হজ্জ করার পূর্বে উমরা পালন করা যাবে কি এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কতটি হজ্জ ও উমরা করেছেন

প্রশ্ন: হজ্জ করার পূর্বে উমরা পালন করা যাবে কি? রাসূল ﷺ কতটি হজ্জ এবং উমরা করেছেন?
▬▬▬▬▬▬✿◈✿▬▬▬▬▬▬
উত্তর: ফরয হজ্জ করার আগে উমরা করাতে শারঈ কোনো বাধা নেই। সেটা বছরের যেকোন সময় হতে পারে এমনকি হজ্জের মাসেও উমরা করা জায়েয; একই বছরে হজ্জ করার নিয়ত থাকুক অথবা না থাকুক। এ ব্যাপারে আলেমগণের মাঝে কোন মতভেদ নেই। এর কারণ হচ্ছে, উমরা এর জন্য নির্ধারিত কোনো সময় নেই। যে কোনো সময় উমরা করা যায়। রাসূল (ﷺ) নিজে হজ্জ করার পূর্বে উমরা করেছেন, তার সাহাবীগন করেছেন। ইমাম নববী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, হজ্জের পূর্বে উমরা করা জায়েয। চাই সে পরবর্তীতে হজ্জ করুক বা না করুক।(নববী আল-মাজমূ; খন্ড: ৭ পৃষ্ঠা:১৭০) তবে যদি উমরা পালনে হজ্জের খরচ বা প্রস্তুতি গ্রহণে বাধা হয়ে দাঁড়ায় তবে একই সফরে হজ্জ ও উমরা পালন করা উত্তম। আর ফরজ হজ্জ করার পূর্বে উমরা করা জায়েজ এই বিষয়ে ইজমা নকল করেছেন ইমাম ইবনু আব্দুল বার্র (রাহিমাহুল্লাহ)।(বিস্তারিত দেখুন: ইসলাম ওয়েব ফাতওয়া নং: ৬০৩৫২)
.
প্রখ্যাত তাবি‘তাবি‘ঈ আহলুস সুন্নাহ’র অন্যতম শ্রেষ্ঠ ‘আলিম শাইখুল ইসলাম ইমাম সাঈদ ইবনুল মুসাইয়িব (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ৯৪ হি.]-কে জনৈক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করল, আমি কি হজ্জের পূর্বে উমরা করতে পারি। তিনি বললেন,: نعم ، قد اعتمر رسول الله – صلى الله عليه وسلم – قبل أن يحج “হ্যাঁ পারবে। রাসূল (ﷺ) তাঁর হজ্জের পূর্বে তিনবার উমরা পালন করেছিলেন”(মুসনাদে আহমাদ হা/২৫৯৫২; মাজমা‘উয যাওয়ায়েদ হা/৫৬৬৩, সনদ হাসান)
.
সৌদি আরবের ‘ইলমী গবেষণা ও ফাতাওয়া প্রদানের স্থায়ী কমিটির (আল-লাজনাতুদ দাইমাহ লিল বুহূসিল ‘ইলমিয়্যাহ ওয়াল ইফতা) ‘আলিমগণকে হজ্জের পূর্বে উমরা করা গ্রহণযোগ্য কিনা জিজ্ঞেস করা হলে জবাবে তারা বলেন,

نعم ؛ يجوز للإنسان أن يعتمر قبل أن يحج ؛ لأن النبي صلى الله عليه وسلم وأصحابه اعتمروا قبل أن يحجوا حجة الفريضة.

“হ্যাঁ, কোনো ব্যক্তির জন্য হজ্জ করার পূর্বে উমরা করা জায়েয। কারন মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ও তাঁর সাহাবীগণ ফরজ হজ্জ করার পূর্বে উমরা করেছিলেন।(ফাতাওয়া লাজনাহ দায়িমাহ; খন্ড: ১১, পৃষ্ঠা: ৩১৮)
.
সর্বোচ্চ ‘উলামা পরিষদের সম্মানিত সদস্য, বিগত শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ফাক্বীহ, মুহাদ্দিস, মুফাসসির ও উসূলবিদ, আশ-শাইখুল ‘আল্লামাহ, ইমাম মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-‘উসাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৪২১ হি./২০০১ খ্রি.]-কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল: যে ব্যক্তি শুধু উমরা পালন করে অথচ হজ্জের ফরজ পালন করে না এমন ব্যক্তির বিধান কী? আর এমন কতক মানুষের কাছে প্রসিদ্ধ যে, “যে ব্যক্তি হজ্জের পূর্বে উমরা পালন করে তার উমরা ধর্তব্য নয়” এ কথার বিশুদ্ধতা কতটুকু?

শাইখ উত্তরে বলেন:

حكمه أن أداءه للعمرة واقع موقعه، وقد برئت ذمته من العمرة إذا أدى الواجب عليه فيها، ولكن بقيت عليه فريضة الحج التي هي فرض بالنص والإجماع، فعليه إذا أدرك وقت الحج أن يحج البيت إذا كان مستطيعاً، قال الله تعالى: ﴿وَلِلَّهِ عَلَى النَّاسِ حِجُّ الْبَيْتِ مَنِ اسْتَطَاعَ إِلَيْهِ سَبِيلًا﴾[آل عمران:97].
وأما ظن بعض الناس أن من أتى بالعمرة قبل الحج فإنه لا عمرة له. فهذا لا أصل له، بل إن رسول الله – صلى الله عليه وسلم – اعتمر بعد هجرته قبل أن يحج.

“তার বিধান হল অবশ্যই তার উমরা পালন করা উমরা পালনের স্থানে হবে।(অর্থাৎ উমরা পালনের বিধান উমরা পালনের স্থানে হবে। তা মূলত স্বতন্ত্র একটি বিধান)। অবশ্যই সে উমরা পালনের জিম্মাদারী/দায়িত্ব থেকে মুক্ত হবে যখন তার ওপর তা পালন করা ওয়াজিব হবে। তবে ফরজ হজ্জ পালন করা তার উপর অবশিষ্ট থেকে যাবে যা কুরআন, সুন্নাহ ও ইজমা দ্বারা প্রমাণিত যে, এটি একটি ফরজ বিধান। সুতরাং সে ব্যক্তির ওপর তা পালন করা আবশ্যক যখন সে বায়তুল্লাহ হজ্জ করার সময় পাবে। তবে শর্ত হলো যদি সে সক্ষম হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন:(وَلِلَّهِ عَلَى النَّاسِ حِجُّ الْبَيْتِ مَنِ اسْتَطَاعَ إِلَيْهِ سَبِيلًا﴾“আর সামর্থ্যবান মানুষের উপর আল্লাহর জন্য বায়তুল্লাহর হজ্জ করা ফরয”।[সূরা আলে ইমরান, ৩: ৯৭] অতঃপর কতিপয় মানুষের ধারণা যে, যে ব্যক্তি হজ্জ করার পূর্বে উমরা পালন করে তার উমরা পালন করা গৃহীত নয় (কবুলযোগ্য নয়)। ফলে এর কোন মূল ভিত্তি নেই। বরং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হিযরতের পর হজ্জ করার পূর্বে উমরা পালন করেছেন।(ইবনে উসাইমীন: মাজমু’ ফাতওয়া: খন্ড: ২১, পৃষ্ঠা: ৫৭)।
.
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সর্বমোট ৪ (চার) বার উমরা করেছেন এবং একবার হজ্জ করেছেন। রাসূল (ﷺ)-এর সবগুলো উমরা জিলক্বদ মাসে ছিল। জিলক্বদ হজ্জের মাস (শাওয়াল, জিলক্বদ ও জিলহজ্জ) এর অন্তর্ভুক্ত। শুধু তিনি তাঁর জীবনের শেষ উমরার সাথে বিদায়ী হজ্জ করেছেন। প্রখ্যাত সাহাবী আনাস ইবনু মালিক (রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু) [মৃত: ৯৩ হি.] বর্ননা করেন যে, اعْتَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَرْبَعٌ عُمَرٍ كُلُّهُنَّ فِي ذِي الْقَعْدَةِ إِلَّا الَّتِي كَانَتْ مَعَ حَجَّتِهِ: عُمْرَةً مِنَ الْحُدَيْبِيَةِ فِي ذِي الْقَعْدَةِ وَعُمْرَةً مِنَ الْعَامِ الْمُقْبِلِ فِي ذِي الْقَعْدَةِ وَعُمْرَةً مِنَ الْجِعْرَانَةِ حَيْثُ قَسَّمَ غَنَائِمَ حُنَيْنٍ فِي ذِي الْقَعْدَةِ وَعُمْرَةً مَعَ حَجَّتِهِ “রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মোট চারবার উমরা পালন করেছেন। হজ্জের সাথে উমরা ছাড়া প্রত্যেকটি উমরা পালন করেছেন জিলক্বদ মাসে। এক উমরা করেছেন হুদায়বিয়াহ্ নামক স্থান হতে জিলক্বদ মাসে (আগমনকারী বৎসরে), আর এক উমরা করেছেন জি‘রানাহ্ নামক স্থান থেকে যেখানে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) হুনায়ন যুদ্ধেলব্ধ গনীমাতের মাল বণ্টন করেছিলেন জিলক্বদ মাসে। আর এক উমরা তিনি পালন করেছেন (দশম হিজরীতে তাঁর বিদায়) হজ্জের মাসে”।(সহীহ বুখারী হা/৪১৪৮, সহীহ মুসলিম হা/১২৫৩, আবূ দাঊদ হা/১৯৯৪, সহীহ ইবনু হিব্বান হা/৩৭৬৪)
.
শাফি‘ঈ মাযহাবের প্রখ্যাত মুহাদ্দিস ও ফাক্বীহ, ইমাম মুহিউদ্দীন বিন শারফ আন-নববী (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ৬৭৬ হি.] এই হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেন:

