব হবে’, তাহলে এই নজরের সময় সেই শর্ত পূরণের পরই শুরু হবে। তাই শর্ত পূরণের আগে এটি পালন করা বাধ্যতামূলক নয়; এ বিষয়ে সর্বসম্মত মত রয়েছে।”(বাদায়েউস সানায়ি; খণ্ড: ৫ পৃষ্ঠা: ৯৪)
.
বিগত শতাব্দীর সৌদি আরবের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ফাক্বীহ শাইখুল ইসলাম ইমাম ‘আব্দুল ‘আযীয বিন ‘আব্দুল্লাহ বিন বায আন-নাজদী (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৪২০ হি./১৯৯৯ খ্রি.] ব্যথা কমার শর্তে মানত করা হলে সেটি কখন পূরণ করতে হবে এমন প্রশ্ন করা হলে জবাবে শাইখ :বলেছেন” إذا وجد الشرط المذكور وهو خفة الألم، فالواجب عليك الوفاء بالنذر فور”যদি (মানতের) উল্লিখিত শর্তটি পূর্ণ হয় অর্থাৎ ব্যথা কমে যায় তাহলে মানতকারীর উপর তার মানত অবিলম্বে পালন করা বাধ্যতামূলক…”(মাজমূ‘উ ফাতাওয়া ওয়া মাক্বালাতুম মুতানাওয়্যা‘আহ, খণ্ড/২২; পৃষ্ঠা: ১৬৬)
.
সর্বোচ্চ ‘উলামা পরিষদের সম্মানিত সদস্য, বিগত শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ফাক্বীহ, মুহাদ্দিস, মুফাসসির ও উসূলবিদ, আশ-শাইখুল ‘আল্লামাহ, ইমাম মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-‘উসাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৪২১ হি./২০০১ খ্রি.] বলেছেন:

الواجب لمن نذر الصيام إذا كان معلقاً بشرط أن يوفي به من حين أن يوجد الشرط ولا يتأخر ، مثال ذلك: قال: إن شفاني الله من هذا المرض فلله عليَّ نذر أن أصوم ثلاثة أيام ، فشفي من المرض ، فالواجب أن يبادر الإنسان بالصوم ولا يتأخر ؛ لأن الله تعالى قال: ( وَمِنْهُمْ مَنْ عَاهَدَ اللَّهَ لَئِنْ آتَانَا مِنْ فَضْلِهِ لَنَصَّدَّقَنَّ وَلَنَكُونَنَّ مِنَ الصَّالِحِينَ * فَلَمَّا آتَاهُمْ مِنْ فَضْلِهِ بَخِلُوا بِهِ وَتَوَلَّوْا وَهُمْ مُعْرِضُونَ * فَأَعْقَبَهُمْ نِفَاقاً فِي قُلُوبِهِمْ إِلَى يَوْمِ يَلْقَوْنَهُ ) التوبة/76-77.

“যে ব্যক্তি রোযা রাখার মানত করেছে; সে যদি এ মানতকে কোন শর্তের সাথে সম্পৃক্ত করে থাকে তাহলে শর্ত পূর্ণ হওয়ার সময় থেকে তার ওপর ওয়াজিব মানত পূর্ণ করা এবং বিলম্ব না করা। এর উদাহরণ হচ্ছে: যদি আল্লাহ্‌ এ রোগ থেকে আমাকে আরোগ্য দান করেন তাহলে আমার ওপর তিনদিন মানত রোযা রাখা আবশ্যক। ফলে সে ব্যক্তি যদি রোগ মুক্ত হয় তাহলে তার ওপর আবশ্যক অবিলম্বে রোযা পালন করা এবং দেরী না করা। কেননা আল্লাহ্‌ তাআলা বলেন: “তাদের মধ্যে কিছু লোক আছে যারা আল্লাহ্‌র সাথে অঙ্গীকার করে বলেছিল,তিনি যদি স্বীয় অনুগ্রহ থেকে আমাদেরকে দান করেন তাহলে অবশ্যই আমরা ছদকা দেব এবং অবশ্যই সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত হব’। অতঃপর যখন তিনি তাদেরকে স্বীয় অনুগ্রহ থেকে দান করলেন তখন তারা তা নিয়ে কার্পণ্য করল এবং (নিজেদের অঙ্গীকার থেকে) মুখ ফিরিয়ে চলে গেল।”[সূরা তাওবা, ৭৫-৭৬ আল-লিকা আস-শাহরি; ৪/৫২)
.
ইমাম মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-‘উসাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৪২১ হি./২০০১ খ্রি.] বলেছেন:

النذر قسمان قسم مطلق وقسم معلق فالمطلق أن يقول الناذر لله علي نذر أن أصوم ثلاثة أيام فيجب عليه أن يبادر بالصوم لأن الأصل في الواجب أنه على الفور وقسم آخر معلق مثل أن يقول إن رد الله علي ما ضاع مني فلله علي نذر أن أصوم ثلاثة أيام فمتى رد الله عليه ما ضاع منه ولو بعد سنة أو سنتين أو أكثر وجب عليه أن يصوم ثلاثة أيام من حين أن يرد الله عليه ذلك ”

“”নযর (মানত) দুই ধরনের হয়ে থাকে: একটি শর্তহীন এবং একটি শর্তাধীন। শর্তহীন মানত হল, যেমন কোন ব্যক্তি নিজেকে রোযা রাখার প্রতি উদ্বুদ্ধ করতে গিয়ে বলল যে: আল্লাহ্‌র জন্য আমার ওপর তিনদিন রোযা রাখা আবশ্যক’;এ ব্যক্তির এ আমলটি অবিলম্বে আদায় করা ওয়াজিব। কারণ এটা একটি ফরজ কাজ হিসেবে ধরা হয় এবং তা তাত্ক্ষণিকভাবে পালন করা আবশ্যক। অন্যদিকে,শর্তাধীন মানত হল, যেমন কেউ বলবে, ‘যদি আল্লাহ আমাকে আমার হারানো বস্তুটি ফিরিয়ে দেন, তাহলে আমি তিন দিন রোজা রাখব।’ এই ক্ষেত্রে, যখন আল্লাহ তার হারানো বস্তুটি ফিরিয়ে দিবেন, তখন থেকেই তাকে তিন দিন রোজা রাখার ওয়াজিব হবে, এবং তা এক বা দুই বছর পরেও হতে পারে।”(উসাইমীন, ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ দারব, ইসলাম সওয়াল-জবাব ফাতাওয়া নং-১৭০০৮৪) (আল্লাহই সবচেয়ে জ্ঞানী)।
________________________
উপস্থাপনায়:
জুয়েল মাহমুদ সালাফি।

Share: