ইমরান বিন হুসাইন রাদিআল্লাহু
‘আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম জনৈক ব্যক্তির হাতে তামা/ স্বর্ণের আংটি দেখে বললেন,
« ﻭَﻳْﺤَﻚَ ﻣَﺎ ﻫَﺬِﻩِ ؟ ” ﻗَﺎﻝَ : ﻣِﻦَ ﺍﻟْﻮَﺍﻫِﻨَﺔِ، ﻗَﺎﻝَ : ”
ﺃَﻣَﺎ ﺇِﻧَّﻬَﺎ ﻟَﺎ ﺗَﺰِﻳﺪُﻙَ ﺇِﻟَّﺎ ﻭَﻫْﻨًﺎ، ﺍﻧْﺒِﺬْﻫَﺎ ﻋَﻨْﻚَ، ﻓَﺈِﻧَّﻚَ ﻟَﻮْ
ﻣِﺖَّ ﻭَﻫِﻲَ ﻋَﻠَﻴْﻚَ ﻣَﺎ ﺃَﻓْﻠَﺤْﺖَ ﺃَﺑَﺪًﺍ »
“ধ্বংস তোমার, এটা কী? সে বলল: অহেনার [1] অংশ।
তিনি বললেন: মনে রেখ, এটা তোমার দুর্বলতা ব্যতীত কিছু বৃদ্ধি করবে না, এটা তোমার থেকে ছুড়ে মার, কারণ তুমি যদি মারা যাও আর এটা তোমার উপর থাকে,
তুমি কখনো সফল হবে না” [2]
উকবা বিন আমের রাদিয়াল্লাহু
‘আনহু বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি:
« ﻣَﻦْ ﺗَﻌَﻠَّﻖَ ﺗَﻤِﻴﻤَﺔً، ﻓَﻠَﺎ ﺃَﺗَﻢَّ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻟَﻪُ، ﻭَﻣَﻦْ ﺗَﻌَﻠَّﻖَ
ﻭَﺩَﻋَﺔً، ﻓَﻠَﺎ ﻭَﺩَﻉَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻟَﻪُ »
“যে তামিমাহ[3] ঝুলালো,
আল্লাহ তাকে পূর্ণতা দেবেন না, আর যে শঙ্খ ঝুলালো আল্লাহ তাকে নিরাপত্তা দিবেন না”।
[4]
উকবা বিন আমের আল-জোহানি রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন,
একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের
দরবারে একদল লোক উপস্থিত হল।
তাদের নয়জনকে তিনি বায়আত করলেন একজনকে করলেন না।
তারা বলল, হে আল্লাহর রাসূল! নয়জনকে বায়আত করলেন, আর তাকে ত্যাগ করলেন? তিনি বললেন:
« ﺇِﻥَّ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺗَﻤِﻴﻤَﺔً ” ، ﻓَﺄَﺩْﺧَﻞَ ﻳَﺪَﻩُ ﻓَﻘَﻄَﻌَﻬَﺎ، ﻓَﺒَﺎﻳَﻌَﻪُ،
ﻭَﻗَﺎﻝَ : ” ﻣَﻦْ ﻋَﻠَّﻖَ ﺗَﻤِﻴﻤَﺔً ﻓَﻘَﺪْ ﺃَﺷْﺮَﻙَ »
“তার উপর তাবিজ রয়েছে,
তিনি স্বীয় হাত বের করে তা ছিঁড়ে ফেললেন, অতঃপর তাকে বায়আত করলেন, এবং বললেন যে তাবিজ ঝুলালো সে শিরক করল।[5]
একদা হুযায়ফা রাদিয়াল্লাহু
‘আনহু জনৈক ব্যক্তির হাতে জ্বরের তাগা দেখে কেটে ফেললেন। অতঃপর তিনি তিলাওয়াত করেন:
﴿ ﻭَﻣَﺎ ﻳُﺆۡﻣِﻦُ ﺃَﻛۡﺜَﺮُﻫُﻢ ﺑِﭑﻟﻠَّﻪِ ﺇِﻟَّﺎ ﻭَﻫُﻢ ﻣُّﺸۡﺮِﻛُﻮﻥَ ١٠٦
﴾ [ ﻳﻮﺳﻒ : ١٠٥ ]
“তাদের অধিকাংশ আল্লাহর
প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে, তবে শিরক করা অবস্থায়”। [6]
এ ঘটনা প্রমাণ করে তাগা ব্যবহার করা শিরক।
আবু বশির আনসারি একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের সফর সঙ্গী ছিলেন। তিনি জনৈক ব্যক্তিকে নির্দেশ দিয়ে পাঠালেন, -মানুষেরা তখন ঘুমের বিছানায় ছিল-,
