সৌদি সরকারের দিকে চেয়ে মক্কা-মদীনার ইসলামকে যাচাই করতে যাবেন না।
কেন মক্কা-মদীনায় প্রচলিত ইসলামের অনুসরণ করবেন তা নিচের হাদীস গুলো পড়ে বুঝে নিন ?
রাসূল(সা:) বলেছেন,
“সাপ যেমন সস্কুচিত হয়ে আপন গর্তের দিকে প্রত্যাবর্তন করে তদ্রুপ ঈমানও সস্কুচিত হয়ে মদীনার দিকে প্রত্যাবর্তন করবে। (সহীহ বুখারী: ১৮৭৬, সহিহ মুসলিম: ২৬৯)
অন্য হাদীছে রাসূল(সা:) বলেছেন,
“অপরিচিতের বেশে ইসলাম শুরু হয়েছিল, অচিরেই তা আবার অপরিচিত অবস্হায় ফিরে যাবে। সাপ যেমন সংকুচিত হয়ে তার গর্তে প্রবেশ করে তদ্রুপ ইসলামও দুই মাসজিদের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে যাবে। (সহিহ মুসলিম : ২৬৮)
রাসুল(সা:) আরও বলেছেন,
“মদীনা হলো কামারের হাঁপরের ন্যায়, সে তার মধ্যকার আবর্জনাকে দূরীভূত করে এবং খাঁটিটুকু ধরে রাখে। (বুখারী: ৭২১১, ৭৩২২ সহিহ মুসলিম: ৩২৪৬)
মক্কা মদীনা সম্পর্কে রাসুল (স) এর ভবিষ্যৎবাণীঃ
রাসুল (স) বলেন-
মক্কা-মদিনায় দাজ্জাল প্রবেশ করতে পারবে না। (বুখারি: ১৮৮১)
মদিনাবাসীর সাথে যারা ষড়যন্ত্র করবে, তারা লবণ যেভাবে পানিতে গলে যায়, সেভাবে গলে যাবে। (বুখারি: ১৮৭৭)
মদীনা ও মদীনাবাসীদের জন্য নবী( স:)বরকতের দোয়া করে গেছেন। (বুখারি: ১৮৮৫)
মসজিদুল হারাম ব্যতীত মসজিদে নববীতে নামায পড়া অপরাপর মসজিদে ১০০০ নামাযের চেয়ে উত্তম। (বুখারি: ১১৯০)
মদীনা অবাঞ্ছিত লোকদেরকে এমনভাবে বহিষ্কার করে দেয়, যেমনভাবে কামারের অগ্নিচুলা লোহার মরিচা দূর করে দেয়। (বুখারী: ১৮৭১)
মদীনায় ঈমান ফিরে আসবে, যেভাবে সাপ তার গর্তে ফিরে আসে। অর্থাৎ কোথাও বিশুদ্ধ দ্বীন থাকবে না। প্রকৃত দ্বীন (ইসলাম) মদীনায় ফিরে আসবে। (বুখারি: ১৮৭৬)