Site icon Tawheed Media

কেমন কাটবে আপনার আগামী বছর, আপনার ভবিষ্যৎ স্ত্রী দেখতে কার মত হবে, কোন জেলায় আপনার বিয়ে হবে

“কেমন কাটবে আপনার আগামী বছর”
“আপনার ভবিষ্যৎ স্ত্রী দেখতে কার মত হবে”
“কোন জেলায় আপনার বিয়ে হবে”
.
আপনি কি ফেসবুকে এমন গণক এপস ব্যবহার করেন বা করতে চাচ্ছেন?আজই তাহলে সতর্ক হোন!
——————————————–
আজ যে বিষয়টা নিয়ে লেখব তা ইসলামের বিরুদ্ধে খুবি সূক্ষ্মতম ষড়যন্ত্র নিয়ে। মূলত ইহুদি খ্রিষ্টান সব সময় মুসলিমদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেই আসে। এসকল ষড়যন্ত্র সচেতন মুসলিমরা বুঝতে পেরে ঈমান টিকিয়ে রাখতে পারে। কিন্তু আমাদের মত সাধারণ মুসলিম এই ষড়যন্ত্র বুঝতে না পেরে ঈমানহারা হই।
.
এবার মূল টপিকে আসি। ইসলামের মূল আকীদাগুলোর মাঝে একটি হল গায়েব বা অদৃশ্যের খবর একমাত্র আল্লাহ জানে। অর্থাৎ কারো ভবিষ্যৎ কি হবে তা একমাত্র আল্লাহ জানে।
*আল্লাহ স্পষ্ট করে বলেছেনঃ
.
“অদৃশ্যের কুঞ্জি তাঁহারই নিকট রহিয়াছে, তিনি ব্যতীত কেহ জানে না।” [সূরা আন-আনআমঃ ৫৯]
.
“বল আল্লাহ ব্যতীত আকাশ মন্ডলী ও পৃথিবীতে কেহই অদৃশ্য বিষয়ের জ্ঞান রাখে না।” [সুরা আন-নামল: ৬৫]
.
এগুলো দ্বারা স্পষ্ট প্রমান হল গায়েবের খবর আল্লাহ ছাড়া কেও জানে না। কারো ভবিষ্যৎ এ কি ঘটবে তা কেও জানে না।
.
এজন্য যারা নিজেদের জ্যোতিষ বা গণক দাবি করে তা ভন্ড প্রতারক।।এসমস্ত জ্যোতিষ কে বিশ্বাস করলে কুফরির গোনাহ হবে।
.
রাসূল (সাঃ) বলেছেন, ”যে একজন ভবিষ্যতদ্রষ্টা গণকের নিকট গেল এবং সে যা বলে তা বিশ্বাস করল, মুহাম্মদের নিকট যা অবতীর্ণ হয়েছিল সে তা অবিশ্বাস করল।” [সুনান আবু দাঊদ -3895]
.
আরেকটি হাদীস দেখুন-
রাসূলুল্লাহ (স) বলেনঃ “যে গণকের কাছে যায় এবং কোন বিষয়ে জিজ্ঞাসা করে তার চল্লিশ দিন ও রাত্রির নামাজ গ্রহণযোগ্য হবে না।” [সহীহ মুসলিম -5540]
.
প্রথম হাদীস থেকে বুঝা গেল কেও যদি গণক/জ্যোতিষ এর কথা বিশ্বাস করে তবে সে স্পষ্ট কুফুরি করল। আর দ্বিতীয় হাদীস দ্বারা বুঝা গেল কেও যদি শুধু গণক/জ্যোতিষ কে জিজ্ঞাস করে তবু তার চল্লিশ দিন রাতের নামায কবুল হবে না।
.
মজার বিষয় হল একেবারেই ইসলাম সম্পর্কে অজ্ঞ মূর্খ মুসলিম বাদে কোন মুসলিমই গণক/জ্যোতিষ এর কাছে যায় না। কিন্তু ইহুদি খ্রিষ্টান তো মুসলিমদের ঈমানহারা করার প্লেন থামাবে না। তাই তারা এমন কিছু প্লেন করল যাতে আমাদের মত মুটামুটি ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞাত মানুষরাও এই কুফুরি করে ঈমানহারা হয়।
.
তাই তারা পত্রিকাগুলোতে রাশিফল দিয়ে দিল। যাতে সব ধরনের পাঠক না বিশ্বাস করলেও জাস্ট আগ্রহে একবার এগুলো পড়ে। তো মজার বিষয় হল এই সকল রাশিফল দেখবেন মাঝেমাঝে কাকতালীয় ভাবে আপনার অই দিনের সাথে মিলেও যাবে এবং আপনি এর পরের দিন আবার কৌতুহলে সেগুলো পড়বেন এবং এভাবে শুধু পড়ার জন্য আপনার চল্লিশ দিনের ইবাদাত নস্ট হবে সাথে নিজের অজান্তে বিশ্বাস এসে যাওয়ার কারনে আপনি নিজের অজান্তে কুফুরি করে ফেলছেন এবং এভাবেই ইহুদি খ্রিস্টান এর ইসলাম বিরোধী ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন হয়ে গেল।
.
এ তো গেল পত্রিকাতে। কিন্তু আজকাল মানুষ ফেসবুকেই বেশি থাকে, তাই ফেসবুকে কিছু এপস এনে দিল যা অনেকটা এরকম কিছু তথ্য দিবে
“আপনার বউ দেখতে কার মত হবে?” “ওমুখ সাল আপনার কেমন কাটবে?”
“আপনার মৃত্যু কবে হবে?” ইত্যাদি ইত্যাদি।
এগুলো আমরা যারা ফেসবুক চালাই তারা অহরহ দেখতে পাচ্ছি।
.
আমাদেরই মুসলিম ভাই বোনরা না জেনে বুঝে এই সকল গণক/জ্যোতিষ এর কাছে যেয়ে ঈমান হারা হচ্ছে।
.
আমি জানি আপনি হয়ত ভাবছেন ” এগুলো তো আমরা বিশ্বাস করি না,জাস্ট মজার জন্য করি”
.
আপনাকে বলছি,মজার ছলে এগুলো করাও হারাম। চল্লিশ দিনের নামায কবুল হবে না। আর এগুলো দেখতে দেখতে যদি মনে নিজের অজান্তে বিশ্বাস এসে যায় তাহলে তো ডাইরেক্ট কুফুরি। এটাই তো ছিল ইসলাম বিরোধী চক্রের ষড়যন্ত্র।
.
ঈমান একটি মানুষের সবচেয়ে মূলবান সম্পদ। আমরা যত গোনাহ করি না কেন,যদি মুসলিম হয়ে মারা যেতে পারি তবে একদিন না একদিন জান্নাতে আল্লাহ দিবেন। কিন্তু যদি ঈমান না নিয়ে মারা যাই তাহলে চিরস্থায়ী জাহান্নামে জ্বলতে হবে।
.
তাই আসুন আমরা মজার ছলেও পত্রিকায় রাশিফল এবং ফেসবুকে গণক/জ্যোতিষ এপস ব্যবহার করে ঈমান ধ্বংস না করি।
.
আল্লাহ আমাদের শিরক ও কুফুরি থেকে হেফাযত করে মুসলিম অবস্থায় মৃত্যু দিন।

Exit mobile version