তাকবীরে তাহরীমা:
اَللَّهُ أَكْبَرُ
উচ্চারণঃ আল্লা-হু আকবার।
অনুবাদঃ আল্লাহ্ সর্বশ্রেষ্ঠ।
সালাতের শুরুতে সানার দো‘আ:
উচ্চারণঃ সুবহা-নাকাল্লা-হুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়া তাবা-রাকাসমুকা ওয়া তা‘আ-লা জাদ্দুকা ওয়া লা- ইলা-হা গইরুক।
অনুবাদঃ হে আল্লাহ! আপনার প্রশংসাসহ আপনার পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছি, আপনার নাম বড়ই বরকতময়, আপনার প্রতিপত্তি অতি উচ্চ। আর আপনি ব্যতীত অন্য কোনো হক্ব ইলাহ্ নেই।
রেফারেন্স: মুসলিমঃ ৩৯৯
রুকূ‘র দো‘আ ১:
কমপক্ষে ৩ বার এ তাসবীহ পাঠ করা –
سُبْحَانَ رَبِّيَ الْعَظِيمِ
উচ্চারণঃ সুব‘হা-না রাব্বিয়াল ‘আযীম।
অনুবাদঃ মহাপবিত্র আমার মহান প্রভু।
রেফারেন্স: সহিহ। তিরমিযীঃ ২৬২
রুকূ‘র দো‘আ ২:
কমপক্ষে ৩ বার এ তাসবীহ পাঠ করা –
سُبْحَانَ رَبِّيَ الْعَظِيمِ وَبِحَمْدِهِ
উচ্চারণঃ সুব‘হা-না রাব্বিয়াল ‘আযীম ওয়া বিহামদিহী।
অনুবাদঃ আমি আমার মহান প্রভুর প্রশংসা-সহ পবিত্রতা বর্ণনা করছি।
রেফারেন্স: সনদ হাসান (শুয়াইব আরনা’ঊত)। আবু দাউদঃ ৮৭০
রুকূ‘র দো‘আ ৩:
উচ্চারণঃ সুব্বু‘হুন ক্বুদ্দুসুন রাব্বুল মালা-ইকাতি ওয়াররূ‘হ।
অনুবাদঃ মহাপবিত্র, মহামহিম, ফিরিশতাগণের এবং পবিত্ৰাত্মার প্রভু।
আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) রুকু ও সিজদায় এটি পাঠ করতেন।
রেফারেন্স: সহিহ। আবু দাউদঃ ৮৭২
রুকূ‘র দো‘আ ৪:
‘আবদুল্লাহ্ ইবনু মাস্‘ঊদ্ (রাঃ) বলেন, রাসূল (ﷺ) রুকূ এবং সিজদায় বলতেন –
سُبْحَانَكَ وَبِحَمْدِكَ أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوْبُ اِلَيْكَ
উচ্চারণঃ সুব্হা-নাকা ওয়া বিহাম্দিকা আস্তাগ্ফিরুকা ওয়া আতূবু ইলাইক।
অনুবাদঃ তোমার প্রশংসা সহকারে তোমার পবিত্রতা বর্ণনা করি। তোমার নিকট ক্ষমা চাই ও তোমার নিকট তাওবা করি।
রেফারেন্স: হাসান। সিলসিলা সহীহাঃ ৩০৩২
রুকূ‘র দো‘আ ৫:
উচ্চারণঃ সুবহা-নাকা আল্লা-হুম্মা রব্বানা ওয়াবিহামদিকা, আল্লা-হুম্মাগফির লী।
অনুবাদঃ হে আমাদের রব আল্লাহ্! তুমি ত্রুটিমুক্ত। প্রশংসা সবই তোমার। হে আল্লাহ্! আমাকে ক্ষমা করে দাও।
রেফারেন্স: বুখারীঃ ৭৯৪ [২] সূরা আন-নাসরঃ ১১০:৩
রুকূ‘র দো‘আ ৬:
উচ্চারণঃ সুব্হা-নাকা আল্লা-হুম্মা ওয়া-বিহাম্দিকা লা- ইলাহা- ইল্লা- আন্তা।
অনুবাদঃ হে আল্লাহ! আমরা তোমার প্রশংসার সাথে তোমার পবিত্রতা বর্ণনা করছি। তুমি ব্যতীত সত্য কোন মা’বূদ নেই।
রেফারেন্স: সহিহ। নাসায়ীঃ ১১৩১
রুকু থেকে উঠার দো‘আ:
রুকু থেকে উঠার সময় বলতে হয় –
سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ
উচ্চারণঃ সামিয়াল্লা-হু লিমান হামিদাহ।
অনুবাদঃ আল্লাহ্ তার কথা শোনেন যে তাঁর প্রশংসা করে।
রেফারেন্স: বুখারীঃ ৭৯৬
রুকু থেকে দণ্ডায়মান হয়ে পড়ার দো‘আ ১:
উচ্চারণঃ রাব্বানা- লাকাল হামদ।
অনুবাদঃ হে আমাদের প্রভু, আপনার জন্যই প্রশংসা।
রেফারেন্স: বুখারীঃ ৭৯৬
রুকু থেকে দণ্ডায়মান হয়ে পড়ার দো‘আ ২:
উচ্চারণঃ রাব্বানা- ওয়া লাকাল হামদ।
অনুবাদঃ হে আমাদের প্রভু, এবং আপনার জন্যই প্রশংসা।
রেফারেন্স: বুখারীঃ ৭৯৫
রুকু থেকে দণ্ডায়মান হয়ে পড়ার দো‘আ ৩:
উচ্চারণঃ রাব্বানা- ওয়া লাকাল ‘হামদ, ‘হামদান কাছীরান ত্বাইয়্যিবান মুবা-রাকান ফীহ।
অনুবাদঃ হে আমাদের প্রভু, এবং আপনারই প্রশংসা, অশেষ প্রশংসা, পবিত্র ও বরকতময় প্রশংসা।
রেফারেন্স: বুখারীঃ ৭৯৯
সিজদার দো‘আ ১:
কমপক্ষে তিনবার বলবে –
سُبْحَانَ رَبِّيَ الْأَعْلَى
উচ্চারণঃ সুব্‘হা-না রাব্বিয়াল আ’লা।
অনুবাদঃ মহাপবিত্র আমার প্রভু যিনি সর্বোচ্চ।
রেফারেন্স: মুসলিমঃ ৭৭২
সিজদার দো‘আ ২:
কমপক্ষে তিনবার বলবে –
سُبْحَانَ رَبِّيَ الْأَعْلَى وَبِحَمْدِهِ
উচ্চারণঃ সুব্‘হা-না রাব্বিয়াল আ’লা- ওয়া বিহামদিহী।
অনুবাদঃ মহাপবিত্র আমার প্রভু যিনি সর্বোচ্চ এবং তার প্রশংসা-সহ।
রেফারেন্স: সনদ হাসান (শুয়াইব আরনা’ঊত)। আবু দাউদঃ ৮৭০
সিজদার দো‘আ ৩:
উচ্চারণঃ সুবহা-নাকা আল্লা-হুম্মা রব্বানা ওয়াবিহামদিকা, আল্লা-হুম্মাগফির লী।
অনুবাদঃ হে আমাদের রব আল্লাহ্! তুমি ত্রুটিমুক্ত। প্রশংসা সবই তোমার। হে আল্লাহ্! আমাকে ক্ষমা করে দাও।
রেফারেন্স: বুখারীঃ ৭৯৪; সূরা আন-নাসরঃ ১১০:৩
সিজদার দো‘আ ৪:
উচ্চারণঃ সুব্বূহুন ক্বুদ্দূসুন রব্বুল মালা-ইকাতি ওয়াররূ’হ।
অনুবাদঃ (আল্লাহ্) পবিত্র, ত্রুটিমুক্ত, সকল ফেরেশতা ও জিবরীলের মনিব।
রেফারেন্স: সহিহ। আবু দাউদঃ ৮৭২
সিজদার দো‘আ ৫:
আবু হুরাইরা (রাঃ) বলেন: রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) সিজদার মধ্যে বলতেন –
اَللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي ذَنْبِيْ كُلَّهُ دِقَّهُ وَجِلَّهُ، وَأَوَّلَهُ وَآخِرَهُ، وَعَلَانِيَّتَهُ وَسِرَّهُ
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মাগ্ ফির লী যাম্বী কুল্লাহু, দিক্কাহু ওয়া জিল্লাহু, ওয়া আউআলাহু ওয়া আ-খিরাহু, ওয়া ‘আলা-নিয়্যাতাহু ওয়া সিররাহু।
অনুবাদঃ হে আল্লাহ্, আপনি ক্ষমা করুন আমার সকল পাপ, ছোট পাপ, বড় পাপ, প্রথম পাপ, শেষ পাপ, প্রকাশ্য পাপ, গোপন পাপ।
রেফারেন্স: মুসলিমঃ ৪৮৩
দুই সিজদার মধ্যবর্তী বৈঠকের দো‘আ ১:
উচ্চারণঃ রাব্বিগ্-ফিরলী, রাব্বিগ্-ফিরলী।
অনুবাদঃ হে প্রভু আমাকে ক্ষমা করুন, হে প্রভু আমাকে ক্ষমা করুন।
হুযাইফা (রাঃ) বলেন, নবীজী (ﷺ) দু’সিজদার মাঝে বসে উপরের দোয়াটি বলতেন।
রেফারেন্স: সহিহ। আবু দাউদঃ ৮৭৪
দুই সিজদার মধ্যবর্তী বৈঠকের দো‘আ ২:
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মাগফিরলী, ওয়ারহামনী, ওয়া ‘আ-ফিনী, ওয়াহদিনী, ওয়ারঝুক্বনী।
অনুবাদঃ হে আল্লাহ্! তুমি আমাকে ক্ষমা করো, আমার প্রতি রহম করো, আমাকে সুস্থতা দান করো, সঠিক পথে পরিচালিত করো এবং রিযিক দান করো।
রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ‘দু সিজদার মাঝে বসে এ দোয়া বলতেন।
রেফারেন্স: সহীহ। তিরমিযীঃ ২৮৪, হাসান। আবু দাউদঃ ৮৫০
দুই সিজদার মধ্যবর্তী বৈঠকের দো‘আ ৩:
اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لِيْ، وَارْحَمْنِيْ، وَاهْدِنِيْ، وَاجْبُرْنِيْ، وَعَافِنِيْ، وَارْزُقْنِيْ، وَارْفَعْنِيْ
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মাগফির লী, ওয়ারহামনী, ওয়াহদিনী, ওয়াজবুরনী, ওয়া‘আফিনি, ওয়ারযুক্বনী, ওয়ারফা‘নী।
অনুবাদঃ হে আল্লাহ! আপনি আমাকে ক্ষমা করুন, আমার প্রতি দয়া করুন, আমাকে সঠিক পথে পরিচালিত করুন, আমার সমস্ত ক্ষয়ক্ষতি পূরণ করে দিন, আমাকে নিরাপত্তা দান করুন, আমাকে রিযিক দান করুন এবং আমার মর্যাদা বৃদ্ধি করুন।
তাশাহ্হুদ (আত-তাহিয়্যাত):
اَلتَّحِيَّاتُ لِلَّهِ، وَالصَّلَوَاتُ، وَالطَّيِّبَاتُ، اَلسَّلَامُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ، السَّلَامُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللَّهِ الصَّالِحِينَ، أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُوْلُهُ
উচ্চারণঃ আত্তাহিয়্যা-তু লিল্লা-হি ওয়াস্সালাওয়া-তু ওয়াত্তায়্যিবা-তু আস্সালা-মু ‘আলাইকা আইয়্যূহান নাবিয়্যূ ওয়া রা’হমাতুল্লা-হি ওয়া বারাকা-তুহু। আস্সালা-মু ‘আলাইনা- ওয়া ‘আলা ‘ইবা-দিল্লা-হিস সা-লিহীন। আশহাদু আল্লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান ‘আব্দুহু ওয়া রাসূলুহু।
অনুবাদঃ সমস্ত মৌখিক, দৈহিক ও আর্থিক ইবাদত আল্লাহ্র জন্য। হে নবী! আপনার প্রতি সালাম এবং আল্লাহ্র রহমত ও বরকত বর্ষিত হোক। সালাম আমাদের প্রতি এবং আল্লাহ্র নেক বান্দাগণের প্রতি। আমি সাক্ষ্য প্রদান করছি যে, আল্লাহ্ ব্যতীত আর কোন মাবূদ নাই এবং আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, নিশ্চয়ই মুহাম্মাদ (ﷺ) আল্লাহ্র বান্দা ও রাসূল।
রেফারেন্স: বুখারীঃ ৭৩৮১
তাশাহ্হুদের পর নবী (ﷺ)-এর উপর দরুদ পাঠ:
اَللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَّعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى إِبْرَاهِيْمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيْمَ إِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌ اَللَّهُمَّ بَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ وَّعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلَى إِبْرَاهِيْمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيْمَ إِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌ
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা সাল্লি ‘আলা- মুহাম্মাদিউ ওয়া ‘আলা- আ-লি মুহাম্মাদিন কামা- সাল্লাইতা ‘আলা- ইব্রাহীমা ওয়া ‘আলা- আ-লি ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ। আল্লা-হুম্মা বা-রিক ‘আলা- মুহাম্মাদিউ ওয়া ‘আলা- আ-লি মুহাম্মাদিন, কামা- বা-রাকতা ‘আলা- ইব্রাহীমা ওয়া ‘আলা- আ-লি ইব্রাহীমা ইন্নাকা ‘হামীদুম্ মাজীদ।
অনুবাদঃ হে আল্লাহ্! তুমি মুহাম্মাদ (ﷺ) ও তাঁর পরিবারবর্গের উপর রহমত বর্ষণ করো, যেভাবে রহমত বর্ষণ করেছো ইবরাহীম (আঃ) ও তাঁর পরিবারবর্গের প্রতি। নিশ্চয়ই তুমি প্রশংসিত ও সম্মানিত। হে আল্লাহ্! বরকত অবতীর্ণ করো মুহাম্মাদ (ﷺ) ও তাঁর পরিবারবর্গের উপর, যেভাবে তুমি বরকত নাযিল করেছো ইবরাহীম (আঃ) ও তাঁর পরিবার-পরিজনের প্রতি। নিশ্চয়ই তুমি প্রশংসিত ও সম্মানিত’।
রেফারেন্স: বুখারীঃ ৩৩৭০
দোয়া মাসূরা ১:
কবর ও জাহান্নামের আযাব, জীবন, মৃত্যু ও দাজ্জালের ফিতনা এবং গুনাহ ও ঋণ থেকে আশ্রয় চাওয়ার দোয়া –
اَللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوْذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ، وَأَعُوْذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الْمَسِيحِ الدَّجَّالِ، وَأَعُوْذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الْمَحْـيَا وَالْمَمَاتِ. اَللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْمَأْثَمِ وَالْمَغْرَمِ
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘উযু বিকা মিন ‘আযা-বিল ক্বাবর, ওয়া আ‘উযু বিকা মিন ফিতনাতিল মাসীহিদ্ দাজ্জা-ল, ওয়া আ‘উযু বিকা মিন ফিতনাতিল মা’হইয়া- ওয়াল মামা-ত। আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘উযু বিকা মিনাল মা’ছামি ওয়াল মাগরাম।
অনুবাদঃ হে আল্লাহ্! আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই কবরের আযাব থেকে, আশ্রয় চাই মাসীহ দাজ্জালের ফিতনা থেকে এবং আশ্রয় চাই জীবন-মৃত্যুর ফিতনা থেকে। হে আল্লাহ্! আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই পাপাচার ও ঋণের বোঝা থেকে।
রেফারেন্স: বুখারীঃ ৮৩২
দোয়া মাসূরা ২:
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা আ‘ইন্নী ‘আলা যিক্রিকা ও শুকরিকা ওয়া হুসনি ইবা-দাতিক।
অনুবাদঃ হে আল্লাহ্! আমাকে সাহায্য করো যেন তোমাকে স্মরণ রাখতে পারি, তোমার শুকরিয়া আদায় করতে পারি, এবং সুন্দরভাবে তোমার গোলামি করতে পারি।
রেফারেন্স: সহিহ। আবু দাউদঃ ১৫২২
দোয়া মাসূরা ৩:
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকাল জান্নাতা ওয়া আ‘উযু বিকা মিনান না-র।
অনুবাদঃ হে আল্লাহ্! আমি তোমার কাছে জান্নাত চাই; আর জাহান্নাম থেকে তোমার কাছে আশ্রয় চাই।
আমি তো আর আপনার মতো সুন্দর করে দোয়া পড়তে পারি না, মুআযের মতোও না! “তখন নবী (ﷺ) বলেন, “আমাদের দোয়াও এর কাছাকাছি অর্থ বহন করে!”
রেফারেন্স: সহীহ। ইবনে মাজাহঃ ৩৮৪৬
সালাম ফিরানোর পরের দোয়া ১:
৩ বার বলবে –
أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ
উচ্চারণঃ আস্-তাগফিরুল্লা-হ।
অনুবাদঃ আমি আল্লাহ্র কাছে ক্ষমা চাই।
রেফারেন্স: সহিহ মুসলিমঃ ৫৯১
সালাম ফিরানোর পরের দোয়া ২:
রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) সালাত শেষে ৩ বার ইস্তিগফার বলার পর বলতেন –
اَللَّهُمَّ أَنْتَ السَّلَامُ وَمِنْكَ السَّلَامُ تَبَارَكْتَ يَا ذَا الْجَلَالِ وَالْإِكْرَامِ
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা আনতাস সালা-ম ওয়া মিনকাস সালা-ম, তাবা-রাকতা ইয়া যাল জালা-লি ওয়াল ইকরা-ম।
অনুবাদঃ হে আল্লাহ্, আপনিই সালাম (শান্তি), আপনার থেকেই শান্তি, হে মহাসম্মানের অধিকারী ও মর্যাদা প্রদানের অধিকারী, আপনি বরকতময়।
রেফারেন্স: মুসলিমঃ ৫৯১
সালাম ফিরানোর পরের দোয়া ৩:
রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) প্রত্যেক ফরয সালাতে সালাম ফিরানোর পরে এই দোয়া বলতেন –
لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيْكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ، اَللَّهُمَّ لَا مَانِعَ لِمَا أَعْطَيْتَ، وَلَا مُعْطِىَ لِمَا مَنَعْتَ، وَلَا يَنْفَعُ ذَا الْجَدِّ مِنْكَ الْجَدُّ
উচ্চারণঃ লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু, ওয়া’হ্দাহু লা- শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু, ওয়া লাহুল ‘হামদু, ওয়া হুআ ‘আলা- কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর। আল্লা-হুম্মা, লা- মা-নি’আ লিমা- আ’ত্বাইতা, ওয়ালা- মু’ত্বিয়া লিমা- মানা’তা, ওয়ালা- ইয়ান্ফা’উ যাল জাদ্দি মিনকাল জাদ্দু।
অনুবাদঃ আল্লাহ্ ছাড়া কোনো প্রকৃত মাবুদ নেই, তিনি একক, তার কোনো শরীক নেই। রাজত্ব তারই এবং প্রশংসা তারই। তিনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান। হে আল্লাহ্, আপনি যা দান করেন তা ঠেকানোর ক্ষমতা কারো নেই। আর আপনি যা না দেন তা দেওয়ার ক্ষমতাও কারো নেই। কোনো ভাগ্যবানের ভাগ্য বা পরিশ্রমীর পরিশ্রম আপনার ইচ্ছার বাইরে কোনো উপকারে লাগে না।
রেফারেন্স: বুখারীঃ ৮৪৪
আয়াতুল কুরসী (সূরা আল-বাকারাহ্ ২:২৫৫):
প্রত্যেক ফরয সালাত শেষে আয়াতুল কুরসী ১ বার পড়বেন –
اَللّٰهُ لَآ إِلٰهَ إِلَّا هُوَ الْحَىُّ الْقَيُّومُ ۚ لَا تَأْخُذُهُۥ سِنَةٌ وَلَا نَوْمٌ ۚ لَّهُۥ مَا فِى السَّمٰوٰتِ وَمَا فِى الْأَرْضِ ۗ مَنْ ذَا الَّذِى يَشْفَعُ عِنْدَهُۥٓ إِلَّا بِإِذْنِهِۦ ۚ يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ ۖ وَلَا يُحِيطُونَ بِشَىْءٍ مِّنْ عِلْمِهِۦٓ إِلَّا بِمَا شَآءَ ۚ وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمٰوٰتِ وَالْأَرْضَ ۖ وَلَا يَـُٔودُهُۥ حِفْظُهُمَا ۚ وَهُوَ الْعَلِىُّ الْعَظِيمُ
উচ্চারণঃ আল্লা-হু লা- ইলা-হা ইল্লা- হুওয়াল হাইয়্যূল ক্বাইয়্যূম। লা- তা’খুযুহু সিনাতুঁও ওয়ালা- নাউম। লাহূ মা- ফিসসামা-ওয়া-তি ওয়ামা- ফিল আরদ্বি। মান যাল্লাযী ইয়াশফা‘উ ‘ইনদাহূ ইল্লা- বিইযনিহী। ইয়া‘লামু মা- বাইনা- আইদীহিম ওয়ামা- খালফাহুম। ওয়ালা- ইয়ুহীতূনা বিশাই-ইম মিন্ ইলমিহী ইল্লা- বিমা- শা-আ। ওয়াসি‘আ কুরসিয়্যুহুস সামাওয়া-তি ওয়াল আরদ্ব। ওয়ালা- ইয়াউদুহূ হিফযুহুমা-। ওয়া হুয়াল ‘আলিয়্যূল ‘আযীম।
অনুবাদঃ আল্লাহ্! তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। তিনি চিরঞ্জীব ও চিরস্থায়ী। তন্দ্রা ও নিদ্রা তাঁকে স্পর্শ করেনা। নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলে যা কিছু রয়েছে সবই তাঁর। কে আছে এমন, যে তাঁর অনুমতি ব্যতীত তাঁর নিকট সুপারিশ করতে পারে? সম্মুখের অথবা পশ্চাতের সবই তিনি অবগত আছেন। একমাত্র তিনি যতটুকু ইচ্ছা করেন তা ব্যতীত, তাঁর জ্ঞানের কিছুই তারা আয়ত্ত করতে পারেনা। তাঁর আসন আসমান ও যমীন ব্যাপী হয়ে আছে এবং এতদুভয়ের সংরক্ষণে তাঁকে বিব্রত হতে হয়না। তিনিই সর্বোচ্চ, মহীয়ান।
রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, “যে ব্যক্তি প্রত্যেক সালাতের পরে আয়াতুল কুরসী পাঠ করবে তাঁর জান্নাতে প্রবেশের পথে মৃত্যু ছাড়া আর কোনো বাধা থাকবে না।”
রেফারেন্স: সিলসিলা সহীহাঃ ৯৭২
সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাস:
প্রত্যেক ফরয সালাত শেষে সূরা ইখলাস ১ বার –
بِسْمِ اللَّـهِ الرَّحْمَـٰنِ الرَّحِيمِ قُلْ هُوَ اللَّـهُ أَحَدٌ ﴿١﴾ اللَّـهُ الصَّمَدُ ﴿٢﴾ لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ ﴿٣﴾ وَلَمْ يَكُن لَّهُ كُفُوًا أَحَدٌ ﴿٤﴾
উচ্চারণঃ বিসমিল্লা-হির রাহমা-নির রাহি-ম। (১) ক্বুল হুওয়াল্লা-হু আহাদ। (২) আল্লা-হুস্ সামাদ। (৩) লাম ইয়ালিদ ওয়া লাম ইউলাদ। (৪) ওয়া লাম ইয়াকুল্লাহু কুফুওয়ান আহাদ।
অনুবাদঃ পরম করুণাময় অতি দয়ালু আল্লাহ্র নামে। (১) বল, তিনিই আল্লাহ্, এক-অদ্বিতীয়। (২) আল্লাহ্ কারো মুখাপেক্ষী নন, সকলেই তাঁর মুখাপেক্ষী। (৩) তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং তাঁকেও জন্ম দেয়া হয়নি। (৪) আর তাঁর কোন সমকক্ষও নেই।
সূরা ফালাক ১ বার –
بِسْمِ اللَّـهِ الرَّحْمَـٰنِ الرَّحِيمِ قُلْ أَعُوْذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ ﴿١﴾ مِن شَرِّ مَا خَلَقَ ﴿٢﴾ وَمِن شَرِّ غَاسِقٍ إِذَا وَقَبَ ﴿٣﴾ وَمِن شَرِّ النَّفَّاثَاتِ فِي الْعُقَدِ ﴿٤﴾ وَمِن شَرِّ حَاسِدٍ إِذَا حَسَدَ ﴿٥﴾
