সালাম দেওয়া কিংবা সালামের জবাব দেওয়ার সময় তায়ালা শব্দ যোগ করার বিধান কী

প্রশ্ন: সালাম দেওয়া কিংবা সালামের জবাব দেওয়ার সময় “তা’য়ালা” শব্দ যোগ করার বিধান কী? যেমন: আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি তা’য়ালা ওয়াবারাকাতুহ।
▬▬▬▬▬▬▬▬ ◈ ▬▬▬▬▬▬▬▬
ভূমিকা: ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা। মানব জীবনের এমন কোন দিক নেই, যার পূর্ণাঙ্গ বিবরণ ইসলাম প্রদান করেনি। ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক ও আন্তর্জাতিক পরিম-লসহ সকল ক্ষেত্রেই মেনে চলার জন্য ইসলাম দিয়েছে বিস্তারিত ও ভারসাম্যপূর্ণ বিধান। পরস্পরে দেখা-সাক্ষাৎ মানবজীবনের অপরিহার্য অনুষঙ্গ। তাই মানব সৃষ্টির সূচনা থেকেই মহান আল্লাহ একে অপরের প্রতি সম্ভাষণ করার পদ্ধতি নবী-রাসূলদের মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছেন। সর্বপ্রথম তিনি আদম (আলাইহিস সালাম)-কে সালামের শিক্ষা দেন। আদম (আলাইহিস সালাম)-কে সৃষ্টি করার পর আল্লাহ তা‘আলা তাকে ফেরেশতাদের সালাম দেয়ার নির্দেশ দেন। তিনি সালাম দিলে ফেরেশতারাও সালামের উত্তর দেন। সালাম দেওয়া সুন্নত কিন্তু সালামের উত্তর দেয়া ওয়াজিব।( বিস্তারিত জানতে দেখুন; সূরা নিসা:৮৬; সহীহ মুসলিম হা/২১৬২; আবূ দাঊদ হা/৫০৩০)
.
▪️এখন প্রশ্ন হচ্ছে সালাম দেওয়া কিংবা সালামের জবাব দেওয়ার সময় তা’য়ালা শব্দ যোগ করার বিধান:
.
সালাম দেওয়ার সময় আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি তা’য়ালা ওবারাকাতুহু কিংবা সালামের জবাবে ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহি তা’য়ালা ওবারাকাতুহু বলা যাবে কিনা উক্ত প্রশ্নের উত্তরে আমরা বলবো সালাম আদান প্রদানের বিশুদ্ধ শব্দাবলি সম্পর্কে সহীহ বুখারী মুসলিমে প্রখ্যাত সাহাবী আবূ হুরায়রা (রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু) [মৃত: ৫৯ হি.] হাদীস বর্নিত হয়েছে।(সহীহ বুখারী হা/৩২১৭ও ৩৩২৬; সহীহ মুসলিম হা/২৮৪১) এবং আবু দাউদ তিরমিজিতে ইমরান ইবনু হুসায়ন (রাঃ) হতে হাদীস রয়েছে।(তিরমিযী ২৬৮৯,আবূ দাঊদ ৫১৯৫) কিন্তু সালামের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত শব্দ “তা’য়ালা” যোগ করার ব্যাপারে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে কিংবা তাঁর সাহাবীবর্গ থেকে কোন সহিহ হাদিস বর্ণিত হয়নি। মুসলিম ইমামদের কেউ কিংবা চার ইমামের কেউ কিংবা অন্য কোন আলেম এই অতিরিক্ত শব্দ যোগ করাকে মুস্তাহাব বলেননি। বর্ণনা নির্ভর গ্রন্থগুলোতে এ ব্যাপারে কিছু নেই; না আছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে; না তাঁর সাহাবীবর্গ থেকে,না আছে সহিহ কোন রেওয়ায়েত; না আছে দুর্বল কোন বর্ণনা। সুতরাং যেহেতু শব্দটি কুরআন সুন্নাহয় বর্নিত হয়নি তাই সালামের ক্ষেত্রে শব্দটি ব্যবহার এড়িয়ে চলাই উত্তম। কেননা সালাম আদান-প্রদানের সময় তায়া’লা শব্দটি ব্যবহার করা যদি উত্তম হত তাহলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উম্মতের জন্য সেটা বর্ণনা করতেন; হয়তো কথার মাধ্যমে কিংবা তাঁর আমলের মাধ্যমে। আর সে রকম কিছু ঘটলে সে কথা সবাই জানতে পারত এবং সাহাবায়ে কেরাম আমাদের কাছে সেটা বর্ণনা করতেন। কেননা, উম্মতের যা কিছু প্রয়োজন এর সবকিছু তারা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন। দ্বীনি কোন বিষয় বর্ণনা করার ক্ষেত্রে তাঁরা অবহেলা করেননি। বরং তাঁরা যে কোন ভাল কাজে অগ্রণী ছিলেন। আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি্ ওয়া সাল্লাম হচ্ছেন মানুষের জন্য সর্বাধিক কল্যাণকামী। তিনি রাসূলের দায়িত্ব পরিপূর্ণভাবে পালন করেছেন, আমানত যথাযথভাবে পৌঁছে দিয়েছেন। আর একথা সবারই জানা যে,নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আদর্শই হচ্ছে পূর্ণাঙ্গ ও সর্বোত্তম আদর্শ।
.
সৌদি ফতোয়া বোর্ড এবং সৌদি আরবের সর্বোচ্চ ‘উলামা পরিষদের প্রবীণ সদস্য, যুগশ্রেষ্ঠ ফাক্বীহ, আশ-শাইখুল ‘আল্লামাহ, ইমাম সালিহ বিন ফাওযান আল-ফাওযান (হাফিযাহুল্লাহ) [জন্ম: ১৩৫৪ হি./১৯৩৫ খ্রি.] তার ‘আল-বায়ান লি আখতায়ি বাযিল কুত্তাব’ গ্রন্থে বলেন:

لا يخفى ما ورد في الكتاب والسنة من الأمر باتباع ما شرعه الله ورسوله والنهي عن الابتداع في الدين ، قال تعالى : ( قُلْ إِنْ كُنتُمْ تُحِبُّونَ اللَّهَ فَاتَّبِعُونِي يُحْبِبْكُمُ اللَّهُ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوبَكُمْ ) ، وقال تعالى : ( اتَّبِعُواْ مَا أنزل إِلَيْكُم مِّن رَّبِّكُمْ وَلاَ تَتَّبِعُواْ مِن دُونِهِ أَوْلِيَاء قَلِيلًا مَّا تَذَكَّرُونَ ) ، وقال تعالى : ( وَأَنَّ هَذَا صِرَاطِي مُسْتَقِيمًا فَاتَّبِعُوهُ وَلاَ تَتَّبِعُواْ السُّبُلَ فَتَفَرَّقَ بِكُمْ عَن سَبِيلِهِ ) وقال صلى الله عليه وسلم : ( إن أصدق الحديث كتاب الله، وخير الهدي هدي محمد ، وشر الأمور محدثاتها ) ، وقال صلى الله عليه وسلم : ( من أحدث في أمرنا هذا ما ليس منه فهو رد ) وفي رواية لمسلم : ( من عمل عملًا ليس عليه أمرنا فهو رد ) .
“কুরআন ও হাদিসে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল কর্তৃক প্রদত্ত বিধানের অনুসরণ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং ধর্মীয় বিষয়ে নতুন কিছু প্রবর্তন করা থেকে নিষেধ করা হয়েছে এটি কারো অজানা নয়। আল্লাহ তাআলা বলেন: “বলুন, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাস, তাহলে আমার অনুসরণ কর, ফলে আল্লাহ তোমাদেরকে ভালবাসবেন এবং তোমাদের পাপরাশি মার্জনা করে দিবেন। আল্লাহ ক্ষমাশীলও দয়ালু।[সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ৩১] তিনি আরও বলেন: “তোমরা অনুসরণ কর, যা তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে অবতীর্ণ হয়েছে এবং আল্লাহকে বাদ দিয়ে কর্তাদের অনুসরণ করো না।”।[সূরা আরাফ, আয়াত: ৩] তিনি আরও বলেন: “তোমাদেরকে এ নির্দেশ দিয়েছেন, যেন তোমরা উপদেশ গ্রহণ কর। নিশ্চিত এটি আমার সরল পথ। অতএব, এ পথে চল এবং অন্যান্য পথে চলো না। তা হলে সেসব পথ তোমাদেরকে তাঁর পথ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিবে।”[সূরা আনআম, আয়াত: ১৫৩] নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “নিশ্চয় শ্রেষ্ঠ সত্যবাণী হচ্ছে আল্লাহর কিতাব। সর্বোত্তম আদর্শ হচ্ছে- নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আদর্শ। সবচেয়ে নিকৃষ্ট বিষয় হচ্ছে- নব প্রবর্তিত বিষয়গুলো।” তিনি আরও বলেন: “যে ব্যক্তি আমাদের দ্বীনে এমন কোন বিষয় চালু করে যা এতে নেই সেটা প্রত্যাখ্যাত” । সহিহ মুসলিমের এ বর্ণনায় এসেছে- “যে ব্যক্তি এমন কোন আমল করে যা আমাদের দ্বীনে নেই সেটা প্রত্যাখ্যাত”।….(আল-বায়ান লি আখতায়ি বাযিল কুত্তাব’ পৃষ্ঠা ২৬৮-২৭০)
.
সৌদি আরবের ‘ইলমী গবেষণা ও ফাতাওয়া প্রদানের স্থায়ী কমিটির (আল-লাজনাতুদ দাইমাহ লিল বুহূসিল ‘ইলমিয়্যাহ ওয়াল ইফতা) ‘আলিমগণ বলেছেন

“الأصل في الأذكار وسائر العبادات الوقوف عند ما ورد من عباراتها وكيفياتها في كتاب الله وسنة رسوله صلى الله عليه وسلم ” ا

“যিকির এবং সমস্ত ইবাদাতের ক্ষেত্রে মূলনীতি হল: আল্লাহর কিতাবে এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাহতে ইবাদাতের শব্দ এবং পদ্ধতি যেভাবে বর্ণিত হয়েছে সেভাবে অনুধাবন করা (যেভাবে কোরআন হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, কোন প্রকার পরিবর্তন ও পরিবর্ধন ছাড়াই সেই পদ্ধতি এবং শব্দের মাধ্যমে আমল করা উচিত)।(ফাতাওয়া লাজনাহ দায়িমাহ; খণ্ড: ৬; পৃষ্ঠা: ৮৭)
.
প্রখ্যাত ‘আলিমে দ্বীন ইবনে উসাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ)-এর ছাত্র, সৌদি আরবের ইমাম মুহাম্মাদ বিন সা‘ঊদ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক, শাইখ ড.খালেদ আল-মুশাইকিহ (হাফিযাহুল্লাহ্‌)-কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল: সালামের সাথে تعالى তা’য়ালা শব্দটি যোগ করার বিধান কী?

জবাবে শাইখ বলেন,

كلمة تعالى ليست واردة في الحديث ، وإذا كان كذلك فعلى المسلم تركها ، وأن يقتصر على ما ورد في السنة ، وهو ( السلام عليكم ورحمة الله وبركاته ) ، وكلمة تعالى ليست واردة ، وكون الإنسان يداوم عليها هذا يجعلها سنة ، وهي لم ترد عن النبي صلى الله عليه وسلم .ولكن لو أنه فعلها أحياناً فلا بأس

“তা’য়ালা শব্দটি হাদিসের মধ্যে বর্ণিত হয়নি।আর যখন বিষয়টি এমনই, তাহলে অবশ্যই একজন মুসলিমের উপর তা বর্জন করা অপরিহার্য এবং সুন্নাহতে যা এসেছে তার উপর সীমাবদ্ধ থাকা জরুরী।আর তা হলো:السَّلَامُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُهُ) “আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ ওয়া বারাকা-তুহ। অর্থ: আপনার/আপনাদের প্রতি শান্তি, আল্লাহর রহমত ও বরকত বর্ষিত হোক।تعالى তা’য়ালা শব্দটি বর্ণিত বাক্যাংশের অংশ নয়। সুতরাং যদি কোন ব্যক্তি এটা বলতে থাকে তাহলে তা অভ্যাস বা সুন্নত হয়ে যায়। অথচ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে তা বর্ণিত হয়নি। তবে কেউ যদি মাঝে মধ্যে এটি ব্যবহার করে,তাতে দোষের কিছু নেই।(উৎস: ইসলাম সওয়াল-জবাব ফাতাওয়া নং-২২৮১২)
.
মদিনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, মাসজিদে নাবাউয়ীর সম্মানিত মুদার্রিস, আশ-শাইখুল ‘আল্লামাহ ‘আব্দুর রাযযাক্ব বিন ‘আব্দুল মুহসিন আল-‘আব্বাদ আল-বদর (হাফিযাহুল্লাহ) [জন্ম: ১৩৮২ হি.]-কে প্রশ্ন করা হয়: কেউ কেউ বলে “আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি তাআলা ওয়া বারাকাতুহ”। তাআ’লা শব্দটি অতিরিক্ত? (তাআলা শব্দটি অতিরিক্ত করার বিষয়ে জানতে চাই।)

