Site icon Tawheed Media

দাড়ি-টুপিওয়ালা

প্রসঙ্গঃ দাড়ি-টুপিওয়ালা

আমাদের সমাজে এক শ্রেণীর লোক আছে (নামে মুসলিম) যারা দাড়ি-টুপিওয়ালাদের কোন প্রসঙ্গ পেলে বংশ উদ্ধার করে ছাড়ে। মানুষ কতোটা মূর্খ-জাহেল হলে এরকম কাজ করতে পারে সে বিষয়ে এবার আসা যাক। এই শ্রেণীর লোকেরা হয়তো শুধু শুক্রবারে মসজিদে যায় অথবা বছরে দু’বার ঈদের নামাযে যায়।

এরা যেহেতু নিজেদের মুসলিম দাবী করে তাই মুসলিম হিসেবে নিজেকে দাবী করার জন্য ন্যূনতম শর্তটা উল্লেখ করা জরুরী। যারা মনে করে যে মুসলমানের ঘরে জন্ম নিলেই মুসলিম হওয়া যায় এরা পৈত্রিক সূত্রে নিজেদের মুসলিম দাবী করতে পারে। তবে ইসলামে তাদের অবস্থান কোথায় সেটা এই হাদিস দ্বারাই পরিষ্কার বুঝা যাবে-

আবু সুফিয়ান থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি জাবির (রা) কে বলতে শুনেছি, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছিঃ ব্যক্তি এবং শিরক ও কুফরের মাঝখানে নামায ছেড়ে দেয়াই হচ্ছে ব্যবধান। [সহীহ মুসলিম, প্রথম অধ্যায়ঃ কিতাবুল ঈমান, হাদিস নং- ১৫৪]

কাজেই নিজেকে মুসলমান দাবী করতে হলে অবশ্যই ৫ ওয়াক্ত নামায আদায় করতে হবে। অন্যথায়, যে লোক ইচ্ছা করে নামায পড়ে না এবং এমন অবস্থায় যদি তার মৃত্যু হয় তবে সে কি অবস্থায় মারা গেল সেটা ভেবে দেখার অনুরোধ রইল সবার প্রতি।

দাড়ি-টুপিওয়ালা লোকদের মধ্যে ভাল-মন্দ কিংবা ভুল-ত্রুটি থাকতে পারে, কারন কেউই ভুলের ঊর্ধ্বে নয়। কোন লোক যদি আল্লাহর দ্বীনের খাতিরে দাড়ি রাখে, টুপি পড়ে তাহলে অবশ্যই সেই লোকটি দ্বীনের ক্ষেত্রে অগ্রগামী তাদের থেকে যাদের দাড়ি-টুপি নেই। আল্লাহ তা’আলা পবিত্র কুরআনে বলেন,

হে ঈমানদারগণ, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের নির্দেশ মান্য কর এবং শোনার পর তা থেকে বিমুখ হয়ো না। [আল-আনফালঃ ২০]

দাড়ি রাখার জন্য রাসুল (সাঃ) এর নির্দেশ –

ইবনে ওমর (রাঃ) সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, তোমরা মুশরিকদের বিপরীত করবেঃ দাড়ি লম্বা রাখবে, গোঁফ ছোট করবে । (বুখারী শরীফ, নবম খণ্ড, হাদিস নং – ৫৪৭২ ইফা)

আল্লাহ্‌ তা’আলা পুরুষ ও নারীকে আলাদা গঠনে তৈরি করেছেন বলে পুরুষের গালে দাড়ি উঠে আর নারীদের দাড়ি নেই। দাড়ি শেভ করা মানে আল্লাহ্‌র সৃষ্টিকে পরিবর্তন করার সামিল। অথচ পবিত্র কুরআনে আল্লাহ্‌ তা’আলা স্পষ্টভাবে বলেছেন,

“আল্লাহর সৃষ্টির কোন পরিবর্তন নেই । ” [আর-রুমঃ ৩০]

আল্লাহ ও তাঁর রসূল কোন কাজের আদেশ করলে কোন ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারীর সে বিষয়ে ভিন্ন ক্ষমতা নেই যে, আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আদেশ অমান্য করে সে প্রকাশ্য পথভ্রষ্ট তায় পতিত হয়। [সূরা আল আহজাবঃ ৩৬]

নিজের অল্প কয়েকটি কথা এবং কুরআন ও হাদিসের দ্বারা নিজেকে ও অন্যদের বুঝানোর এই প্রচেষ্টাটুকু আল্লাহ কবুল করুন। আমীন।।

***Courtesy:- Brother Md Nazmul Haque***

Exit mobile version