জান্নাতে কি স্ত্রী তার স্বামীর সঙ্গে থাকবে

প্রশ্ন: জান্নাতে কি স্ত্রী তার স্বামীর সঙ্গে থাকবে? যদি স্বামী ও স্ত্রী জান্নাতে ভিন্ন মর্যাদায় অবস্থান করেন তবে তারা কীভাবে একত্রিত হবেন? যে নারীর একাধিক বিবাহ হয়েছে তিনি জান্নাতি হলে কার সাথে থাকবেন?
▬▬▬▬▬▬▬✿◈✿▬▬▬▬▬▬▬
ভূমিকা: পরম করুণাময় অসীম দয়ালু মহান আল্লাহ’র নামে শুরু করছি। যাবতীয় প্রশংসা জগৎসমূহের প্রতিপালক মহান আল্লাহ’র জন্য। শতসহস্র দয়া ও শান্তি বর্ষিত হোক প্রাণাধিক প্রিয় নবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ’র প্রতি। অতঃপর আল্লাহ তাআলা এ দুনিয়ার ধ্বংস এবং দুনিয়াবাসীর মৃত্যু নির্ধারণ করে রেখেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন: “ভূপৃষ্ঠের সবকিছুই ধ্বংসশীল। একমাত্র সম্মান ও শ্রদ্ধাযোগ্য আপনার প্রতিপালকের চেহারা ছাড়া।”।[সূরা আর-রহমান, আয়াত: ২৬-২৭] তিনি আরও বলেন: “প্রত্যেক প্রাণ মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদনকারী। এরপর তাদেরকে আমার দিকেই ফিরে আসতে হবে।”[সূরা আল-আনকাবুত, আয়াত: ৭৫] এরপর আল্লাহ তাআলা মানুষকে পুনরুত্থিত করবেন। এবং তাদেরকে চিরস্থায়ী জীবন দান করবেন; যার কোন শেষ নেই। প্রত্যেকের আমল অনুযায়ী তাদের হিসাব নিবেন। নেককারকে তার নেকি অনুপাতে প্রতিদান দিবেন। বদকারকে তার বদ অনুযায়ী প্রতিদান দিবেন। এরপর মানুষ দুই ভাগ হয়ে যাবে। একভাগ জান্নাতে যাবে; অপরভাগ জাহান্নামে যাবে। জান্নাতবাসী চিরস্থায়ী জান্নাতে থাকবে। জাহান্নামবাসী চিরস্থায়ী জাহান্নামে থাকবে।
.
▪️জান্নাতে কি স্ত্রী তার স্বামীর সঙ্গে থাকবে?
.
কুরআন-সুন্নাহর দলিলগুলো প্রমাণ করছে যে দুনিয়ায় একসঙ্গে বসবাসকারী স্বামী-স্ত্রী তাদের মৃত্যুর পর উভয়ে জান্নাতী হলে তারা জান্নাতে একসঙ্গে থাকবেন এবং যদি তাদের সন্তান-সন্ততি ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে তাহলে তারাও জান্নাতে একসাথে থাকার সুযোগ পাবেন। মহান আল্লাহ বলেন,جَنَّاتُ عَدْنٍ يَدْخُلُونَهَا وَمَن صَلَحَ مِنْ آبَائِهِمْ وَأَزْوَاجِهِمْ وَذُرِّيَّاتِهِمْ ۖ وَالْمَلَائِكَةُ يَدْخُلُونَ عَلَيْهِم مِّن كُلِّ بَابٍ “জান্নাতে আদন (অনন্তকাল বসবাসের জান্নাত)। তাতে তারা প্রবেশ করবে এবং তাদের সৎকর্মশীল বাপ-দাদা, স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানেরা। ফেরেশতারা তাদের কাছে আসবে প্রত্যেক দরজা দিয়ে।” (সূরা রা’দ: ২৩) এই আয়াতটি প্রমাণ করে যদি স্বামী-স্ত্রী উভয়েই জান্নাতপ্রাপ্ত হন, তবে তারা একত্রে থাকবেন। অপর আয়াতে আল্লাহ আরো বলেছেন:وَ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَ اتَّبَعَتۡهُمۡ ذُرِّیَّتُهُمۡ بِاِیۡمَانٍ اَلۡحَقۡنَا بِهِمۡ ذُرِّیَّتَهُمۡ وَ مَاۤ اَلَتۡنٰهُمۡ مِّنۡ عَمَلِهِمۡ مِّنۡ شَیۡءٍ “আর যারা ঈমান আনে, আর তাদের সন্তান-সন্ততি ঈমানে তাদের অনুগামী হয়, আমরা তাদের সাথে মিলিত করব তাদের সন্তান-সন্ততিকে এবং তাদের কর্মফল আমরা একটুও কমাবো না”।(সূরা তূর: ২১) অর্থাৎ যারা ঈমানদার এবং তাদের সন্তানগণও ঈমানে তাদের অনুগামী, আমরা তাদের সন্তানদেরকে জান্নাতে তাদের সাথে মিলিত করে দেব। পবিত্র কুরআনের অন্যান্য স্থানেও এ ওয়াদা করা হয়েছে। যেমন, সূরা আর রা’দ এর ২৩ এবং সূরা গাফির এর ৮ নং আয়াত। ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা বলেন, আল্লাহ তা’আলা সৎকর্মপরায়ণ মুমিনদের সন্তান-সন্ততিকেও তাদের সম্মানিত পিতৃপুরুষদের মর্তবায় পৌঁছিয়ে দেবেন, যদিও তারা কর্মের দিক দিয়ে সেই মর্তবার যোগ্য না হয়- যাতে সম্মানিত মুরব্বীদের চক্ষুশীতল হয়। অপর আয়াতে আরো বলা হয়েছে যে,ফেরেশতারা আরশ বহন করে আল্লাহর কাছে এই দোয়া করেন—رَبَّنَا وَ اَدۡخِلۡهُمۡ جَنّٰتِ عَدۡنِۣ الَّتِیۡ وَعَدۡتَّهُمۡ وَ مَنۡ صَلَحَ مِنۡ اٰبَآئِهِمۡ وَ اَزۡوَاجِهِمۡ وَ ذُرِّیّٰتِهِمۡ ؕ اِنَّكَ اَنۡتَ الۡعَزِیۡزُ الۡحَكِیۡمُ ۙ”হে আমাদের রব! আর আপনি তাদেরকে প্রবেশ করান স্থায়ী জান্নাতে যার প্রতিশ্রুতি আপনি তাদেরকে দিয়েছেন এবং তাদের পিতামাতা, পতি-পত্নী ও সন্তান-সন্ততিদের মধ্যে যারা সৎকাজ করেছে তাদেরকেও৷ নিশ্চয়ই আপনি পরাক্রমশালী, প্ৰজ্ঞাময়”।(সূরা গাফির/মুমিনুন: ৮)
.
উক্ত আয়াতের তাফসিরে ইমাম ইবনু কাসীর (রাহিমাহুল্লাহ) [জন্ম: ৭০১ মৃত: ৭৭৪ হি.] বলেছেন;

أي : اجمع بينهم وبينهم لتقر بذلك أعينهم بالاجتماع في منازل متجاورة كما قال تبارك وتعالى وَالَّذِينَ آمَنُوا وَاتَّبَعَتْهُمْ ذُرِّيَّتُهُمْ بِإِيمَانٍ أَلْحَقْنَا بِهِمْ ذُرِّيَّتَهُمْ وَمَا أَلَتْنَاهُمْ مِنْ عَمَلِهِمْ مِنْ شَيْءٍ ، أي : ساوينا بين الكل في المنزلة لتقر أعينهم وما نقصنا العالي حتى يساوي الداني بل رفعنا ناقص العمل ، فساويناه بكثير العمل تفضلا منا ومنة ، وقال سعيد بن جبير : إن المؤمن إذا دخل الجنة سأل عن أبيه وابنه وأخيه أين هم فيقال إنهم لم يبلغوا طبقتك في العمل ، فيقول : إني إنما عملت لي ولهم فيلحقون به في الدرجة

“অর্থাৎ, এদের সকলকে জান্নাতের একই জায়গায় স্থান দাও; যাতে তারা একসঙ্গে থাকতে পারে এবং একে অপরের সান্নিধ্যে আনন্দ উপভোগ করতে পারে। যেমন আল্লাহ বলেন— ‘‘যারা ঈমান আনে আর তাদের সন্তুান-সন্ততি ঈমানে তাদের অনুগামী হয়, আমি তাদেরকে তাদের পিতৃপুরুষদের সাথে মিলিত করে দেব এবং তাদের সন্তান-সন্ততিকে এবং তাদের কর্মফল আমি কিছুমাত্র হ্রাস করব না।’’(সূরা ত্বূরঃ ২১) অর্থাৎ,আমি সকলকে জান্নাতে এমনভাবে একত্রিত করব যাতে তাদের চক্ষু শীতল হয়। তবে এতে উচ্চ মর্যাদার ব্যক্তির কোনো ঘাটতি হবে না; বরং নিম্ন মর্যাদার ব্যক্তিকে উন্নীত করা হবে, যাতে তারা অধিক আমলকারীদের সমকক্ষ হয়। এটি আমার অনুগ্রহ ও দয়া।সাঈদ ইবন জুবাইর (রহ.) বলেন: যখন কোনো মুমিন জান্নাতে প্রবেশ করবে, সে তার পিতা, সন্তান ও ভাইদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবে— “তারা কোথায়?” তখন তাকে জানানো হবে— “তারা তোমার মতো উচ্চ মর্যাদায় পৌঁছেনি।” তখন সে বলবে— “আমি তো শুধু নিজের জন্য নয়, তাদের জন্যেও সৎকর্ম করেছি।’’ এরপর আল্লাহ তাদেরও তার মর্যাদায় উন্নীত করে দেবেন”।(তাফসিরে ইবনু কাসীর খণ্ড: ৪; পৃষ্ঠা: ৭৩)
.
দুনিয়াতে যারা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর স্ত্রী ছিলেন আখিরাতেও তাঁরাই হবেন তাঁর স্ত্রী। অন্য কেউ নয়। আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) হতে বর্ণিত,إِنَّ جِبْرِيْلَ جَاءَ بِصُوْرَتِهَا فِيْ خِرْقَةِ حَرِيْرٍ خَضْرَاءَ إِلَى رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ هَذِهِ زَوْجَتُكَ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ.”একদা জিবরীল (আলাইহিস সালাম) আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা)-এর আকৃতির ন্যায় একজনকে সবুজ বর্ণের রেশমী কাপড়ে পেচিয়ে এনে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বললেন, ইনি দুনিয়া ও আখেরাতে আপনার স্ত্রী হবেন”।(তিরমিযী, হা/৩৮৮০; সহীহ ইবনু হিব্বান হা/৭০৯৪; সনদ বিশুদ্ধ) অপর বর্ননায় এসেছে রাসূল (ﷺ) আয়েশা (রাঃ)-কে বলেন, তুমি কি সন্তুষ্ট নও যে, তুমি দুনিয়া ও আখেরাতে আমার স্ত্রী হয়ে থাকবে? তিনি বললেন, জি হ্যাঁ। তখন নবী (ﷺ) বললেন, তুমি ইহকালে ও পরকালে আমার স্ত্রী” (সিলসিলা সহীহাহ হা/২২৫৫)।
.
সর্বোচ্চ ‘উলামা পরিষদের সম্মানিত সদস্য, বিগত শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ফাক্বীহ, মুহাদ্দিস, মুফাসসির ও উসূলবিদ, আশ-শাইখুল ‘আল্লামাহ, ইমাম মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-‘উসাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৪২১ হি./২০০১ খ্রি.]-কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল: “যদি স্বামী-স্ত্রী উভয়ই নেককার হন এবং জান্নাতের অধিবাসী হন তাহলে কি তারা জান্নাতেও স্বামী-স্ত্রী হিসেবে থাকবে?”

জবাবে শাইখ বলেন:

نعم هذا صحيح أنه إذا مات رجل وزوجته وكانا من أهل الجنة فإنها تبقى زوجةً له، قال الله تعالى: ﴿رَبَّنَا وَأَدْخِلْهُمْ جَنَّاتِ عَدْنٍ الَّتِي وَعَدْتَهُمْ وَمَنْ صَلَحَ مِنْ آبَائِهِمْ وَأَزْوَاجِهِمْ وَذُرِّيَّاتِهِمْ إِنَّكَ أَنْتَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ﴾[غافر: 8]. وقال تعالى: ﴿وَالَّذِينَ آمَنُوا وَاتَّبَعَتْهُمْ ذُرِّيَّتُهُمْ بِإِيمَانٍ أَلْحَقْنَا بِهِمْ ذُرِّيَّتَهُمْ وَمَا أَلَتْنَاهُمْ مِنْ عَمَلِهِمْ مِنْ شَيْءٍ كُلُّ امْرِئٍ بِمَا كَسَبَ رَهِينٌ﴾[الطور: 21]. والذرية شاملة لذرية الزوج والزوجة، فإذا كان الله يلحق بالمؤمنين ذرياتهم فمعنى ذلك أن الزوج والزوجة يكونان سواءً، ويلحق الله بهما ذريتهما، وهذا من كمال النعيم الذي في الجنة، فإنها فيها ما لا عينٌ رأت ولا أذنٌ سمعت ولا خطر على قلب بشر، وفيها ما تشتهيه الأنفس وتلذ الأعين، وهذا من كمال النعيم كما قلت.
