স্ত্রীর সেবা স্বামীর প্রাপ্য হয়ে থাকলে স্বামীর সেবাও কিন্তু স্ত্রীর প্রাপ্য

স্ত্রী মানে কোন চাকরানি বা কোন কেনা দাসী নয়।”

স্বামী-স্ত্রীর ভালবাসা একটি উদাহরণ,
এক গৃহকর্তা গোসলখানায় ঢুকে বালতিতে কাপড় ভিজানো দেখল।
সে বুঝেফেলল ব্যস্ততার কারণে গোসলের পর দ্রুত
বেরিয়ে গেছে তার স্ত্রী।
স্বামী গোসলখানায় নিজের কাজ শেষ করে সুন্দর ভাবে পোশাকগুলো ধুয়ে সঙ্গে নিয়ে বেরিয়ে এলেন তিনি।

স্বামীর হাতে জামা কাপড় দেখে স্ত্রী দৌঁড়ে এসে কাপড়গুলো নিয়ে নিল এবং বলতে লাগল শুকরান,
জাযাকাল্লাহ।1f60d?

চোখে, মুখে ছিল তার প্রশান্তির ছাপ এবং অনেক খুশি হলে স্বামীর প্রতি তার ভালোবাসা আরো বেড়ে গেলো।

ঘটনাটি দ্বারা আমরা কি বুঝলাম ?
আসলে আমরা পুরুষরা কিছু টা অকৃতজ্ঞ??

স্ত্রী বিহীন জীবনটা কেমন????
স্ত্রী বিহীন প্রাসাদোপম বাড়িও যেন কবর সদৃশ।
স্ত্রী না থাকলে দিনগুলোকে মনে হয় কয়েক শতাব্দী।
আর স্ত্রী থাকলে স্বামীরা মনে করে এ আর এমন কি বিষয়। এ তো স্বাভাবিকই যে, তারা থাকবে।
কিন্তু তারা যখন স্বামীর ঘর ছেড়ে বাপের বাড়ি বা অন্য কোথাও বেড়াতে যায় তখন স্বামীদের জীবনটা দুর্বিষহ হয়ে ওঠে আর তারা দিনগুনতে থাকে কবে স্ত্রী ফিরে আসবে।

স্ত্রীদের সম্পর্কে কেউ যখন এভাবে মূল্যায়ন করে তখন অনেক বন্ধুই তাকে কাপুরুষ ও দুর্বল বলে।
দৃঢ়ভাবে তাদেরকে বলতে চাই,
ঘরের সুখ-শান্তি, সৌন্দর্য-সমৃদ্ধি, স্বাদ-তৃপ্তি এবং আত্মা ও হৃদয় হলো ঘরের ঘরণীরা।
বরং আমি তো বলি স্ত্রীই হলো ঘর, ঘরই হলো স্ত্রী।

মাত্র এক সপ্তাহ সময়ের জন্য বউ বাপের বাড়ি যায়।
তখন মনে হয় একমাস হলো পাশে নেই।
বৌ বিহীন আপনার ঘর কেমন থাকে, এবং আপনার কাছে কেমন লাগে ভেবে নিবেন।

❃ বাসর রাতে পা ধরে দেনমহর মাফ করানোর ঘটনা তো বর্তমান সাধারণ ব্যপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এবং যারা দেনমহরের গুরুত্ব সম্পর্কে অজ্ঞ তাদের
কথা আর কি বলব!

আর সে যে বিবাহের পর থেকে রীতিমত আপনার পোশাক ধুয়ে দিচ্ছে।
রান্না, বাচ্চার সেবা-যত্ন ও সম্পদ সংরক্ষণ করছে।

#এতদিনে একবার কি আপনি চোখে মুখে ঐ রকম
প্রশান্তি নিয়ে খুশি হয়ে শুকরান জাযাকাল্লাহ্ বলেছেন??
আসলেই আমরা অকৃতজ্ঞ মানতে হবে।

এ কথার পর কেউ কেউ বলে থাকবেন,
স্ত্রীর তো দায়িত্ব স্বামীর খেদমত করা! আরে ভাই!
আপনারও তো দায়িত্ব তার কাজে সহযোগিতা করা, যে আদর্শ শিখিয়ে গেছেন স্বয়ং রাসূল (সাঃ) নিজে।

স্বামীদের স্ত্রীর প্রতি কিছু সুন্নাত ও ওয়াজিব উল্লেখ করলাম দেখেন তো আপনি কোনটা করেন।

১/স্ত্রীর কাজে সাহায্য করা সুন্নাত,
২/স্ত্রীর জন্য খরচ করা ওয়াজিব,
৩/স্ত্রীর সাথে ভাল ব্যবহার করা সুন্নাত,
৪/স্ত্রীর সাথে হাস্য কৌতুক করা সুন্নাত,
৫/স্ত্রীকে খাইয়ে দেয়া সুন্নাত।।।।।।

☞ পুরুষ
হয়েছেন বলে সব সময় পা চাপা,
চুল টানা সব রকম সেবা উপভোগ করবেন, এটা কোন নৈতিকতা নয়।
যখন বিয়ে করেছেন তখন আপনার শশুড় শাশুড়ি কে কথা দিয়েছে সব সময় তার খেয়াল রাখবেন।
বাসর রাতে স্ত্রীকে ওয়াদা করেছে সুখেদুঃখে পাশে থাবেন। ভুলে গেলেন সব??

একজন মুসলমানের কাছ থেকে তার
স্ত্রীর প্রাপ্য আছে যখন সে অসুস্থ বা বা সারা দিন কাজ করার পর ক্লান্ত থাকবে , আপনি তার পা, মাথা চেপে দিবেন, চুল টেনে দিবেন!
যখন অসুস্থ থাকবে তার সেবা করবেন।
মন খারাপ থাকলে হাসিমুখে কথা বলবেন।

✺ এ আচরণগুলি আপনার সম্মান ক্ষুণ্ন করবে না,
বরং মর্যাদা বাড়িয়ে দিবে।

ভুলে যাবেন না আপনার বোন আছে অন্যের ঘরে।

সংগ্রহীতঃ সহীহ দ্বীন শিখি মিডিয়া।

Share: