السلام عليكم ورحمة الله وبركاته
Assalamu Alaikum Warahmatullahi Wabarakatuh
কিছু এমন সৌভাগ্যবান লোক আছে, যাদের জন্য সম্মানিত ফেরেশতাগণ দো‘আ করে থাকেন। এ সম্পর্কে আল্লাহ বলেন, ‘যারা আরশ বহনে রত এবং যারা তার চতুষ্পার্শ্বে ঘিরে আছে, তারা তাদের রবের পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে প্রশংসার সাথে এবং তাতে বিশ্বাস স্থাপন করে এবং মুমিনদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে বলে, হে আমাদের রব! তোমার দয়া ও জ্ঞান সর্বব্যাপী । অতএব যারা তওবা করে এবং তোমার পথ অবলম্বন করে তুমি তাদেরকে ক্ষমা কর এবং জাহান্নামের শাস্তি হ’তে রক্ষা কর। হে আমাদের রব! তুমি তাদেরকে দাখিল কর স্থায়ী জান্নাতে, যার প্রতিশ্রুতি তুমি তাদেরকে দিয়েছ এবং তাদের পিতা-মাতা, পতি-পত্নী ও সন্তান-সন্ততিদের মধ্যে যারা সৎকর্ম করেছে তাদেরকে। তুমি তো পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময় এবং তুমি তাদেরকে শাস্তি হ’তে রক্ষা কর। সেদিন তুমি যাকে শাস্তি হ’তে রক্ষা করবে, তাকে তো অনুগ্রহই করবে, এটাই তো মহা সাফল্য’।
? (সূরা গাফের/মুমিন ৭-৯)।
যারা আল্লাহর রাসূলের প্রতি দরূদ পাঠ করে ফেরেশতারা তাদের জন্য দো‘আ করেন। আব্দুল্লাহ বিন ওমর (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি রাসূল (ছাঃ)-এর উপর একবার দরূদ পাঠ করে আল্লাহ তা‘আলা তার উপর সত্তর বার দয়া করেন ও তার ফেরেশতাগণ তার জন্য সত্তর বার ক্ষমা প্রার্থনা করেন। অতএব বান্দারা অল্প দরূদ পাঠ করুক বা অধিক দরূদ পাঠ করুক (এটা তার ব্যাপার)’।
?[আল-মুসনাদ হা/৬৬০৫, ১০/১০৬-১০৭, হাদীছ হাসান। ?দ্র: আত-তারগীব ওয়াত-তারহীব ২/৪৯৭; মাযমাউয যাওয়ায়েদ ১০/১৬০; আল-কাউলুল বাদী, ১৫৩ পৃঃ।]
?[আত-তারগীব ওয়াত তারহীব, ১মখন্ড (বৈরুত: দারুল কুতুবিল ইলমিয়া, ১৪০১), পৃঃ ৪০৮-৪০৯; হাফেয ইবনে হাজার আসকালানী হাদীছটিকে জাইয়িদ বলেছেন।? দ্রঃ ফাতহুল বারী, ১১তম খন্ড (সঊদী আরব: রিয়াসাতু ইদারাতিল বুহুছিল ইলমিয়্যাহ), পৃঃ ১০৯।]
ওযূ অবস্থায় ছালাতের জন্য অপেক্ষারত মুছল্লীদের জন্য ফেরেশতাগণ দো‘আ করেন। হাদীছে এসেছে, আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘তোমাদের মাঝে কোন ব্যক্তি যখন ওযূ অবস্থায় ছালাতের অপেক্ষায় বসে থাকে, তার জন্য ফেরেশতামন্ডলী দো‘আ করতে থাকেন, হে আল্লাহ! তুমি তাকে ক্ষমা কর, হে আল্লাহ! তুমি তার উপর কল্যাণ দান কর’।
? [ছহীহ মুসলিম, ১ম খন্ড (সঊদী আরব: রিয়াসাতু ইদারাতুল বুহুছিল ইলমিয়্যাহ, ১৪০০ হিঃ), পৃঃ ৪৬০, হা/৬১৯।