المصدر:

“হ্যা এটি প্রমাণিত যে যদি স্বামী-স্ত্রী উভয়ই ঈমানদার ও সৎকর্মশীল হন এবং জান্নাতে প্রবেশের সৌভাগ্য লাভ করেন তাহলে তারা জান্নাতেও একসঙ্গে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে থাকবে। আল্লাহ বলেন: “হে আমাদের পালনকর্তা, আর তাদেরকে দাখিল করুন চিরকাল বসবাসের জান্নাতে, যার ওয়াদা আপনি তাদেরকে দিয়েছেন এবং তাদের বাপ-দাদা, পতি-পত্নী ও সন্তানদের মধ্যে যারা সৎকর্ম করে তাদেরকে। নিশ্চয় আপনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।”(সূরা গাফির/মুমিনুন: ৮) আল্লাহ আরও বলেন:“যারা ইমানদার এবং যাদের সন্তানরা ঈমানে তাদের অনুগামী, আমি তাদেরকে তাদের পিতৃপুরুষদের সাথে মিলিত করে দেব এবং তাদের আমল বিন্দুমাত্রও হ্রাস করব না। প্রত্যেক ব্যক্তি নিজ কৃত কর্মের জন্য দায়ী।”(সূরা তুর: ২১) এই আয়াতে ‘সন্তান’ বলতে স্বামী ও স্ত্রীর সন্তানদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যখন আল্লাহ মুমিনদের সাথে তাদের সন্তানদের মিলিয়ে দেবেন তখন এর অর্থ হলো স্বামী ও স্ত্রী একত্রে থাকবেন, আর আল্লাহ তাদের সাথে তাদের সন্তানদেরও সংযুক্ত করবেন। এটি জান্নাতের পরিপূর্ণ সুখের অংশ, যেখানে এমন কিছু থাকবে যা কোনো চোখ দেখেনি, কোনো কান শোনেনি, এবং কোনো মানুষের হৃদয়ে কল্পনায়ও আসেনি।”সেখানে নফসের সকল ইচ্ছা পূরণ হবে এবং যা কিছু চোখের জন্য আনন্দদায়ক তা উপভোগ করা যাবে। এটি জান্নাতের পরিপূর্ণ আনন্দ ও শান্তির অংশ”।(ইবনু উসাইমীন, ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ দারব, মাজমূঊ ফাতাওয়া ওয়া রাসাইল, খণ্ড: ২; পৃষ্ঠা: ৫৩ ইসলাম সওয়াল-জবাব ফাতাওয়া নং-২২০৪২১)
.
▪️যদি স্বামী ও স্ত্রী জান্নাতে ভিন্ন মর্যাদায় অবস্থান করেন তাহলে তারা কীভাবে একত্রিত হবেন?
.
কুরআন ও হাদিসের কিছু বর্ণনা ইঙ্গিত দেয় যে, যদি স্বামী বা স্ত্রী জান্নাতে একে অপরের তুলনায় নিম্নতর স্তরে থাকে, তবে আল্লাহর অনুগ্রহে তাদের একত্রিত করা হবে।যেমন: মহান আল্লাহ বলেন:”জান্নাতে আদন (অনন্তকাল বসবাসের জান্নাত)। তাতে তারা প্রবেশ করবে এবং তাদের সৎকর্মশীল বাপ-দাদা, স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানেরা। ফেরেশতারা তাদের কাছে আসবে প্রত্যেক দরজা দিয়ে।” (সূরা রা’দ: ২৩) আরেক আয়াতে আল্লাহ বলেন:”হে আমাদের রব! আর আপনি তাদেরকে প্রবেশ করান স্থায়ী জান্নাতে যার প্রতিশ্রুতি আপনি তাদেরকে দিয়েছেন এবং তাদের পিতামাতা, পতি-পত্নী ও সন্তান-সন্ততিদের মধ্যে যারা সৎকাজ করেছে তাদেরকেও ৷ নিশ্চয়ই আপনি পরাক্রমশালী, প্ৰজ্ঞাময়”।(সূরা গাফির/মুমিনুন: ৮) এই আয়াতগুলো ইঙ্গিত দেয় যে জান্নাতে পরিবারকে একত্রিত করা হবে যেন তারা একে অপরকে দেখে আনন্দিত হয়।
.
ইমাম ইবনু কাসীর (রাহিমাহুল্লাহ) [জন্ম: ৭০১ মৃত: ৭৭৪ হি.] বলেছেন:

أي : يجمع بينهم وبين أحبابهم فيها من الآباء والأهلين والأبناء ، ممن هو صالح لدخول الجنة من المؤمنين ؛ لتقر أعينهم بهم ، حتى إنه ترفع درجة الأدنى إلى درجة الأعلى ، من غير تنقيص لذلك الأعلى عن درجته ، بل امتنانا من الله وإحسانا ، كما قال تعالى : ( وَالَّذِينَ آمَنُوا وَاتَّبَعَتْهُمْ ذُرِّيَّتُهُمْ بِإِيمَانٍ أَلْحَقْنَا بِهِمْ ذُرِّيَّتَهُمْ وَمَا أَلَتْنَاهُمْ مِنْ عَمَلِهِمْ مِنْ شَيْءٍ كُلُّ امْرِئٍ بِمَا كَسَبَ رَهِينٌ ) الطور/21 ”

অর্থাৎ আল্লাহ জান্নাতবাসীদের সাথে তাদের জান্নাতের উপযুক্ত ইমানদার বাপ-দাদা, পরিবার-পরিজন, সন্তান-সন্তুতি ইত্যাদি প্রিয়জনদেরকে একত্রিত করবেন-যেন তাদের চক্ষুশীতল হয়। এমনকি নিম্নস্তরের জান্নাতিকে উচ্চস্তরে উন্নীত করবেন। উচ্চস্তরের জান্নাতির মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করা হবে না। এটি আল্লাহ পক্ষ থেকে দয়া ও অনুগ্রহ। যেমন: আল্লাহ তাআলা বলেন,“যারা ইমানদার এবং যাদের সন্তানরা ঈমানে তাদের অনুগামী, আমি তাদেরকে তাদের পিতৃপুরুষদের সাথে মিলিত করে দেব এবং তাদের আমল বিন্দুমাত্রও হ্রাস করব না। প্রত্যেক ব্যক্তি নিজ কৃত কর্মের জন্য দায়ী।”(সূরা তুর: ২১; তাফসিরে ইবনে কাসির, খণ্ড: ৪; পৃষ্ঠা: ৪৫১)
.
ইবনে আব্বাস (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্নিত রাসূল ﷺ বলেছেন:( إذا دخل الرجل الجنة سأل عن أبويه وزوجته وولده فيقال إنهم لم يبلغوا درجتك وعملك فيقول : يا رب قد عملت لي ولهم فيؤمر بإلحاقهم به ) ، وقرأ ابن عباس رضي الله عنهما : ( وَالَّذِينَ آمَنُوا وَاتَّبَعَتْهُمْ ذُرِّيَّتُهُمْ بِإِيمَانٍ أَلْحَقْنَا بِهِمْ ذُرِّيَّتَهُمْ وَمَا أَلَتْنَاهُمْ مِنْ عَمَلِهِمْ مِنْ شَيْءٍ ) الطور/21 “যখন কোনো ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে, তখন সে তার পিতা-মাতা, স্ত্রী ও সন্তানদের সম্পর্কে জানতে চাইবে। তখন তাকে জানানো হবে, ‘তারা তোমার মর্যাদায় পৌঁছাতে পারেনি।’ তখন সে বলবে, ‘হে আমার প্রতিপালক! আমি আমার জন্য এবং তাদের জন্য আমল করেছি।’ তখন আদেশ হবে, ‘তাদেরকেও তার সঙ্গে মিলিত করো।’” এরপর ইবনে আব্বাস (রাদিয়াল্লাহু আনহু) এই আয়াত তিলাওয়াত করেন: ‘আর যারা ঈমান এনেছে এবং তাদের সন্তান-সন্ততি ঈমানে তাদের অনুসরণ করেছে, আমি তাদেরকে তাদের সাথে মিলিত করে দেব এবং তাদের কর্মফল থেকে কিছুই কমাব না।’(সূরা আত-তূর: ২১; ত্বাবারাণী, আল-মু‘জামুল কাবীর; ১১/৪৪০;
আল-মু‘জামুল সাগীর”১/৩৮২; তবে এই বর্ননাটি সহীহ নয়। বিস্তারিত জানতে দেখুন সিলসিলাহ জয়ীফা হা/২৬০২)
.
▪️যে নারীর একাধিক বিবাহ হয়েছে তিনি জান্নাতি হলে কার সাথে থাকবেন?
.
সাধারণভাবে ইসলামী মতানুযায়ী যদি কোনো নারী একাধিক বিবাহ করে থাকেন এবং যদি তিনিসহ তার সকল স্বামী জান্নাতবাসী হয় তাহলে সে কার সাথে থাকবে? এ বিষয়ে আহলুল আলেমদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে এক্ষেত্রে সর্বমোট তিনটি অভিমত পাওয়া যায়।যার মধ্যে দুটি মত দুর্বল এবং একটি বিশুদ্ধ। যেমন:

(১). তাদের মধ্যে যার চরিত্র সবচেয়ে ভালো ছিল তার সাথে থাকবে। এটি একটি দুর্বল মত। এই মতের পক্ষে দলিল হচ্ছে, প্রখ্যাত সাহাবী আনাস ইবনু মালিক (রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু) [মৃত: ৯৩ হি.] হতে বর্ণিত, রাসূল (ﷺ) সম্মানীতা স্ত্রী আম্মাজান উম্মু হাবীবাহ (রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহা) বললেনرَسُولَ اللهِ اَلْمَرْأَةُ يَكُونُ لَهَا الزَّوْجَانِ فِي الدُّنْيَا ، ثُمَّ يَمُوتُونَ وَيَجْتَمِعُونَ فِي الْجَنَّةِ ، لِأَيِّهِمَا تَكُونُ ؟ لِلْأَوَّلِ أَوْ لِلْآخِرِ ؟ قَالَ : لِأَحْسَنِهِمَا خُلُقًا كَانَ مَعَهَا يَا أُمَّ حَبِيْبَةَ ، ذَهَبَ حُسْنُ الْخُلُقِ بِخَيْرِ الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ”ইয়া রাসুলাল্লাহ (ﷺ)! দুনিয়াতে একজন নারীর দু’ জন স্বামী ছিল। মৃত্যুর পর যখন তারা একত্রিত হবে তখন উক্ত নারী কার সাথে জান্নাতে যাবে? প্রথমজনের সাথে নাকি দ্বিতীয়জনের সাথে? রাসূল (ﷺ) বললেন, উম্মু হাবীবাহ! তার মধ্যে যার চরিত্র উত্তম হবে তার সাথে মহিলাটি জান্নাতে থাকবে। উত্তম চরিত্রের মধ্যে দুনিয়া ও আখিরাতের যাবতীয় কল্যাণ রয়েছে”।(তারীখু দামিশক, ৫/৩৭১: তাযকিরাতু আহওয়ালিল মাওতা ওয়া উমুরিল আখিরাহ, ৯৯৩ তাহক্বীক: হাদিসটি মুহাদ্দিসদের দৃষ্টিতে সহিহ নয়। ইবনে আদি, কায়সারানি সহ অনেক মুহাদ্দিস তাকে মুনকার (যা মারাত্মক পর্যায়ের জইফ/দুর্বল) বলেছেন। আর ইবনুল জাওযী বলেন এ হাদিসটি সহিহ নয়।
.
(২). তাকে স্বাধীনতা দেয়া হবে। সে তাদের মধ্যে যার সাথে থাকতে চাইবে তার সাথে থাকবে। এই মতের পক্ষে দলিল হচ্ছে, রাসূল (ﷺ)-এর সম্মানীতা স্ত্রী আম্মাজান উম্মু সালামা রা. বলেন, আমি বললাম:يَا رَسُولَ اللَّهِ، الْمَرْأَةُ مِنَّا تَتَزَوَّجُ الزَّوْجَيْنِ وَالثَّلَاثَةَ وَالْأَرْبَعَةَ، ثُمَّ تَمُوتُ فَتَدْخُلُ الْجَنَّةَ وَيَدْخُلُونَ مَعَهَا، مَنْ يَكُونُ زَوْجَهَا مِنْهُمْ؟ فَقَالَ: يَا أُمَّ سَلَمَةَ، إِنَّهَا تُخَيَّرُ، فَتَخْتَارُ أَحْسَنَهُمْ خُلُقًا، فَتَقُولُ: أَيْ رَبِّ، إِنَّ هَذَا كَانَ أَحْسَنَهُمْ مَعِي خُلُقًا فِي دَارِ الدُّنْيَا فَزَوِّجْنِيهِ، يَا أُمَّ سَلَمَةَ ذَهَبَ حُسْنُ الْخَلْقِ بِخَيْرِ الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ “ইয়া রাসুলাল্লাহ (ﷺ) ! দুনিয়াতে একজন মহিলার দুই, তিন বা চারবারও বিয়ে হয়ে থাকে। মৃত্যুর পর এই নারী যখন জান্নাতে যাবে তখন সেসব পুরুষও জান্নাতে যাবে। এমতাবস্থায় তাদের মধ্যে এই মহিলার স্বামী কে হবে? রাসূল (ﷺ) বললেন, হে উম্মু সালামাহ! উক্ত নারীকে ইচ্ছাধিকার দেয়া হবে। সে তাদের মধ্য হতে উত্তম চরিত্রের অধিকারীকে বেছে নিয়ে বলবে, ইয়া রব! এদের মধ্যে এই লোকটি দুনিয়াতে আমার সাথে ভালো ব্যবহার করেছে। আজ তার সাথে আমার বিয়ে করিয়ে দীন। উম্মু সালামাহ! উত্তম চরিত্রের মধ্যে দুনিয়া ও আখিরাতের যাবতীয় কল্যাণ নিহিত রয়েছে”। (তাবরানী মু’জামুল আওসাত, ৩১৪১; তাহক্কীক: সনদ জাল কারন সনদে সুলায়মান ইবনে আবী কুরাইবা রয়েছেন
.
