Site icon Tawheed Media

হজ্জ উমরাহ সফরে মৃত্যুবরনের ফজিলত কি

উত্তর: যে ব্যক্তি বিশুদ্ধ নিয়তে আল্লাহ এবং তার রাসূল ﷺ)-এর পথে হিযরতে বের হবে তার জন্য তার নিয়ত অনুযায়ী নেকী ও প্রতিদান পাওয়ার নিশ্চয়তা রয়েছে,
মহান আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

وَ مَنۡ یَّخۡرُجۡ مِنۡۢ بَیۡتِهٖ مُهَاجِرًا اِلَی اللّٰهِ وَ رَسُوۡلِهٖ ثُمَّ یُدۡرِکۡهُ الۡمَوۡتُ فَقَدۡ وَقَعَ اَجۡرُهٗ عَلَی اللّٰهِ ؕ وَ کَانَ اللّٰهُ غَفُوۡرًا رَّحِیۡمًا

“আর কেউ আল্লাহ ও রাসূলের উদ্দেশ্যে নিজ ঘর থেকে মুহাজির হয়ে বের হবার পর (সে অবস্থায়) তার মৃত্যু ঘটলে তার পুরস্কারের ভার আল্লাহর উপর; আর আল্লাহ্‌ ক্ষমাশীল,পরম দয়ালু”।(সূরা নিসা;৪/১০০) উক্ত আয়াতের সমর্থনে হাদীস রয়েছে।
.
আবূ হুরায়রা (রাদিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন,

مَنْ خَرَجَ حَاجًّا فَمَاتَ كُتِبَ لَهُ أَجْرَ الْحَاجِّ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ وَمَنْ خَرَجَ مُعْتَمِرًا فَمَاتَ كُتِبَ لَهُ أَجْرَ الْمُعْتَمِرِ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ وَمَنْ خَرَجَ غَازِيًا فَمَاتَ كُتِبَ لَهُ أَجْرَ الْغَازِيْ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ

“যে ব্যক্তি হজ্জের উদ্দেশ্যে বের হয়ে মৃত্যুবরণ করে, কিয়ামত পর্যন্ত তার জন্যে হাজ্জকারীর সওয়াব লিখা হবে। যে ব্যক্তি ওমরার উদ্দেশ্যে বের হয়ে মৃত্যু বরণ করবে কিয়ামত পর্যন্ত তার জন্যে ওমরাকারীর সওয়াব লিখা হবে। জিহাদের উদ্দেশ্যে বের হয়ে যে ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করবে, কিয়ামত পর্যন্ত তার জন্যে জিহাদকারী গাযীর সওয়াব লিখা হবে।” (হাদীসটি সহীহ লিগয়রিহী স্তরের। দেখুন মুসনাদু আবী ই‘আলা, হা/৬৩৫৭; ইমাম বায়হাক্বী,শু‘আবুল ঈমান,হা/৪১০০; সহীহ আত-তারগিব ওয়াত-তারহিব, হা/১১১৪ এবং সিলসিলা সহীহাহ, হা/২৫৫৩)
.
অপর হাদীসে ইবনু আব্বাস (রাদিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন,

بَيْنَا رَجُلٌ وَاقِفٌ مَعَ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِعَرَفَةَ إِذْ وَقَعَ عَنْ رَاحِلَتِهِ فَأَقْعَصَتْهُ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اغْسِلُوْهُ بِمَاءٍ وَسِدْرٍ وَكَفِّنُوْهُ فِيْ ثَوْبَيْهِ وَلَا تُخَمِّرُوْا رَأْسَهُ وَلَا تُحَنِّطُوْهُ فَإِنَّهُ يَبْعَثُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مُلَبِّيً

“এক ব্যক্তি (হজ্জের সফরে) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে ছিল। সে তার উটনী থেকে পড়ে গেল, ফলে সে ঘাড় মটকে (ইহরাম অবস্থায়) মারা গেল, তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তাকে বরই পাতার কশ দেয়া পানিতে গোসল দাও এবং তার ইহরামের কাপড় দু’টি দ্বারা তাকে কাফন দাও। তার মাথা ঢেক না এবং তার গায়ে সুগন্ধি দিও না। কেননা সে ক্বিয়ামতের দিন এভাবেই ‘লাব্বাইকা’ বলতে বলতে উঠবে”(সহীহ বুখারী, হা/১৮৫১; সহীহ মুসলিম, হা/১২০৬; মুসনাদে আহমাদ হা/ ১৮৫০, ইবনু আবী শায়বাহ্ হা/ ৩৬২৫২, সহীহ আত তারগীব হা/ ১১১৫; মিশকাত, হা/১৬৩৭) (আল্লাহই সবচেয়ে জ্ঞানী)।

Exit mobile version