-(অনুবাদ)-
পরম করুণাময়, অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে (শুরু করছি)।
{يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا أَطِيعُوا اللَّهَ وَأَطِيعُوا الرَّسُولَ وَأُولِي الْأَمْرِ مِنْكُمْ ۖ فَإِنْ تَنَازَعْتُمْ فِي شَيْءٍ فَرُدُّوهُ إِلَى اللَّهِ وَالرَّسُولِ إِنْ كُنْتُمْ تُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ ۚ ذَٰلِكَ خَيْرٌ وَأَحْسَنُ تَأْوِيلًا}
-(অনুবাদ)-
হে মু’মিনগণ! তোমরা আল্লাহর ও রাসূলের অনুগত হও এবং তোমাদের জন্য যারা বিচারক তাদের; অতঃপর যদি তোমাদের মধ্যে কোন বিষয়ে কোন মতবিরোধ হয় তাহলে আল্লাহ ও রাসূলের দিকে প্রত্যাবর্তিত হও, যদি তোমরা আল্লাহ ও পরকালের প্রতি বিশ্বাস করে থাক; এটাই কল্যাণকর ও পরিনতির দিক দিয়ে সবচেয়ে উওম।
[ সুুরা : নিসা ০৪/৫৯ ]
••••••••••••••••••••••••••
★ এখানে ইসলামী রাষ্ট্রের ০৪ টি মুলনিতীর কথা উল্লেখ্য ★
(১) মূল আনুগত্যের হকদার আল্লাহ্ – আল্লাহর রাসূল।
(২) দ্বীতিয় বুনিয়াদ রাসূলের আনুগত্য।
(৩) উলিল আমর এর আনুগত্য উপরের দুটি আনুগত্যের আলোকে।
(৪) বিরোধ হলেই আল্লাহর আদেশ ও রাসূলের আদর্শ অনুযায়ী সমাধান।
————————–
• আনুগত্যের ব্যপারে রাসূলুল্লাহ (সা.) দুটি হাদিস •
আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যাক্তি আমার আনুগত্য করে সে আল্লাহ্রই আনুগত্য করে এবং যে ব্যাক্তি আমার অবাধ্যাচরণ করে সে আল্লাহ্রই অবাধ্যাচরণ করে।
তাখরীজ কুতুবুত সিত্তাহ: বুখারী ২৯৫৭, মুসলিম ১৮৩৫, ইবনু মাজাহ ০৩ নাসায়ী ৪১৯৩, ৫৫১০, আহমাদ ৭৩৮৬, ৭৬০০, ২৭৩৫০, ৮৩০০, ৮৭৮৮, ৯১২১, ৯৭৩৯, ১০২৫৯। তাহক্বীক্ব আলবানী (রহঃ) সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াউল গালীল ৩৯৪। হাদিসের মানঃ সহিহ
•=><•=•><•=•><•=•><•=•><•=
ইরবায ইবনু সারিয়াহ বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের মাঝে দাঁড়িয়ে অত্যন্ত মর্মস্পর্শী ভাষায় আমাদের নাসীহাত করেন, যাতে অন্তরসমূহ ভীত হল এবং চোখগুলো অশ্রু বর্ষণ করলো। তাঁকে বলা হল, হে আল্লাহ্র রাসূল! আপনি তো বিদায় গ্রহণকারীর উপদেশ দিলেন। অতএব আমাদের নিকট থেকে একটি প্রতিশ্রুতি গ্রহণ করুন (একটি সুনির্দিষ্ট আদেশ দিন)। তিনি বলেনঃ তোমরা আল্লাহ্ভীতি অবলম্বন করো, শ্রবণ করো ও আনুগত্য করো (নেতৃ-আদেশ), যদিও সে কাফরী গোলাম হয়। আমার পরে অচিরেই তোমরা মারাত্নক মতভেদ লক্ষ্য করবে। তখন তোমরা আমার সুন্নাত ও হিদায়াতপ্রাপ্ত খুলাফায়ে রাশিদ্বীনের সুন্নাত অবশ্যই অবলম্বন করবে, তা দাঁত দিয়ে শক্তভাবে কামড়ে ধরবে। অবশ্যই তোমরা বিদআত কাজ পরিহার করবে। কারণ প্রতিটি বিদআতই ভ্রষ্টতা।
তাখরীজ কুতুবুত সিত্তাহ: তিরমিযী ২৬৭৬, আবূ দাঊদ ইবনু মাজাহ ৪২ ৪৬০৭, আহমাদ ১৬৬৯২, দারিমী ৯৫। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ২৪৫৫, মিশকাত ১৬৫, ফিলাল ২৪-২৬, সালাতুত তারাবীহ ৮৮-৮৯। হাদিসের মানঃ সহিহ
————————–
• Present by – Bayzid Bin Osman