প্রশ্ন: বিভিন্ন অনুষ্ঠানে কাউকে উৎসাহ দেওয়া, খেলাধুলায় কিংবা আনন্দদায়ক কোনো কিছু দেখে হাততালি দেওয়ার বিধান কী?
▬▬▬▬▬▬▬◄❖►▬▬▬▬▬▬▬
উত্তর: সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য, আমরা তাঁর প্রশংসা করি, তাঁর নিকট সাহায্য ও ক্ষমা প্রার্থনা করি এবং তাঁর নিকট তাওবা করি, অতঃপর ইসলামে শুধুমাত্র নারীরা জামআতে সালাত আদায় কালে কোন মহিলা ইমাম ভুল করলে তাকে সংশোধনের উদ্দেশ্যে হাতে তালি বাজানোর অনুমতি দেয়া হয়েছে। (সহীহ বুখারী, হা/৬৮৪) এছাড়া কোন অনুষ্ঠানে কাউকে উৎসাহ দেওয়া, খেলাধুলায় উৎসাহ দেওয়া কিংবা আনন্দদায়ক কোনোকিছু দেখে হাততালি দেওয়া মুসলিমদের জন্য জায়েজ নয়। কারণ তালি বাজানো জাহেলী প্রথা এবং এটি মুশরিকদের বৈশিষ্ট্য। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,وَ مَا كَانَ صَلَاتُهُمۡ عِنۡدَ الۡبَیۡتِ اِلَّا مُكَآءً وَّ تَصۡدِیَۃً ؕ فَذُوۡقُوا الۡعَذَابَ بِمَا كُنۡتُمۡ تَكۡفُرُوۡنَ “আর কা‘বা গৃহের নিকট শুধু শিস ও করতালি দেয়াই ছিল তাদের সালাত। সুতরাং অবিশ্বাসের কারণে তোমরা শাস্তি ভোগ কর’ (সূরা আল-আনফাল: ৩৫)। তৎকালীন সময়ে মুশরিকরা যেমন উলঙ্গ হয়ে কা’বার তাওয়াফ করত অনুরূপ তাওয়াফের সময় মুখে আঙ্গুল দিয়ে শিস দিত ও দুই হাত দিয়ে তালি বাজাতো। আর এটিকে তারা ইবাদত ও পুণ্যের কাজ মনে করত। অতএব তালি বাজানো যেহেতু মুশরিকদের বৈশিষ্ট্য আর ইসলামি শরীয়তে মুসলিমদের জন্য কাফেরদের বৈশিষ্ট্য বা সাদৃশ্য গ্রহণ করা হারাম। যেহেতু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “যে ব্যক্তি কোন সম্প্রদায়ের সাথে সাদৃশ্য গ্রহণ করে সে উক্ত সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত।” অন্য এক রেওয়ায়েতে আছে, “যে ব্যক্তি বিধর্মীদের সাথে সাদৃশ্য গ্রহণ করে সে আমাদের দলভুক্ত নয়।”।(ইমাম আহমদ, আল-মুসনাদ: ২/৫০; আবু দাউদ রহ. বর্ণনা করেছে উৎকৃষ্ট সনদে, হাদীস নং-৪০৩১; আর আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন, ‘সহীহ আল-জামে‘ আস-সাগীর’, হাদীস নং-৬০২৫)
.
বিগত শতাব্দীর সৌদি আরবের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ফাক্বীহ শাইখুল ইসলাম ইমাম ‘আব্দুল ‘আযীয বিন ‘আব্দুল্লাহ বিন বায আন-নাজদী (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৪২০ হি./১৯৯৯ খ্রি.]-কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল কোন অনুষ্ঠান কিংবা উৎসবে পুরুষদের জন্য হাততালি দেওয়ার হুকুম কি?
জবাবে শাইখ বলেন:
التصفيق في الحفلات من أعمال الجاهلية ، وأقل ما يقال فيه الكراهة ، والأظهر في الدليل تحريمه ؛ لأن المسلمين منهيون عن التشبه بالكفرة ، وقد قال الله سبحانه في وصف الكفار من أهل مكة: وَمَا كَانَ صَلَاتُهُمْ عِنْدَ الْبَيْتِ إِلَّا مُكَاءً وَتَصْدِيَةً الأنفال/35 .قال العلماء المكاء الصفير ، والتصدية التصفيق .
