Site icon Tawheed Media

কোনকিছুকেই অভিশাপ দেওয়া ঠিক না

“তুই মর”।
“তুই ধ্বংস হ”।
“তুই কোনোদিন মানুষ হবিনা”।
“আল্লাহ যেনো তোরে এমন শাস্তি দেয়”……(সামান্য অপরাধেই!)
লা হা ’উলা ওয়ালা কুওয়্যাতা ইল্লাহ বিল্লাহ।
ছোটো-খাটো কারণে বিরক্ত হয়ে কখনো নিজেকে, ছোটো ছেলে মেয়ে বা কাউকেই অভিশাপ দিবেন না। আপনি জানেন না, আপনার অভিশাপ দেওয়ার শাস্তিস্বরূপ আল্লাহ অভিশাপ কবুল করে নিলেন আর যাকে অভিশাপ দিলেন সামান্য কারণে হয়তো তার অনেক বড় ক্ষতি করে ফেললেন।
মানুষতো দূরের কথা, এমনকি প্রাণী বা অন্য কোনকিছুকেও অভিশাপ দেওয়া ঠিক না।
একবার রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর সাথে সফর সংগীদের মধ্যে একজন আনসার মহিলা সাহাবী উটের পিঠে চড়ে যাচ্ছিলেন। এক সময় আনসারী সাহাবীয়া উটের প্রতি বিরক্ত হয়ে উটটীকে অভিশাপ দিলেন ।
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) শুনতে পেয়ে বললেন, এর পিঠ থেকে জিনিসপত্র নামিয়ে ফেলো আর এক ছেড়ে দাও, কারণ সেটা অভিশপ্ত হয়ে গেছে”।
এর পরে ঐ উটটিকে এমনভাবে ছেড়ে দেওয়া হয়যে সেটা একা একা ঘুরে বেড়াতো, অভিশাপের ভয়ে কেউই সেটাকে নেওয়ার জন্য ফিরেও তাকাতোনা।
তাই সাবধান!
বিরক্ত হয়ে গেলে ধৈর্য ধারণ করুন, বিশেষ করে বাচ্চা মানুষ হলে তার জন্য আল্লাহর কাছে দুয়া করুন। আমাদের অতি প্রিয় মক্কা শরীফের প্রাক্তন ইমাম আদিল কালবানিকে জিজ্ঞাস করা হয়েছিলো, কোন যোগ্যতায় আপনি দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ মসজিদের ইমাম হতে পেরেছেন? উত্তরে তিনি বলেন, ছোটো বেলায় আমার মা আমার উপর বিরক্ত হলে বদদুয়া না করে এই দুয়া করতেন, হে আল্লাহ তুমি একে মক্কার ইমাম বানাও। আল্লাহ আমার মায়ের দুয়া কবুল করেছেন।
আল্লাহু আকবার!!!
“হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদের স্ত্রী-সন্তানদেরকে আমদের দৃষ্টির জন্য শীতলতা দান করুন ও মুত্তাকীদের জন্য আমাদেরকে আদর্শ বানান”।
(সুরা আল-ফুরকান)।

Exit mobile version