উত্তরে শাইখ বলেন: এ ক্ষেত্রে আমি যতদূর জানি এটি (তা’য়ালা) শব্দটি বর্ণিত হয়নি। একজন ব্যক্তির পক্ষে যা বর্ণিত আছে তা থেকে বৃদ্ধি করার দরজা নিজের জন্য না খোলাই উত্তম (যা বর্ণিত হয়েছে তা থেকে অতিরিক্ত কিছু বৃদ্ধি করা কোন ব্যক্তির জন্য শোভনীয় নয়), কারণ আমরা দৃঢ়ভাবে জানি যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতিটি কল্যান ও ফজিলত মুলক বিষয়ের প্রতি বেশি আগ্রহী (এতদাসত্ত্বেও তিনি সালামের ক্ষেত্রে এই শব্দটি অর্থাৎ তাআলা শব্দটি বৃদ্ধি করেননি)। ফলে আমাদের উচিত তিনি যেখানে থেমেছেন, আমাদেরও সেখানে থেকে যাওয়া এবং তাঁর কাছ থেকে যা কিছু বর্ণিত হয়েছে, তা আমাদের জন্য যথেষ্ট মনে করা।(শাইখের বক্তব্যের লিংক: https://youtube.com/watch?v=NZmPOV8zT64&si=q5I8QCUYx3F_8A42
.
তবে সালামের জবাব দেওয়ার সময় তাআলা যোগ করার ক্ষেত্রে কোন সমস্যা নেই বলে ইমাম ইবনে উসাইমিন (রাহিমাহুল্লাহ) মত দিয়েছেন যেমন: ইমাম মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-‘উসাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৪২১ হি./২০০১ খ্রি.]-কে প্রশ্ন করা হয়েছিল ” সালামের জবাবে ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহি তায়া’লা ওবারাকাতুহু উক্ত বাক্যের মধ্যে “তাআলা” অতিরিক্ত ভাবে ব্যবহার করার বিধান কী?

উত্তরে শাইখ বলেন, ليس فيها شيء، فهذا ثناء على الله عز وجل بتعاليه عن كل نقص وعلوِّه ـ عزّ وجلّ ـ “এতে এমন কোন কিছু নেই যাতে সমস্যা হয়। সুতরাং এটি تعالى অর্থাৎ “তিনি সবার ঊর্ধ্বে” শব্দ দ্বারা আল্লাহ তা’আলা সকল প্রকারের ত্রুটি-বিচ্যুতি হতে মুক্ত এবং তিনি সবার ঊর্ধ্বের গুণাবলীর প্রশংসা করা হয়”।(ইবনে উসাইমীন: মোবাইল ফোনে প্রশ্নোত্তর:১৪৬)। তবে যেহেতু শব্দটি বৃদ্ধির বিষয়ে কুরআন সুন্নায় সুস্পষ্ট কোন দলিল নেই তাই শব্দটির ব্যবহার বর্জন করাই উত্তম। যেমন; শায়খ সালিহ আল-মুনাজ্জিদ (হাফিযাহুল্লাহ) বলেন,

وإلقاء السلام ورده ـ بلا شك ـ من العبادات التي حث عليها النبي صلى الله عليه وسلم ، وأمر بها ، والحكم في العبادات : أنه لا يجوز تغيير ألفاظها ولا كيفياتها عما وردت به النصوص .

“নিঃসন্দেহে সালাম দেওয়া এবং তার উত্তর দেওয়া ঐ সমস্ত ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত যার ব্যাপারে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উৎসাহ প্রদান করেছেন এবং তা আদেশ দিয়েছেন। আর ইবাদতের ক্ষেত্রে হুকুম হল: যা বর্ণিত হয়েছে তা থেকে শব্দ এবং পদ্ধতি পরিবর্তন করা জায়েজ নাই।(ইসলাম সুওয়াল জাওয়াব, ফাতাওয়া নং-১৩৮৬৬৬)
.
পরিশেষে প্রিয় পাঠক! ইসলামে সালামের গুরুত্ব অপরিসীম। সালাম নামক এই শান্তির বাণীটি সামাজিক জীবনে এক বিশাল স্থান দখল করে আছে।আর মুসলমানদের পরস্পরের সাথে সাক্ষাৎ হলে কিভাবে অভিবাদন জানাবে সে বিষয়ে সুস্পষ্ট দিক-নির্দেশনা রয়েছে ইসলামে। সেই সাথে কে কাকে সালাম দিবে এবং কখন, কিভাবে সালাম প্রদান করবে এ সম্পর্কিত সবিস্তার আদব বর্ণিত হয়েছে হাদীছে। সুতরাং সালাম আদান প্রদানের সময় যেহেতু রাসূল ﷺ কিংবা তার সাহাবীদের থেকে “তায়া’লা” শব্দটি প্রমাণিত হয়নি তাই এটি এড়িয়ে চলা উচিত।(আল্লাহই সবচেয়ে জ্ঞানী)।
______________________
আপনাদের দ্বীনি ভাই:
জুয়েল মাহমুদ সালাফি।
সম্পদনায়, ওস্তাদ ইব্রাহিম বিন হাসান (হাফি:)।

Share: