ঘুমানোর আগে পঠিত সূরা সমূহ:
🛑 সূরা বাকারার শেষ দু আয়াত:
اٰمَنَ الرَّسُوْلُ بِمَاۤ اُنْزِلَ اِلَیْهِ مِنْ رَّبِّهٖ وَالْمُؤْمِنُوْنَ ؕ كُلٌّ اٰمَنَ بِاللّٰهِ وَمَلٰٓئِكَتِهٖ وَكُتُبِهٖ وَرُسُلِهٖ ۟ لَا نُفَرِّقُ بَیْنَ اَحَدٍ مِّنْ رُّسُلِهٖ ۟ وَقَالُوْا سَمِعْنَا وَاَطَعْنَا ٭۫ غُفْرَانَكَ رَبَّنَا وَاِلَیْكَ الْمَصِیْرُ ﴿۲۸۵﴾ لَا یُكَلِّفُ اللّٰهُ نَفْسًا اِلَّا وُسْعَهَا ؕ لَهَا مَا كَسَبَتْ وَعَلَیْهَا مَا اكْتَسَبَتْ ؕ رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذْنَاۤ اِنْ نَّسِیْنَاۤ اَوْ اَخْطَاْنَا ۚ رَبَّنَا وَلَا تَحْمِلْ عَلَیْنَاۤ اِصْرًا كَمَا حَمَلْتَهٗ عَلَی الَّذِیْنَ مِنْ قَبْلِنَا ۚ رَبَّنَا وَلَا تُحَمِّلْنَا مَا لَا طَاقَةَ لَنَا بِهٖ ۚ وَاعْفُ عَنَّا وَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا اَنْتَ مَوْلٰىنَا فَانْصُرْنَا عَلَی الْقَوْمِ الْكٰفِرِیْنَ ﴿۲۸۶﴾
উচ্চারণ: (২৮৫) আ-মানার রাসূলু বিমা- উনঝিলা ইলাইহি মির রব্বিহী ওয়াল মু’মিনূন। কুল্লুন আ-মানা বিল্লা-হি ওয়া মালা-ইকাতিহী ওয়াকুতুবিহী ওয়া রুসুলিহ, লা- নুফাররিক্বু বাইনা আহাদিম মির রুসুলিহ, ওয়াক্ব-লু সামি‘না- ওয়া আতা‘না- গুফ্রা-নাকা রব্বানা- ওয়া ইলাইকাল মাসীর। (২৮৬) লা ইয়ুকাল্লিফুল্লা-হু নাফ্সান ইল্লা উস‘আহা- লাহা- মা- কাসাবাত ওয়া আলাইহা- মাক্তাসাবাত রব্বানা- লা- তুআখিয্না- ইন নাসীনা- আও আখ্ত্বা’না-। রব্বানা- ওয়ালা- তাহ্মিল ‘আলাইনা- ইসরান কামা- ‘হামালতাহু ‘আলাল্লাযীনা মিন ক্বাবলিনা-। রব্বানা- ওয়ালা- তু’হাম্মিলনা- মা-লা- ত্বা-ক্বাতা লানা- বিহী। ওয়া‘ফু ‘আন্না- ওয়াগফির লানা- ওয়ার’হামনা- আনতা মাওলা-না- ফানসুরনা- ‘আলাল ক্বাউমিল কা-ফিরীন।
ফজিলত: রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেন: যে ব্যক্তি রাতের বেলা সূরা বাকারার শেষ দুটি আয়াত পড়বে, তা তার জন্য যথেষ্ট হবে।
রেফারেন্স: (বুখারী, ফাতহুল বারীসহ, ৯/৯৪, ৪০০৮; মুসলিম ১/৫৫৪, নং ৮০৭)
🛑 আয়াতুল কুরসী (১ বার):
اَللّٰهُ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ ۚ اَلْحَیُّ الْقَیُّوْمُ ۚ لَا تَاْخُذُهٗ سِنَةٌ وَّلَا نَوْمٌ ؕ لَهٗ مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَمَا فِی الْاَرْضِ ؕ مَنْ ذَا الَّذِیْ یَشْفَعُ عِنْدَهٗۤ اِلَّا بِاِذْنِهٖ ؕ یَعْلَمُ مَابَیْنَ اَیْدِیْهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ ۚ وَلَا یُحِیْطُوْنَ بِشَیْءٍ مِّنْ عِلْمِهٖۤ اِلَّا بِمَا شَآءَ ۚ وَسِعَ كُرْسِیُّهُ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضَ ۚ وَلَا یَئُوْدُهٗ حِفْظُهُمَا ۚ وَهُوَ الْعَلِیُّ الْعَظِیْمُ ﴿۲۵۵﴾
উচ্চারণ: আল্লা-হু লা- ইলা-হা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যূল ক্বাইয়্যূম। লা তা’খুযুহু সিনাতুঁও ওয়ালা নাউম। লাহূ মা-ফিসসামা-ওয়া-তি ওয়ামা ফিল আরদ্ব। মান যাল্লাযী ইয়াশফা‘উ ‘ইনদাহূ ইল্লা বিইযনিহ। ইয়া‘লামু মা বাইনা আইদীহিম ওয়ামা খালফাহুম। ওয়ালা ইয়ুহীতূনা বিশাইইম মিন্ ইলমিহী ইল্লা বিমা শাআ। ওয়াসি‘আ কুরসিয়্যুহুস সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদ্ব। ওয়ালা ইয়াউদুহূ হিফযুহুমা। ওয়া হুয়াল ‘আলিয়্যূল ‘আযীম।
ফজিলত: রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেন: “যে কেউ যখন রাতে আপন বিছানায় যাবে এবং ‘আয়াতুল কুরসী’ পড়বে, তখন সে রাতের পুরো সময় আল্লাহ্র পক্ষ থেকে তার জন্য হেফাযতকারী থাকবে; আর সকাল হওয়া পর্যন্ত শয়তান তার নিকটেও আসতে পারবে না।”
রেফারেন্স: (বুখারী, (ফাতহুল বারীসহ), ৪/৪৮৭, নং ২৩১১)
🛑 সূরা কাফিরূন (১ বার):
بِسْمِ اللّٰهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ قُلْ يَا اَيُّهَا الْكَافِرُوْنَ ﴿١﴾ لَا اَعْبُدُ مَا تَعْبُدُوْنَ ﴿٢﴾ وَلَا اَنْتُمْ عَابِدُوْنَ مَا اَعْبُدُ ﴿٣﴾ وَلَا اَنَا عَابِدٌ مَّا عَبَدْتُّمْ ﴿٤﴾ وَلَا اَنْتُمْ عَابِدُوْنَ مَا اَعْبُدُ ﴿٥﴾ لَكُمْ دِينُكُمْ وَلِيَ دِيْنِ ﴿٦﴾
উচ্চারণ: বিসমিল্লা-হির রাহমা-নির রাহি-ম। (১) ক্বু’ল ইয়া- আইয়্যুহাল কা-ফিরুন (২) লা- আ‘বুদু মা- তা’বুদুন (৩) ওয়ালা- আনতুম ‘আবিদুনা মা- আ’বুদ (৪) ওয়ালা- আনা- ‘আবিদুম মা- ‘আবাত্তুম (৫) ওয়ালা- আনতুম ‘আ-বিদুনা মা- আ’বুদ (৬) লাকুম দ্বীনুকুম ওয়ালিয়া দ্বীন।
ফজিলত: নাওফাল আল-আশজায়ী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাকে বলেছেন, তুমি সূরা কাফিরূন পড়ে ঘুমাবে, এ হচ্ছে তোমার শিরক থেকে বিমুক্তি।
রেফারেন্স: (তিরমিযীঃ ৩৪০৩)
🛑 সূরা ইখলাস (৩ বার):
بِسْمِ اللّٰهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ قُلْ هُوَ اللّٰهُ اَحَدٌ ﴿١﴾ اللّٰهُ الصَّمَدُ ﴿٢﴾ لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُوْلَدْ ﴿٣﴾ وَلَمْ يَكُنْ لَّهٗ كُفُوًا اَحَدٌ ﴿٤﴾
উচ্চারণ: বিসমিল্লা-হির রাহমা-নির রাহি-ম (১) ক্বুল হুওয়াল্লা-হু আহাদ। (২) আল্লাহুস্ সামাদ। (৩) লাম ইয়ালিদ ওয়া লাম ইউলাদ। (৪) ওয়া লাম ইয়াকুল্লাহু কুফুওয়ান আহাদ।
🛑 সূরা ফালাক (৩ বার):
بِسْمِ اللّٰهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ قُلْ اَعُوْذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ ﴿١﴾ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ ﴿٢﴾ وَمِن شَرِّ غَاسِقٍ اِذَا وَقَبَ ﴿٣﴾ وَمِنْ شَرِّ النَّفَّاثَاتِ فِى الْعُقَدِ ﴿٤﴾ وَمِن شَرِّ حَاسِدٍ اِذَا حَسَدَ ﴿٥﴾
উচ্চারণ: বিসমিল্লা-হির রাহমা-নির রাহি-ম। (১) ক্বুল আ‘উযু বিরব্বিল ফালাক্ব। (২) মিন শাররি মা খালাক্ব। (৩) ওয়া মিন শাররি গা-সিক্বিন ইযা ওয়াক্বাব। (৪) ওয়া মিন শাররিন নাফফা-সা-তি ফিল ‘উক্বাদ। (৫) ওয়া মিন শাররি ‘হা-সিদিন ইযা ‘হাসাদ।
🛑 সূরা নাস (৩ বার):
بِسْمِ اللّٰهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ قُلْ اَعُوْذُ بِرَبِّ النَّاسِ ﴿١﴾ مَلِكِ النَّاسِ ﴿٢﴾ اِلٰهِ النَّاسِ ﴿٣﴾ مِن شَرِّ الْوَسْوَاسِ الْخَنَّاسِ ﴿٤﴾ الَّذِىْ يُوَسْوِسُ فِىْ صُدُوْرِ النَّاسِ ﴿٥﴾ مِنَ الْجِنَّةِ وَالنَّاسِ ﴿٦﴾
উচ্চারণ: বিসমিল্লা-হির রাহমা-নির রাহি-ম। (১) ক্বুল ‘আউযু বিরাব্বিন্না-স। (২) মালিকিন্না-স, (৩) ইলা-হিন্না-স, (৪) মিন শাররিল ওয়াসওয়া-সিল খান্না-স, (৫) আল্লাযি ইউওয়াসউইসু ফী সুদূরিন না-স, (৬) মিনাল জিন্নাতি ওয়ান্না-স।
’আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, প্রতি রাতে নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিছানায় যাওয়ার প্রাক্কালে সূরাহ ইখ্লাস, সূরাহ ফালাক ও সূরাহ নাস পাঠ করে দু’হাত একত্র করে হাতে ফুঁক দিয়ে যতদূর সম্ভব সমস্ত শরীরে হাত বুলাতেন। মাথা ও মুখ থেকে আরম্ভ করে তাঁর দেহের সম্মুখ ভাগের উপর হাত বুলাতেন এবং তিনবার এরূপ করতেন।
রেফারেন্স: (বুখারীঃ ৫০১৭)
ঘুমানোর আগে পঠিত দোয়া সমূহ:
🛑 ৩৩ বার সুবহানাল্লাহ سُبْحَانَ اللَّهِ, ৩৩ বার আল-হামদু লিল্লাহ اَلْحَمْدُ لِلَّهِ, ৩৪ বার আল্লাহু আকবার اَللَّهُ أَكْبَرُ
রেফারেন্স: (বুখারী, (ফাতহুল বারীসহ) ৭/৭১, নং ৩৭০৫; মুসলিম ৪/২০৯১, নং ২৭২৬)
🛑 রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, “যখন তুমি বিছানা গ্রহণ করবে, তখন নামাযের মতো ওযূ করবে, তারপর তোমার ডান পার্শ্বদেশে শুয়ে পড়বে-
اَللَّهُمَّ أَسْلَمْتُ نَفْسِي إِلَيْكَ، وَفَوَّضْتُ أَمْرِي إِلَيْكَ، وَوَجَّهْتُ وَجْهِيْ إِلَيْكَ، وَأَلْجَأْتُ ظَهْرِي إِلَيْكَ، رَغْبَةً وَرَهْبَةً إِلَيْكَ، لَا مَلْجَأَ وَلَا مَنْجَا مِنْكَ إِلَّا إِلَيْكَ، آمَنْتُ بِكِتَابِكَ الَّذِي أَنْزَلْتَ، وَبِنَبِيِّكَ الَّذِي أَرْسَلْتَ
উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা আস্লামতু নাফ্সী ইলাইকা, ওয়া ফাউওয়াদ্বতু আমরী ইলাইকা, ওয়া ওয়াজ্জাহ্তু ওয়াজহি ইলাইকা, ওয়াআলজা’তু যাহ্রী ইলাইকা, রাগবাতান ওয়া রাহবাতান ইলাইকা। লা মালজা’আ ওয়ালা মান্জা- মিনকা ইল্লা ইলাইকা। আ-মানতু বিকিতা-বিকাল্লাযী আনযালতা ওয়াবিনাবিয়্যিকাল্লাযী আরসালতা।
অনুবাদ: হে আল্লাহ্! আমি নিজেকে আপনার কাছে সঁপে দিলাম। আমার যাবতীয় বিষয় আপনার কাছেই সোপর্দ করলাম, আমার চেহারা আপনার দিকেই ফিরালাম, আর আমার পৃষ্ঠদেশকে আপনার দিকেই ন্যস্ত করলাম; আপনার প্রতি অনুরাগী হয়ে এবং আপনার ভয়ে ভীত হয়ে। একমাত্র আপনার নিকট ছাড়া আপনার (পাকড়াও) থেকে বাঁচার কোনো আশ্রয়স্থল নেই এবং কোনো মুক্তির উপায় নেই। আমি ঈমান এনেছি আপনার নাযিলকৃত কিতাবের উপর এবং আপনার প্রেরিত নবীর উপর।
ফজিলত: রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) যাকে এ দোয়াটি শিক্ষা দিলেন, তাকে বলেন: “যদি তুমি ঐ রাতে মারা যাও তবে ‘ফিতরাত’ তথা দীন ইসলামের উপর মারা গেলে।”
রেফারেন্স: (বুখারী, (ফাতহুল বারীসহ) ১১/১১৩, নং ৬৩১৩; মুসলিম ৪/২০৮১, নং ২৭১০)
🛑 আল্লা-হুম্মা বিসমিকা আমূতু ওয়া আহ্ইয়া – اَللَّهُمَّ بِاسْمِكَ أَمُوْتُ وَأَحْيَا
অনুবাদ: হে আল্লাহ্! আমি তোমার নামে মৃত্যুবরণ করি এবং তোমার নামেই জীবিত হই।
হুযায়ফাহ্ (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ﷺ) যখন রাতে শয্যা গ্রহণ করতেন তখন তিনি তাঁর হাত গালের নীচে রাখতেন। অতঃপর এই দোয়া পড়তেন।
রেফারেন্স: (বুখারীঃ ৬৩১৪)
🛑 আল্লা-হুম্মা ক্বিনী ‘আযা-বাকা ইয়াওমা তাব‘আছু ‘ইবা-দাক – اَللَّهُمَّ قِنِي عَذَابَكَ يَوْمَ تَبْعَثُ عِبَادَكَ
অনুবাদ: হে আল্লাহ্! আমাকে আপনার আযাব থেকে রক্ষা করুন, যেদিন আপনি আপনার বান্দাদেরকে পুনর্জীবিত করবেন।
রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) যখন ঘুমানোর ইচ্ছা করতেন তখন তাঁর ডান হাত তাঁর গালের নীচে রাখতেন, তারপর এ দোয়াটি বলতেন।
রেফারেন্স: (তিরমিযীঃ ৩৩৯৮)
🛑 তাহাজ্জুদের নিয়্যাতসহ ঘুমাতে যাওয়া:
রাত্রে উঠে তাহাজ্জুদ আদায়ের দৃঢ় ইচ্ছা নিয়ে ঘুমাতে হবে; তাহলে রাত্রে ঘুম না ভাঙলেও তাহাজ্জুদের সাওয়াব অর্জিত হবে বলে বিভিন্ন হাদীসে বলা হয়েছে। এক হাদীসে আবু দারদা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন- “যে ব্যক্তি তাহাজ্জুদের সালাত আদায় করার নিয়তে বিছানায় আসে কিন্তু তার চক্ষুদ্বয় নিদ্রা প্রবল হয়ে যাওয়ায় ভোর পর্যন্ত সে ঘুমিয়ে থাকে, তার জন্য তার নিয়ত অনুসারে সওয়াব লিখা হবে, আর আল্লাহ্ তা‘আলার পক্ষ থেকে তার নিদ্রা তার জন্য সদকা স্বরূপ হয়ে যাবে।”
রেফারেন্স: (নাসায়ীঃ ১৭৮৭)
ঘুম ভাঙার পরের দোয়া সমূহ:
🛑 ঘুমের মধ্যে পার্শ্বপরিবর্তনের দোয়া:
لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ الْوَاحِدُ الْقَهَّارُ، رَبُّ السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضِ وَمَا بَيْنَهُمَا الْعَزِيزُ الْغَفَّارُ
উচ্চারণ: লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হুল ওয়া-হিদুল ক্বাহ্হা-র রব্বুস্ সামা-ওয়া-তি ওয়াল-আরদ্ব, ওয়ামা- বাইনাহুমাল-‘আযীযুল গাফ্ফা-র।
অনুবাদ: মহাপ্রতাপশালী এক আল্লাহ্ ছাড়া আর কোনো হক্ব ইলাহ নেই। (তিনি) আসমানসমূহ, যমীন এবং এ দু’য়ের মধ্যস্থিত সবকিছুর রব্ব, প্রবল পরাক্রমশালী, পরম ক্ষমাশীল।
রেফারেন্স: আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) রাতে যখন বিছানায় পার্শ্ব পরিবর্তন করতেন তখন বলতেন, (দোয়াটি উপরে উল্লেখিত হয়েছে) হাদীসটি সংকলন করেছেন, হাকেম এবং তিনি তা সহীহ বলেছেন, আর ইমাম যাহাবী তাকে সমর্থন করেছেন, ১/৫৪০; নাসাঈ, আমালুল ইয়াওমি ওয়াল্লাইলা, নং ২০২; ইবনুস সুন্নী, নং ৭৫৭। আরও দেখুন, সহীহুল জামে‘ ৪/২১৩।
🛑 ঘুমের মধ্যে ভয় পেলে পড়ার দোয়া:
রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন: তোমাদের কেউ ঘুমের মধ্যে ভয় পেলে সে যেন বলে –
أَعُوْذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّةِ (التَّامَّاتِ) مِنْ غَضَبِهِ وَعِقَابِهِ وَ(مِنْ) شَرِّ عِبَادِهِ وَمِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِيْنِ وَأَنْ يَحْضُرُوْنِ
উচ্চারণ: আ‘উযু বিকালিমা-তিল্লা-হিত তা-ম্মাতি (তা-ম্মা-তি) মিন ‘গাদ্বাবিহী ওয়া ‘ইক্বা-বিহী ওয়া (মিন) শার্রি ‘ইবা-দিহী, ওয়া মিন হামাযা-তিশ শায়া-তীনি ওয়া আন ইয়া’হদ্বুরূন।
🛑 রাতে ঘুম থেকে জাগার পর দোয়া:
لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيْكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ، سُبْحَانَ اللَّهِ، وَالْحَمْدُ لِلَّهِ، وَلَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَاللَّهُ أَكْبَرُ، وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ الْعَلِيِّ الْعَظِيْمِ، رَبِّ اغْفِرْ لِي
উচ্চারণ: লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্দাহূ লা- শারীকা লাহূ, লাহুল মুলকু, ওয়ালাহুল হামদু, ওয়াহুয়া ‘আলা কুল্লি শাই’ইন্ ক্বাদীর। সুবহা-নাল্লাহি, ওয়ালহামদু লিল্লা-হি, ওয়ালা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু, ওয়াল্লা-হু আকবার, ওয়ালা- ‘হাওলা ওয়ালা- ক্বুওয়্যাতা ইল্লা- বিল্লা-হিল ‘আলিয়্যিল ‘আযীম, রাব্বিগফির লী।
অনুবাদ: আল্লাহ্ ছাড়া কোন প্রকৃত মাবুদ নেই, তিনি একক, তাঁর কোনো শরীক নেই। রাজত্ব তাঁরই, এবং প্রশংসা তাঁরই। এবং তিনি সর্বোপরি ক্ষমতাবান। সকল প্রশংসা আল্লাহ্র। আল্লাহ্র পবিত্রতা ঘোষণা করছি। আল্লাহ্ ছাড়া কোন প্রকৃত মাবুদ নেই। আল্লাহ্ সর্বশ্রেষ্ঠ। কোনো অবলম্বন নেই, কোনো ক্ষমতা নেই আল্লাহ্র (সাহায্য) ছাড়া।
ফজিলত: ‘উবাদা ইবনু সামিত (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, “যদি কারো রাত্রে ঘুম ভেঙ্গে যায় এরপর সে উপরের যিক্রের বাক্যগুলো পাঠ করে এবং এরপর সে আল্লাহ্র কাছে ক্ষমা চায় অথবা কোনো প্রকার দোয়া করে বা কিছু চায় তাহলে তার দোয়া কবুল করা হবে। আর যদি সে এরপর উঠে ওযূ করে (তাহাজ্জুদের) সালাত আদায় করে তাহলে তার সালাত কবুল করা হবে।”
রেফারেন্স: (আবু দাউদঃ ৫০৬০)
স্বপ্ন বিষয়ক দোয়া:
🛑 নিদ্রাবস্থায় ভালো বা মন্দ স্বপ্ন দেখলে করণীয়:
রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন – “ভালো স্বপ্ন আল্লাহ্র পক্ষ থেকে হয়, আর মন্দ স্বপ্ন শয়তানের তরফ থেকে। সুতরাং তোমাদের কেউ যদি এমন কিছু স্বপ্ন দেখে যা তার কাছে খারাপ লাগে, তা হলে সে যখন ঘুম থেকে জেগে ওঠে তখন সে যেন তিনবার থুথু ফেলে এবং এর ক্ষতি থেকে আশ্রয় চায়। কেননা, তা হলে এটা তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না।”
রেফারেন্স: [বুখারীঃ ৫৭৪৭]
🛑 নিদ্রাবস্থায় ভালো বা মন্দ স্বপ্ন দেখার পর দোয়া:
ঘুমের মধ্যে মন্দ স্বপ্ন দেখলে বাম পার্শ্বে তিনবার থুথু ফেলতে হবে, এরপর তিনবার বলবে –
أَعُوْذُ بِاللَّهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ
উচ্চারণ: আ‘উযুবিল্লা-হি মিনাশ্ শাইত্বা-নির রজীম্।
পার্শ্ব পরিবর্তন করতে হবে। এ স্বপ্ন কারও সামনে বলা নিষিদ্ধ। ভালো স্বপ্ন দেখলেও কাউকে বলতে হয় না। তবে একান্ত অন্তরঙ্গ বন্ধুর সামনে অথবা জ্ঞানীদের সামনে বলা যেতে পারে। আবূ ক্বাতাদাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, ‘উত্তম স্বপ্ন আল্লাহ্র পক্ষ থেকে হয়। আর খারাপ স্বপ্ন শয়তানের পক্ষ থেকে হয়। কাজেই তোমাদের যে কেউ ভালো স্বপ্ন দেখে, সে যেন এমন ব্যক্তির নিকট প্রকাশ করে, যাকে সে ভালোবাসে। আর যদি কেউ মন্দ স্বপ্ন দেখে তাহলে সে যেন এর ক্ষতি এবং শয়তানের অনিষ্ট হতে আল্লাহ্র নিকট আশ্রয় চায় এবং বাম দিকে তিনবার থুথু ফেলে। স্বপ্নটি যেন কারো নিকট প্রকাশ না করে। তাহলে উহা তাঁর ক্ষতি করতে পারবে না। [১] জারির (রাঃ) বলেন, রসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, যখন তোমাদের কেউ এমন স্বপ্ন দেখে, যা সে অপছন্দ করে, তখন সে যেন নিজের বাম দিকে তিন বার থুথু ফেলে। আর আল্লাহ্র নিকট তিন বার শয়তান হতে আশ্রয় চায় ও পার্শ্ব পরিবর্তন করে। [২] আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, “কেউ যদি খারাপ স্বপ্ন দেখে, সে যেন উঠে দু’রাকা‘আত সালাত আদায় করে”। [৩]
🛑 সকালে ঘুম থেকে উঠার পর দোয়া:
اَلْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَحْيَانَا بَعْدَ مَا أَمَاتَنَا، وَإِلَيْهِ النُّشُوْرُ
উচ্চারণ: আলহামদু লিল্লা-হিল্লাযী আহ্ইয়া-না- বা‘দা মা- আমা-তানা- ওয়া ইলাইহিন্ নুশূর।