Site icon Tawheed Media

হাদিস থেকে বাছাইকৃত উচ্চারণ ও অর্থসহ গুরুত্বপূর্ণ ৩০ টি দুআর মধ্যে ১১তম দুআ

আজকের দু’আটি সহজ হলেও এই দু‘আর মধ্যে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সকল চাওয়াই অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
▬▬▬▬▬▬◄❖►▬▬▬▬▬▬▬
ভূমিকা: আজকের দু’আটি সহজ এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি দু’আ কারণ এই দু’আটির মধ্যে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সকল চাওয়াই অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। হাদীসটি বর্ননা করেছেন রাসূল (ﷺ) এর প্রখ্যাত সাহাবী আব্দুল্লাহ বিন ওমর রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু) [মৃত: ৭৩ হি.] তিনি বলেন,রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দু‘আগুলোর মধ্যে একটি দু‘আ ছিলো এমন:
.
اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ زَوَالِ نِعْمَتِكَ، وَتَحَوُّلِ عَافِيَتِكَ، وَفُجَاءَةِ نِقْمَتِكَ، وَجَمِيْعِ سَخَطِكَ
.
মোটামুটি উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নী আ‘উযুবিকা মিন যাওয়া-লি নি‘অ্মাতিক, ওয়া তা‘হাউ-উলি ‘আ-ফিয়াতিক, ওয়া ফুজা-আতি নিক্বমাতিক, ওয়া জামী‘য়ি সাখাত্বিক।(আরবির সঠিক উচ্চারণ বাংলায় লেখা কোনোভাবেই শতভাগ সম্ভব নয়; তাই আরবি টেক্সট মিলিয়ে পড়ার চেষ্টা করুন,পাশাপাশি আরবির সাথে মিলিয়ে মিলিয়ে পড়ুন, না হয় ভুল শিখতে হবে)।
.
অর্থ: হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে আশ্রয় চাই তোমার নিয়ামত চলে যাওয়া থেকে; তোমার ক্ষমা ও নিরাপত্তার মোড় ঘুরে যাওয়া থেকে; তোমার হঠাৎ শাস্তি থেকে এবং তোমার সকল ক্রোধ থেকে।(সহীহ মুসলিম হা/ ২৭৩৯,আবূ দাঊদ হা/১৫৪৫,মুসতাদারাক লিল হাকিম হা/১৯৪৬, আলবানী সহীহ আল জামি‘ হা/১২৯১)
.
এবার এভাবে আরবী এবং বাংলা উচ্চারণসহ সহজে মুখস্থ করুন:
.
اَللّٰهُمَّ
(আল্লাহুম্মা) অর্থ: হে আল্লাহ!
.
إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ
(ইন্নী আ‘উযুবিকা) অর্থ: আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই।
.
مِنْ زَوَالِ نِعْمَتِكَ
(মিন যাওয়া-লি নি‘অমাতিক) অর্থ: (আমার ওপর) আপনার নিয়ামত চলে যাওয়া থেকে,
.
وَتَحَوُّلِ عَافِيَتِكَ
(ওয়া তা‘হাউ-উলি ‘আ-ফিয়াতিক) অর্থ: (আমার ওপর)
(তোমার ক্ষমা ও নিরাপত্তার মোড় ঘুরে যাওয়া থেকে
.
وَفُجَاءَةِ نِقْمَتِكَ
(ওয়া ফুজা-আতি নিক্বমাতিক) অর্থ:( আমার ওপর)
তোমার হঠাৎ শাস্তি থেকে,
.
وَجَمِيْعِ سَخَطِك
(ওয়া জামী‘য়ি সাখাত্বিক) অর্থ : এবং (আমার ওপর) তোমার সকল অসন্তুষ্ট বা ক্রোধ থেকে,
.
প্রিয় পাঠক! অতি ছোট্ট খুবই সুন্দর এবং চমৎকার একটি দু’আ। দু’আটির অর্থও খুবই সুন্দর ও ব্যাপক দু’আটিতে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সকল চাওয়াই অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তাই প্রত্যেকের দু‘আটি মুখস্থ করা উচিত এবং নিয়মিত পড়া উচিত। দু‘আটি আমরা (বিশেষত নফল) নামাজের সিজদায়, নামাজের সালাম ফেরানোর আগে, দু‘আ কবুলের বিশেষ সময়ে কিংবা যেকোনো দু‘আর মধ্যে পড়তে পারি।আনুষ্ঠানিক দু‘আ ছাড়াও সাধারণভাবে এসব বাক্য পড়তে পারি। নামাজের সিজদায় পড়ার নিয়ম হলো: প্রথমে সিজদার তাসবিহ “সুবহা-না রব্বিয়াল আ‘লা”। ৩/৫/৭ বার পড়ে নেবেন, এরপর এই দু‘আটি পড়বেন। এবং অন্তরে আল্লাহর প্রতি সুধাণা রাখবেন। আশা করি সবাই বুঝতে পেরেছেন আল্লাহ সবার ইলমে আমলে বারাকাহ দান করুক। (আল্লাহই সবচেয়ে জ্ঞানী)।
_________________________
আপনাদের দ্বীনি ভাই:
জুয়েল মাহমুদ সালাফি।

Exit mobile version