Site icon Tawheed Media

নাস্তিক ও ইসলাম বিদ্বেষী

***নাস্তিক ও ইসলাম বিদ্বেষী***
************************************
একটা হিসাব করতে বসেছিলাম কিছুদিন আগে।
এই দেশে মোট জেনুইন (আসল প্রোফাইল ওয়ালা) নাস্তিকের সংখ্যা কতো?
এই হিসাবটা করতে গিয়ে দেখলাম, এই সংখ্যাটাকে আমি টেনেটুনেও ৫০ পার করাতে পারিনি।
সত্যি বলতে, অনলাইনে আমরা যেসকল নাস্তিক (মূলত ইসলাম বিদ্বেষী) দেখি, যারা দিব্যি লেখালেখি করে, এদের সংখ্যা একেবারে হাতেগোনা।
আমি অনেক খুঁজেও ৫০ টি আসল প্রোফাইলের নাস্তিক বের করতে পারিনি।
আমি এখানে নাস্তিক বলতে যাদের বুঝাচ্ছি, তারা এমন – যারা নাস্তিকতা চর্চা বলতে কেবল ইসলাম বিদ্বেষীতাকেই বুঝে।
এরা আসলে নাস্তিক না। এরা মূলত ইসলাম বিদ্বেষী।। এরা যদি নাস্তিকই হত তাহলে এরা সব ধর্মের বিরুদ্ধেই লিখত।। শুধু ইসলামের বিরুদ্ধে লিখত না। কারণ নাস্তিকরা কোন ধর্মেই বিশ্বাস করে না। তারা স্রস্টায় বিশ্বাস করে না। এরা কেন হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ ও অন্য ধর্মের বিরুদ্ধে লিখে না । কেন শুধু ইসলামের বিরুদ্ধে লিখে। কারণ এদের ইসলামের বিরুদ্ধে চুলকানি আছে। এরা মূলত ইসলাম বিদ্বেষী।
এখানে তাদেরকেই বুঝাচ্ছি, যাদের রুটি রুজির ব্যবস্থা হয় এসব ছাঁইপাশ ব্লগে ইসলামের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে। যারা এসব করে পেট চালায়, সংসার চালায়। কেউ কেউ ইউরোপ আমেরিকার স্যাটেল হবার সৌভাগ্য অর্জন করে।
এরকম কিছু প্রোফাইল খুঁজছিলাম। শাহবাগের কিছুদের পেয়েছি এই তালিকায়। এদের কয়েকজন জার্মান, কানাডা, ইউ এস এ তে আছে এখন।
যাহোক, যা বলছিলাম, এরা সংখ্যায় একেবারে নগন্য। কিন্তু, এদের একেকজনের রয়েছে ডজন ডজন ফেইক প্রোফাইল।
তাছাড়া, সংখ্যায় অতি নগন্য এই শ্রেণীটাকে সাপোর্ট করার জন্য তো বিশেষ ধর্মের (এখানে নির্দিষ্ট কোন ধর্মকে বোঝানো হচ্ছে না) কিছু মানুষ নিবেদিত আছেনই। তাই আমাদের মনে হয় এরা আসলেই সংখ্যায় অনেক। কিন্তু বাস্তবে তা নয়।

তাহলে এরা এতো প্রচার পায় কীভাবে?
জ্বি, প্রচারটা করি আসলে আমরাই।
ওরা আল্লাহ ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে গালি দিয়ে কিছু একটা লিখলেই আমাদের ভাইয়েরা সেখানে গিয়ে হামলে পড়েন। ইচ্ছেমতো গালি দেন, হুমকি ধমকি দেন।
আর ওরা কী করে জানেন? ওরা আড়ালে বসে মিটিমিটি হাসে আর মজা নেয়।
কারণ ওরা এটাই চায়। ওরা চায় আপনারা সেখানে যান। ইচ্ছেমতো ওদের গালিগালাজ করুন। কমেন্ট করুন। এতে কিন্তু আখেরে লাভটা ওদের।
আপনি বুঝতেই পারছেন না তার আইডিতে কমেন্ট করে (হোক গালি গালাজ, হুমকি, ধমকি কিংবা নসীহত) আপনি আসলে তাকে পপুলার বানিয়ে দিচ্ছেন। আপনি তার আইডিতে একটা কমেন্ট করা মাত্র সেটা আপনার মিউচুয়ালদের ওয়ালে শো করবে। যদি ২০ জন সেটা দেখে, তাদের মধ্যে এটলিস্ট ১০ জন তার আইডি ভিজিট করবে। তার ছাঁইপাশ লেখাগুলো পড়বে। মাথার টেম্পেরেচার লস হবে। ফলে সেও দু চারটা গালি বা হুমকি ধমকি দিয়ে কমেন্ট করবে। ব্যস, ওইদিকে তরতর করে অই নাস্তিকের প্রোফাইলের রেটিং, ভিউয়ার বেড়ে যাবে। লাভটা কার এসব করে? বুঝেন একটু।
ওদের কিন্তু মাথায় আপনারাই তুলেন। এইজন্য ওরা আপনার মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খায়।
কিছু নাস্তিকের ওয়ালে গিয়ে দেখলাম, ওদের প্রতিটা লেখায় সব মুসলিমদের গালাগালি, হুমকি, ধমকি ইত্যাদি।
এতে করে ওরা কী থেমে যাচ্ছে? নাহ। ওরা আরো উৎসাহ পাচ্ছে। ওরা কিন্তু আপনার এই রিএ্যাকশানটাই চায়। এই শ্রেণীর সব- সবাই এটাই চায়।
ওদের লেখা পড়ুন। রিএ্যাকশান দেখান। Angry ইমো দিন। গালাগাল করে কমেন্ট করুন আর ওদের ভিডিও দেখে তাতে ‘ভিউ’ বাড়ান। আর কিছুনা।
সম্প্রতি আরেক নাস্তিক ও সমকামী গজে উঠলো দেখলাম। খুব সচেতনভাবেই সমকামী বলছি কারণ সে নিজেকে সমকামী দাবী করেছে।
পেইজ খুলে প্রথমে কিছু বিতর্কিত কার্টুন এঁকে সেগুলো টাকা দিয়ে ফেইসবুককে দিয়ে স্পন্সর করিয়েছে।
এরপর তার আর কিছুই করা লাগে নি। আমাদের ভাইয়েরা গিয়ে তার বাকি কার্টুনগুলোতে গালিগালাজ, হুমকি,ধামকি দিয়ে, তার কার্টুন গালি দিয়ে শেয়ার করে তাকে আরো ফেমাস বানিয়ে দিলো। সে এখন এসব আরো বাড়িয়ে দিলো। নবী রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিয়ে ইচ্ছেমতো সে কার্টুন বানাচ্ছে। তাহলে তাকে পপুলার করে দিলো কে?
কিছু মুসলিমরাই। যারা নেকীর জন্য গালি দিয়ে ধর্মরক্ষা করতে গিয়ে আরো বারোটা বাজাচ্ছেন।
ভাই আমার, একটু বুঝুন। এসব ফেইম সীকার গুলোকে আজকেই আনফলো, আনলাইক করুন। ইগনোর করুন। দেখবেন, আগামীকালকেই এরা চুপসে গেছে।

যারা যারা ইতোমধ্যে এই ধরনের পেইজে লাইক দিয়েছেন, দয়া করে আনলাইক করুন।
যারা কমেন্ট, শেয়ার করছেন, সেগুলো বন্ধ করুন।

 

>>>>>আসাদ রনি<<<<<

Exit mobile version