(৩). সর্বশেষ স্বামীর সাথে থাকবে। সুন্নাহ’র দলিলের আলোকে এটিই অর্থাৎ তৃতীয় মতটি তুলনামূলক অধিক বিশুদ্ধ। কেননা এই মতের পক্ষে বর্নিত হাদীসগুলো অপেক্ষাকৃত বেশি সহীহ। যেমন হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসূল ﷺ বলেছেন:أيُّما امرأة تُوفي عنها زوجها فتزوجت فهي لآخر أزواجها”যে মহিলার স্বামী মৃত্যু বরণ করার পর অন্য স্বামীর সাথে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হয় সে তার শেষ স্বামীর জন্য” (সহীহুল জামে হা/২৭০৪; সিলসিলা সহিহা, হা/১২৮১; হাদীসটি সহীহ) অপর বর্ননায় প্রখ্যাত সাহাবী হুযাইফা (রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি তার স্ত্রীকে বলেন,إِنْ شِئْتِ أَنْ تَكُونِي زَوْجَتِي فِي الْجَنَّةِ، فَلَا تَزَوَّجِي بَعْدِي، فَإِنَّ الْمَرْأَةَ فِي الْجَنَّةِ لِآخِرِ أَزْوَاجِهَا فِي الدُّنْيَا، فَلِذَلِكَ ” حَرَّمَ اللهُ عَلَى أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُنْكَحْنَ بَعْدَهُ؛ لِأَنَّهُنَّ أَزْوَاجُهُ فِي الْجَنَّةِ “যদি তোমাকে এ বিষয়টি আনন্দিত করে যে, তুমি জান্নাতে আমার স্ত্রী হিসাবে থাকবে তবে আমার পর আর বিবাহ করো না। কেননা জান্নাতে নারী তার দুনিয়ার সর্বশেষ স্বামীর সঙ্গে থাকবেন। এ কারণেই আল্লাহ তাআলা রাসূল (ﷺ)-এর ওফাতের পর তাঁর সম্মানীতা স্ত্রীগণের জন্য অন্যত্রে বিবাহ হারাম করেছেন। কারণ তারা জান্নাতেও রাসূল (ﷺ)-এর সাথেই থাকবেন। (ইমাম বায়হাক্বী,সুনানে কুবরা হা/১৩৮০৩; সনদ হাসান গরীব) আরেক বর্ননায় এসেছে, প্রখ্যাত সাহাবী আবু দারদা (রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু) (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, রাসূল (ﷺ) বলেছেন, الْمَرْأَةَ لِآخِرِ أَزْوَاجِهَا ‘মহিলা তার সর্বশেষ স্বামীর জন্যই থাকবে”।সহীহুল জামে‘ হা/৬৬৯১; সিলসিলা সহীহাহ;৩/২৭৫) সুতরাং এ বিষয়ে বর্ণিত হাদিসগুলোর মধ্যে শেষোক্ত হাদিসগুলো তুলনামূলক অধিক নির্ভরযোগ্য।কারণ অনেক মুহাদ্দিসের মতে সেগুলো সহীহ। সুতরাং এ বিষয়ে ৩য় মতটি তুলনামূলক অধিক বিশুদ্ধ।
.