উচ্চারণঃ বিসমিল্লা-হির রাহমা-নির রাহি-ম। (১) ক্বুল আ‘উযু বিরব্বিল ফালাক্ব। (২) মিন শাররি মা- খালাক্ব। (৩) ওয়া মিন শাররি গা-সিক্বিন ইযা ওয়াক্বাব। (৪) ওয়া মিন শাররিন নাফফা-সা-তি ফিল ‘উক্বাদ। (৫) ওয়া মিন শাররি ‘হা-সিদিন ইযা ‘হাসাদ।
অনুবাদঃ পরম করুণাময় অতি দয়ালু আল্লাহ্র নামে। (১) বল, ‘আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি ঊষার রবের কাছে, (২) তিনি যা সৃষ্টি করেছেন তার অনিষ্ট থেকে, (৩) আর রাতের অন্ধকারের অনিষ্ট থেকে যখন তা গভীর হয়, (৪) আর গিরায় ফুঁ-দানকারী নারীদের অনিষ্ট থেকে, (৫) আর হিংসুকের অনিষ্ট থেকে যখন সে হিংসা করে’।
সূরা নাস ১ বার –
بِسْمِ اللَّـهِ الرَّحْمَـٰنِ الرَّحِيمِ قُلْ أَعُوْذُ بِرَبِّ النَّاسِ ﴿١﴾ مَلِكِ النَّاسِ ﴿٢﴾ إِلَـٰهِ النَّاسِ ﴿٣﴾ مِن شَرِّ الْوَسْوَاسِ الْخَنَّاسِ ﴿٤﴾ الَّذِي يُوَسْوِسُ فِي صُدُورِ النَّاسِ ﴿٥﴾ مِنَ الْجِنَّةِ وَالنَّاسِ ﴿٦﴾
উচ্চারণঃ বিসমিল্লা-হির রাহমা-নির রাহি-ম। (১) ক্বুল ‘আউযু বিরাব্বিন্না-স। (২) মালিকিন্না-স, (৩) ইলা-হিন্না-স, (৪) মিন শাররিল ওয়াসওয়া-সিল খান্না-স, (৫) আল্লাযি ইউওয়াসউইসু ফী সুদূরিন্না-স, (৬) মিনাল জিন্নাতি ওয়ান্না-স।
অনুবাদঃ পরম করুণাময় অতি দয়ালু আল্লাহ্র নামে। (১) বল, ‘আমি আশ্রয় চাই মানুষের রব, (২) মানুষের অধিপতি, (৩) মানুষের ইলাহ-এর কাছে, (৪) কুমন্ত্রণাদাতার অনিষ্ট থেকে, যে দ্রুত আত্মগোপন করে। (৫) যে মানুষের মনে কুমন্ত্রণা দেয়। (৬) জিন ও মানুষ থেকে।
রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) প্রত্যেক সালাতের শেষে সূরাহ্ ইখলাস, ফালাক্ব ও সূরাহ্ নাস একবার করে পড়তেন। [১] আর মাগরীব্ ও ফজরের সালাতের পর তিনবার করে পড়তেন’। [২]
রেফারেন্স: [১] সহীহ। আবু দাউদঃ ১৫২৩ [২] হাসান। আবু দাউদঃ ৫০৮২
৩৩ বার “সুবহানাল্লাহ”
سُبْحَانَ اللَّهِ
উচ্চারণঃ সুব‘হা-নাল্লা-হ।
অনুবাদঃ আল্লাহ্র পবিত্রতা ঘোষণা করছি।
৩৩ বার “আলহামদুলিল্লাহ”
اَلْحَمْدُ لِلَّهِ
উচ্চারণঃ আল্ ‘হামদু লিল্লা-হ।
অনুবাদঃ প্রশংসা আল্লাহর জন্য।
৩৩ বার “আল্লাহু আকবার”
اَللَّهُ أَكْبَرُ
উচ্চারণঃ আল্লা-হু আকবার।
অনুবাদঃ আল্লাহ্ সর্বশ্রেষ্ঠ।
তারপর ১ বার বলবেন-
উচ্চারণঃ লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহদাহু লা- শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুয়া ‘আলা- কুল্লি শাই’ইন ক্বাদীর।
অনুবাদঃ একমাত্র আল্লাহ্ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই, রাজত্ব তাঁরই, সকল প্রশংসা তাঁরই এবং তিনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান।
যে ব্যক্তি প্রতি নামাযের পরে এটা বলবে, তার পাপরাশি ক্ষমা করে দেওয়া হয়, যদিও তা সমুদ্রের ফেনারাশির মতো হয়।
রেফারেন্স: মুসলিম, ১/৪১৮, নং ৫৯৭