« ﺃَﻥْ ﻟَﺎ ﻳَﺒْﻘَﻴَﻦَّ ﻓِﻲ ﺭَﻗَﺒَﺔِ ﺑَﻌِﻴﺮٍ ﻗِﻠَﺎﺩَﺓٌ ﻣِﻦْ ﻭَﺗَﺮٍ ﺃَﻭْ
ﻗِﻠَﺎﺩَﺓٌ ﺇِﻟَّﺎ ﻗُﻄِﻌَﺖْ »
“কোনো উটের গলায় সুতার মালা (ধনুকের ছিলা) বা কোনো প্রকার মালা রাখা যাবে না, অবশ্যই কেটে ফেলা হবে”।[7]
নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম উটের গলার সুতা ও মালা কেটে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন, যেন তাবিজ ঝুলানোর উপায় অবশিষ্ট না থাকে।
আবু ওয়াহহাব রাদিয়াল্লাহু
‘আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
« ﻭَﺍﺭْﺗَﺒِﻄُﻮﺍ ﺍﻟْﺨَﻴْﻞَ، ﻭَﺍﻣْﺴَﺤُﻮﺍ ﺑِﻨَﻮَﺍﺻِﻴﻬَﺎ ﻭَﺃَﻛْﻔَﺎﻟِﻬَﺎ،
ﻭَﻗَﻠِّﺪُﻭﻫَﺎ ﻭَﻟَﺎ ﺗُﻘَﻠِّﺪُﻭﻫَﺎ ﺍﻟْﺄَﻭْﺗَﺎﺭَ »
“তোমরা ঘোড়া বেঁধে রাখ,
তার মাথায় ও ঘাড়ে হাত বুল
াও এবং তাকে লাগাম পরাও,
তবে সুতা/ মালা পরিয়ো না।[8]
আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুর স্ত্রী জয়নব থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: একদা আব্দুল্লাহ বাড়িতে এসে আমার গলায় তাগা দেখতে পান। তিনি বলেন, এটা কী?
আমি বললাম, এটা পড়া তাগা,
এতে ঝাড়-ফুঁক করা হয়েছে।
তিনি তা কেটে ফেললেন এবং বললেন, আব্দুল্লাহর পরিবার শিরক থেকে মুক্ত। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি:
« ﺇِﻥَّ ﺍﻟﺮُّﻗَﻰ ﻭَﺍﻟﺘَّﻤَﺎﺋِﻢَ ﻭَﺍﻟﺘِّﻮَﻟَﺔَ ﺷِﺮْﻙٌ »
“ঝাড়-ফুঁক, [9] তাবিজ ও
তিওয়ালাহ[10] নিঃসন্দেহে শিরক”।[11]
এসব দলিল বলে, রোগ-ব্যাধি দূর বা প্রতিরোধ করার জন্য মানুষ বা জীব-জন্তুর শরীরে, কিংবা ক্ষেত-খামারে তাবিজ,
তাগা, কড়ি ও সুতা ইত্যাদি ব্যবহার করা শিরক। কারণ,
তামিমাহ ও তামিমাহ জাতীয় বস্তুর উপর নিষেধাজ্ঞার হাদিসগুলো ব্যাপক, তাই সবধরণের তাবিজ শিরক। কুরআন/
গায়রে কুরআন কোনো বিভেদ নেই।
দ্বিতীয়ত যেসব দলিলে তাবিজের উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, তাতে কুরআন-হাদিসের তাবিজ বৈধ বলা হয়নি, যেমন শিরক মুক্ত ঝাড়-ফুঁক বৈধ বলা হয়েছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
« ﺍﻋْﺮِﺿُﻮﺍ ﻋَﻠَﻲَّ ﺭُﻗَﺎﻛُﻢْ ﻟَﺎ ﺑَﺄْﺱَ ﺑِﺎﻟﺮُّﻗَﻰ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﻳَﻜُﻦْ
ﻓِﻴﻪِ ﺷِﺮْﻙٌ »
“তোমাদের ঝাড়-ফুঁক আমার কাছে পেশ কর, ঝাড়-ফুঁকে কোনো সমস্যা নেই, যদি তাতে
শিরক না থাকে”।[12]
এ হাদিসে যেরূপ কুরআনুল কারিমের তাবিজকে পৃথকভাবে বৈধ বলা হয়নি, যেমন শিরক মুক্ত ঝাড়-ফুককে বৈধ বলা হয়েছে। নবী সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তার সাহাবিদের জীবনে
তাবিজের কোনো প্রমাণ নেই।
হাদিসের পাঠকমাত্র দেখবে,
দোয়া ও যিকর সংক্রান্ত সকল হাদিসের ভাষা হচ্ছে, ‘যে ইহা বলবে’, অথবা ‘যে ইহা পড়বে’
ইত্যাদি; একটি হাদিসেও নেই
‘যে ইহা লিখে রাখবে’, অথবা ‘যে ইহা ঝুলাবে’। ইবনে আরাবি বলেন: “কুরআন ঝুলানো সুন্নত নয়,
কুরআন পাঠ করা সুন্নত”।
ইব্রাহিম নখয়ি রহ. বলেন, “আব্দুল্লাহ বিন মাসউদের সাথীগণ কুরআন ও গায়রে কুরআন সর্বপ্রকার তাবিজ অপছন্দ করতেন,
যেমন আলকামা, আসওয়াদ, আবু ওয়ায়েল, মাসরুক ও রাবি বিন খায়সাম প্রমুখ তাবেয়িগণ”। [13]
শিরক ও পাপের পথ বন্ধ করার স্বার্থে সকল তাবিজের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা জরুরি। কুরআনের তাবিজ শিরকী তাবিজের পথ উন্মুক্ত করে। আদর্শ মনীষীগণ তাবিজ অপছন্দ করতেন, অথচ তাদের যুগ ছিল বিদআত ও শিরক মুক্ত, ওহী ও ঈমানের নিকটবর্তী। আমাদের যুগ মূর্খতা ও বিদআত সয়লাবের যুগ, এতে তাবিজ বৈধ বলার অর্থ উম্মতকে শিরকের দিকে ঢেলে দেওয়া।
দ্বিতীয়ত তাবিজে ব্যবহৃত কুরআন নাপাক বস্তু বা স্থানের সম্মুখীন হয়, বিশেষত বাচ্চাদের গলার তাবিজ, যা থেকে কুরআনকে পবিত্র রাখা জরুরি।
তাবিজ ব্যবহারকারীরা সাধারণত কুরআন-হাদিসের
ঝাড়-ফুঁক করে না, তাবিজকেই
যথেষ্ট ভাবে। তাদের অন্তর
তাবিজের সাথে ঝুলন্ত থাকে,
যদিও তারা স্বীকার করে না,
তবে তাবিজ খুললে তার সত্যতা
প্রকাশ পায়! কারো চেহারা
বিবর্ণ হয়, কারো শরীরে
কাঁপুনি উঠে। যদি তাদের অন্তর
আল্লাহর সাথে সম্পৃক্ত থাকত ও তাতে পূর্ণ বিশ্বাসী হত, কখনো
তারা মন এমন বস্তুর দিকে
ধাবিত হত না, যার সম্পর্ক কুরআন-
হাদিসের সাথে নেই। বস্তুত তাবিজ ব্যবহার করে তারা কুরআনের সাথে নয়, বরং কাগজ ও
জড় বস্তুর সাথে সম্পৃক্ত হয়।
তাবিজ একটি জড়-বস্তু, তার
সাথে রোগ-মুক্তির কোনো
সম্পর্ক নেই। তাবিজকে রোগ মুক্তির উপায় সাব্যস্ত করার জন্য
অবশ্যই দলিল প্রয়োজন, তার পক্ষে
কোনো শরীয় দলিল নেই।
কারো রোগ-ব্যাধি হলে শরয়ী ঝাড়-ফুঁক করা সুন্নত, যেমন
জিবরীল ‘আলাইহিস সালাম
নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে করেছেন, নবী
সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সাহাবীদের
করেছেন। এটাই বৈধ ও শরীয়ত অনুমোদিত পন্থা।
বৈধ ঝাড়-ফুঁকের বিনিময় গ্রহণ
করা বৈধ, যদি তার দ্বারা
আরোগ্য লাভ হয় এবং সুন্নত
মোতাবেক ঝাড়-ফুঁক করা হয়;
যেমন নবী সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের
সাহাবীগণ বিনিময় গ্রহণ
করেছেন, কিন্তু আমাদের সমাজের একশ্রেণীর আলেম
তাবিজ দেন ও আরোগ্য লাভের পূর্বে বিনিময় গ্রহণ করেন।
তারাও দলিল হিসেবে বুখারি শরীফের হাদিসটি পেশ করেন,
অথচ সেখানে স্পষ্ট আছে
সাহাবিগণ তাবিজ দেননি,
বরং সূরা ফাতিহা পাঠ
করেছেন এবং আরোগ্য লাভ
করার পর বিনিময় গ্রহণ করেছেন,
আগে নয়। অতএব এ হাদিসকে
তাবিজ দেয়া ও তার বিনিময়
গ্রহণ করার দলিল হিসেবে পেশ
করা অপব্যাখ্যা ব্যতীত কিছু নয়।
========================
[1] অহেনা অর্থ এক প্রকার হাড়,
যার অংশ বিশেষ তাবিজে
ব্যবহার করা হয়।
[2] মুসনাদে আহমদ: (১৯৫৪৯), নাসায়ী: (৯/৩৪৯), ইবনে মাজাহ: (৩৫৩১), ইবনে হিব্বান: (৬২২২),
হাদিসটি সহিহ্।
[3] তামিমার সংজ্ঞা: রোগ-ব্যাধি থেকে আরোগ্য লাভ অথবা বদ-নজর প্রতিরোধ অথবা সম্ভাব্য কোনো অনিষ্ট দূর করার জন্য শরীরে ঝুলানো বস্তুকে তামিমাহ বলা হয়, হোক সেটা কড়ি, অথবা লাকড়ি, অথবা তাগা, অথবা কাগজ কিংবা কোনো বস্তু। ইসলাম পূর্বযুগে বদ-নজর থেকে সুরক্ষা এবং গৃহ-পালিত পশু-পাখী ও দুষ্ট প্রাণীকে বশ করার জন্য, কখনো আত্মরক্ষার জন্য মুশরিকরা তামিমাহ গলায় বা শরীরের কোনো অংশে ঝুলাত। তাদের বিশ্বাস ছিল, তাকদির প্রতিরোধ ও অনাগত অনিষ্ট দূর করার ক্ষমতা রাখে তামিমাহ।
তারা কখনো তামিমাহ দ্বারা গায়রুল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করত, যা ছিল সরাসরি শিরক ও তাওহীদ পরিপন্থী। ইসলাম তার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
[4] আহমদ: (১৬৯৫১), হাকেম: (৪/২১২), মুসনাদে আবি ইয়ালা আল-মুসিলি: (১৭৫৯)
[5] সহি মুসনাদে আহমদ: (১৬৯৬৯), সহি হাদিস সমগ্র : (৪৯২), হাকেম।
[6] ইউসুফ: (১০৬) তাফসিরে ইবনে কাসির।
[7] বুখারি: (৩০০৫), মুসলিম: (২১১৮)
[8] সুনানে নাসায়ী সুগরা: (৩৫৬৫), মুসনাদে আহমদ: (১৮৫৫২)
[9] রুকা অর্থ নিষিদ্ধ ঝাড়-ফুঁক,
আউনুল মাবুদ, হাদিস নং: (৩২৭২)
[10] আসমায়ি বলেন:
তিওয়ালাহ: একপ্রকার যাদু, স্বামীর নিকট স্ত্রীকে প্রিয় করার জন্য যার ব্যবহার করা হয়। মোল্লা আলি কারি বলেন:
‘তিওয়ালাহ’ একপ্রকার যাদু, অথবা যাদুর মন্ত্র পাঠ করা তাগা, অথবা কাগজ, তাতে মহব্বত সৃষ্টির মন্ত্র পাঠ করা হয়। আউনুল মাবুদ, হাদিস নং: (৩২৭২)
[11] আবু দাউদ: (৩৮৮৩), আহমদ: (৩৬০৪),
ইবনে হিব্বান: (৬০৯০), ইবনে
মাজাহ: (৩৫৩০), সহি হাদিস সমগ্র: (১৩১)
[12] মুসলিম : (২২০২), ইবনে হিব্বান: (৬০৯৪)
[13] ফতহুল মজিদ।