এখানে আমাদের মা-বোনদের আরো দুটি প্রশ্ন আসতে পারে আর তা হচ্ছে বিবাহের পূর্বেই মৃত্যুবরণকারীনী জান্নাতী হলে সেখানে তার স্বামী কে হবেন? যেহেতু হাদিসে রাসূল (ﷺ) বলেছেন:وَمَا فِي الْجَنَّةِ أَعْزَبُ ‏”‏ ‏.‏”জান্নাতের মধ্যে কেউ অবিবাহিত থাকবে না”।(সহীহ মুসলিম হা/৬৮৮৪) এই বিষয়ে যদিও সরাসরি দলিল পাওয়া যায় না তবে আমাদের ইমাম বিগত শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ফাক্বীহ, মুহাদ্দিস, মুফাসসির ও উসূলবিদ, আশ-শাইখুল ‘আল্লামাহ, ইমাম মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-‘উসাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৪২১ হি./২০০১ খ্রি.] বলেছেন: “যদি ইহকালে মহিলার বিবাহ না হয়ে থাকে তবে আল্লাহ তাকে জান্নাতে দুনিয়ার এমন একজন পুরুষের সঙ্গে বিবাহ দিবেন যা দেখে তার চোখ জুড়িয়ে যাবে। কেননা জান্নাতের নিয়ামত ও সুখসম্ভার শুধু পুরুষের জন্য নয়। বরং তা নারী ও পুরুষ উভয়ের জন্য বরাদ্দ। আর জান্নাতের নিয়ামত সমূহের একটি নিয়ামত হচ্ছে এই বিবাহ’।(ইবনু উসাইমীন; মাজমূঊ ফাতাওয়া ওয়া রাসাইল, খণ্ড: ২; পৃষ্ঠা: ৩৮) এ সম্পর্কে হাদীছে রয়েছে যা আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, রাসূল (ﷺ) বলেছেন,
إِنَّ أَوَّلَ زُمْرَةٍ تَدْخُلُ الْجَنَّةَ عَلَى صُورَةِ الْقَمَرِ لَيْلَةَ الْبَدْرِ وَالَّتِى تَلِيهَا عَلَى أَضْوَإِ كَوْكَبٍ دُرِّىٍّ فِى السَّمَاءِ لِكُلِّ امْرِئٍ مِنْهُمْ زَوْجَتَانِ اثْنَتَانِ يُرَى مُخُّ سُوقِهِمَا مِنْ وَرَاءِ اللَّحْمِ وَمَا فِى الْجَنَّةِ أَعْزَبُ-‘
“ক্বিয়ামতের দিন যে প্রথম দলটি জান্নাতে প্রবেশ করবে তাদের চেহারা হবে পূর্ণিমার চাঁদের ন্যায় উজ্জল। তারপর যারা জান্নাতে প্রবেশ করবে তাদের চেহারা হবে আকাশে প্রজ্জ্বলিত নক্ষত্রের ন্যায়। তাদের প্রত্যেকের জন্য দু’জন করে স্ত্রী থাকবে। যাদের গোশতের উপর দিয়েই তাদের পায়ের গোছার ভিতরের মগজ দেখা যাবে। আর জান্নাতে কোন অবিবাহিত থাকবে না”।(সহীহ মুসলিম হা/২৮৩৪) ইমাম মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-‘উসাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ) এ প্রসঙ্গে বলেন,”দুনিয়ায় যদি কোন মেয়ের বিবাহ না হয়ে থাকে তাহলে আল্লাহ তাকে জান্নাতে চক্ষুশীতলকারী (স্বামীর) সাথে বিবাহ দিবেন। আর জান্নাতী নিয়মিতরাজি শুধুমাত্র পুরুষের জন্য নয় তা পুরুষ ও নারী উভয়কে শামিল করে। আর এই নিয়ামতরাজির একটি হল বিবাহ”।(বিস্তারিত জানতে দেখুন: ইবনু উসাইমীন; মাজমূঊ ফাতাওয়া ওয়া রাসাইল, খণ্ড: ২; পৃষ্ঠা: ৩৮)
.
দ্বিতীয় আরেকটি প্রশ্ন হচ্ছে যে জান্নাতী নারী জান্নাতে যাবে কিন্তু তার স্বামী জাহান্নামী হলে ঐ নারীর অবস্থান কি হবে? জান্নাতে তার স্বামী কে হবেন? এই প্রশ্নের উত্তরে আমাদের ইমাম মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-‘উসাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ) বলেছেন: “মহিলা যদি জান্নাতবাসী হন আর তিনি বিবাহ না করেন কিংবা তার স্বামী জান্নাতী না হন সে ক্ষেত্রে তিনি জান্নাতে প্রবেশ করলে সেখানে অনেক পুরুষ দেখতে পাবেন যারা বিবাহ করেনি। অর্থাৎ তাদের কেউ তাকে বিবাহ করবেন”(ইবনু উসাইমীন; মাজমূঊ ফাতাওয়া ওয়া রাসাইল, খণ্ড: ২; পৃষ্ঠা: ৩৮)। পরিশেষে আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করি তিনি যেন সকল মুসলিম নর-নারীদের হেদায়াতের পথের পথিক বানিয়ে দেন ও প্রত্যেককে জান্নাতুল ফিরদাঊস দান করুন। আমীন!(আল্লাহই সবচেয়ে জ্ঞানী)।
▬▬▬▬▬▬✿▬▬▬▬▬▬▬
উপস্থাপনায়: জুয়েল মাহমুদ সালাফি।
সম্পাদনায়: উস্তায ইব্রাহিম বিন হাসান হাফি.।
অধ্যয়নরত, কিং খালিদ ইউনিভার্সিটি আবহা, সৌদি আরব।

Share: