*** ফিৎনা ” فتنة ” শব্দটি পবিত্র কুরআন ও হাদিসে বহুবার উচ্চারিত হয়েছে । বহুবচন ” فتن ” … ব্যাপক অর্থে ব্যবহ্রত হয় ।
*** ফিৎনা অর্থ পরীক্ষা । আল্লাহপাক বলেন ,
إنما اموالكم و اولادكم فتنة
সূরা আত তাগাবুন ১৫
*** ফিৎনা অর্থ আলামত / নিদর্শন । বোখারি- মুসলিম শরীফ গুলোতে কেয়ামতের আলামত অধ্যায়কে كتاب الفتن বলা হয়েছে ।
*** ফিৎনা অর্থ দাঙ্গামা- হাঙ্গামা , সন্ত্রাস , সংঘর্ষ , হানাহানি , গালাগালি , মারামারি , বাড়াবাড়ি ইত্যাদি । আল্লাহপাক বলেন ,
والفتنة أشد من القتل
সূরা আল্ বাক্বারা ১৯১
و الفتنة اكبر من القتل
সূরা আল্ বাক্বারা ২১৭
এখানে ফিৎনা অর্থ الفتنة بمعني الفساد
*** স্বামী/ স্ত্রী , ভাই- বোন , ভাই – ভাইদের মধ্যে যখন কোন কারণে মনমালিন্যতা শুরু হয় , তা’ সূচনাতেই Stop করা না গেলে ফিৎনার রূপ নেয় ।
*** ফরজ ইবাদত ও আমলগুলো বাদ দিয়ে যখন ইসলাম ধর্মের খেদমতের দাবীদার দলগুলো ছোটখাটো বিষয় নিয়ে পরস্পর বিতর্কে লিপ্ত হয় , সেখান থেকে ফিৎনার উৎপত্তি ঘটে । আর এ ফিৎনা তাঁদেরকে পথভ্রষ্টতার দিকে নিয়ে যায় ।
*** শরিয়তে ফিৎনা সৃষ্টির হুকুম হলো কবিরা গুনাহ । আল্লাহপাক এ গুনাহটিকে হত্যার চেয়েও জঘন্য বলেছেন । মহানবী সা: বলেছেন , আমি সে ব্যক্তিকে জান্নাতে নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি , যে সত্যের উপর থাকা সত্ত্বেও বিবাদের আশংকায় নীরব থাকে ।”
আবুদাউদ শরীফ ৪৮০০
মহানবী সা: বলেছেন , এমন একটি সময় অত্যাসন্ন , যখন ঘুমন্ত ব্যক্তি জাগ্রত ব্যক্তি অপেক্ষা উত্তম হবে । জাগ্রত ব্যক্তি উপবিষ্ট ব্যক্তি অপেক্ষা উত্তম হবে । উপবিষ্ট ব্যক্তি দন্ডায়মান ব্যক্তির চেয়ে উত্তম হবে । দন্ডায়মান ব্যক্তি হেঁটে চলা ব্যক্তি অপেক্ষা উত্তম হবে । হেঁটে চলা ব্যক্তি দৌড়ে চলা ব্যক্তির চেয়ে উত্তম হবে । যে ফিৎনায় লিপ্ত হবে , উক্ত ফিৎনা তাকে ধ্বংস করে দেবে । ঐ সময়ে নিরাপদ স্হানে চলে যাও । ”
{সৌজন্যেঃ Mqm Saifullah Mehruzzaman}