জেনে রাখুন! আল্লাহ আপনার প্রতি দয়া প্রদর্শন করুন আল্লাহ তা‘আলা আদম সন্তানের উপর প্রথম যে জিনিসটি ফারয্ করেছেন তা হচ্ছে তাগুতকে অস্বীকার করা এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান রাখা। এর প্রমাণ আল্লাহর বাণী :
{وَلَقَدْ بَعَثْنَا فِي كُلِّ أُمَّةٍ رَسُولاً أَنِ اعْبُدُوا اللهَ وَاجْتَنِبُوا الطَّاغُوتَ}
‘‘আমি প্রত্যেক জাতির মধ্যে এ কথা বলে একজন করে রসূল পাঠিয়েছি যে, তোমরা আল্লাহর ‘ইবাদাত কর এবং তাগুত থেকে বিরত থাক।’’ (সূরা আন-নাহল ৩৬)
তাগুতকে অস্বীকার করার ব্যাখ্যা হচ্ছে, আল্লাহ ছাড়া অন্য কারোর ‘ইবাদাতকে বাতিল ও অন্তঃসারশূন্য বলে বিশ্বাস করা। (শুধু মূর্তি নয় যে অর্থ অনুবাদক সাহেব করেছেন) এটি পরিত্যাগ করা। এর প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করা। যারা আল্লাহ্কে বাদ দিয়ে অন্য কারোর বা কোন কিছুর ‘ইবাদাত করে তাদের কাফির বলে বিশ্বাস করা এবং তাদেরকে শত্রু জ্ঞান করা। আল্লাহর প্রতি ঈমানের অর্থ হচ্ছে একমাত্র আল্লাহ ছাড়া আর কোন প্রকৃত উপাস্য নেই- এ কথায় বিশ্বাস করা। আল্লাহর জন্য সকল প্রকার ‘ইবাদাতকে নিখাদ ও নির্ভেজাল করা। তিনি ছাড়া যত উপাস্য আছে, তাদের ‘ইবাদাতকে অস্বীকার করা, মুখলিস (একনিষ্ঠ ও নির্ভেজাল) লোকদের ভালবাসা এবং তাদের সাথে মৈত্রী স্থাপন করা। মুশরিকদের ঘৃণা করা এবং তাদেরকে শত্রু বলে বিশ্বাস করা এটাই হচ্ছে ইব্রাহীমের ধর্ম। যারা তাথেকে বিমুখ হয়েছে তারা নিজেদেরকে বোকা বানিয়েছে। এ আদর্শ সম্পর্কে আল্লাহ বলেন :
قَدْ كَانَتْ لَكُمْ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ فِي إِبْرَاهِيمَ وَالَّذِينَ مَعَهُ إِذْ قَالُوا لِقَوْمِهِمْ إِنَّا بُرَآءُ مِنْكُمْ وَمِمَّا تَعْبُدُونَ مِنْ دُونِ اللهِ كَفَرْنَا بِكُمْ وَبَدَا بَيْنَنَا وَبَيْنَكُمُ الْعَدَاوَةُ وَالْبَغْضَاءُ أَبَداً حَتَّى تُؤْمِنُوا بِاللهِ وَحْدَهُ
‘‘নিশ্চয়ই তোমাদের জন্য ইব্রাহীম ও তাঁর সঙ্গীদের জীবনে এক অনুপম আদর্শ রয়েছে। যখন তারা তাদের জাতির লোকদের বলল, নিশ্চয়ই আমরা তোমাদের থেকে এবং আল্লাহ্কে বাদ দিয়ে তোমরা যার ‘ইবাদাত কর তা থেকে মুক্ত। আমরা তোমাদের অস্বীকার করলাম। আমাদের ও তোমাদের মাঝে সর্বদা শত্রুতা এবং ঘৃণার সূচনা হল, যতক্ষণ পর্যন্ত তোমরা একমাত্র আল্লাহর প্রতি ঈমান না আনো।’’ (সূরা আল-মুমতাহিনাহ ৪)
‘তাগুত’ একটি ব্যাপক অর্থবোধক শব্দ। আল্লাহ্কে বাদ দিয়ে কোন উপাস্যরূপী, অনুসরণীয় ও অনুকরণীয় ‘ইবাদাত করা হয় এবং এতে সে সন্তুষ্ট হয় তাকেই ‘তাগুত’ বলা হয়। অনেক তাগুত আছে, তন্মধ্যে প্রধান হচ্ছে পাঁচটি।
প্রথমতঃ শয়তান যে আল্লাহ ছাড়া অন্য কারোর বা কোন কিছুর ‘ইবাদাত করতে আহবান করে। এর প্রমাণ হচ্ছে আল্লাহর বাণী :
{أَلَمْ أَعْهَدْ إِلَيْكُمْ يَا بَنِي آدَمَ أَنْ لاَ تَعْبُدُوا الشَّيْطَانَ إِنَّهُ لَكُمْ عَدُوٌّ مُبِينٌ}
‘‘হে আদম সন্তান! আমি কি তোমাদের বলে রাখিনি যে, তোমরা শয়তানে ‘ইবাদাত করো না। নিশ্চয়ই সে তোমাদের জন্য প্রকাশ্য শত্রু।’’ (সূরা ইয়াসীন ৬০)
দ্বিতীয়তঃ আল্লাহর বিধান পরিবর্তনকারী যালিম শাসক। এর প্রমাণ আল্লাহর বাণী :
{أَلَمْ تَرَ إِلَى الَّذِينَ يَزْعُمُونَ أَنَّهُمْ آمَنُوا بِمَا أُنْزِلَ إِلَيْكَ وَمَا أُنْزِلَ مِنْ قَبْلِكَ يُرِيدُونَ أَنْ يَتَحَاكَمُوا إِلَى الطَّاغُوتِ وَقَدْ أُمِرُوا أَنْ يَكْفُرُوا بِهِ وَيُرِيدُ الشَّيْطَانُ أَنْ يُضِلَّهُمْ ضَلالاً بَعِيداً}
‘‘আপনি কি তাদের দেখেননি যারা ধারণা করে যে, তারা আপনার প্রতি অবতীর্ণ এবং আপনার পূর্বে অবতীর্ণ ওয়াহীর প্রতি ঈমান এনেছে। তারা তাগুতকে বিচারক বলে মানতে চায়। অথচ তাদের সেটিকে অস্বীকার করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আর শয়তান তাদের সুদূর ভ্রান্তিতে ফেলতে চায়।’’ (সূরা নিসা ৬০)
তৃতীয়তঃ যে ব্যক্তি আল্লাহর বিধান বাদ দিয়ে অন্য কোন বিধান অনুযায়ী শাসন করে- এর প্রমাণ মহান আল্লাহর বাণী :
{وَمَنْ لَمْ يَحْكُمْ بِمَا أَنْزَلَ اللهُ فَأُولَئِكَ هُمُ الْكَافِرُونَ}
‘‘যারা আল্লাহর অবতীর্ণ বিধান অনুযায়ী শাসন করল না, তারাই কাফির।’’ (সূরা মায়িদাহ ৪৪)
লক্ষণীয় যে সব শায়খগণ কুরআন হাদীসের অপব্যাখ্যা করে এবং যঈফ, জাল হাদীসের কথা গোপন করছে যা আল্লাহর বিধান নয় এবং সেই বিধান তারা নিসাবের নামে কোটি কোটি মানুষের উপর চাপিয়ে দিয়েছে এবং তাতেই তারা সন্তুষ্ট, তারা কি তাগুতের উপরোক্ত সংজ্ঞার আওতায় আসে না?
চতুর্থতঃ যে আল্লাহ্কে বাদ দিয়ে গুপ্ত জ্ঞানের দাবী করে- এর প্রমাণ মহান আল্লাহর বাণী :
{عَالِمُ الْغَيْبِ فَلا يُظْهِرُ عَلَى غَيْبِهِ أَحَداً، إِلَّا مَنِ ارْتَضَى مِن رَّسُولٍ فَإِنَّهُ يَسْلُكُ مِن بَيْنِ يَدَيْهِ وَمِنْ خَلْفِهِ رَصَدًا}
‘‘তিনি অদৃশ্যের জ্ঞানী। পরন্তু তিনি অদৃশ্য বিষয় কারো কাছে প্রকাশ করেন না, তাঁর মনোনীত রসূল ব্যতীত। তখন তিনি তার অগ্রে ও পশ্চাতে প্রহরী নিযুক্ত করেন’’। (সূরা জ্বীন ২৬-২৭)
আরো দেখুন, সূরা আল-আন‘আম ৫৯ নং আয়াতে।
পাঠক এই গ্রন্থের ‘ইল্মে গায়িবের প্রসঙ্গ পড়ে দেখুন। যে সমস্ত শায়খ মানুষের মধ্যে গায়িবের জ্ঞান ধারণা করেন এবং জনগণকে তার প্রতি বিশ্বাস করার জন্য গ্রন্থ লিখেছেন এবং মাসজিদ থেকে কুরআনের দারস্ বিদায় দিয়ে তাদের কথিত নিসাব চালু করেছেন যার মধ্যে উক্ত গায়িবের জ্ঞানের কথা ওলী আউলিয়া ও সূফীদের সাথে সংশ্লিষ্ট বলে মানুষকে ধারণা দেয়া হয়েছে তারা কি উক্ত তাগুতের আওতায় পড়ে না?
পঞ্চমত : আল্লাহ্কে বাদ দিয়ে যার ‘ইবাদাত করা হয় এবং সেই উপাস্য ঐ ‘ইবাদাতে সন্তুষ্ট। প্রমাণ মহান আল্লাহর বাণী :
{وَمَنْ يَقُلْ مِنْهُمْ إِنِّي إِلَهٌ مِنْ دُونِهِ فَذَلِكَ نَجْزِيهِ جَهَنَّمَ كَذَلِكَ نَجْزِي الظَّالِمِينَ }
‘‘আর তাদের মধ্যে যে ব্যক্তি বলে তিনি ছাড়া আমিই মা’বূদ আমি তাকে প্রতিফল হিসাবে জাহান্নাম দিব। এমনিভাবেই আমি অত্যাচারীদের প্রতিফল দেই।’’ (সূরা আম্বিয়া ২৯)
পাঠক জেনে রাখুন, মানুষ তাগুতকে অস্বীকার না করা পর্যন্ত আল্লাহর প্রতি ঈমান আনতে পারবে না। মহান আল্লাহ বলেন :
{فَمَنْ يَكْفُرْ بِالطَّاغُوتِ وَيُؤْمِنْ بِاللهِ فَقَدِ اسْتَمْسَكَ بِالْعُرْوَةِ الْوُثْقَى لاَ انْفِصَامَ لَهَا وَاللهُ سَمِيعٌ عَلِيمٌ}
‘‘যে ব্যক্তি তাগুতকে অস্বীকার করল এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান আনল সে অবশ্যই সুদৃঢ় হাতলকে ধারণ করল যা ভাঙ্গার নয়। আর আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞাত।’’ (সূরা বাক্বারাহ ২৫৬)
পাঠক লক্ষ্য করুন শাইখতো طاغوت শব্দের অর্থ মূর্তি করেছেন- বিশ্ব বরেণ্য মুফাস্সিরগণ কি করেছেন।
* ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত আল-কুরআনুল কারীমে উক্ত আয়াতের অনুবাদ করা হয়েছে এভাবে- ‘‘যে তাগুতকে অস্বীকার করবে ও আল্লাহর প্রতি ঈমান আনবে সে এমন একটি মজবুত হাতল ধরবে যা কখনও ভাঙ্গবে না।’’ তিনি টীকায় লিখেছেন, তাগুত মানে সীমালঙ্ঘনকারী, দৃষ্কৃতির মূল বস্তু যা মানুষকে বিভ্রান্ত করে।
* আশরাফ আলী থানবী (রহ.) লিখেছেন, সুতরাং যে ব্যক্তি শয়তানকে অমান্য করে এবং আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে সে আঁকড়ে ধরল এমন শক্ত কড়া যার কোন প্রকার বিচ্ছিন্নতা নাই।
* আশরাফ আলী থানবীর খলীফা মুফতী সূফী সাহেব মারেফুল কুরআনে এ আয়াতের অনুবাদ লিখেছেন ‘এখন যারা গোমরাহকারী তাগুতদেরকে মানবে না এবং আল্লাহ্তে বিশ্বাস স্থাপন করবে, সে ধারণ করে নিয়েছে সুদৃঢ় হাতল যা ভাঙ্গবার নয়’।
* সাইয়িদ আবুল ‘আলা মওদূদী (রহ.) এ আয়াতের অনুবাদে লিখেছেন, ‘এখন যে কেউ তাগুতকে অস্বীকার করে আল্লাহর প্রতি পূর্ণ ঈমান এনেছে, সে এমন এক শক্তিশালী অবলম্বন ধরেছে, যা কখনও ছিড়ে যাবার নয়। আর তিনি টীকায় লিখেছেন, এখানে তাগুত শব্দটি একবচন হলেও অর্থ বহুবচনের। মানুষ শুধু একটি তাগুতেরই শিকার হয় না, বরং অসংখ্য তাগুত তাকে আক্রমণ করে। যেমন এক তাগুত হল শয়তান, তারা লোভ-লালসা ও কুমন্ত্রণা দিয়ে আক্রমণ করে। আরেক তাগুত নফস্। তারপর ধর্মীয় নেতা, রাজনৈতিক নেতা, রাষ্ট্র ও সরকার- শাসন যন্ত্রের কর্মচারী, বংশ-গোত্র, যারা প্রত্যেকেই নিজের স্বার্থের দাসত্ব করিয়ে থাকে। এরা সবাই তাগুতের অন্তর্ভুক্ত।
* শব্দার্থে কুরআন মাজীদের অনুবাদক মতিউর রহমান খান লিখেছেন- অতঃপর যে অস্বীকার করবে আল্লাদ্রোহীকে আর যে ঈমান আনবে আল্লাহর প্রতি সে এমন এক রজ্জু ধারণ করল যা কখনও ছিড়ে যাবার নয়।
* সর্বশেষে লক্ষ্য করুন, বিশ্বনন্দিত মুফাস্সিরে হাফিয আল্লামা ইমাদুদ্দ্বীন ইবনু কাসীর (রহ.) এ আয়াতের অর্থ করেছেন, অতএব যে ব্যক্তি শয়তানকে অবিশ্বাস করে এবং আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে সে দৃঢ়তর রজ্জুকে আঁকড়ে ধরল, যা কখনও ছিন্ন হবার নয়।
এ আয়াতের পূর্বাংশে আল্লাহ বলেছেন যে, “বিচার-বুদ্ধিসম্পন্ন পথ, ভ্রষ্ট-পথ থেকে স্পষ্ট হয়েছে”। ‘বিচার-বুদ্ধি সম্পন্ন পথ’ বলতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর দীনকে, আর ‘ভ্রান্ত-পথ’ বলতে আবু জাহলের দীন, আর এর পরবর্তী আয়াতের ‘মজবুত রশি বা রজ্জু’ দ্বারা লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ (বা আল্লাহ ছাড়া হক কোন উপাস্য নেই) এ সাক্ষ্য প্রদানকে বুঝিয়েছেন।
‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ এ কলেমা কিছু জিনিসকে নিষেধ করে, এবং কিছু বস্তুকে সাব্যস্ত করে, সকল প্রকার ইবাদতকে আল্লাহর ছাড়া অন্যের জন্য হওয়া নিষেধ করে। শুধুমাত্র লা-শরীক আল্লাহর জন্য সকল প্রকার ইবাদতকে নির্দিষ্ট করে।
“আল্লাহর জন্যই সমস্ত শোকর, যার নেয়ামত ও অনুগ্রহেই যাবতীয় ভাল কাজ সম্পন্ন হয়ে থাকে।
সম্মানিত পাঠক! লক্ষ্য করুন, আল্লামা ইবনু কাসীর (রহ.) বলেন, طاغوت শব্দের ভাবার্থ হচ্ছে শয়তান [যা তিনি গ্রহণ করেছেন সূরা ইয়াসীনের ৬০ নং আয়াত এবং ইবনু ‘উমার (রাযি.)-এর কওল থেকে]। তিনি বলেন, ‘উমার (রাযি.)-এর طاغوت অর্থ ‘শয়তান’ নেয়া যথার্থই হয়েছে। কেননা, সব মন্দ কার্যই এর অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যেগুলো অজ্ঞতা যুগের লোকদের মধ্যে বিদ্যমান ছিল। যেমন প্রতিমা পূজা, তাদের কাছে অভাব-অভিযোগ পেশ করা এবং বিপদের সময় তাদের নিকট সাহায্য চাওয়া ইত্যাদি- (ইবনু কাসীর ৭১৪ পৃঃ)। এ কিতাবে তাগুতের যে সংজ্ঞা আমরা দিয়েছি তাতে আপনারা লক্ষ্য করেছেন, আল্লাহ্কে বাদ দিয়ে যে কোন উপাস্যরূপী, অনুসরণীয় অনুকরণীয় ব্যক্তি যার ‘ইবাদাত করা হয় এবং এতে সে সন্তুষ্ট হয়, তাকেই তাগুত বলা হয়। উল্লেখ্য মূর্তির পূজা করলে মূর্তি সন্তুষ্ট হয় না। কারণ তার অন্তকরণ নেই এটাতো মানুষের তৈরী। যা শয়তানের প্ররোচনায় সর্বপ্রথম নূহ (‘আ.)-এর যুগে তৈরী হয়। যার মূলত কোন অনুভূতি নেই।
এবার সম্মানিত পাঠকবর্গই বলুন, উক্ত আয়াতের যে অনুবাদ বিশ্বনন্দিত মুফাস্সিরগণ করেছেন তার সাথে অনুবাদকের আদৌ মিল আছে কি? তাছাড়া উক্ত সূরার বিষয়বস্তু, প্রেক্ষাপট এবং আয়াতটির পূর্বাপর বাণী পড়ে দেখুন অনুবাদক সাহেবের অনুবাদকৃত কথার সাথে এর কোন সম্পর্ক আছে কি না? আর তার অনুবাদ কুরআনের অর্থ বিকৃতির পর্যায়ে পড়ে কি না তাও বিচার করুন এবং ভেবে দেখুন তার এ ধৃষ্টতা অমার্জনীয় অপরাধ কি না?