والسنة للمؤمن إذا رأى أو سمع ما يعجبه أو ما ينكره أن يقول : سبحان الله أو يقول : الله أكبر ، كما صح ذلك عن النبي صلى الله عليه وسلم في أحاديث كثيرة
“কোন উৎসব, অনুষ্ঠান বা উৎযাপনকে কেন্দ্র করে তালি বাজানো জাহেলী প্রথা। অনেকেই একে মাকরূহ বলে থাকলেও আসলে দলীলের আলোকে হারাম। কেননা এতে কাফিরদের সাদৃশ্য আছে, আর মুসলিমদেরকে কাফিরদের সাদৃশ্য অবলম্বন করতে নিষেধ করা হয়েছে।আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা মক্কার কাফিরদের বর্ণনা দিয়ে বলেছেন: “আর কা‘বার নিকট তাদের সালাত শিষ ও হাত-তালি ছাড়া কিছু ছিল না”।(সূরা আনফাল: ৩৫) এই আয়াতের তাফসিরে আলেমগণ বলেছেন مُكَآءً) ‘মুক্কা’) মানে শিস দেওয়া এবং تَصۡدِیَۃً (‘তাসদিয়া’) মানে হাততালি। মুমিনদের জন্য সুন্নাত হল- যখন তাঁরা ভাল কিছু দেখবে বা শুনবে তখন ‘সুবহানাল্লাহ’, ‘আল্লাহু আকবার’ বলবে। এটি নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অসংখ্য হাদিস দ্বারা প্রমাণিত”।(শায়খ ইবনু বায, মাজমূঊ ফাতাওয়া, ৪র্থ খণ্ড, পৃ. ১৫১)।
.
বিগত শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ফাক্বীহ, মুহাদ্দিস, মুফাসসির ও উসূলবিদ, আশ-শাইখুল ‘আল্লামাহ, ইমাম মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-‘উসাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৪২১ হি./২০০১ খ্রি.]-কে প্রশ্ন করা হয়েছিল: “অনুষ্ঠানে হাততালির বিধান কী?”
জবাবে শাইখ বলেন:
التصفيق في الحفلات ليس من عادة السلف الصالح ، وإنما كانوا إذا أعجبهم شيء سبحوا أحيانا ، أو كبروا أحيانا ، لكنهم لا يكبرون تكبيرا جماعيا ، ولا يسبحون تسبيحا جماعيا ، بل كل واحد يكبر لنفسه ، أو يسبح لنفسه ، بدون أن يكون هناك رفع صوت ، بحيث يسمعه من بقربه ، فالأولى الكف عن هذا أي التصفيق ، ولكننا لا نقول بأنه حرام لأنه قد شاع بين المسلمين اليوم ، والناس لا يتخذونه عبادة ، ولهذا لا يصح الاستدلال علي تحريمه بقوله تعالى عن المشركين : (وَمَا كَانَ صَلاتُهُمْ عِنْدَ الْبَيْتِ إِلَّا مُكَاءً وَتَصْدِيَةً) فإن المشركين يتخذون التصفيق عند البيت عبادة ، وهؤلاء الذين يصفقون عند سماع ما يعجبهم أو رؤية ما يعجبهم لا يريدون بذلك العبادة .
وخلاصة القول أن ترك هذا التصفيق أولى وأحسن ولكنه ليس بحرام”
“কাউকে উৎসাহ দেয়ার জন্য তালি বাজানো সালাফে ছালেহীনের আদর্শ নয়। বরং যখন কোন বিষয়ে তারা মুগ্ধ হতেন তখন তারা কখনো ‘সুবহানাল্লাহ’, বা ‘আল্লাহু আকবার’ বলতেন তাও আবার নিম্নস্বরে একা একা। ঐক্যবদ্ধভাবে চিৎকার করে বলতেন না’ বরং প্রত্যেকে ব্যক্তিগতভাবে বলতেন এবং এমনভাবে বলতেন যাতে আশপাশের কেউ খুব স্পষ্টভাবে শুনতে না পায়। সুতরাং, হাততালি থেকে বিরত থাকা উত্তম। তবে এটিকে হারাম বলা যাবে না, কারণ আজকাল এটি মুসলমানদের মধ্যে ব্যাপকভাবে প্রচলিত এবং তারা এটিকে ইবাদত হিসেবে গ্রহণ করে না। এই কারণে মুশরিকদের সম্পর্কে কুরআনের যে আয়াতে বলা হয়েছে:”আর কা‘বার নিকট তাদের সালাত শিষ ও হাত-তালি ছাড়া কিছু ছিল না”।(সূরা আনফাল: ৩৫) এই আয়াত দিয়ে হাততালির হারাম হওয়ার দলিল দেওয়া সঠিক নয়। কারণ মুশরিকরা কাবার পাশে হাততালিকে ইবাদতের একটি অংশ হিসেবে গ্রহণ করত। আর যারা (মুসলিমরা) আজ কোনো ভালো কিছু দেখলে বা শুনলে হাততালি দেয়, তারা এটি ইবাদত হিসেবে করে না। সুতরাং, সারসংক্ষেপে বলা যায়, হাততালি না দেওয়াই উত্তম এবং এটি হারাম নয়”।(ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ দার্ব, সিডি নং-১০)।
.
শাইখ ড.বকর আবু যায়েদ(রাহিমাহুল্লাহ) বলেন:
لا يُشرع التصفيق في شيء من أمور الدين إلا في موضع واحد للحاجة : وهو للمرأة داخل الصلاة إذا عرض عارض كسهو الإمام في صلاته ، فإنه يستحب لمن اقتدى به تنبيهه : فالرجل ينبه الإمام بالتسبيح ، والمرأة تنبه الإمام بالتصفيق ؛ وهذا لثبوت السنة به عن النبي صلى الله عليه وسلم من حديث أبي هريرة رضي الله عنه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال : (التسبيح للرجال والتصفيق للنساء ) .
ثم حدث في الأمة التعبد بالتصفيق لدى بعض المبتدعة عند قراءة الأذكار ، والأوراد ، والأحزاب ، وفي الموالد ، والمدائح في البيوت ، والمساجد ، وغيرها ، ويظهر أنه منذ القرن الرابع ، فإن الحافظ عبيد الله بن بطة المتوفي سنة 387 أنكر عليهم ذلك ، وقد تتابع إنكار العلماء عليهم ، وتهجينهم ، وتبديعهم ، فمن الذين لهم مقام صدق في ذلك الحافظ ابن الجوزي ، وشيخ الإسلام ابن تيمية ، وتلميذه ابن القيم ، وغيرهم ، قديماً ، وحديثاً ، مقررين بالإجماع : أن التعبد بالتصفيق : بدعة ضلالة ، وخروج على الشرع المطهر ، فيجب اجتناب التعبد به ويجب منعه .
ثم في أثناء القرن الرابع عشر تسلل إلى المسلمين في اجتماعاتهم واحتفالاتهم ، التصفيق عند التعجب ؛ تشبهاً بما لدى المشركين من التصفيق للتشجيع ، والتعجب .
وإذا كان التصفيق في حالة التعبد : بدعة ضلالة ، كما تقدم ، فإن اتخاذه عادة في المحافل ، الاجتماعات ؛ للتشجيع ، والتعجب ، تشبه منكر ، ومعصية يجب أن تُنكر ، وذلك لما يلي :
معلوم أن هدى النبي صلى الله عليه وسلم عند التعجب ، هو الثناء على الله تعالى وذكره بالتكبير ، والتسبيح ، والتهليل ، ونحوها ، والأحاديث في هذا كثيرة شهيرة في كتاب السنة ، ترجم لبعضها الإمام البخاري رحمه الله تعالى في صحيحه فقال : “باب التكبير والتسبيح عند التعجب ” ، وأدخلها العلماء في كتب الأذكار منهم النووي رحمه الله تعالى في : “كتاب الأذكار” فقال : “باب جواز التعجب بلفظ التسبيح والتهليل ونحوها” ، وعلى هذا الهدي المبارك درج سَلَفُ هذه الأمة من الصحابة رضي الله عنهم فمن تبعهم بإحسان إلى يومنا هذا والحمد لله ، وفي هذا استمرار حال المسلم بتعظيم الله ، وتمرين لسانه على ذكر الله تعالى .
إذا عُلِمَ ذلك ، فإنه لا نعلم من المرويات عن المقتدى بهم من أئمة الهدى ، التَّصْفِيْقَ في مثل هذه الحال ، فضلاً عن ورود شيء من ذلك في السنة ، وعليه ، فإن التصفيق في احتفالات المدارس ، وغيرها : إن وقع على وجه التعبد ، فهو بدعة محرمة شرعاً ، لأن التصفيق لم يتعبدنا الله به ، وهو نظير ما ابتدعه بعض المتصوفة من التصفيق حال الذكر والدعاء ، كما تقدم .
وإن وقع التصفيق المذكور على وجه العادة ، فهو منكر محرم ؛ لأنه تشبه (بالكفار) .
ولا نعرف دخول هذه العادة في تاريخ المسلمين إلا في أثناء القرن الرابع عشر ، حين تَفَشَّى في المسلمين كثير من عادات
الكافرين والتشبه بهم .
“দ্বীনের কোনো বিষয়ে করতালি (তালির শব্দ) করা শরিয়তে বৈধ নয়, শুধুমাত্র একটি অবস্থায় প্রয়োজনের ক্ষেত্রে তা বৈধ: আর তা হলো, সালাতের মধ্যে কোনো সমস্যার সম্মুখীন হলে নারীরা করতালি দিয়ে ইমামকে সতর্ক করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে পুরুষরা ইমামকে সতর্ক করবেন তাসবিহ (সুবহানাল্লাহ) পাঠ করার মাধ্যমে, আর নারীরা করতালি দিয়ে সতর্ক করবেন। কারণ রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সুন্নত থেকে এটি প্রমানিত।হাদীসে এসেছে আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তাসবীহ (সুবহানাল্লাহ) পড়া পুরুষদের জন্য আর হাতে তালি দেওয়া নারীদের জন্য।(সুনানে আন-নাসায়ী হা/১২০৮)
অতঃপর এই উম্মতের কিছু বিদআতপন্থীদের মধ্যে আল্লাহর জিকির, আযকার, ওরদ, মাওলিদ, এবং প্রশংসাসূচক সংগীত পাঠের ক্ষেত্রে, বাড়ি, মসজিদ এবং অন্যান্য স্থানে করতালি দেওয়ার প্রথা চালু হয়। ধারনা করা হয় যে এটি চতুর্থ হিজরী শতাব্দী থেকে শুরু হয়। প্রখ্যাত মুহাদ্দিস আবু আবদুল্লাহ মুহাম্মদ ইবন বতুতা(মৃত্যু: ৩৮৭ হি:) এ প্রথাকে নিন্দা করেন। এরপর থেকে বহু আলেম এ কাজের সমালোচনা করেন, এটিকে তিরস্কার করেন এবং বিদআত হিসেবে আখ্যায়িত করেন। এ বিষয়ে যারা স্পষ্ট অবস্থান গ্রহণ করেছেন, তাদের মধ্যে রয়েছেন ইমাম ইবনুল জাওজি, শাইখুল ইসলাম ইবনু তাইমিয়া এবং তার শিষ্য ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম প্রমুখ। তাঁরা সর্বসম্মতভাবে উল্লেখ করেছেন যে করতালিকে ইবাদতের অংশ হিসেবে গ্রহণ করা একটি ভ্রান্ত বিদআত এবং শরীয়তসম্মত পন্থার বিরুদ্ধাচরণ। তাই এটি এড়িয়ে চলা এবং বন্ধ করা অপরিহার্য। চতুর্দশ হিজরী শতাব্দীর দিকে, মুসলমানদের মধ্যে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে করতালির প্রবেশ ঘটে, বিশেষ করে আশ্চর্য হওয়া এবং উৎসাহ প্রদানের ক্ষেত্রে। এটি মূলত মুশরিকদের (অবিশ্বাসীদের) প্রথা অনুকরণ। যদি করতালি ইবাদতের উদ্দেশ্যে করা হয়, তবে এটি একটি পথভ্রষ্ট বিদআত এবং হারাম। আর যদি এটি একটি সাধারণ অভ্যাস অর্থাৎ সামাজিক অনুষ্ঠানে উৎসাহ বা আনন্দিত হওয়ার জন্য করা হয়, তবে এটি নিন্দনীয় এবং হারাম, কারণ এটি অমুসলিমদের অনুকরণ। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাহ অনুযায়ী, আশ্চর্য হওয়ার ক্ষেত্রে আল্লাহর প্রশংসা, التكبير (আল্লাহু আকবার বলা), التسبيح (সুবহানাল্লাহ বলা), এবং التهليل (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলা) পাঠ করার নির্দেশ দিয়েছেন। হাদিসে এ বিষয়ে অনেক প্রমাণ রয়েছে। সহীহ বুখারিতে ইমাম বুখারি একটি অধ্যায় শিরোনাম করেছেন, “আশ্চর্যের সময় التكبير ও التسبيح করা”। ইমাম নববীও তার “কিতাবুল আযকার”-এ এ বিষয়টি আলোচনা করেছেন। তাই মুসলমানদের উচিত আল্লাহর জিকিরের মাধ্যমে নিজেদের জিহ্বাকে সজীব রাখা।”এবং করতালির মতো কোনো বিধর্মী অভ্যাসে জড়ানো থেকে বিরত থাকা”।(ইসলাম সওয়াল-জবাব ফাতাওয়া নং-১০৫৪৫০)
.
পরিশেষে আমরা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি তিনি যেন মুসলমানদেরকে ধর্মীয়ভাবে শক্তিশালী করেন, ধর্মের ওপর অবিচল রাখেন এবং শত্রুর বিরুদ্ধে বিজয়ী করেন। নিশ্চয় তিনি শক্তিশালী ও পরাক্রমশালী।(আল্লাহই সবচেয়ে জ্ঞানী)।
_____________________________
উপস্থাপনায়:
জুয়েল মাহমুদ সালাফি।