( فالحاصل من رواية أنس وابن عمر اتفاقهما على أربع عمر وكانت إحداهن في ذي القعدة عام الحديبية سنة ست من الهجرة وصُدُّوا فيها فتحللوا وحسبت لهم عمرة ، والثانية في ذي القعدة وهي سنة سبع وهي عمرة القضاء ، والثالثة في ذي القعدة سنة ثمان وهي عام الفتح ، والرابعة مع حجته وكان إحرامها في ذي القعدة وأعمالها في ذي الحجة ).

“আনাস (রাঃ) ও ইবনে উমর (রাঃ) এর বর্ণনার সারকথা হচ্ছে- তাঁরা দুজন ৪টি উমরার ব্যাপারে একমত। একটি ছিল হুদাইবিয়ার বছর হিজরি ৬ষ্ঠ সালে জিলক্বদ মাসে। সে বছর তাঁরা বাধাপ্রাপ্ত হয়ে ইহরাম থেকে হালাল হয়ে গিয়েছেন উমরা করতে পারেননি। দ্বিতীয়টি ছিল ৭ম হিজরির জিলক্বদ মাসে কাযা উমরা। তৃতীয়টি ছিল ৮ম হিজরিতে মক্কা বিজয়ের বছর। চতুর্থটি ছিল হজ্জের সাথে। সে উমরার ইহরাম জিলক্বদ মাসে বেঁধেছিলেন এবং উমরার কাজগুলো জিলহজ্জ মাসে শেষ করেছিলেন।” তিনি আরও বলেন:

( قال العلماء وإنما اعتمر النبي صلى الله عليه وسلم هذه العمر في ذي القعدة لفضيلة هذا الشهر ولمخالفة الجاهلية في ذلك فإنهم كانوا يرونه من أفجر الفجور . . . ففعله صلى الله عليه وسلم مرات في هذه الأشهر ليكون أبلغ في بيان جوازه فيها وأبلغ في إبطال ما كانت الجاهلية عليه والله أعلم ).

“আলেমগণ বলেন: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জিলক্বদ মাসের ফজিলতের কারণে এবং জাহেলি যুগের বিরুদ্ধাচরণ করতে গিয়ে এ উমরাগুলো জিলক্বদ মাসে পালন করেছেন। কারণ জাহেলি যুগে এ মাসে উমরা করাকে গুনার কাজ মনে করা হত। তাই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ মাসে অধিক হারে উমরা করেছেন যাতে এ মাসে উমরা করা জায়েয এ বিষয়কে মজবুত করতে পারেনা এবং নাজায়েয হওয়ার জাহেলী দৃষ্টিভঙ্গিকে তীব্রভাবে অপনোদন করতে পারেন। আল্লাহই ভাল জানেন।(ইমাম নববী, শারহু সহীহ মুসলিম, ৮য় খণ্ড, পৃষ্ঠা: ৩৮১ এবং ইসলামি সওয়াল-জবাব ফাতাওয়া নং-২২৬৫৮)
.
পরিশেষে, প্রিয় পাঠক উপরোক্ত আলোচনা থেকে একথা পরিস্কার যে ফরজ হজ্জ করার পূর্বে উমরা করা জায়েজ তবে যে ব্যক্তি ফরজ হজ্জ আদায়ের সামর্থ্য রাখেন এবং হজ্জ ফরয হওয়ার শর্তগুলোও তার মধ্যে পূর্ণ হয়েছে তার উপর অবিলম্বে হজ্জ আদায় করা ফরয বিলম্ব করা নাজায়েয। এই হাম্বালী মাযহাবের প্রখ্যাত ফাক্বীহ, শাইখুল ইসলাম, ইমাম ‘আব্দুল্লাহ বিন আহমাদ বিন কুদামাহ আল-মাক্বদিসী আল-হাম্বালী (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ৬২০ হি.] তাঁর ‘মুগনী’ গ্রন্থে বলেন:

“من وجب عليه الحج، وأمكنه فعله، وجب عليه على الفور، ولم يجز له تأخيره. وبهذا قال أبو حنيفة ومالك، لقول الله تعالى: وَلِلَّهِ عَلَى النَّاسِ حِجُّ الْبَيْتِ مَنِ اسْتَطَاعَ إِلَيْهِ سَبِيلاً وَمَنْ كَفَرَ فَإِنَّ اللَّهَ غَنِيٌّ عَنِ الْعَالَمِينَ آل عمران/97. والأمر على الفور.

وروي عن النبي صلى الله عليه وسلم أنه قال: مَنْ أَرَادَ الْحَجَّ فَلْيَتَعَجَّلْ. رواه الإمام أحمد وأبو داود وابن ماجه. وفي رواية أحمد وابن ماجه: فَإِنَّهُ قَدْ يَمْرَضُ الْمَرِيضُ، وَتَضِلُّ الضَّالَّةُ، وَتَعْرِضُ الْحَاجَةُ حسنه الألباني في صحيح ابن ماجه ” انتهى بتصرف.

“যার উপর হজ্জ ফরয হয়েছে ও তার পক্ষে হজ্জ আদায় করা সম্ভবপর তার উপর অবিলম্বে হজ্জ আদায় করা ফরয বিলম্ব করা নাজায়েয। এটি ইমাম আবু হানিফা ও ইমাম মালেকের অভিমত। দলিল হচ্ছে আল্লাহর বাণী- “মানুষের মধ্যে যারা বায়তুল্লাতে পৌঁছার সামর্থ্য রাখে তাদের উপর আল্লাহর জন্য এ ঘরের হজ্জ আদায় করা ফরজ। কেউ এটা অস্বীকার করলে আল্লাহ তো বিশ্ব জগত থেকে অমুখাপেক্ষী।”[সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ৯৭] যে কোন আমর বা নির্দেশ অবিলম্বে পালনীয়। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন: “যে ব্যক্তি হজ্জ আদায় করতে চায় সে যেন দেরী না করে।”[মুসনাদে ইমাম আহমাদ, সুনানে আবু দাউদ, সুনানে ইবনে মাজাহ, মুসনাদে আহমাদ ও সুনানে ইবনে মাজার এক বর্ণনাতে আছে- “হতে পারে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়বে, বাহন হারিয়ে যাবে, কোন প্রয়োজন দেখা দিবে” আলবানী ‘সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ’ গ্রন্থে হাদিসটিকে হাসান আখ্যায়িত করেছেন।(ইবনু কুদামাহ, আল-মুগনী, খন্ড: ৩ পৃষ্ঠা: ২১২ থেকে পরিমার্জিত ও সমাপ্ত)।
.
যে কোন নির্দেশ অবিলম্বে পালনীয় এর মানে হচ্ছে- মুকাল্লাফ (ভারপ্রাপ্ত ব্যক্তি) কোন নির্দেশ পালন করার সামর্থ্য অর্জন করার সাথে সাথে নির্দেশটি করে ফেলা ফরয। কোন ওজর ছাড়া সে নির্দেশ পালনে দেরী করা নাজায়েয।
.
সর্বোচ্চ ‘উলামা পরিষদের সম্মানিত সদস্য, বিগত শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ফাক্বীহ, মুহাদ্দিস, মুফাসসির ও উসূলবিদ, আশ-শাইখুল ‘আল্লামাহ, ইমাম মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-‘উসাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৪২১ হি./২০০১ খ্রি.]-কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল: হজ্জ পালন কি অবিলম্বে ফরয; নাকি বিলম্বে?

জবাবে তিনি বলেন:

الصحيح أنه واجب على الفور، وأنه لا يجوز للإنسان الذي استطاع أن يحج بيت الله الحرام أن يؤخره، وهكذا جميع الواجبات الشرعية، إذا لم تُقيد بزمن أو سبب، فإنها واجبة على الفور ”

“বিশুদ্ধ মতানুযায়ী হজ্জ অবিলম্বে ফরয। সামর্থ্যবান ব্যক্তির জন্য বায়তুল্লাহর হজ্জ পালনে বিলম্ব করা নাজায়েয। অনুরূপ বিধান শরিয়তের সকল ফরয আমলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। যদি কোন আমল বিশেষ কোন কাল বা কারণের সাথে সম্পৃক্ত না হয় তাহলে সেটা অবিলম্বে আদায় করা ফরয।(উসাইমীন, মাজমূঊ ফাতাওয়া ওয়া রাসাইল, ১৩তম খণ্ড পৃষ্ঠা: ২১) আমরা আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করছি তিনি যেন আমাদেরকে তাঁর ঘরের হজ্জ আদায় করার তাওফিক দেন, ফরজ ইবাদত পালন করার সামর্থ্য দেন। আমাদের নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপর আল্লাহর রহমত ও শান্তি বর্ষিত হোক। (আল্লাহই সবচেয়ে জ্ঞানী)
____________________
আপনাদের দ্বীনি ভাই:
জুয়েল মাহমুদ সালাফি।

Share: