Site icon Tawheed Media

সচেতন মুসলিমরা যা মেনে চলেন

মহান আল্লাহ বলেন, ‘‘তোমরা মেনে চলো তোমাদের রবের পক্ষ থেকে তোমাদের নিকট যা অবতীর্ণ করা হয়েছে এবং তা (অবতীর্ণ বিষয়সমূহ) বাদ দিয়ে (সেই বিষয়ে) অন্যকোন আওলিয়াকে (আলেম/মুরুব্বী/সুফি/পীর/রাষ্ট্রীয় শাসক) অনুসরণ করো না…’’
– সূরাহ্ আ’রফ (৭): ৩।
.
এ আয়াতটি বলছে যে, আমাদের রব এর কাছ থেকে যা অবতীর্ণ করা হয়েছে আমাদেরকে শুধু তাই মেনে চলতে হবে। রবের কাছ থেকে যা এসেছে তা বাদ দিয়ে শারীআহ’র ব্যাপারে অন্যকোন উৎস থেকে কিছুই অনুসরণ করা যাবে না। সে উৎসটি হতে পারে কোন আলিমের দালিলবিহীন ফাতওয়া বা কোন শাসকের জারীকৃত রাষ্ট্রীয় বিধান।
.
আল্লাহ্ রববুল আলামীন আরো বলেন,
‘‘…আল্লাহ্ যা অবতীর্ণ করেছেন সে মোতাবেক ফায়সালা দাও আর তাদের খেয়াল-খুশির অনুসরণ করোনা…’’ -সূরাহ্ মায়িদাহ্ (৫), ৪৮।
‘‘(হে মুহাম্মাদ;) তুমি শুধু মেনে চলো তোমার কাছে তোমার রবের পক্ষ থেকে যা ওয়াহী করা হয়েছে…’’ -সূরাহ্ আন’আম (৬), ১০৬।
‘‘বল;…(হে মুহাম্মাদ;)…আমার কাছে যা (আল্লাহ্’র পক্ষ থেকে) ওয়াহী হয় আমি (শুধু) তারই অনুসরণ করি…’’ -সূরাহ্ আন’আম (৬), ৫০।
.
এ আয়াতগুলো বলছে যে, মুহাম্মাদ ﷺ-কেও আল্লাহ্ যা অবতীর্ণ করেছেন তার ভিত্তিতেই ফায়সালা করতে হত। অবতীর্ণ করা বিষয় ছাড়া অন্য কারো খেয়াল-
খুশিমত ফায়সালা দেয়া যাবে না। আর তাঁর ﷺ কাছে আল্লাহ্’র পক্ষ থেকে যা অবতীর্ণ হয়েছে শুধু তাই আল্লাহ্ অনুসরণ করতে আদেশ করেছেন। আর তিনি তাই মানতেন। তাহলে রসূল ﷺ এর জন্য যদি অবতীর্ণ করা বিষয় ছাড়া অন্যকিছু অনুসরণ করা নিষেধ হয়, তাহলে যারা রসূল নয় তাদের কি অবতীর্ণ করা বিষয় ছাড়া অন্য কারো মতামত অনুসরণ করা বৈধ হবে? কক্ষনো নয়। সুতরাং, সকল মানুষকেই শুধুমাত্র আল্লাহ্’র পক্ষ থেকে যা অবতীর্ণ করা হয়েছে তারই অনুসরণ করতে হবে, অন্যকারো মতামত নয়। একারণেই আল্লাহ্ রববুল আ’লামীন বলেন,
‘‘তোমরা মেনে চলো তোমাদের রবের কাছ থেকে তোমাদের নিকট যা অবতীর্ণ করা হয়েছে এবং তা (অবর্তীণ বিষয় সমূহ) বাদ দিয়ে অন্যকোন আওলিয়াকে (আলেম/রাষ্ট্রীয় শাসক) অনুসরণ করো না…’’ -সূরাহ্ আ’রফ (৭), ৩।
.
শিক্ষাঃ
১। আল্লাহ্ যা অবতীর্ণ করেছেন শুধু তাই মানতে হবে।
২। রসূল ﷺ-ও তাঁর কাছে যা অবতীর্ণ করা হয়েছে শুধু তাই মানতে বাধ্য ছিলেন এবং তাঁর ﷺ খেয়াল খুশি-মত ফায়সালা দেয়া নিষেধ ছিল।

Exit mobile version